একটি জাতির প্রগতি নির্ভর করে শিক্ষার উপর। মানুষের জীবনে সবক্ষেত্রে শিক্ষা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
মেরুদণ্ড না থাকলে মানুষ চলাফেরা করতে পারে না। তাই মেরুদণ্ড মানবদেহের অপরিহার্য একটি অঙ্গ। মেরুদণ্ডের সাহায্যে মানুষ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে। নয়ত তাকে অন্যের সাহায্যে চলতে হয়। এভাবে মানুষ মেরুদণ্ড ছাড়া জড় পদার্থে পরিণত হয়।
তেমনি শিক্ষা ছাড়া মানুষও সর্বক্ষেত্রে অচল হয়ে পড়ে। তখন তাকে অন্যের সাহায্যে মেরুদণ্ডহীন প্রাণীর মতো বেঁচে থাকতে হয়। মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধনের জন্য তাই শিক্ষা একটি অপরিহার্য উপাদান। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়।
একজন ব্যক্তির শিক্ষা নিশ্চিত হলে সে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পারে।
সভ্যতার উন্নতির কারণও এই শিক্ষা। সভ্য মানুষ আজ জ্ঞান-বিজ্ঞানের কল্যাণে আদিম সভ্যতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে।
শিক্ষা মানুষের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটায়, অনুভূতিপ্রবণ ও কুসংস্কারমুক্ত করে যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে শেখায়, জ্ঞানকে প্রসারিত করে, অন্তর্জগৎকে করে উন্মোচিত। শিক্ষা প্রথমে ব্যক্তির উন্নতি সাধন করে এরপর সমাজের সর্বোপরি জাতির উন্নতি শিক্ষার মাধ্যমেই ফলপ্রসূ হয়।
বিশ্বায়নের এই যুগে এক জাতি অন্য জাতির সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে আছে। তাই জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। শুধু গুটিকয়েক লোকের শিক্ষার উপর জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। তাই জাতিকে সার্বজনীন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
নিরক্ষর জাতি সমাজের গলগ্রহ। তারা জাতিকে অন্ধকার ছাড়া আলোর পথ দেখাতে পারে না।
ইতিহাসে দেখা গেছে, নিরক্ষর জাতি একসময় পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই শিক্ষাকে গ্রহণ করে জাতির অনিবার্য পতন রোধ করা উচিত।
শিক্ষা হচ্ছে এক আত্মগত শক্তি যা জাতিকে বিশ্বে নেতৃত্ব দানে সক্ষম করে তোলে। যেসব দেশ উন্নতির চরমে অবস্থান করছে তাদের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। যেমন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান প্রভৃতি। শিক্ষার কারণেই মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণীতে উন্নীত। সর্বোপরি, শিক্ষার মাধ্যমেই জাতির উন্নতির দ্বার উন্মোচিত হয়।
শিক্ষার আলোয় জাতির উৎকর্ষ সাধন সম্ভব হয়। তাই সমাজের প্রত্যকের শিক্ষাকে নিশ্চিত করতে পারলে একটি জাতি শিক্ষিত ও সমৃদ্ধ হতে পারবে। নয়ত অশিক্ষিত জাতি বিশ্ব দরবারে পশ্চাদপদ হিসেবে গণ্য হবে।
কথাটি ভূল।শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড না,সু-শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এখন তো ঘরে ঘরে শিক্ষিত ঘরে ঘরে সার্টিফিকেট বাট তারাই ম্যানার বলতে কিছু জানেনা বড়দের রেসপেক্ট করতে জানেনা,ছোটদের স্নেহ করতে জানেনা।মেয়েদের টিস করে তারপর এস,এস,সি আর এইচ,এস,সির সার্টিফিকেট বানিয়ে বিদেশ চলে যায় তাহলে এই শিক্ষার কি দাম।এগুলা শিক্ষা না,এগুলা সার্টিফিকেট। আমি বলছি না পড়াশোনা করে চাকরি মাস্ট করতে হবে,পপড়াশোনা মানে নিজে ভালো থাকা এবং অন্যকে ভালো রাখা।এইবার আপনি বলেন এই রকম কয়টা ছেলে-মেয়ে আছে?তাই স্লোগান চেন্জ করে পেলছি।ধন্যবাদ। ভূল-এুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।