সেই মেয়েটা
লেখকঃ মেঘলা মন
পার্টঃ০১
সে দিন ছিলো আমার অফিসে ইন্টারভিউ। বাসা থেকে বের হয়েছি অফিসে ইন্টারভিউ দেওয়ার উদ্দেশ্যে।আমার বাসা থেকে অল্প একটু হেটে যাওয়ার পর বাসস্টপ। সেখান গিয়ে বাসার জন্য দাড়িছে এমন সময় লক্ষ্য করলাম একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে অন্য দিকে ঘুরে তবে তার মাথার লম্বা কালো চুল ছেড়ে দেওয়া।পিছন থেকে তাকে অনেক টা ভালই লাগছিলো।আমি তাকিয়ে ছিলাম তাকে দেখার জন্য আর মনে মনে বলতেছিল একটু ঘুর।হঠাৎ পিছনে তাকিয়েছে আর তার চোখ আর আমার মিলে গেলো মানে চোখে চোখ পড়লো।আমি তো পুরো হা হয়ে গেলাম আল্লাহ মনে হয় তাকে খুব যত্ন করে বানিয়েছে।সে আমার এমন ভাব দেখে হাসলো। এমন সময় আমার যাওয়ার বাস চলে আসলো।আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম বাসে বসেও সে শুধু হাসলো। আমার চাকুরি টা হয়ে গেলো।আমার বস বললো আপনাকে রোজ সকালে ওখান থেকে অফিস বাস নিয়ে আসবে।আমি একটু খুসি হলাম আর চলে আসলাম।পরের দিন সকালে মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতেই বাসস্ট্যান্ডে গেলাম।দাড়িয়ে আছি এমন সময় লক্ষ্য করলাম সে দূর থেকে কাউকে আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছে আর হাসছে বুঝলাম কালকের কথা বলে হাসছে।বাস আসলো চলে আসলাম।এভাবে কয়েক দিন চলে গেলো রোজ তার চোখের সাথে আমার চোখের মিলন হয়।তাই ভাবতে ভাবতে আসছি আজ কথা বলবো।কিন্তু তাকে আর সেখানে দেখতে পেলাম না।মনটা খরাপ হলো।আর মন খারাপ নিয়ে অফিসে চলে আসলাম।আসার পর বস বললো আজ কিছু লোকের ইন্টারভিউ আছে আর সেখানে আমাকে থাকতে হবে তাদের ইন্টারভিউ নিতে হবে।প্রায় ১২ থেকে ১৪ জনের ইন্টারভিউ নিলাম কিন্তু কাউকে সিলেক্ট করতে পারলাম না পরে জানাবো বলে বিদায় দিলাম। এভার যে ভিতরে আসছে তাকে দেখে আমি থ হয়ে গেলাম এতো সেই মেয়েটা যাকে রোজ দেখার জন্য ২০ মিনিট আগে বাসস্ট্যান্ডে আসি।সেও আমাকে দেখে মনে হলো একটু অবাক হয়েছে।সে আসলো পিয়ন তার ফাইল আমার সামনে দিলো।মনে মনে আমি ভাবলাম যাক নাম টা এখন শুনা যাবে।
আমিঃ কেমন আছেন
সেঃ জ্বি স্যার ভালো।স্যার আপনি কেমন আছেন।
আমিঃ ভালো।আপনার নাম কি?
সেঃ জ্বি স্যার আমার নাম ফারজানা আক্তার বৃষ্টি। সবাই বৃষ্টি বলেই ডাকে।
আমিঃ আপনি কি কোথাও জব করছেন?
বৃষ্টিঃ জি না স্যার।
আমিঃ আপনি কেনো চাকুরি করবেন?
বৃষ্টিঃ স্যার আমি নিজেকে প্রমান করতে চাই
আমিঃ বিয়ের পর যদি স্বামী চাকরি করতে না দেয়?
বৃষ্টিঃ তাকে বলেই বিয়ে করবো।আর যদি তা সে না মানে তবে করবো না।কারন স্বামীর অবাধ্য স্ত্রী কখনো সুখি হয় না।
আমিঃ মনে মনে খুশি হলাম।
চলবে
4
13
Nice story