ভার্সিটির থার্ড বা ফাইনাল ইয়ারের কোন ছেলে কিংবা মেয়েকে আপনি জোর করেও কোনদিন প্রেম - ভালোবাসায় সিরিয়াস করাতে পারবেন না৷ এই বয়সটা একটু অন্যরকম। এই বয়সে হুট করে আমাদের জীবন বদলাতে থাকে। আমরা বুঝতেও পারিনা কখন আমরা এতোটা বড় হয়ে গিয়েছি।

এই বয়সেই আমাদের কারো কারো ঘরের একমাত্র আয় করা মানুষটি চাকুরী থেকে রিটায়ার্ড নামক সম্মাননা নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন। পরিবারের ব্যয়টা হঠাৎ করে অর্ধেকে নেমে আসে। নিজের মধ্যে একটা ভাবনা কাজ করতে থাকে৷ বাসা থেকে টাকা নিতে কেমন যেন সংকোচ বোধ কাজ করতে থাকে৷

আর এই বয়সের মেয়েদের কথা আলাদা করে আর কি বলবো। চারদিকে আত্নীয়স্বজন তখন মোটামুটি বিয়ের জন্যে একরকম আন্দোলন করা শুরু করে৷ এদিকে গেলে "বিয়ে কবে করবা" ওদিকে গেলে "বিয়ে কবে করবা"। বিয়ে বাড়ি কিংবা পার্টিতে গিয়ে যে একটু শান্তিতে বিয়ে খাওয়া হবে তারও সুযোগ নাই। এখানে বিয়ে খাইতে মানুষ আসে কম নিজের ছেলে কিংবা দেবরের জন্যে সাজুগুজু করা সুন্দরী মেয়ে ঠিক করতে আসে বেশী। মেয়ে বুড়িয়ে যাচ্ছে৷ চারপাশে বান্ধবীদেরও সমানে বিয়ে হচ্ছে। আর তাই হয়তো ক্যারিয়ার নিয়ে অতি সিরিয়াস মেয়েটাও মধ্যরাতে ভাবতে বসে "আমার সময় কি তবে আসলেই চলে যাচ্ছে?"।

সবকিছুর পরও এই বয়সেও যে ভুল করে আমরা কারো প্রেমে পড়ি না ব্যাপারটা ঠিক তা না। তবে আগের ইম্যাচিউর প্রেমের বাজে এক্সপেরিয়েন্স আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভয় সব মিলিয়ে সমীকরণটা প্রায় সময় অসমাপ্ত থেকে যায় ৷

(বি.দ্র.: কাকতালীয়ভাবে কারো সাথে মিলে গেলে অন্তত আমি দায়ী না)

2
$
User's avatar
@sumaiyakter posted 4 years ago

Comments

Amader fb grp ase read cash er interested hole janaben

$ 0.00
4 years ago