আমি যে রান্নায় খুব পারদর্শী তা কিন্তু একেবারেই না। করোনাকালে সখের বশে কাজকর্ম না থাকার অভাবে চেষ্টা করা। মিষ্টি আমার খুবই পছন্দের। উপায় তো নেয়, এ সময় বাইরে থেকে কিছু কিনে খাবার সুযোগ না থাকায়, নিজেই নিজের রসনাতৃপ্তি মেটানোর কাজে লেগে পড়লাম। দুদিন আগে বাসায় বানিয়েছিলাম, সেই রেসিপিটাই সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো। প্রথম দুইবার পুরোপুরি ব্যর্থ হলেও তৃতীয় বার ভালোভাবেই সফল হয়েছি। দোকানের মিষ্টির স্বাদের খুব কাছাকাছিই বলা চলে।
আমার অভিিজ্ঞতা খুবই কম, ইআমার অভিজ্ঞতা খুবই কম, আমি যেভাবে করেছি, সব উপকরণ যতোটুকু নিয়েছি শুধু সেটাই শেয়ার করছ, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
উপকরণ-
১. দুধ পাউডার মাঝারি কাপে এক কাপ।
২.লিকুইড দুধ ৬-৭ টেবিল চামচ
৩. ময়দা ১ টেবিল চামচ
৪.সুজি ১ টেবিল চামপ
৫. বেকিং পাউডার ১ চা চামচ এর ও কম
৬. শিরার জন্য এক কাপের মতো চিনি
৭. একটা ডিম নরমাল তাপমাত্রায় অবশ্যই
৮. দুই তিন চামচ তেল/ এক চামচ ঘি/ ময়দা
প্রস্তুত প্রনালী-
মিষ্টির ডো তৈরির পদ্ধতি-
একটা বাটিতে প্রথমে সবগুলো শুকনো উপকরণ প্রথমে পরিমান মতো নিয়েছে। তারপর একটা ডিম দিয়ে, এক চামচ ঘি মেখে সাথে ৬/৭ চামচ দুধ দিয়ে একটা আঠালো ডো তৈরি করতে হবে, লিকুইড দুধ কারো কম বেশি লাগতে পারে। পরে ডো টি ১০ মিনিট ঢেকে রেখে দেয়।
মিষ্টি ভাজার পদ্ধতি-
দু হাতে সামান্য তেল মেখে নিয়ে ডো থেকে সামান্য নিয়ে হাতের প্রেশারে ইচ্ছামতো গোল বা চ্যাপ্টা মিষ্টির শেইপ দিতে হবে। এই পরিমানে আমি ছবির মতো প্রায় ১৫/১৬ টি মিষ্টি তৈরি করেছি। চুলায় কড়াই দিয়ে একেবারে হালকা আচে সামান্য তেল দিয়ে ডুবো তেলে মিষ্টি গুলোকে ভেজে নিয়েছি বাদামি কালারে। এটি করতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
মিষ্টির সিরা তৈরির পদ্ধতি-
এক কাপ চিনির সাথে দেড় কাপ পানি গুলে চুলায় দিয়ে পানিটা যখন ফুটতে শুধু করবে তখন মিষ্টি গুলা ছেড়ে দিতে হবে৷ খেয়াল রাখতে হবে, কোনভাবেই একেবারে গরম অবস্থায় মিষ্টি সিরাতে দেয়া যাবে না। তারপর সিরাতে মিষ্টি গুলো ঢাকনা দিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে দেয়। ব্যাস, হয়ে গেলো পছন্দের মিষ্টি। ভালো লাগলে কেউ আগে করে না থাকলে নিজেরাও চেষ্টা করবেন।
শুধু কালোজাম না সব ধরনের মিষ্টিই আমার খুব পছন্দের, বিশেষ করে সন্দেশ, রসমালাই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়ার শেষে মিষ্টিমুখ আমাদের দেশের একটা ঐতিহ্যের মধ্যে পড়ে।