তিথি আজ ভেবে পাচ্ছে না বাড়ি ফিরবে কি করে। আজ টানা ২১ দিন পর হসপিটাল থেকে ডিউটি করে বাড়ি ফিরছে সে। করোনা পেসেন্টের সংস্পর্শে আসায় সে কোয়ারেন্টাইনে ছিল। আজ বাড়ি যাবার পারমিশন পেয়েছে কিন্তু বাড়িতে থাকা ছোট্র পরী মিলির কথা ভেবে যেতে ভয় বরঠে, যদি ওর কিছু হয়ে যায়। কিন্তু মা ছাড়া মেয়ে কিভাবে থাকবে??
ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছে তিথি কিন্তু বুঝতে পারছিল না কিসে করে যাবে। লকডাউন এর জন্য কোনো কিছুই চলছে না। হঠাৎই একটা ট্রেন এলো এবং তিথি েগগিয়ে যায়। তিথি তো এক ফ্রন্ট লাইনার যুদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মী তাহলে অবশ্যই তাকে সাহায্য করবে। "না ম্যাডাম আপনি নেমে জান, এটা শুধু রেলে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য বাইরের কোনো মানুষের জন্য না। " একজন রেল পুলিশ বলল। অপমানিত হওয়া তিথি আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ নেমে গেল।
দরজা ঢেলে ঘড়ে ঢুকতে দেখে দু বছরের ছোট্র পরী মিলি দৌড়ে আসে মায়ের কাছে।
মাম্মাম, কোথায় ছিলে তুমি এতোদিন??বলে জড়িয়ে ধরতে যায় মাকে।
দুরে যাও মিলি। দাদুর কাছে যাও। েককদম ামমার কাছে আসবে না। বলে ছোট্র পরী মিলিকে দূরে ঠেলে দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তার মা। "কতোদিন মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরি নি" কি করেই বা মিলি এর মা তার মেয়ের কাছে যাবে সে যে করোনা পেসেন্টের সেবা করে কোয়ারেন্টাইন থেকে ফিরেছে।
দুরে দাড়িয়ে থেকে ছোট্র মিলি অবাক চোখে তার মাকে কাদঁতে দেখছে। "মা কাদঁছে কেন দাদু??"
হে আল্লাহ আমাদের এই মহামারী থেকে মুক্তি দেও, এমন মৃত্যু দিও না যে মৃত্যুতে ছেলে তার মায়ের লাশটা পর্যন্ত দেখতে পারছে না আবার মা তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরতেও পারছে না। আল্লাহ শেষ বারের মতো আমাদের সবাইকে মাফ করে দেও আমিন।
গল্পটা পড়ে সত্যিই আমার খুব কষ্ট লাগলো। মা এবং সন্তানের ভেতরের বিচ্ছেদ যে কত কষ্টের শুধু একটা মা জানে। জানিনা ঈশ্বর।আমাদের কবে এই মহামারী হতে দূর করবেন।