ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব-৩

3 16
Avatar for Silmun
Written by
3 years ago

আস্ সালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? সবার দিন কাল কেমন কাটছে? আজও কিছু ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। এই প্রশ্ন গুলোর হয়তো প্রতি দিনই আপনারা সম্মুখীন হন।

প্রশ্ন-১ঃ আমার পিতা কিছু দিন আগে মারা গেছেন। আমার দাদা আমার পিতার আক্বীক্বা দেননি।তিনি নিজেও নিজের আক্বীক্বা করেননি।এক্ষণে আমরা তার আক্বীক্বা দিতে পারব কি?

উত্তরঃ আক্বীক্বা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ। সন্তানদের জন্য মৃত পিতা- মাতার পক্ষে আক্বীক্বা করার কোন দলীল নেই। সুতরাং এভাবে আক্বীক্বা করার আবশ্যকতা নেই।

প্রশ্ন-২ঃ মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি?

উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির নামে পৃথকভাবে কুরবানী দেওয়ার কোন ছহীহ দলীল নেই। আলী(রাঃ) রাসুলুল্লাহ (ছাঃ)- এর অছিয়ত হিসাবে তাঁর জন্য পৃথক একটি দুম্বা কুরবানী দিয়েছেন বলে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে তা অত্যন্ত যঈফ। মূলত কুরবানির বিধান কেবল জীবিত ব্যক্তির জন্য। কেউ যদি কুরবানির পূর্ব মুহূর্তে মারা যায় তাহলে তার উপর থেকে বিধান রহিত হয়ে যাবে। অতএব মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী করা সুন্নাত নয়।

প্রশ্ন-৩ঃ আমি বিদেশে গবেষণারত। এখানে পশু কুরবানির সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আমি কি নিজ দেশে কিংবা কোন গরীব মুসলিম দেশে কুরবানির টাকা পাঠিয়ে নিজের কুরবানির হক আদায় করতে পারি?

উত্তরঃ সুন্নাত হলো যেখানে অবস্থান করবে সেখানে কুরবানী করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'তখন তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আহার করাও যারা চায় না তাদেরকে ও যারা চায় তাদেরকে।' অত্র আয়াতে নিজে ভক্ষন করা ও অপরকে দান করার নির্দেশনা এসেছে। তবে অবস্থানরত দেশে কুরবানী করার কোন উপায় না থাকলে নিজ দেশের আত্মীয়- স্বজনের নিকট টাকা পাঠিয়েও কুরবানীর হক আদায় করা যাবে।

প্রশ্ন-৪ঃ গরু কুরবানির সাথে বিবাহের ওয়ালীমা বা আক্বীক্বার নিয়ত করা যাবে কি?

উত্তরঃকুরবানীতে আক্বীক্বার নিয়ত করা শরীআত সম্মত নয়। কারণ দুইটি পৃথক ইবাদত। রাসূল (ছাঃ) বা ছাহাবায়ে কেরাম এর যুগে এ ধরনের আমল এর অস্তিত্ব ছিল না।

তবে কুরবানির গোশত দ্বারা বিবাহের ওয়ালীমা খাওয়ানো যাবে। কুরবানির গোশত ঈদের পরে জমা রেখে খাওয়া জায়েজ। তুরতুসী বলেন, কেউ যদি বিবাহের ওয়ালীমায় কুরবানির গোশত খাওয়ায় সেটিই তার জন্য যথেষ্ট হবে।

প্রশ্ন-৫ঃ অমুসলিমদের কুরবানির গোশত প্রদান করা যাবে কি?

উত্তরঃ কুরবানির গোশত মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করা উত্তম। অমুসলিম প্রতিবেশী দুস্থ-অভাবীদের কিছু দেওয়ায় দোষ নেই। কেননা এটি যাকাত বহির্ভূত নফল ছাদাক্বার অন্তর্ভুক্ত। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল 'আছ (রাঃ) তাঁর ইহুদি প্রতিবেশীকে দিয়েই গোশত বণ্টন শুরু করেছিলেন। ' তোমরা মুসলমানদের কুরবানী থেকে মুশরিকদের আহার করাবে না ' মর্মে যে হাদীস এসেছে তা যঈফ।

পরবর্তী প্রশ্ন ও উত্তর গুলোর জন্য অপেক্ষা করুন। আল্লাহ হাফেজ।

4
$ 0.00
Avatar for Silmun
Written by
3 years ago

Comments

Here is so many things to learn and know. Write more and more.

$ 0.00
3 years ago

Very nice article. Its really a good lesson.

$ 0.00
3 years ago

Walaikum assalam. Tmr ai post gula theke onek kichu sikte pari. R ai doroner article amr khub valo lage. Zajakillah khairan kothar vandar.

$ 0.00
3 years ago