বিশ্বের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে যে দুটি বিপ্লবের সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা ছিল, তার একটি হল ফরাসি বিপ্লব, অপরটি হল রুশ বিপ্লব। ফরাসি বিপ্লব সংগঠিত হয় ব্যক্তিগত স্বত্ব–স্বামিত্বের চৌহদ্দির মধ্যে, আর রুশ বিপ্লব সংগঠিত হয় ব্যক্তিগত সম্পত্তি ব্যবস্থার উচ্ছেদ ঘটিয়ে সর্বহারার রাষ্ট্র, সাম্য ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। বিশ শতকে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটলেও রুশ বিপ্লবই ছিল বিশ শতকের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ধনতন্ত্র ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে এই বিপ্লব ছিল প্রথম বলিষ্ঠ ও সফল প্রতিবাদ। এই বিপ্লবের সার্থক রূপকার কমরেড লেনিন ও বলশেভিক পার্টি শতবর্ষ পরে আজকের বাংলাদেশেও প্রাসঙ্গিক। লেনিন, ‘ইতিহাসের গতি ও ছন্দ হৃদয়ঙ্গম করার ক্ষমতা আয়ত্ত করেছিলেন মার্কস–এঙ্গেলসের মতবাদ থেকে’। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ইতিহাস তাঁকে সৃষ্টি করেছে, কিন্তু তিনি নিজেও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যে সামাজিক শক্তিপুঞ্জ দুনিয়ার চেহারা আর মানুষের চিন্তাধারাকে পাল্টে দেয়, লেনিন ছিলেন একাধারে তার প্রতিনিধি ও তার স্রষ্টা।
রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লুভভ কেরেনিস্কির নেতৃত্বে গঠিত বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়ে ঝড়ের বেগে নভেম্বর মাসে (১৯১৭) সর্বহারা শ্রমিক–কৃষক শ্রেণীর স্বার্থে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সমাধা করা লেনিনের স্মরণীয় কীর্তি। এটাই লেনিনবাদ (এপ্রিল থিসিস দ্রষ্টব্য)। মার্কস–এঙ্গেলসের শিক্ষায় শিক্ষিত লেনিন জারের স্বৈরাচারী শাসন থেকে সদ্যমুক্ত রাশিয়ায় নয়া অর্থনৈতিক নীতি (নেপ) চালু করে শিশু সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পথ–চলা শুরু করেন। অনেকের কাছে নেপ কেতাবী মার্কসবাদ থেকে বিচ্যুত বলে মনে হলেও আসলে এটাই ফলিত মার্কসবাদ। মনে রাখতে হবে, যে বিপ্লব ঘটার কথা ছিল পূর্ণ বিকশিত কোনও এক শিল্প–সমৃদ্ধ ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, তা ঘটে যায় পিছিয়ে–থাকা কৃষি–নির্ভর দেশে, যেখানে পুঁজিবাদ ও শিল্প–বিপ্লবের বিকাশ হয়েছিল সব শেষে। বুর্জোয়া বিপ্লবের অবসান ঘটিয়ে বলশেভিক বিপ্লব সম্পন্ন করা এবং রাশিয়ার অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করা লেনিনবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বলশেভিক পার্টি ছাড়া ওই বৈশিষ্ট্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যেত না। লেনিন পার্টি গঠনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন সর্বাপেক্ষা বেশি।
বিশ্বের ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিতে যে দুটি বিপ্লবের সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা ছিল, তার একটি হল ফরাসি বিপ্লব, অপরটি হল রুশ বিপ্লব। ফরাসি বিপ্লব সংগঠিত হয় ব্যক্তিগত স্বত্ব–স্বামিত্বের চৌহদ্দির মধ্যে, আর রুশ বিপ্লব সংগঠিত হয় ব্যক্তিগত সম্পত্তি ব্যবস্থার উচ্ছেদ ঘটিয়ে সর্বহারার রাষ্ট্র, সাম্য ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। বিশ শতকে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটলেও রুশ বিপ্লবই ছিল বিশ শতকের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ধনতন্ত্র ও পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে এই বিপ্লব ছিল প্রথম বলিষ্ঠ ও সফল প্রতিবাদ। এই বিপ্লবের সার্থক রূপকার কমরেড লেনিন ও বলশেভিক পার্টি শতবর্ষ পরে আজকের বাংলাদেশেও প্রাসঙ্গিক। লেনিন, ‘ইতিহাসের গতি ও ছন্দ হৃদয়ঙ্গম করার ক্ষমতা আয়ত্ত করেছিলেন মার্কস–এঙ্গেলসের মতবাদ থেকে’। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ইতিহাস তাঁকে সৃষ্টি করেছে, কিন্তু তিনি নিজেও নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। যে সামাজিক শক্তিপুঞ্জ দুনিয়ার চেহারা আর মানুষের চিন্তাধারাকে পাল্টে দেয়, লেনিন ছিলেন একাধারে তার প্রতিনিধি ও তার স্রষ্টা।
রাশিয়ায় ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লুভভ কেরেনিস্কির নেতৃত্বে গঠিত বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়ে ঝড়ের বেগে নভেম্বর মাসে (১৯১৭) সর্বহারা শ্রমিক–কৃষক শ্রেণীর স্বার্থে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সমাধা করা লেনিনের স্মরণীয় কীর্তি। এটাই লেনিনবাদ (এপ্রিল থিসিস দ্রষ্টব্য)। মার্কস–এঙ্গেলসের শিক্ষায় শিক্ষিত লেনিন জারের স্বৈরাচারী শাসন থেকে সদ্যমুক্ত রাশিয়ায় নয়া অর্থনৈতিক নীতি (নেপ) চালু করে শিশু সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পথ–চলা শুরু করেন। অনেকের কাছে নেপ কেতাবী মার্কসবাদ থেকে বিচ্যুত বলে মনে হলেও আসলে এটাই ফলিত মার্কসবাদ। মনে রাখতে হবে, যে বিপ্লব ঘটার কথা ছিল পূর্ণ বিকশিত কোনও এক শিল্প–সমৃদ্ধ ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে, তা ঘটে যায় পিছিয়ে–থাকা কৃষি–নির্ভর দেশে, যেখানে পুঁজিবাদ ও শিল্প–বিপ্লবের বিকাশ হয়েছিল সব শেষে। বুর্জোয়া বিপ্লবের অবসান ঘটিয়ে বলশেভিক বিপ্লব সম্পন্ন করা এবং রাশিয়ার অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করা লেনিনবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বলশেভিক পার্টি ছাড়া ওই বৈশিষ্ট্যকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যেত না। লেনিন পার্টি গঠনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন সর্বাপেক্ষা বেশি।