অদ্ভুত

2 6
Avatar for Raiyan
Written by
4 years ago

অদ্ভুত ভালোবাসা সিজন ৩

পর্ব:১৬

,

" শুনুন,দাড়ান,দাড়ান না প্লিজ। দুলাভাই"নীরার কথা শুনে নিলয় থেমে যায়।

নিলয়কে দাড় করানোর জন্য "দুলাভাই"ডাকটা টনিক এর মতো কাজ করলো। নিলয় তো দাড়িয়ে গেলো। আর নীরার সামনে ফিরেও আসলো। এসেই আচমকা নীরার গালে ঠাসসসস করে একটা চড় বসিয়ে দেয়।

নীরা বেচারি গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে ওর দিকে ভ্যালভ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। সেকেন্ডের মধ্যে ওর সাথে কি হয়ে গেলো সেটা বোঝার চেষ্টা করছে। "এখন যাবো মুনিরার কাছে, বিয়ে করতে। এতই যখন দুলাভাই ডাকার শখ হয়েছে। তোর শখ টা পূরণ করি। চল প্রথম স্বাক্ষী তুই হবি। " নিলয় নীরার হাত টেনে নিয়ে চলে যাবার আগেই নীরা নিলয়ের হাত টা টেনে ধরে। "s,,,sorry "

"sorry কি আমার ব্যাথার সিরাপ না মেডিসিন?"

"আ,,,,,আসলে কাল "

কথাটা বলেই নীরা নিজের ওড়নাটা এক কানা নিলয়ের হাতের সাথে পেঁচিয়ে ধরে।

"আমি সব জানি। খারাপ আমার এতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট লেগেছে তুমি সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই আমার থেকে দুরে চলে যাবার জন্য তৈরি হয়ে গেছো। আমার কথাটা একবার ও ভাবলে না, ডাফার এর তো স্টুপিটের মতো ডাক ডাকছো আমায়। মুনিরা কি বললো সেটাই তোমার কাছে ইমপোর্টান্ট, আর আমি যে দিন রাত তোমার পিছে পড়ে আছি সেটার কোনো ভ্যালু নেই তোমার কাছে। তুমি আমাকে কেনো বিশ্বাস করবে।তুমি তো তোমার কাজিন কে বিশ্বাস করবে। তুমি তো আর আমাকে ভালোবাসোনা। ওই পলাশ কে ভালোবাসো "।

"কে বললো আমি উনাকে ভালোবাসি"?

"সব বুঝি আমি। ছোট বাচ্চা না আমি, কার মনে কি আছে আমি সব বুঝি। "

অভিমানী কন্ঠে কথাটা বলেই ও উল্টোদিকে ঘুরে দাড়ায়।নীরা বেশ বুঝতে পারে। নীরা মুচকি হাসে।

"এভাবে নাচানাচি করলে কিন্তু আমার ওড়নাটা খুলে যাবে। পরে কিছু বলতে পারবেন না। চুপচাপ দাড়ান"।

নিলয় নীরার ওড়নার কানা টা নিজের হাত থেকে খুলে দেয়। জোরে সাথেই টেনে খুলে যার জন্য নিলয়ের হাতে লেগে যায়।

"আউচ" নিলয়ের ব্যাথায় জরানো কন্ঠ নীরার বুকে গিয়ে আঘাত করে। চট করে নিলয়ের হাত টা মুঠো করে ধরতেই নিলয় হাত ছাড়িয়ে দেয়। " ঠিক আছে। তোমার ওড়না ধরার অধিকার আমার নেই। অধিকার টা অন্য কারো সেটা আমি জানি। সরি, আমার জন্য তোমার ওড়না নষ্ট হলো, আমি নিউ ওড়না কিনে দেবো"।

,

নিলয়ের কথায় নীরার প্রচন্ড রাগ হলো। এক ঝটকায় নিলয়ের সামনেই নিজের ওড়না খুলে মাঠে ছুঁরে মারে। নিলয় হতদম্ভ হয়ে যায় নীরার কাজটা দেখে। নিলয় টচ করে ওড়নাটা তুলে নীরাকে জরীয়ে দেয়। " তোমার সাহস দেখে আমি হতবাগ হয়ে যাচ্ছি। তুমি আমার সামনে দাড়িয়ে কিভাবে চিপ মেন্টালিটির কাজ করলে?টেনে ঠাস করে এমন একটা চড় দিবো না তোমার এতো সাহস কই থেকে আসে দেখে নিবো "

দাঁতে দাঁত চিপে কথাটা বলে নিলয়।

নীরা রাগে উল্টো দিকে ঘুরে দাড়ায়।

নিলয় হেঁচকা দিয়ে নীরার ওড়নার এক কানা টেনে হাতের সাথে জরীয়ে নীরার সামনে নিজের হাত এগিয়ে দেয়।

"নে ধর, খুসি এবার"?রাগে গজগজ করে কথাটা বলে নিলয়। নীরা মুচকি হেসে হাত টা টেনে ভালো করে জরীয়ে দেয়।

"আমি কি উনাকে বলেছি আমার হাত ধরতে? উনি ধরেছে তো আমি কি করবো? আমি তো উনাকে ডেকে আনিনি যে আপনার নিজের ক্ষতি করতে হবে। "

"আমার কারো জ্ঞ্যান চাই না"

"আ,,,,পনাকে জ্ঞ্যান দিবো সেই ক্ষমতা আমার আছে নাকি? যে,,,,টা সত্য সেটা বলেছি। উনাকে আমার পছন্দ নয়। আমি চাই না উনি আমার সামনে আসুক"

,

নীরার কথাটা নিলয় ভালোমতোই বুঝতে পারে। নীরা ওকে কি বলতে পাচ্ছে। নীরা নিলয়ের হাত ধরে এনে গাড়ির সামনে দাড়ায়। নিলয় বোঝার চেষ্টা করছে নীরা কি করতে চাইছে।

"এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো? হসপিটালে যেতে হবে। গা,,,,গাড়িতে উঠেন। এভাবে তাকিয়ে ভয় দেখাতে হবে না"

"আমি তোমাকে ভয় দেখাচ্ছি?"

"না উঠেন আপনি "

বলেই নিলয়কে গাড়িতে হালকা ধাক্কা দিয়ে বসিয়ে দেয়।

,

"ম্যাম হাত টা তো ওড়না দিয়ে বেধে রেখেছেন। আর ওড়নার বাকিটুকু আপনার শরীরে আছে। তো আমি না হয় এখানে বসলাম।আপনি কি করে গাড়িতে উঠবেন"?

এই রে নীরার তো খেয়াল ছিলো না, কি করবে এখন ও

"এটা কোনো ম্যাটার হলো আপনি নামেন। আমি আগে উঠি,তারপর আপনি উঠেন,হয়ে গেলো সিম্পল"

,

"আমার কাছে আরও একটা আইডিয়া আছে , আমাকেও নামতে হবে না আর তুমিও বসতে পারবে।"

"কীভাবে"?

নীরা কথাটা শেষ করতেই পারে না, তার আগেই নিলয় নীরাকে টেনে নিজের কোলের ওপর বসিয়ে।

"প্র্যাকটিক্যালি দেখিয়ে দিলাম।মজার না ব্যাপার টা?"

,

নীরা তো শক। "প্লিজ নামান আমাকে। এভাবে কেউ গাড়ি চালায় নাকি?"

নীরার কথায় নিলয় কান দেয় না।

"আর একটা সাউন্ড হলে ছুড়ে বাহিরে ফেলে দিবো দিবো "

নীরা মুখ ফুলিয়ে চুপচাপ বসে।

"নীর পাখি" নীরা চুপ করে থাকে নিলয়ের কথার উত্তর দেয় না। নিলয় চট করে নীরার কপালে চুমু এঁকে দেয়। নীরা নিলয়ের দিকে তাকায়।

"দিন দিন তোমার বড্ড সাহস হয়ে যাচ্ছে। আমার কথাকে তুমি গুরুত্বই দিচ্ছো না "

"আমি কি করলাম?"

" তোমাকে বারন করেছিলাম না আমি, আমার দেওয়া কোনো জিনিস তুমি তোমার শরীর থেকে খুলবে না। কি বলেছিলাম না?"

হালকা ধমকে নিলয় কথাগুলো বলে। নীরা চুপটি করে থাকে।

"কাল রাতে সব নিজের হাতে পরিয়েছি, আর এটা আমি খুলবো আমাদের বাসর রাতে। তার আগে যেনো এগুলো না খোলা হয়। কারন বাসর রাতে তো কোনো কিছু "

নিলয় নীরার কানে কানে ফিসফিসিয়ে কথা গুলো বলছিলো লাস্ট কথা শেষ হবার আগেই নীরা নিলয়ের মুখ চেপে ধরে।

"মুখে লাগাম লাগান অসভ্য লোক। আপনার মুখে কি কিছু আটকায় না "

,

নিলয়ের কথায় নীরা বেশ লজ্জা পায়।নীরার মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। নিলয় নীরাকে দেখে মুচকি হেসে নীরার থুতনি টেনে থুতনিতে একটা কামড় দেয়। কামড় টা জোরেই দেয়। নীরা "আউচ" করে উঠে। নিলয় একটু জোরেই হেসে ফেলে।

"এই টুকু কামড়েই এমন করছো? তাহলে বাসর রাতে কি করবা নীর"

"আল্লাহর ওয়াস্তে মুখ টা বন্ধ করেন। দোহাই লাগে আপনার, এতো নির্লজ্য হতে নেই "।

"i love you নীরপাখি"

নিলয় ভালোবাসার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নীরার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। নীরা নিলয়ের চাউনি দেখে লজ্জা পেয়ে যায়। নীরা নিলয়ের থেকে চোখ নামিয়ে নেয়।

"I'm sorry নীরু"

"কেনো?"

"কথা দিয়েছিলাম তোমাকে, তুমি না চাইলে তোমাকে টাচ্ করবো না,কিন্তু তোমাকে দেওয়া কথা আমি রাখতে পারিনি। বেশি কিছু করিনি জাস্ট তোমার উন্মুক্ত পেটে আলতো করে ঠোঁট দুটো ডুবিয়েছি। "

,

"আপনার কপালে বউ জুটবে না, নির্লজ্য লোক একটা। চুপচাপ গাড়ি চালান একটা কথা বলবেন না।"

নিলয় বাঁকা হেসে নীরাকে আরও ক্লোজ করে জরীয়ে নিয়ে ড্রাইভ করে। নীরা কিছু বলার সাহস পায় না। হসপিটালে গিয়ে নিলয়ের হাত ব্যন্ডেজ করে নেয়। নিলয় নীরা কেও চেকাপ করিয়ে নেয়। তারপর নিলয় নীরাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।

,

নীরা বাসায় এসে দেখে পলাশ ওর পরিবার নিয়ে সেজে গুজে বসে আছে।

,

be continue ♥♥♥

2
$ 0.00
Avatar for Raiyan
Written by
4 years ago

Comments

Nice

$ 0.00
4 years ago

Nice histoy

$ 0.00
4 years ago