#গল্পঃঅপেক্ষা
#পর্ব_১০
নিশাত উপর থেকে নেমে সোজা আমার সামনে এসে দাড়ালো l নিশাত আমার এতটাই কাছে যে আমার হার্ট অ্যাটাক করার মতো অবস্থা l
নিশাতঃ আরিয়ান কি হয়েছে তোমার এতো ঘামছো কেন?
আমিঃ কোই ঘামছি হুম! নিশাত তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে l
নিশাতঃ তাই.? যাও তো আমার লজ্জা করছে কিন্তু ☺☺
আমিঃ এতো লজ্জা তাই না! নিশাত চলো আমরা ওই দিক টাই যায় l
- এই বলে আমি নিশাত এর হাত দরে বারান্দায় নিয়ে আসলাম l
নিশাতঃ ওই তুমি আমাকে ওখান থেকে এভাবে এখানে কেনো নিয়ে আসছো ( অবাক হয়ে)
- আমি নিশাত কে দেওয়ালের সাথে দূর হাত দুই ছাড়ে উচু করে দরে আমার মুখ টা নিশাত এর মুখের সামনে নিয়ে গেলাম l এরপর বললাম যে.
আমিঃ কি ম্যাডাম আজকে কি কিছু পাওয়া যাবে নাকি ( দুষ্ট হাসি দিয়ে)
নিশাতঃ না একদম না l বাবু এখন কোনো দুষ্টামি হবে না দেখছো না কত সুন্দর করে সেজেছি মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবে তো l
- আমি নিশাত এর কথা শুনে কষ্ট পেলাম l আমি ওকে আদর করলে নাকি ওর মেকাপ নষ্ট হয়ে যাবে তাই আমি ওকে ছেড়ে দিলাম l
নিশাতঃ আরিয়ান সরি! তুমি ছেড়ে দিলে কেনো?
আমিঃ না থাক পরে আদর করা যাবে আমার কারনে তোমার মেকাপ নষ্ট হয়ে যাক আমি এটা চাই না l
নিশাতঃ আরিয়ান তুমি এরকম করে কথা কেনো বলছো হুম l আচ্ছা বাবু তুমি এসো আব্বু মনে হয় ডাকছে l
- আমি নিশাত এর কথা শুনে একটা হাসি দিলাম l ওকে যাও তুমি l
- নিশাত চলে যাওয়ার পর আমি বারান্দা থেকে আগের জায়গায় গেলাম l একটা কথা মাথায় আসছে না আসলে এই অনুষ্ঠান টা কিসের?
- হঠাৎ আংকেল কথা শুনে। চমকে উঠলাম l
আংকেলঃ হ্যালো ওল গাইজ আপনারা সবাই উপস্থিত আছেন এতে আমি অনেক খুশি l আজ এই শুভ দিনে এই মহা সময় এতো সুন্দর করে অনুষ্ঠান করা হলো সেটা একটা কারনে সেই কারন টা আপনারা সবাই জানেন তারপর আমি বলছি এই অনুষ্ঠান টা আমার মেয়ের সাথে রফিক সাহেব এর একমাত্র ছেলের সাথে এগ্রিমেন্ট এর উদ্দেশ্য l
- আংকেল এর কথা শুনে আমার বুকে চিন চিন ব্যথা অনুভব করলাম l নিশাত দিকে তাকিয়ে দেখি নিশাত একটা ছেলের হাত ধরে দাড়িয়ে আছে l ওকে দেখে খুব খূশি মনে হচ্ছে l আমি বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম l কেনো করলো এভাবে আমার সাথে নাটক l নিশাত আমার সাথে এটা না করলে ও পারতে আমি তো তোমাকে সত্য ভালোবেসে ছিলাম l অন্ধকারৈ রাস্তা দিয়ে হাটছি আর চোখের জল গুলো গড়িয়ে পডছে l আজ যেনো নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে l আমি এটা মেনে নিতে পারছি না কিছুতেই না lনিশাত অন্য কারো হয়ে যাবে l
- চোখের পানি যেনো আজ বন্ধ হচ্ছে না l হয়তো প্রিয় মানুষ গুলোকে হারিয়ে ফেলার কষ্ট গুলো এমনি হয় l
রাত অনেক হলো তাই দোকান থেকে একটা পানির বতল নিলাম l এরপর চোখ মুখে পানি দিলাম l ফোন টা হাতে নিয়ে দেখি নিশাত শুধু ফোন করছে l আমি কেটে দিলাম l মিথ্যা মায়া বাড়িয়ে আর লাভ নেই l নিশাত আমার ভালোবাসা তুমি পেয়ে ও হারিয়ে ফেললে একদিন তুমি ঠিক বুঝবে l এই বলে ফোন বন্ধ করে দিলাম l সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে এই শহর থেকে আম্মু আর বোন কে নিয়ে চলে যাবো l বাসায় গিয়ে আম্মুর হাতে দরা পড়ে গেলাম l এরপর আম্মু কে সব কিছু খুলে বললাম আমি কান্না করে দিলাম l আমার কান্না দেখে আমার আম্মু আর আমার কলিজার বোন টা কান্না করছে l হযতো তারা আমার কান্না সহ্য করতে পারছে না l এরপর আম্মু কে সব কিছু বুঝিয়ে বলার পর ওই দিন আমি ফোন টা ভেঙে ফেললাম আর সিম কাট টা পেলে দিলাম l এরপপর ওই রাতে নিজ শহর ছেড়ে অজানা শহরে পাডি দিলাম l আর বাকিটা তো আপনারা দেখলেন এ l এখন বাস্তবে যাওয়া যাক l
- ছাদে বসে বসে তো আপনাদের এসব বললাম l ভালো লাগছে না দেখলেন আপনাদের এসব বলতে বলতে কখন যে নিজের চোখ থেকে পানি বের হয়ে গেলো বুঝতে পারি নাই l পিছন থেকে বোন এর গলার কন্ঠ শুনে পিছন ফিরে তাকালাম l
তিশাঃ ভাইয়া কি হয়েছে তোর কান্না করছিস কেনো ভাইয়া ( বোন ও কান্না করে দিচে)
- এবার আমি কি বলি ককিছু একটা বলে ম্যানেজ করতে হবে l আসলে আমার বোনটা আমার কান্না সহ্য করতে পারে না l
আমিঃ আরে বোন আমার এত রোদ পড়ছে দেখছিস না তাই পাগলী l এই রোদ এর কারনে এগুলো চোখের পানি নয় ঘাম l
তিশাঃ ঠিক তো ভাইয়া l ভাইয়া তোর কিছু হলে আমি তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না l তোর এই ছোট বোনটা তোর দুঃখ সহ্য করতে পারে না l
আমিঃ আমি জানি তো আমার কিউট বোন আমাকে খুব ভালোবাসে l ( তিশা কে জড়িয়ে ধরে)
তিশাঃ ভাইয়া তাড়াতাড়ি নিচে চল আমার সাথে l
আমিঃ কেনো আপু কি হয়েছে আম্মু ঠিক আছে তো?
তিশাঃ আহা ভাইয়া এতো অস্থির হলে হবে নাকি?. নিচে গিয়ে দেখবি চল তো!!
- তিশা আমার হাত টানতে টানতে নিচে নিয়ে গেলো l নিচে গিয়ে যাকে দেখালাম......
#চলবে.........
Nice