প্লুটো কেনো গ্রহ নয়???
১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট এবং কিউট নাম বিশিষ্ট প্লুটোকে মানুষ গ্রহ হিসেবেই চিনে এসেছে । কিন্তু ঝামেলাটা শুরু হল তখনি যখন ৯০ পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তর্কে লেগে গেলেন প্লুটোকে নিয়ে । অবশেষে ২০০৬ সালের ২৪শে আগস্ট প্লুটোকে চিরতরে বাদ দিয়ে দেয়া হল গ্রহের তালিকা থেকে।
বেচারা প্লুটো কি দোষ করেছিল বা তার কি যোগ্যতার অভাব ছিলো তা জানার আগে চলুন জেনে নিই তার ইতিহাস সম্পর্কে।
ক্লাইড টমবো” নামের ২৩ বছরের এক তরুন ১৯৩০ সালে আবিষ্কার করেন প্লুটো গ্রহ।
আবিষ্কারক ক্লাইড টমবো
প্লুটোকে নিয়ে অসন্তোষ দেখা যেতে থাকে যখন এর একটি উপগ্রহ আবিষ্কার করা হয়, যা কিনা প্লুটোর চেয়েই আকারে বড়! এটা গ্রহের নিয়মের পরিপন্থী । এছাড়া বিজ্ঞানীরা পরে আরো কিছু বস্তু আবিষ্কার করেন যাদের ভর প্লুটোর ভরের চেয়ে বেশী।তাহলে তারাও তো নিজেকে দাবি করতেই পারে গ্রহের খাতায় নাম লেখানোর জন্য। তবে কি সবাইকেই গ্রহের মর্যাদা দেয়া হবে???
এমতাবস্থায় বিজ্ঞানীর গ্রহের মর্যাদার যোগ্য হবার জন্য তিনটি যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেন । যদি এই মর্যাদার পরীক্ষায় প্লুটো উত্তীর্ণ হতে পারে তাহলেই সে পাবে গ্রহের মর্যাদা । তো কি সেই তিনটি যোগ্যতা? চলুন দেখে নিই ।
১। সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে হবে ।
২। যথেষ্ট পরিমাণ ভর থাকতে হবে যেন তার অভিকর্ষীয় শক্তির মাধ্যমে নিজেকে গোলাকার আকার ধারণ করাতে পারে।
৩। কক্ষপথে ঘোরার সময় তার আশেপাশের শক্তিশালী প্রভাব থাকতে হবে যেন তার আশে পাশে অবস্থিত ঘোরায় বাধা সৃষ্টিকারী বস্তু সমূহ দূর হয়ে যায়।
প্রথম পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে পাশ করে গেলেও শেষ দুইটিতে এসে আমাদের প্লুটো বেচারা একেবারেই ফেল । এসব দিক বিবেচনা করেই এর পরে প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ।
আর এভাবেই , আমাদের ছোটবেলায় পড়ে আসা গ্রহের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় প্লুটো ।
প্লুটো সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য:
১। প্লুটো আকারে প্রায় চাঁদের সমান।
২। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ২৪৮ বছর।
৩। সূর্য থেকে প্লুটোতে আলো পৌছাতে সময় লাগে পাঁচ ঘন্টা যেখানে পৃথিবীতে লাগে মাত্র আট মিনিট।
পরিশেষে আশা করি প্লুটো একদিন তার হারানো সম্মান ফিরে পাবে!
প্লুটো কেনো গ্রহ নয়???
১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট এবং কিউট নাম বিশিষ্ট প্লুটোকে মানুষ গ্রহ হিসেবেই চিনে এসেছে । কিন্তু ঝামেলাটা শুরু হল তখনি যখন ৯০ পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তর্কে লেগে গেলেন প্লুটোকে নিয়ে । অবশেষে ২০০৬ সালের ২৪শে আগস্ট প্লুটোকে চিরতরে বাদ দিয়ে দেয়া হল গ্রহের তালিকা থেকে। বেচারা প্লুটো কি দোষ করেছিল বা তার কি যোগ্যতার অভাব ছিলো তা জানার আগে চলুন জেনে নিই তার ইতিহাস সম্পর্কে। ক্লাইড টমবো” নামের ২৩ বছরের এক তরুন ১৯৩০ সালে আবিষ্কার করেন প্লুটো গ্রহ। আবিষ্কারক ক্লাইড টমবো প্লুটোকে নিয়ে অসন্তোষ দেখা যেতে থাকে যখন এর একটি উপগ্রহ আবিষ্কার করা হয়, যা কিনা প্লুটোর চেয়েই আকারে বড়! এটা গ্রহের নিয়মের পরিপন্থী । এছাড়া বিজ্ঞানীরা পরে আরো কিছু বস্তু আবিষ্কার করেন যাদের ভর প্লুটোর ভরের চেয়ে বেশী।তাহলে তারাও তো নিজেকে দাবি করতেই পারে গ্রহের খাতায় নাম লেখানোর জন্য। তবে কি সবাইকেই গ্রহের মর্যাদা দেয়া হবে??? এমতাবস্থায় বিজ্ঞানীর গ্রহের মর্যাদার যোগ্য হবার জন্য তিনটি যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেন । যদি এই মর্যাদার পরীক্ষায় প্লুটো উত্তীর্ণ হতে পারে তাহলেই সে পাবে গ্রহের মর্যাদা । তো কি সেই তিনটি যোগ্যতা? চলুন দেখে নিই । ১। সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে হবে । ২। যথেষ্ট পরিমাণ ভর থাকতে হবে যেন তার অভিকর্ষীয় শক্তির মাধ্যমে নিজেকে গোলাকার আকার ধারণ করাতে পারে। ৩। কক্ষপথে ঘোরার সময় তার আশেপাশের শক্তিশালী প্রভাব থাকতে হবে যেন তার আশে পাশে অবস্থিত ঘোরায় বাধা সৃষ্টিকারী বস্তু সমূহ দূর হয়ে যায়। প্রথম পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে পাশ করে গেলেও শেষ দুইটিতে এসে আমাদের প্লুটো বেচারা একেবারেই ফেল । এসব দিক বিবেচনা করেই এর পরে প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে । আর এভাবেই , আমাদের ছোটবেলায় পড়ে আসা গ্রহের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় প্লুটো । প্লুটো সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য: ১। প্লুটো আকারে প্রায় চাঁদের সমান। ২। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ২৪৮ বছর। ৩। সূর্য থেকে প্লুটোতে আলো পৌছাতে সময় লাগে পাঁচ ঘন্টা যেখানে পৃথিবীতে লাগে মাত্র আট মিনিট। পরিশেষে আশা করি প্লুটো একদিন তার হারানো সম্মান ফিরে পাবে!