টেষ্ট করানোর পর একদিন সামিয়া ডাক্তারের কাছে গেল রিপোর্ট নিয়ে। আর বাসায় বললো আজ তার পড়িয়ে আসতে দেরি হবে। যেন বাবা-মা বুঝে না ফেলেন।
"আপনার সাথে কেউ আসেনি?"
"জ্বী না। আসলে এই ব্যাপারে বাসায় কাউকে জানাইনি। রিপোর্টে কী আছে স্যার?"
"আপনার সাথে অন্তত কেউ একজন আসলে ভালো হতো।"
"আপনি বলুন। কোন সমস্যা আছে রিপোর্টে?"
"আসলে কীভাবে যে বলবো?"
"সমস্যা নাই,আপনি বলতে পারেন।"
"আসলে,আপনার,,,,ব্রেস্ট টিউমার আছে। আর তা থেকে, ক্যান্সার।"
সামিয়া কিছুক্ষন চুপ করে থাকে। ডাক্তার ওকে সান্ত্বনা দিলে সে মৃদু হাসি দিয়ে বলে ------
"I am ok sir. চিন্তা করেন না।"
"আপনার যে টিউমার তা আগে জানতেন না?"
"ব্যাথা হতো ঠিকই, আসলে ঝামেলার কারণে খেয়াল করিনি।"
এই বলে ডাক্তারের রুম থেকে বেরিয়ে যায় সামিয়া।
বাসায় এসে সে রুমের দরজা লাগিয়ে অনবরত কাঁদতে থাকে। কিন্তু তাকে তো ভেঙে পড়লে হবে না। তাকে শক্ত হতে হবে, তার পরিবারের জন্য। নয়তো সব শেষ হয়ে যাবে।
আর যাই হোক বাবা-মা কীভাবে দেখবে নিজের সন্তানের এই মৃত্যু। তারা তো শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তা হোক সেটা সে তো চায় না।
রাতে বাবা-মা আর ছোট বোনকে নিয়ে একসাথে খাবার খেলো। হয়তো আর বাবা-মা, বোনের সাথে দেখা নাও হতে পারে। রাতে খাবার পর নিজের রুমে শুয়ে শুয়ে ভাবছে কী হবে এই পরিবার টার? কী করা উচিত তার?
সকালে......
"মা আজ আমার আসতে দেরি হবে। আজ স্কুলে একটু কাজও আছে।"
"কিন্তু কিছু খেয়ে তো যা। তাছাড়া তোর সাথে একটু কথাও আছে।"
"হুম বলো।" (নাস্তা খেতে খেতে)
"তোকে কয়দিন কেমন যেন লাগছে। তুই কী ঠিক আছিস?"
"ক......ই নাতো। তেমন কিছু তো না মা।" (থমকে গিয়ে)
"মিথ্যা বলবি না একদম। কী হয়েছে বল?"
"সত্যি মা তেমন কিছুই না। আসলে স্কুলে কয়দিন কাজের চাপ তো বেশি তাই একটু ক্লান্ত লাগে। ব্যাস, আর কিছু না। তুমি চিন্তা করো না। আচ্ছা মা আমি আসি।"
"আচ্ছা, দেখে শুনে যাস, মা।"
এভাবেই চলছিলো সামিয়ার দিন.......
চলবে........
Nice Golpo