ইসলাম ও জঙ্গিবাদ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাড়ে আট কোটি মানুষকে হত্যা করা হল। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে অসহায়, নিরপরাধ ৬ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যার প্রভাবে এখনো সেখানে প্রতিবন্ধী শিশু জন্মায়। ইসলামপন্থী কোনো দেশ কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। সবগুলো দেশই ছিল খ্রিষ্টান ধর্মভিত্তিক। তারপরেও দিনশেষে শুনতে হয়, ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম আর অন্যগুলো মানবতার ধর্ম!
অথচ আমরা মুসলিমরা অমুসলিমদের সাথে সাক্ষাৎ হলে প্রথমেই বলি, " আসসালামু আলাইকুম "। যার অর্থ " আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক "। এটা কোনো টেরোরিস্ট ধর্মের বাণী হতে পারে কি না, আমার জানা নেই!
কাশেম সুলাইমানিকে নির্বিচারে মেরে ফেলা হল। বিশ্ব মানবতার ধর্মের লোকেরা এখন এটাকে টেরোরিজম বলতে ভুলে গেছেন। একবার কল্পনা করুন, কোনো মুসলিম নামধারী কেউ যদি আক্রমণ করে অমুসলিম কাউকে মেরে ফেলতো.. দোষটা কার উপর আসতো? বিশ্ব মিডিয়া এটাকে ইসলামের সাথে মিশিয়ে জঙ্গি হামলা বলে হাইলাইট করতো। কিন্তু ঘটনা যখন অমুসলিমরা ঘটিয়েছে আর ভুক্তভোগী যখন মুসলিমরা, তখন আর এটাকে জঙ্গি হামলা বলা হচ্ছে না।
ফিলিস্তিনে মুসলিম মারা হচ্ছে। সিরিয়ায় মারা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মারা হচ্ছে। ইয়েমেনে মারা হচ্ছে। সেগুলি টেরোরিজম নয়। এমনকি হত্যাকারী হত্যা করে গর্বের সাথে বলছে আমি হত্যা করেছি। তারপরেও সেটা টেরোরিজম নয়। টেরোরিজম হয়ে যাচ্ছে, মুসলিম নামধারী কেউ অন্যকাউকে মারলে। সেটার দায় দেওয়া হচ্ছে ইসলামের উপর। অথচ হিটলার যখন ৬০ লক্ষ ইহুদি মারে, দায় গিয়ে পড়ে না খ্রিষ্টান ধর্মের উপর। ট্রাম্প যখন ঘোষণা দিয়ে সুলাইমানিকে মারে, দায় গিয়ে পড়ে না খ্রিষ্টান ধর্মের উপর। কি অদ্ভুত মানুষের আচরণ!
আমার মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেরোরিস্টের নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। হত্যা করে সেটা পাব্লিকলি বলে বেড়ানোর মতো কোনো টেরোরিস্ট আপনি দেখবেন না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা দেখিয়েছেন। সুলাইমানিকে হত্যা করে সেটা গর্বের সাথে টুইটারে টুইট করেছেন। তারপরেও অমুসলিমরা ট্রাম্পকে টেরোরিস্ট বলবে না। কিন্তু মুসলিমরা যদি এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে একজনকে মেরে ফেলে, দেখবেন চারদিকে রব উঠবে, " ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম। মুসলিমরা জঙ্গি..."। আবার তাদের এই নীতি ট্রাম্প, বুশ, খ্রিস্টান, বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রে পাল্টে যাচ্ছে। কেন এই দুমুখো নীতি আমি ঠিক বুঝতে পারি না।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ নিয়ে দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার মুসলিমকে হত্যা করা হল। হত্যা করল কারা? হিন্দুরা। খেয়াল করুন, প্রথমে মসজিদ ভেঙে মুসলমানদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা হল। তারপর দুই হাজার মুসলিম হত্যা করা হল। আর তারপর হত্যাকারীদের বিচার না করে ছেড়ে দেওয়া হল। ভোট নষ্ট হয়ে যাবে বিধায় কংগ্রেস সরকার থেকে শুরু করে মোদী সরকার, কেউই নিরপেক্ষ হয়ে বিচারটা করেনি। ফলাফল, মুসলিমদের মনে ক্ষোভ তৈরি হল। বিভিন্ন সময়ে সেই ক্ষোভ থেকে তারা আরো বেশি দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ল। বোমা হামলা করলো। যেগুলোকে মিডিয়া জঙ্গি হামলা বলছে। তারপর সবাই বলছে, ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম।
অথচ কেউ কিন্তু সেই দুই হাজার মুসলিম হত্যার জন্য হিন্দুদের টেরোরিস্ট আখ্যা দিচ্ছে না। সেদিন যদি বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা না হতো, সবকিছু স্বাভাবিক থাকতো। দাঙ্গা হতো না। কিন্তু মসজিদ ভাঙায় দাঙ্গা হল। কংগ্রেস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ভোট নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে মসজিদ ভাঙ্গাতে ও দাঙ্গায় পুলিশ দিয়ে বাধা দিল না। মুসলিমদের মনে ক্ষোভ তৈরি হল। সেই ক্ষোভ থেকে তারা বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এখানে ভাবা উচিত, মুসলিমদের সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে কারা বাধ্য করেছে? সেদিন বাবরি মসজিদ না ভাঙলে ও মুসলিমদের হত্যা না করলে, মুসলিমরা কখনোই প্রতিশোধের আগুনে পুড়তো না।
ঠিক একইভাবে যদি চিন্তা করেন, আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে সুলাইমানিকে হত্যা করল ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার নিন্দা চারদিকেই চলছে। কিন্তু কেউ বলছে না এটা সন্ত্রাসী হামলা। টুইটারে অগণিত আমেরিকানদের দেখছি ট্রাম্পকে হামলার প্রশংসা করতে। আমেরিকানরা ক্ষমতা প্রদর্শনকে বিরাট অর্জন মনে করে। কিন্তু ইরান যখনই এই হত্যার বদলা নিতে যাবে, তখনই তার সাথে জড়িয়ে যাবে ইসলাম। বলা হবে, ইসলাম একটি টেরোরিস্ট ধর্ম। অথচ কেউ ভেবে দেখবে না, ট্রাম্প সুলাইমানি সহ ১০ জনকে হত্যার শুরুটা না করলে ইরান পাল্টা আক্রমণটা করতো না।
যখন বিশ্বযুদ্ধে আট কোটি মানুষ মারা যায়, সিরিয়ায়, ফিলিস্তিনে, আফগানিস্তানে, ভারতে, নিউজিল্যান্ডে মুসলমানদের হত্যা করা হয়, তখন সেগুলো টেরোরিজম হচ্ছে না। কোনো ধর্মের গায়ে টেরোরিস্ট ট্যাগ লাগছে না। কিন্তু যখনই মুসলিম নামধারী কাউকে দেখা যায় পাল্টা আক্রমণ করছে, তখনই বলা হচ্ছে.. " ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম। মুসলিমরা টেরোরিস্ট। " কেন এই দুমুখো নীতি আমি সত্যিই ঠিক বুঝতে পারি না।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের অত্যাচারিত ও শোষিত হওয়ার পেছনে আসলে মুসলিমরাই দায়ী। শিয়া–সুন্নির ভেদাভেদ করতে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে অমুসলিমদের। তারা যেভাবে ইচ্ছা মুসলমানদের নিয়ে খেলে যাচ্ছে। আর জাতিসংঘ?! সে তো এক কমেডি সংঘের নাম! এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে কি না আমার জানা নেই! আপনাদের জানা আছে?
এই পোস্টেও হয়তো অনেকেই এসে বলবে, " ইরানিরা শিয়া৷ ওদের মেরে ফেলাই ভালো। ওদের মারাটা অপরাধ না। " এরকম কয়েকটা পোস্ট আমি দেখেছি। আমি বুঝতে পারি না, কেন আমরা তাদের মুসলিম ভাই হিসেবে ভাবতে পারি না? আদর্শ মুসলিম না হলেও তো ওরা আমাদের কাছে খ্রিষ্টান ইহুদীদের চেয়ে কাছের? কিংবা কেন আমরা তাদের মানুষ ভাবছি না? একজন মানুষ হত্যাকে আমরা কিভাবে সমর্থন করে ফেলছি? কোথায় আমাদের বিবেক?
যুগের পর যুগ খ্রিষ্টান ইহুদীদের খেলনা হয়ে থাকার জন্যই হয়তো আমরা শিয়া-সুন্নি নিয়ে পড়ে আছি। আর অমুসলিমরা এইসব দেখে মিটিমিটি হাসে। রাজনীতির মাঠে আমরা এখন ফুটবল, আর ওরা খেলোয়াড়।
ইসলাম ও জঙ্গিবাদ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাড়ে আট কোটি মানুষকে হত্যা করা হল। হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে অসহায়, নিরপরাধ ৬ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যার প্রভাবে এখনো সেখানে প্রতিবন্ধী শিশু জন্মায়। ইসলামপন্থী কোনো দেশ কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। সবগুলো দেশই ছিল খ্রিষ্টান ধর্মভিত্তিক। তারপরেও দিনশেষে শুনতে হয়, ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম আর অন্যগুলো মানবতার ধর্ম!
অথচ আমরা মুসলিমরা অমুসলিমদের সাথে সাক্ষাৎ হলে প্রথমেই বলি, " আসসালামু আলাইকুম "। যার অর্থ " আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক "। এটা কোনো টেরোরিস্ট ধর্মের বাণী হতে পারে কি না, আমার জানা নেই!
কাশেম সুলাইমানিকে নির্বিচারে মেরে ফেলা হল। বিশ্ব মানবতার ধর্মের লোকেরা এখন এটাকে টেরোরিজম বলতে ভুলে গেছেন। একবার কল্পনা করুন, কোনো মুসলিম নামধারী কেউ যদি আক্রমণ করে অমুসলিম কাউকে মেরে ফেলতো.. দোষটা কার উপর আসতো? বিশ্ব মিডিয়া এটাকে ইসলামের সাথে মিশিয়ে জঙ্গি হামলা বলে হাইলাইট করতো। কিন্তু ঘটনা যখন অমুসলিমরা ঘটিয়েছে আর ভুক্তভোগী যখন মুসলিমরা, তখন আর এটাকে জঙ্গি হামলা বলা হচ্ছে না।
ফিলিস্তিনে মুসলিম মারা হচ্ছে। সিরিয়ায় মারা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মারা হচ্ছে। ইয়েমেনে মারা হচ্ছে। সেগুলি টেরোরিজম নয়। এমনকি হত্যাকারী হত্যা করে গর্বের সাথে বলছে আমি হত্যা করেছি। তারপরেও সেটা টেরোরিজম নয়। টেরোরিজম হয়ে যাচ্ছে, মুসলিম নামধারী কেউ অন্যকাউকে মারলে। সেটার দায় দেওয়া হচ্ছে ইসলামের উপর। অথচ হিটলার যখন ৬০ লক্ষ ইহুদি মারে, দায় গিয়ে পড়ে না খ্রিষ্টান ধর্মের উপর। ট্রাম্প যখন ঘোষণা দিয়ে সুলাইমানিকে মারে, দায় গিয়ে পড়ে না খ্রিষ্টান ধর্মের উপর। কি অদ্ভুত মানুষের আচরণ!
আমার মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেরোরিস্টের নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। হত্যা করে সেটা পাব্লিকলি বলে বেড়ানোর মতো কোনো টেরোরিস্ট আপনি দেখবেন না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটা দেখিয়েছেন। সুলাইমানিকে হত্যা করে সেটা গর্বের সাথে টুইটারে টুইট করেছেন। তারপরেও অমুসলিমরা ট্রাম্পকে টেরোরিস্ট বলবে না। কিন্তু মুসলিমরা যদি এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে একজনকে মেরে ফেলে, দেখবেন চারদিকে রব উঠবে, " ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম। মুসলিমরা জঙ্গি..."। আবার তাদের এই নীতি ট্রাম্প, বুশ, খ্রিস্টান, বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রে পাল্টে যাচ্ছে। কেন এই দুমুখো নীতি আমি ঠিক বুঝতে পারি না।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ নিয়ে দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার মুসলিমকে হত্যা করা হল। হত্যা করল কারা? হিন্দুরা। খেয়াল করুন, প্রথমে মসজিদ ভেঙে মুসলমানদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করা হল। তারপর দুই হাজার মুসলিম হত্যা করা হল। আর তারপর হত্যাকারীদের বিচার না করে ছেড়ে দেওয়া হল। ভোট নষ্ট হয়ে যাবে বিধায় কংগ্রেস সরকার থেকে শুরু করে মোদী সরকার, কেউই নিরপেক্ষ হয়ে বিচারটা করেনি। ফলাফল, মুসলিমদের মনে ক্ষোভ তৈরি হল। বিভিন্ন সময়ে সেই ক্ষোভ থেকে তারা আরো বেশি দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ল। বোমা হামলা করলো। যেগুলোকে মিডিয়া জঙ্গি হামলা বলছে। তারপর সবাই বলছে, ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম।
অথচ কেউ কিন্তু সেই দুই হাজার মুসলিম হত্যার জন্য হিন্দুদের টেরোরিস্ট আখ্যা দিচ্ছে না। সেদিন যদি বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা না হতো, সবকিছু স্বাভাবিক থাকতো। দাঙ্গা হতো না। কিন্তু মসজিদ ভাঙায় দাঙ্গা হল। কংগ্রেস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের ভোট নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে মসজিদ ভাঙ্গাতে ও দাঙ্গায় পুলিশ দিয়ে বাধা দিল না। মুসলিমদের মনে ক্ষোভ তৈরি হল। সেই ক্ষোভ থেকে তারা বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এখানে ভাবা উচিত, মুসলিমদের সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে কারা বাধ্য করেছে? সেদিন বাবরি মসজিদ না ভাঙলে ও মুসলিমদের হত্যা না করলে, মুসলিমরা কখনোই প্রতিশোধের আগুনে পুড়তো না।
ঠিক একইভাবে যদি চিন্তা করেন, আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে সুলাইমানিকে হত্যা করল ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার নিন্দা চারদিকেই চলছে। কিন্তু কেউ বলছে না এটা সন্ত্রাসী হামলা। টুইটারে অগণিত আমেরিকানদের দেখছি ট্রাম্পকে হামলার প্রশংসা করতে। আমেরিকানরা ক্ষমতা প্রদর্শনকে বিরাট অর্জন মনে করে। কিন্তু ইরান যখনই এই হত্যার বদলা নিতে যাবে, তখনই তার সাথে জড়িয়ে যাবে ইসলাম। বলা হবে, ইসলাম একটি টেরোরিস্ট ধর্ম। অথচ কেউ ভেবে দেখবে না, ট্রাম্প সুলাইমানি সহ ১০ জনকে হত্যার শুরুটা না করলে ইরান পাল্টা আক্রমণটা করতো না।
যখন বিশ্বযুদ্ধে আট কোটি মানুষ মারা যায়, সিরিয়ায়, ফিলিস্তিনে, আফগানিস্তানে, ভারতে, নিউজিল্যান্ডে মুসলমানদের হত্যা করা হয়, তখন সেগুলো টেরোরিজম হচ্ছে না। কোনো ধর্মের গায়ে টেরোরিস্ট ট্যাগ লাগছে না। কিন্তু যখনই মুসলিম নামধারী কাউকে দেখা যায় পাল্টা আক্রমণ করছে, তখনই বলা হচ্ছে.. " ইসলাম টেরোরিস্টের ধর্ম। মুসলিমরা টেরোরিস্ট। " কেন এই দুমুখো নীতি আমি সত্যিই ঠিক বুঝতে পারি না।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের অত্যাচারিত ও শোষিত হওয়ার পেছনে আসলে মুসলিমরাই দায়ী। শিয়া–সুন্নির ভেদাভেদ করতে গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে অমুসলিমদের। তারা যেভাবে ইচ্ছা মুসলমানদের নিয়ে খেলে যাচ্ছে। আর জাতিসংঘ?! সে তো এক কমেডি সংঘের নাম! এখন পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে কি না আমার জানা নেই! আপনাদের জানা আছে?
এই পোস্টেও হয়তো অনেকেই এসে বলবে, " ইরানিরা শিয়া৷ ওদের মেরে ফেলাই ভালো। ওদের মারাটা অপরাধ না। " এরকম কয়েকটা পোস্ট আমি দেখেছি। আমি বুঝতে পারি না, কেন আমরা তাদের মুসলিম ভাই হিসেবে ভাবতে পারি না? আদর্শ মুসলিম না হলেও তো ওরা আমাদের কাছে খ্রিষ্টান ইহুদীদের চেয়ে কাছের? কিংবা কেন আমরা তাদের মানুষ ভাবছি না? একজন মানুষ হত্যাকে আমরা কিভাবে সমর্থন করে ফেলছি? কোথায় আমাদের বিবেক?
যুগের পর যুগ খ্রিষ্টান ইহুদীদের খেলনা হয়ে থাকার জন্যই হয়তো আমরা শিয়া-সুন্নি নিয়ে পড়ে আছি। আর অমুসলিমরা এইসব দেখে মিটিমিটি হাসে। রাজনীতির মাঠে আমরা এখন ফুটবল, আর ওরা খেলোয়াড়।