গল্পঃ ম্যাডাম যখন বউ.......
লেখকঃ নয়ন আহমেদ.......
নবম পর্ব......
<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<★>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আমিঃ আচ্ছা ফুফি মিতু কোথায়,, মিতুকে তো দেখছি না,,( মিতু হচ্ছে আমার ফুফির মেয়ে ছোটবেলায় অনেক মজা করতাম তার সাথে যখন এ বাসায় আসতাম। কিন্তু আজকে আসার পর থেকে একবারো দেখি নি..)
হঠাৎ করে দরজায় কে জেনো টোকা দিয়ে বললো...
- আমি এখানে......
আমি তাকিয়ে তো পুরাই অভাক,,, এতো সেই মেয়েটি সে আমাকে সাহায্য করেছিলো।কিন্তু এই মেয়ে এখানে কী করছে,,,,
আমিঃ আপনি এখানে কী করছেন,,,,
ফুফিঃ আরে তুই মিতুকে চিনতে পারছিস না,,,
আমিঃ কী এ মিতু,,,,,
মিতুঃ হে,, আমি,,,,
আমিঃ তাহলে তখন বললি না কেনো...??
মিতুঃ দেখলাম তুই আমাকে চিনতে পারচ কী না,,, কিন্তু চিনতে আর পারলি না,,,,
ফুফিঃ অনেক হইছে,,, মিতু তুই যা নয়ন কে ওর রুমটা দেখিয়ে দিয়ে আয়,,,,
মিতুঃ হুমমম,,,, ওই চল,,,
আমিঃ ওই আমি তোর বড় তুই আমাকে আপনি করে বলবি.....
মিতুঃ এহহ,,, আমার কী বড় মানুষ আইছে রে,,, এখনো ভালো করে কথা বলতে পারে না,,, আবার বড় বলতে আইছে,,,
আমিঃ দেখ ভালো হচ্চে না কিন্তু,,,,
মিতুঃ কী করবি তুই.....
আমিঃ কী করবো... সেটা পরে দেখাবো... আগে আমার রুমটা দেখিয়ে দে......
মিতুঃ দেখুম নি তুই কী করছোস,,, এখন চল...
আমিঃ হুমমম,,,,
মিতু আমাকে তার সাথে করে নিয়ে একটি রুমে কাছে নিয়ে এক ধাক্কা দিয়ে রুমের ভিতর ডুকিয়ে দিলো....
আমি সোজা গিয়ে বিছানায় পড়লাম। পিছে পড়িরে দেখি মিতু আর নেই এক দৌরে পালিয়ে গেলো.... আমি আর কিছু বললাম না। এ সব কিছুর পতিশোধ আমি এক সাথে নিবো... শুধু একটু সুযোগ খুচ্ছি......
রুমটা আগে থেকেই গুছানো ছিলো তাই আর বেশি কিছু করতে হলো না,,, জামাকাপর গুলো রেখে শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে জামাকাপর পরে নিচে আসলাম খাবার খাওয়ার জন্য,,, প্রচুর ক্ষিদে পাইছে,, তাই তারাতরি করে খাবার খেতে বসলাম।
ফুফি খাবার বেড়ে দিতে লাগলো। আর আমি খেতে লাগলাম। খাওয়া শেষ করে ছোপায় এসে বসলাম। টিবি টা ছেড়ে মুভি দেখতে লাগলাম। এমন সময় ফুফা অফিস থেকে চলে আসলো....
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম ফুফা কেমন আছেন..??
ফুফাঃ আমি তো ভালো আছি তুমি কেমন আছো..( সালামের উত্তর নিয়ে.)
আমিঃ জ্বী ভালো...
ফুফাঃ কখন আসছো....???
আমিঃ এই তো সন্ধার একটু আগেই আসছি....
ফুফাঃ ওহহ,,আচ্ছা,,,তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি....
আমিঃ জ্বী....
ফুফা তার রুমের দিকে যেতে লাগলো.... আর আমি বসে বসে টিভি দেখতে লাগলাম,, হঠাৎ করে... কোথা থেকে যেনো.. মিতু চলে আসলো....
মিতুঃ কিরে কী দেখছুস,,,
আমিঃ তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি,,,
মিতুঃ কিন্তু তুই তো টিভি দেখছিস....
আমিঃ তাহলে জিঙ্গাস করলি কেনো কী করছি....
মিতুঃ তোর সাথে ভালো ব্যাবহার করছি কিন্তু তুই তা সহ্য করতে পারছিস না,,,
আমিঃ চুপ কর তো ভালো লাগছে না,,,,,
মিতুঃ আচ্ছা যা আর কথা বলমু না,,, বলেই চলে গেলো,,,,
মিতুর এরকম দেখে মিথিলার কথা মনে পড়ে গেলো। আমি তো তাকে এভাবেই ছেড়ে চলে আসছি,,,, মিথিলার কথা মনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো.. তাই রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ব্যাগ থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে ছাদে চলে আসলাম। শালার মিতু সাথে যেন এরোকম কেনো করতে গেলাম। বুঝি না,, মিতুর সাথে এরোকম না করলে হয়তো মিথিলার কথা আর মনে পড়তো না,,,, এসব কথা ভাবছি আর সিগারেট খাচ্ছি,,,খেতে খেতে প্রায় পুরোটাই শেডস হয়ে যাচ্চে,,
এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো.....
ফোনটা বের করে দেখলাম রং নম্বর,, তাই প্রথম বার রিচিব করলাম না,, আবারো সেই একই নম্বর থেকে ফোন আসলো,, এবার ফোন টা ধরলাম,,,
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম কে বলছেন....""
একটি মেয়ের কন্ঠে ভেসে আসলো.....
মেয়েঃ আমাকে চিনতে পারছেন না,,,,
আমিঃ নাম আর ঠিকনা বললে তারপর তো চিনবো...
মেয়েঃ আমি হচ্ছি মেঘা,,,
আমিঃ ওহহ,, আচ্ছা আপনি...কেমন আছেন...???
মেঘাঃ ভালো... আপনি কেমন আছেন...???
আমিঃ ভালো.....
মেঘাঃ কী করেন এখন...!!
আমিঃ সত্যি কথা বলতে গেলে সিগারেট খাচ্ছি....
মেঘাঃ আপনি সিগারেট খান...!!!!
আমিঃ হুমমম,,,
মেঘাঃ এগুলো খাওয়া কিন্তু ভালো না,,, তা নিশ্চই জানেন.....
আমিঃ হুমমম,,, জানি.....
মেঘাঃ তারপরেও এগুলো খান,,,
আমিঃ হুমম,,,
মেঘাঃ আচ্ছা আপনার জিএপ আছে....??
আমিঃ আচ্ছা আমি পরে ফোন করছি... একটু রুমে যেতে হবে....
মেঘাঃ আচ্ছা বাই....
আমিঃ হুমমম,,, বাই.....
আমি সাথে সাথে ফোনটা কেটে দিলাম। আসলে আমাকে কেউ ডাকছে না,,, আর কোথাও যেতেও হবে না,, এখন যদি আমি মেঘাকে মিথিলার কথা বলতাম। তাহলে আবারো সেই পুরানো কথা মনে পড়ে যেতে...
আর যদি বলতাম আমারো কোনো জিএপ নাই,, তবে আরো বেশি কষ্ট হতো তাই ফোনটা কেটে দিলাম,,,
যাই হোক আরো কয়েকটা সিগারেট খেয়ে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ওয়াশরুমে গিয়ে ভালোমতো ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসলাম। যাতে শরীর থেকে কোনো সিগারেটের গন্ধ না আসে.... ফ্রেশ হয়ে এসে একটু নিচে আসলাম,,, নিচে আসতেই ফুফা ডাক দিয়ে তার কাছে নিয়ে বসালো,,,,
ফুফাঃ নয়ন তোমার আম্মু বলছে তুমি নাকি এখন থেকে এখানেই থাকবে আর এখনে মিতুর কলেজে ভর্তি,,,
আমিঃ জ্বী,,,
ফুফাঃ তা তোমার কলেজ থেকে রিজাইন লেটার সহ সব কিছু নিয়ে আসছো তো,,,
আমিঃ জ্বী সব কিছু নিয়ে আসছি,,,,
ফুফাঃ তাহলে কালকে মিতু সাথে তাদের কলেজে গিয়ে
ভর্তি হয়ে আইসো,,,, আমি প্রিন্সিপাল কে ফোন করে বলে দিবো,,,
আমিঃ জ্বী
ফুফঃ আর কলেজে কোনো সমস্যা হলে তুমি আমাকে বলবা,,,
আমিঃ জ্বী,,
ফুফাঃ আচ্ছা চলো খাবে চলো,,,,
আমিঃ হুমমম,,, চলুন,,,
খাবার টেবিলে এসে বসলাম,, সবাই মিলে খাবার খেতে লাগলাম। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ করছি,, ফুফা বাসায় আসার পর মিতু পুরা পুতুলের মতো হয়ে গেছে,, কোনো দুষ্টামি করছে না,, কোনো কথাও বলছে না,, যে যা বলছে তাই করে যাচ্ছে..... এটার মানে মিতু তার আব্বুকে প্রচুর ভয় পায়,,, তাহলে এটাই কাজে লাগতে হবে... এমন একটা শিক্ষা দিবো পুরো সারা জীবন মনে রাখবে। খাবার শেষ করে রুমে চলে আসলাম।,,,
রাত প্রায় ১২টা বাজে,, ঘুম আসছে না,, তাই ভাবলাম মিতুর ঘুমটাও নষ্ট করে দিয়ে আসি। যেই ভাব যেই ভাবা সেই কাজ,। ব্যাগ থেকে একটি মুখোস,, নিলাম। মুখোস টা দেখে তেও একটু ভয়ংকর। এটা দিয়েই মিতু ঘুম নষ্ট করমু। মুখোসটা নিয়ে মিতুর রুমের দিকে পা বারা লাম।
মিতুর রুমের কাচে আসতেই দরজায় হাত দিতেই দরজাটা খুলে গেলো। মনে হচ্ছে আমার জন্য খুলে রাখছে...কিন্তু এতো রাতে মিতুর দরজা খোলা কেনো.. আস্তে ভিতরে ডুকলাম,, রুমে ডুকে তো আমি পুরাই অভাক। মিতু এখনো জেগে আছে,, মিতু জানালার কাছে দাড়িয়ে কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছে,, আমি আস্তে করে তার কাছে গেলাম। শুনলাম,, মিতু বাবু সোনা বলে কথা বলছে,, তাই মোবাইলের রেকোডিং টা অন করলাম। অন করে মিতুর কথা গুলো রেকর্ড করতে লাগলাম।
চলবে..........
গল্পঃ ম্যাডাম যখন বউ....... লেখকঃ নয়ন আহমেদ....... নবম পর্ব......
<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<★>>>>>>>>>>>>>>>>>>
আমিঃ আচ্ছা ফুফি মিতু কোথায়,, মিতুকে তো দেখছি না,,( মিতু হচ্ছে আমার ফুফির মেয়ে ছোটবেলায় অনেক মজা করতাম তার সাথে যখন এ বাসায় আসতাম। কিন্তু আজকে আসার পর থেকে একবারো দেখি নি..) হঠাৎ করে দরজায় কে জেনো টোকা দিয়ে বললো...
মিতু আমাকে তার সাথে করে নিয়ে একটি রুমে কাছে নিয়ে এক ধাক্কা দিয়ে রুমের ভিতর ডুকিয়ে দিলো.... আমি সোজা গিয়ে বিছানায় পড়লাম। পিছে পড়িরে দেখি মিতু আর নেই এক দৌরে পালিয়ে গেলো.... আমি আর কিছু বললাম না। এ সব কিছুর পতিশোধ আমি এক সাথে নিবো... শুধু একটু সুযোগ খুচ্ছি......
রুমটা আগে থেকেই গুছানো ছিলো তাই আর বেশি কিছু করতে হলো না,,, জামাকাপর গুলো রেখে শাওয়ার নিতে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। শাওয়ার নিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে জামাকাপর পরে নিচে আসলাম খাবার খাওয়ার জন্য,,, প্রচুর ক্ষিদে পাইছে,, তাই তারাতরি করে খাবার খেতে বসলাম। ফুফি খাবার বেড়ে দিতে লাগলো। আর আমি খেতে লাগলাম। খাওয়া শেষ করে ছোপায় এসে বসলাম। টিবি টা ছেড়ে মুভি দেখতে লাগলাম। এমন সময় ফুফা অফিস থেকে চলে আসলো....
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম ফুফা কেমন আছেন..?? ফুফাঃ আমি তো ভালো আছি তুমি কেমন আছো..( সালামের উত্তর নিয়ে.) আমিঃ জ্বী ভালো... ফুফাঃ কখন আসছো....??? আমিঃ এই তো সন্ধার একটু আগেই আসছি.... ফুফাঃ ওহহ,,আচ্ছা,,,তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি.... আমিঃ জ্বী....
ফুফা তার রুমের দিকে যেতে লাগলো.... আর আমি বসে বসে টিভি দেখতে লাগলাম,, হঠাৎ করে... কোথা থেকে যেনো.. মিতু চলে আসলো....
মিতুঃ কিরে কী দেখছুস,,, আমিঃ তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি,,, মিতুঃ কিন্তু তুই তো টিভি দেখছিস.... আমিঃ তাহলে জিঙ্গাস করলি কেনো কী করছি.... মিতুঃ তোর সাথে ভালো ব্যাবহার করছি কিন্তু তুই তা সহ্য করতে পারছিস না,,, আমিঃ চুপ কর তো ভালো লাগছে না,,,,, মিতুঃ আচ্ছা যা আর কথা বলমু না,,, বলেই চলে গেলো,,,,
মিতুর এরকম দেখে মিথিলার কথা মনে পড়ে গেলো। আমি তো তাকে এভাবেই ছেড়ে চলে আসছি,,,, মিথিলার কথা মনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো.. তাই রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ব্যাগ থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে ছাদে চলে আসলাম। শালার মিতু সাথে যেন এরোকম কেনো করতে গেলাম। বুঝি না,, মিতুর সাথে এরোকম না করলে হয়তো মিথিলার কথা আর মনে পড়তো না,,,, এসব কথা ভাবছি আর সিগারেট খাচ্ছি,,,খেতে খেতে প্রায় পুরোটাই শেডস হয়ে যাচ্চে,, এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো..... ফোনটা বের করে দেখলাম রং নম্বর,, তাই প্রথম বার রিচিব করলাম না,, আবারো সেই একই নম্বর থেকে ফোন আসলো,, এবার ফোন টা ধরলাম,,,
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম কে বলছেন...."" একটি মেয়ের কন্ঠে ভেসে আসলো..... মেয়েঃ আমাকে চিনতে পারছেন না,,,, আমিঃ নাম আর ঠিকনা বললে তারপর তো চিনবো... মেয়েঃ আমি হচ্ছি মেঘা,,, আমিঃ ওহহ,, আচ্ছা আপনি...কেমন আছেন...??? মেঘাঃ ভালো... আপনি কেমন আছেন...??? আমিঃ ভালো..... মেঘাঃ কী করেন এখন...!! আমিঃ সত্যি কথা বলতে গেলে সিগারেট খাচ্ছি.... মেঘাঃ আপনি সিগারেট খান...!!!! আমিঃ হুমমম,,, মেঘাঃ এগুলো খাওয়া কিন্তু ভালো না,,, তা নিশ্চই জানেন..... আমিঃ হুমমম,,, জানি..... মেঘাঃ তারপরেও এগুলো খান,,,
আমিঃ হুমম,,, মেঘাঃ আচ্ছা আপনার জিএপ আছে....?? আমিঃ আচ্ছা আমি পরে ফোন করছি... একটু রুমে যেতে হবে.... মেঘাঃ আচ্ছা বাই.... আমিঃ হুমমম,,, বাই.....
আমি সাথে সাথে ফোনটা কেটে দিলাম। আসলে আমাকে কেউ ডাকছে না,,, আর কোথাও যেতেও হবে না,, এখন যদি আমি মেঘাকে মিথিলার কথা বলতাম। তাহলে আবারো সেই পুরানো কথা মনে পড়ে যেতে... আর যদি বলতাম আমারো কোনো জিএপ নাই,, তবে আরো বেশি কষ্ট হতো তাই ফোনটা কেটে দিলাম,,,
যাই হোক আরো কয়েকটা সিগারেট খেয়ে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে ওয়াশরুমে গিয়ে ভালোমতো ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসলাম। যাতে শরীর থেকে কোনো সিগারেটের গন্ধ না আসে.... ফ্রেশ হয়ে এসে একটু নিচে আসলাম,,, নিচে আসতেই ফুফা ডাক দিয়ে তার কাছে নিয়ে বসালো,,,,
ফুফাঃ নয়ন তোমার আম্মু বলছে তুমি নাকি এখন থেকে এখানেই থাকবে আর এখনে মিতুর কলেজে ভর্তি,,, আমিঃ জ্বী,,, ফুফাঃ তা তোমার কলেজ থেকে রিজাইন লেটার সহ সব কিছু নিয়ে আসছো তো,,, আমিঃ জ্বী সব কিছু নিয়ে আসছি,,,, ফুফাঃ তাহলে কালকে মিতু সাথে তাদের কলেজে গিয়ে ভর্তি হয়ে আইসো,,,, আমি প্রিন্সিপাল কে ফোন করে বলে দিবো,,, আমিঃ জ্বী ফুফঃ আর কলেজে কোনো সমস্যা হলে তুমি আমাকে বলবা,,, আমিঃ জ্বী,, ফুফাঃ আচ্ছা চলো খাবে চলো,,,, আমিঃ হুমমম,,, চলুন,,,
খাবার টেবিলে এসে বসলাম,, সবাই মিলে খাবার খেতে লাগলাম। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ করছি,, ফুফা বাসায় আসার পর মিতু পুরা পুতুলের মতো হয়ে গেছে,, কোনো দুষ্টামি করছে না,, কোনো কথাও বলছে না,, যে যা বলছে তাই করে যাচ্ছে..... এটার মানে মিতু তার আব্বুকে প্রচুর ভয় পায়,,, তাহলে এটাই কাজে লাগতে হবে... এমন একটা শিক্ষা দিবো পুরো সারা জীবন মনে রাখবে। খাবার শেষ করে রুমে চলে আসলাম।,,,
রাত প্রায় ১২টা বাজে,, ঘুম আসছে না,, তাই ভাবলাম মিতুর ঘুমটাও নষ্ট করে দিয়ে আসি। যেই ভাব যেই ভাবা সেই কাজ,। ব্যাগ থেকে একটি মুখোস,, নিলাম। মুখোস টা দেখে তেও একটু ভয়ংকর। এটা দিয়েই মিতু ঘুম নষ্ট করমু। মুখোসটা নিয়ে মিতুর রুমের দিকে পা বারা লাম। মিতুর রুমের কাচে আসতেই দরজায় হাত দিতেই দরজাটা খুলে গেলো। মনে হচ্ছে আমার জন্য খুলে রাখছে...কিন্তু এতো রাতে মিতুর দরজা খোলা কেনো.. আস্তে ভিতরে ডুকলাম,, রুমে ডুকে তো আমি পুরাই অভাক। মিতু এখনো জেগে আছে,, মিতু জানালার কাছে দাড়িয়ে কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছে,, আমি আস্তে করে তার কাছে গেলাম। শুনলাম,, মিতু বাবু সোনা বলে কথা বলছে,, তাই মোবাইলের রেকোডিং টা অন করলাম। অন করে মিতুর কথা গুলো রেকর্ড করতে লাগলাম।
চলবে..........