সময়ের সাথে সাথে সবাই বড় হচ্ছি। আর দিন দিন ব্যস্ততায় একঘেয়েমি চলে আসছে। আমরা যারা ২০০০ সালের আগে জন্মেছি তারা নূন্যতম যা-ই শৈশবে পেয়েছি আর দেখেছি তা হয়তো এই প্রজন্ম কিংবা পরবর্তী প্রজন্মও পাবে কি না তা সন্ধিহান।
আর অই সময়ের কিছু জিনিস যা হয়তো এখন অনেকের কাছে মূল্যহীন সে সকল জিনিসই আমাদের তখন আনন্দের উৎস ছিল। আর ঐসব জিনিস হতেই আমরা আনন্দ পেতাম আর আমাদের শৈশব হয়েছিল মধুর।
এই জিনিসটার সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত, বিশেষ করে ছেলেরা। আম পাড়াই হোক আর পাখি শিকার হোক
ঘুড়ি ওড়ানোর সাথে তো সবাই পরিচিত। তবে আমাদের শৈশবে যেভাবে সবাই একসাথে ঘুড়ি ওড়াতাম এখনকার যুগের বাচ্চারা তা পারে না। আর তখন মাঠ ছিল, খোলামেলা জায়গা ছিল। আর ছিল ভাল মনের মানুষ। ভালই ছিল দিনগুলো।
আর কানামাছি?? এটা তো বলতে গেলে তখন আমাদের জাতীয় খেলা ছিল। ছেলে-মেয়ে সবাই মিলেই খেলতাম। আর তখনকার ওই সাধারন খেলার মাঝে যে আনন্দ ছিল তা এই যুগের "পাপজী" কিংবা "ক্লাস অফ ক্লেন" গেমের মধ্যে নেই।
আর এই খেলাটার কথা মনে আছে?? এখনো গ্রামে একটু আধটু বাচ্চাদের খেলতে দেখা যায়। ঢাকা শহরে নেই বললেই চলে। থাকবে কি ভাবে?? না আছে জায়গা আর না আছে ভাল রাস্তাঘাট! আর এখন তো খেলাধুলার মাঝেও হয়ে গেছে বৈষম্য। বড়লোকের সন্তানেরা এখন মোবাইল,কম্পিউটারে গেম খেলে।
আর এটা?? তখন অনেক মূল্যাবান ছিল। সবার কেনার সাধ্য ছিল না। মেসেঞ্জার লাইটের মত এই খেলনাটারও আরেকটা ভার্সন ছিল। আকারে ছোট,হালকা আর এবড়োখেবড়ো। ঠিকমতো খেলা যেত না, আটকে যেত। তাও এটা কেনা আর খেলার আগ্রহের কমতি ছিল না।
মেলার সময় ছেলেদের টার্গেটই থাকতো এই ট্রলারের প্রতি। পানি আর একটু মোম হলেই হতো, ব্যাস। দিব্যি চলতো। আর কখনো কখনো পানির ঢেউ কিংবা ছিদ্র বা অন্য কোনো কারনে পানিতে ডুবে গেলেই হতো,কান্নার শেষ ছিল না।
অনেক তো খেলনা অথবা খেলাধুলার কথা বললাম। এবার আমাদের সময়কার কিছু খাবারের কথা বলি, যার কিছু কিছু এখনো থাকলেও অনেক কিছুই আর নেই, হারিয়ে গেছে সময়ের সাথে সাথে।
পাপড় ভাজা তারমধ্যে অন্যতম। যদিও এখনো অনেক জায়গায় এটি দেখা যায় তবে আগের মত সর্বত্র পাওয়া যায় না, আর এর স্বাদও আগের মত নেই!
এটি অবশ্য এখনো পার্কে কিংবা রাস্তার মোড়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে আগে ফেরিওয়ালারা এই খাবার তৈরি করার যন্ত্র নিয়ে ঘুরতো। খুব বেশি বড় নয়। শুধু চিনি আর রং হলেই হতো।
আর ২৫ পয়সার চকলেট?? ভুলে গেলে চলবে?? তাহলে যে শৈশবের বড় অংশটাই বাদ পড়ে যাবে। এখন তো কেটবেরি, মিমি চকলেট আরো কত কি পাওয়া যায়। কিন্তু তখন?? তখন কিন্তু চকলেট মানেই ২৫ পয়সার সুরমা কিংবা নাবিস্কো চকলেট। অই চকলেটের স্বাদ এখন আর নেই।
এবার বলি রিং চিপসের কথা। আঙ্গুলে ঢুকিয়ে না খেলে তৃপ্তি পেতাম না। নাহ!! শুধু আমি না। অই সময়কার যে কেউই। সে বড় হোক কিংবা ছোট। রিং চিপস মানেই হাতে লাগিয়ে তারপর এক এক করে খাওয়া। আর যদি কোনো মেহমান রিং চিপস ছাড়া বাসায় আসতো তাহলে তো মন খারাপ হতোই বরং তারসাথে কথা বলাই বন্ধ করে দিতাম।
এখনো মিস করি শৈশব। আর মনে পড়ে অতীতের কত কি স্মৃতি!!
ভাল লাগলে লাইক দিবেন, আর সাবস্ক্রাইব না করে থাকলে করে নিবেন, আর কমেন্ট বক্সে আপনার স্মৃতি জানাতে ভুলবেন না যেন!❤💕
ধন্যবাদ।
এই জিনিসগুলো এখনো গ্রামে গেলে দেখতে পাই।আসলেই এগুলো এখন স্মৃতি হয়ে গেছে।আপনি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ