কেউ কেউ বলে দুঃখ একবার আসলে যেতে চায় না সহজে। তাই বলে কি এভাবে, এতোবার? যেভাবে এই সদ্য তরুন মেহেদী হাসানের জীবনে এসেছে বারবার?
ছেলেটির নাম মেহেদী হাসান। তবে বন্ধু মহলে, ভার্সিটিতে তানিন মেহেদী নামেই সবাই চেনে তাকে। ঠোঁটের কোণায় একটা মিষ্টি হাসি সবসময় লেগেই থাকে তার।
কিন্তু সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে বেঁচে থাকার এক কঠিন যুদ্ধ। মেহেদীর প্রথম যুদ্ধটার শুরু খুব ছোটবেলায়, যখন তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর সময় যত গড়িয়েছে মেহেদীর লড়াই তত কঠিন হয়েছে।
মেহেদী দ্বিতীয়বার যুদ্ধে নামে ২০১৬ তে। তখন তার হাঁটুতে টিউমার হয়। অপারেশনও করায়। কিন্তু ২০১৮ তে সে টিউমার আবার ফিরে আসে। মেহেদী জানতে পারে তার পায়ে ক্যান্সার ধরা পড়েছে।
চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় বিশ লাখ টাকা। কিন্তু টিউশনি করে যার জীবন, পড়াশোনা চলে, যার মাথার উপর বাবা নেই, আছে শুধু বৃদ্ধ মা, তার জন্য বিশ লাখ টাকা জোগাড় করা ভারতে গিয়ে সুস্থ হওয়া যেন মরার উপর খাড়ার ঘা!
সে বেলা মেহেদীর পাশে দাঁড়ায় তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগটি মেহেদীকে বাঁচানোর যুদ্ধে নামে।
মেহেদীকে বাঁচানোর আকুতি পৌঁছে যায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও। আসতে থাকে সাহায্য।
পাশাপাশি সাংবাদিকতা বিভাগের লড়াকু ছেলে-মেয়েগুলো রাত-দিন, রোদ-বৃষ্টি এক করে বাসস্ট্যান্ডে, বাজারে, স্টেশনে ঘুরে জোগাড় করে মেহেদীর চিকিৎসার টাকা।
তাকে পাঠানো হয় ভারতে, মুম্বাইয়ের টাটা হাসপাতালে৷ প্লাস্টিক সার্জারি, রেডিওথেরাপিসহ প্রায় তিন মাস ভারতে চিকিৎসা নিয়ে সবার দোয়ায় মেহেদী আবার সুস্থ হয়ে ফিরে। তবে হাঁটুর অপারেশনের কারণে অনেকটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হতো তাকে।
কিন্তু সেই যে শুরুতে বললাম কপালে যার দুঃখ লেখা, তার সুখ সইবে কেন?
কয়দিন আগেই দুঃখ ভুলে আবারো নতুন উদ্যম নিয়ে বাঁচার স্বপ্ন দেখা উচ্ছ্বল এই ছেলেটা জানতে পারলো তার শরীর থেকে ক্যান্সার দূর হয়নি। বরং আরও শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে এবার। হাঁটু থেকে আক্রমণ করেছে সরাসরি ফুসফুসে।
আবারও লড়াই, প্রয়োজন প্রায় দশ লাখ কিংবা তারও বেশি টাকা। মেহেদীকে বাঁচাতে এ অর্থের প্রয়োজন খুব দ্রুত।
তার সহপাঠী, সিনিয়র সবাই চেষ্টা করছে, বই বের করেছে তার জন্য। বই বিক্রি করছে। কিন্তু, করোনার এই মহামারীতেই মেহেদীর জন্য ফান্ড সংগ্রহের লড়াই হয়ে উঠেছে আরও কঠিন।
ছেলেটিকে বাঁচাতে তাই সবার সাহায্য খুব প্রয়োজন। আপনিও এগিয়ে আসুন, আপনার নিত্যদিনের খরচ, কফি খাওয়ার টাকা কিংবা আনন্দ উল্লাসের অর্থ একবারের জন্য একটি জীবন বাঁচাতে উৎসর্গ করুন।
মেহেদির অসুস্থতার অনেক কাগজের কিছু ও তাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কিছু যুক্ত করা হল পোস্টে। দয়া করে ছেলেটিকে বাঁচান। মেহেদী আপনার দিকেই তাকিয়ে আছে। এই ছেলেটি তার মায়ের একমাত্র ভরসা।
মেহেদী বর্তমানে ঢাকায় ডেলটা হাসপাতালে ডাঃ পারভীন আক্তার ভানু এর অধীনে চিকিৎসাধীন আছে।
মেহেদীকে অর্থ সহায়তা পাঠানোর ঠিকানাঃ
বিকাশ/নগদ- ০১৭৬৫৫৬৬৬১৬
রকেট- ০১৭৬৫৫৬৬৬১৬২
ব্যাংক একাউন্ট নম্বর- ২৭৩১০৫০৯০৩ (ইয়াসির আরাফাত, বড়ভাই) ডাচ বাংলা ব্যাংক, ময়নামতি শাখা, কুমিল্লা।
পোস্ট পড়ে খুব খারাপ লাগছে।কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না।