ভালবাসা

2 11
Avatar for Raiyan
Written by
4 years ago

#ভালোবাসার_রং

#পর্ব - ২০ (শেষ পর্ব)

জহির উদ্দিন আফরোজা বেগমেরপাশে গিয়ে বসে,

---" দেখ বিহানের মা ভুল যেহেতু হয়েছে ক্ষমা চেয়ে নাও। ক্ষমা চাইলে কেউ ছোট হয় না বরং মহৎ হয়।

---" কার কাছ থেকে ক্ষমা চাইব?? বিহান নাকি অন্তরা থেকে??

---" দরকার হলে দুজন থেকে। তোমাকে তো মানতে হবে কারো প্ররোচনায় হোক আর নিজের থেকে হোক অন্তরা কে নানাসময় কথা শুনিয়ে কষ্ট দিছ। যেখানে অন্তরার কোন দোষ ছিলো না। আল্লাহর রহমতে আর মেয়েটার ভালোবাসায় তোমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছ।

---" হুম তুমি ঠিক বলছ।

---" বিহানের মা আজ যদি মুনিয়ার সাথে এমন হয় তুমি কি মেনে নতে পারবা,??

---" না এসব বলিও না। আল্লাহ না করুক আমার মেয়েটার সাথে কখনো যেন এমন নাহয়।

---" বউকে মেয়ের জায়গায় বসালে বুঝা যায় কোন টা ভুল কোনটা ঠিক।

জহির উদ্দিনের কথা শুনে আফরোজা বেগম নিজের ভুল বুঝতে পারছে। মনে মনে অনেক অনুতপ্ত কিন্তু ছেলেকে সাহস করে বলতে পারছে না।

বিহান রুমে ঢুকে চুপ করে বসে আছে। চোখ থেকে দু ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়লো। মায়ের সাথে গরম করে কথা বলাতে খারাপ লাগছে কিন্তু অন্তরা ওর স্ত্রী অন্তরার প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ওর দায়িত্ব। এ বাড়িতে বিহান ছাড়া অন্তরার কে আছে??

বিয়ের প্রথম দিকে শুশুর বাড়িতে একটা মেয়ের কাছের মানুষ বলতে স্বামী ছাড়া কে বা থাকে। স্বামী যদি স্ত্রীর দুঃখ না বুঝে কে বুঝবে। তাই বলে কেউ কারো থেকে কম না। বিহান মা কে প্রচন্ড ভালোবাসে। ভেবেছিলো সুস্থ হয়ে ফিরে এসে সবার সাথে আনন্দে দিন কাটাবে। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো। আমরা যা চিন্তা করি সবসময় সেটা হয় না।

বিহানের কাঁধে হাত দিয়ে অন্তরা বলছে,

---" আপনার মায়ের সাথে এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি। মা আমাকে কথা শুনিয়েছি এটা সত্যি কিন্তু তখন সিচুয়েশন অন্যরকম ছিলো।

---" যেমন সিচুয়েশনে থাকুক না কেন কাউকে অন্যায় ভাবে কথা শুনানো ঠিক না।

---" আপনি আর রাগ করে থাকবেন না প্লিজ। আমি চাইনা আর কোন অশান্তি হোক। আমরা সবাই মিলে আবার আগের মতো ভালো থাকতে চাই।

--" হুম আর অশান্তি হবে না।

---" সত্যি বলছেন??

---" হুম কারণ কালকে আমরা এ বাসা ছেড়ে চলে যাব।

---" কি বলছেন আপনি??

---" যা বলছি একদম ঠিক। যে বাসায় তোমার জায়গা হয় না সে বাসায় আমি থাকতে চাই না। তাতে সবাই ভালো থাকবে। কেউ তোমাকে অলক্ষী বলবে না। তোমার জন্য কারো মনে সন্দেহ থাকবে না। সব দিক থেকে এটাই ভালো হবে।

---" আপনি এ বাসা ছেড়ে চলে গেলে মা খুব কষ্ট পাবে। আপনাকে ভালো বাসে বলে মা এমন আচরণ করেছিলো। এখন যদি আমরা চলে যাই মা আরো ভুল বুঝবে।

---" আমার কিছু করার নেই। মাঝেমধ্যে ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য দুরুত্ব বজায় রাখা দরকার।

---" সত্যি চলে যাবেন??

---" হুম কাল সকালে যাব। তুমি নিজের জিনিসপত্র রেডি রাখিও। এ বাসার কিছু নিয়ে যাব না।

বিহানের খারাপ লাগছে ওর মা এখনো নিজের ভুল টা বুঝেনি। উল্টো ভাবছে অন্তরা ওর কান ভারি করেছে।বিহানের সব ভালো লাগা যেন এক নিমিষেই চোখের জলে পরিণত হলো।

.

.

আফরা নিশান কে বলছে,,

---" ভাইয়া মনে হয় আমার সাথে রাগ করছে।

---" রাগ করাটাই স্বাভাবিক। ভাইয়ার জায়গায় আমি হলেও রাগ করতাম। ভুল করে হোক আর না বুঝে হোক আমরা ভাবীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করেছি।

---" আমি কিন্তু ভাবী কে কিছু বলিনি। যা রাগ তোমার সাথে করেছি।

---" আফরা মণি সুখে থাকার জন্য অনেক সময় ভুল নাহলেও ভুল স্বীকার করে নিতে হয়। ভাইয়া চলে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে মা ভাবীকে ঝোঁকের বশে অনেক কথা শুনিয়ে দিয়েছে।

---" হুম। আসলে ভাবীর মনের অবস্থা আমরা কেউ বুঝিনি। আমি কাল সকালে ভাইয়া,ভাবীর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবো।

--" এইতো আমার আফরা মণি বুঝদ্বার মেয়ের মতো কথা বলছে। এখন মনে হচ্ছে আমার আগের আফরামণি কে খুঁজে পাইছি।

আফরার কথা শুনে নিশানের খুব ভালো লাগছে। আফরা যে নিজ থেকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছে সেটাই অনেক। সংসারে সবার এক্টু খানি সেক্রিফাইস সুখ এনে দেয়। তাই সবাইকে নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ টা দেয়া দরকার।

.

.

আফরোজা বেগম বিহান কে ডিনারের জন্য ডাকছে।

---" বিহান মায়ের উপর রাগ করে থাকিস না খেতে আয়। আমি তোর জন্য বসে আছি।

মায়ের ডাকে বিহানের কষ্ট হলেও দরজার ওপাশ থেকে বলছে,,

---" মা আমার খুদা নেই।

---" প্লিজ বাপ তোর জন্য মা না খেয়ে বসে আছি। আজকে আমি তোর প্রিয় রুই মাছের ঝোল করেছি। তুই না রুই মাছের ঝোল খেতে পছন্দ করিস না।

---" হ্যাঁ মা আগে করতাম এখন করি না। মানুষের পছন্দ অপছন্দ সময়ের সাথে বদলে যেমন করে বদলে যায় মানুষ গুলো।

অন্তরা বিহানকে বুঝাচ্ছে,

---" কাল নাহয় চলে যাবেন আজ মা কে কষ্ট না দিলে হয় না। কত ভালোবেসে আপনার জন্য মাছ রসা করেছে। না খেলে মা খুব কষ্ট পাবে।

আফরোজা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছে এটা অন্তরার ভালো লাগছে না। অন্তরা বিহান কে জিজ্ঞেস না করে দরজা খুলে দিলো।

আফরোজা বেগম অন্তরাকে দেখে বলছে,

---" বউমা তুমি একটু বিহান কে বুঝাও না। আমি অনেক ভালোবেসে ওর জন্য রান্না করছি। ছেলেটা আমার না খেয়ে শুকাই গেছে। এতদিন কি না কি খাইছে..

এ কথা বলে আফরোজা বেগম কান্নাভরা চোখে বিহান কে দেখছে।

মায়ের কান্না শুনে বিহানের চোখ ভেসে গেছে। বুকটা ব্যাথায় কাতর হচ্ছে।

অন্তরা আফরোজা বেগম কে ভরসা দিয়ে বলছে,

---" মা উনি খাবে আপনি কান্না করবেন না।

---" সত্যি বলছ??

---" হুম উনি খেতে আসবে এখনি।

---" তাহলে আমি গিয়ে খাবার রেডি করছি।

চোখ মুছতে মুছতে আফরোজা বেগম ঠোঁটের কোণে হাসি এনে ছেলের জন্য খাবার বাড়তে চলে গেছে।

বিহান অন্তরাকে বলছে,

---" আমি কখন বললাম খাব। তুমি গিয়ে খেয়ে আসো আমার খুদা নেই।

---" আপনি মুখে বলেন নি কিন্তু আপনার চোখ বলেছে। মায়ের জন্য আপনি ও কষ্ট পাচ্ছেন তাহলে কেন এত রাগ পুষে রেখেছেন।

---" কে বলছে কষ্ট পাচ্ছি!!

---" কেউ না চলেন খেতে যাবেন। আপনি না খেলে আমিও খাব না। আপনার সাথে বসে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে সেটা হারাতে দিবেন না প্লিজ।

অন্তরার কথাতে মায়ের কান্নার জন্য বিহান খাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলো। উপরে না বুঝালেও বিহানের মন জানে মায়ের জন্য কতটা কষ্ট হচ্ছে।

বিহানের সত্যি ইচ্ছে করছিলো মায়ের হাতে রুই মাছের ঝোল খেতে। বিহানের কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রান্না মায়ের হাতের রান্না। কেমন জানি মা মা গন্ধ পাওয়া যায়। কত জায়গায় কত রকমের খাবার খেয়েছে কিন্তু মায়ের মতো রান্না নাকি কেউ করতে পারে না। সব সন্তানের কাছে মায়ের রান্না বেশি মজা লাগে।

বিহান চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে। খাওয়ার সময় বুঝায়নি মায়ের রান্না খেতে কত ভালো লাগছে। অবশ্য আফরোজা বেগম কয়েকবার কথা বলতে চেয়েছেন বিহান চুপ করে খাচ্ছে দেখে আর কিছু বলেনি। দিনশেষে বিহান আফরোজা বেগমের হাতের রান্না দিয়ে পেট ভরে খাচ্ছে সেটা দেখে শান্তি লাগছে। অন্তত ছেলে এতদিন পরে মায়ের রান্না খাচ্ছে সেটা একজন মায়ের জন্য কম কি!!

.

.

অন্তরার কোলে বিহান মাথা রেখে জানালার পাশে তারার মেলা দেখছে।

---" সত্যি কি কাল আমরা চলে যাব??

---" হুম। কারণ আজ যদি আমি বেঁচে না ফিরতাম তোমার কি এ বাড়িতে জায়গা হতো?? কেন স্বামীর সব কিছুতে স্ত্রী কে দোষারপ করা হবে।

---" যা হবার হয়ে গেছে আপনি ভুলে যেতে পারেন না।

---" না অন্তরা। আমার এ বাসায় দম বন্ধ হয়ে আসছে। তোমার মায়ের কথা গুলো এখনো কানে বাজছে আমার। নিজের মায়ের কথা কখনো এভাবে শুনতে হবে ভাবিনি।

---" আমার সাথে হয়েছে আমি ভুলে গেছি আপনিও ভুলে যান।

---" না আমি এখানে আর থাকতে চাই না। যদি আমি সত্যি মারা যেতাম তাহলে কেউ কি তোমার প্রতি সহানুভূতি দেখাতো! আমার মৃত্যুর জন্য তোমাকে দায়ী করতো।

---" আপনি দয়াকরে মরার কথা বলবেন না। আমি আপনাকে আর হারাতে চাই না।

---" আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাই না।

---" কোন কষ্ট দেন নাই। আপনার মতো স্বামী কপাল গুণে পেতে হয়। আপনি আমাকে বিয়ের তিনমাসে যে ভালোবাসা সম্মান দিয়েছেন সেটা অনেকে সারাজীবন সংসার করেও পায় না।

---" আমার মায়াবতী বউটা আরো বেশি পাওয়ার যোগ্য।

বিহান অন্তরাকে কাছে টেনে আপন করে নিচ্ছে। একটু একটু করে ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছিলো বুকের মাঝে । ভালোবাসার মানুষ কে ফিরে পাওয়ার অনুভূতি টাই আলাদা।

যেই অনুভূতি কোন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

.

.

সকাল হতেই বিহান ব্যাগ গুছিয়ে অন্তরাকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যাবার জন্য রুম থেকে বের হয়েছে। আফরোজা বেগম ছেলের হাতে ব্যাগ দেখে,রান্নাঘর থেকে দৌড়ে আসলেন।

---" তোরা কোথায় যাচ্ছিস ব্যাগ নিয়ে।

---" আমরা এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

আফরোজা বেগগ চিৎকার করে বলছে,

---" ও বিহানের বাপ, নিশান, মুনিয়া তোরা কে কোথায় আছিস আমার বিহান বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

আফরোজা বেগমের চিৎকার শুনে জহির উদ্দিন, নিশান আফরা সবাই ছুটে এলো। সবাই এসে বিহান কে যেতে নিষেধ করছে। আফরা বিহানের সামনে গিয়ে বলছে,

---" ভাইয়া আমাদের উপর রাগ করে চলে যাবেন না। জানি আমাদের সবার ভুল হয়েছে। ভাবী আমাকে ক্ষমা করে দেন আমি তখন বুঝতে পারিনি।

---" আমাদের কারো উপর কোন রাগ নেই আমি অন্তরা কে নিয়ে নিজের স্বইচ্ছায় এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

আফরোজা বেগম অন্তরার হাত ধরে,

---" বউমা আমি অন্যায় করছি। আমারে মাফ করে দে। তখন আমার মাথা ঠিক ছিলো না। বিহান রে বুঝা তোরা কেউ আমারে ছেড়ে যাইস না। আমার সুখের সংসার ভেঙে যাবে। মায়ের ভুল কি সন্তানরা একবার ক্ষমা করতে পারে না।

---" মা আমি অনেক বুঝাইছি উনি কিছুতেই শুনছে না।

আফরোজা বেগম ছেলেকে বলছে,

---" যাইস না মারে ছাড়ি। তোরা চলে গেলে আমি কি নিয়ে থাকবো।

--" মা আমাকে ছেড়ে তো এতদিন ছিলা। তোমাদের কাছে আমি মৃত ছিলাম। ভেবে নাও আমি এখনো মৃত তাছাড়া অন্তরা এখানে থাকলে তোমাদের সংসারে অকল্যাণ হবে। অন্তরা অপয়া বলে তো এখানে ওর জায়গা হয়নি। যে বাড়িতে আমার স্ত্রীর জায়গা হয় না সে বাড়িতে আমার কি করে জায়গা হবে। যদি আবার আমার কিছু হয় তুমি অন্তরাকে কথা শুনাবে।

---" বাপ আমি স্বীকার করছি তো আমি ভুল করেছি। ছেলে হয়ে মারে একটা বার ক্ষমা করতে পারিস না।

বিহান অন্তরার হাত ধরে সবার কথা উপেক্ষা করে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো।

আফরোজা ছেলের জন্য কেঁদে যাচ্ছে। নিজের কৃতকর্মের নিজের প্রতি বিরক্তি আসছে। কেন আসেপাশের মানুষের কথা ধরে অন্তরাকে প্রতিনিয়ত অপমান করেছে। যদি অন্তরার প্রতি অন্যায় না করতো তাহলে আজ বিহান এ বাসায় সবার সাথে থাকতো। কেন বুঝলো না অন্তরার মতো সেও এ বাড়ির বউ ছিলো...

১ বছর পর......

জহির সাহেবের বাসা আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। আফরোজা বেগমের মুখের হাসি লেগে আছে। এ দিন টার জন্য অপেক্ষা করেছে। আজ যে বাড়ির সবাই ভীষণ খুশি কারণ ঘর আলোকিত করে আসতে চলেছে আফরোজা বেগমের বংশধর।

মেহমানরা সবাই আসা শুরু করেছে। নিশান চারদিক ছুটাছুটি করছে নতুন মুখের আগমন হবে বলে কথা। খুশির বাদ যেন থামার নয়।

একটু পর পর নিশান উঁকি দিয়ে আফরা কে দেখার চেষ্টা করছে। আজ কিভাবে সেজেছে দেখার জন্য। আফরাকে না জানি আজ কত সুন্দর লাগছে।

আফরোজা বেগম নাতি নাতনী আসার আনন্দে কতক্ষণ পর পর খুশিতে কেঁদে দিচ্ছেন। হঠাৎ বিহানদের চলে যাওয়ার কথা মনে করে আঁতকে উঠেছেন। মনে মনে বলছেন,

না না আমি আর সেদিনের কথা মনে করতে চাইনা এই আনন্দের দিনে।

রিনা বলছে,

---" ভাবীর মুখ এত সহজে দেখতে দিব না আগে টাকা দাও।

---" নিজের বউকে দেখব আবার টাকা কিসের। তোরা পথ থেকে সরে দ্বারা তোরা তো আমাত ভাই বইন।

---" আমরা যে সুন্দর করে সাজিয়েছি সেটার পারিশ্রমিক দিবা না।

---" আমার বউ যে শরীর খারাপ নিয়ে সাজছে সেটাই অনেক।

আজ অন্তরার ৭ মাসের অনুষ্ঠান হচ্ছে...

সেদিন বের হবার পর পিছন ফিরে মায়ের চোখে পানি দেখে কিছু পথ হাঁটার পরে অন্তরাকে নিয়ে আবার ফিরে আসে। বিহান মনে মনে আগে ঠিক করে রেখেছিলো যাবে না। কিন্তু সেটা কাউকে বুঝতে দেয়নি। সেদিনের পর থেকে আফরোজা বেগম অন্তরাকে চোখে হারায়।

আফরা এখন অন্তরার বেস্ট ফ্রেন্ড। দেখে কারো বুঝার উপায় নেই তারা ঝা.....

আজ পুরো পরিবার ভালোবাসায় পরিপূর্ণ.....

#সমাপ্ত

আমি গল্পটাতে বুঝাতে চেয়েছিলাম বিয়ের পর পর স্বামীর কিছু হলে বউকে দোষ দেয়া হয়। আর এ সমাজে একটা বিধাবা মেয়েকে কত কিছু শুনতে হয় তার হিসেব নেই। কেউ তার মনের অবস্থা বুঝার চেষ্টা করে না।

ভালো থাকুক সকল পবিত্র সম্পর্ক❤

গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই জানাবেন কারণ আপনাদের ভালোবাসা আমার অনুপ্রেরণা ❣

#পাঁচ_ওয়াক্ত_নামাজ_পড়ুন_জীবন_সুন্দর_করুন 🖤

1
$ 0.00
Avatar for Raiyan
Written by
4 years ago

Comments

Nice story

$ 0.00
4 years ago

Nice

$ 0.00
4 years ago