(পরিসংখ্যান তথ্য উপাত্ত দিয়ে সমাধান খুঁজার চেষ্টা করা হয়েছে)
ঢাকা শহরে বিগত ৬বছরে ডিভোর্স এর জন্য আপিল করেছে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি। তার মানে দাড়ায়, প্রতি ঘন্টায় একজন করে মানুষ ডিভোর্স এর জন্য আপিল করছে। আর তার মধ্যে মহিলারা প্রথমে আপিল করছে প্রায় ৬১%(সূত্র: এক্টি বেসরকারি রেডিও, এবং প্রথম আলো)
ডিভোর্স এর কারণ হিসেবে তারা প্রথমে যা দার করায় তা হল,
১:- একে অপরের প্রতি প্রচুর পরিমাণে ইগো।
২:- পরস্পরের স্বাধীনতায় বাধা।
৩:- একাধিক সম্পর্ক, ইত্যাদি।
বি:দ্র (অর্থের কারণে ডিভোর্স এর হার ১৪% এরও কম)
-পরিসংখ্যান শেষ। এবার আসা যাক নিজের কিছু কথায়।
-এক্টা সময় ছিল যখন বিয়ের সময় পাত্র কিংবা পাত্রীর চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ মেলানো প্রায় অসম্ভব ছিল। দাদা, দাদীর মুখে শুনেছিলাম, বিয়ের আগে নাকি কেও কাওকে দেখতে অব্দি পারত না। কিন্তু আমার পরিসংখ্যান যেহেতু শেষ ৬বছর নিয়ে তাহলে ২০১৪ থেকেই হিসাব করা যাক। প্রতি ঘন্টায় একজন মানে প্রতিদিন ২৪ জন করে। ২০১৪ কিন্তু দাদা, দাদীর আমল নয়, ভালবাসার মানুষটির জন্য এখন এক্টু যুদ্ধ করলেই কিন্তু আমরা একে অপরকে পেয়ে যাচ্ছি। তবে দিন শেষে যদি আমরা পেয়েই যাই তাহলে কেনইবা এত ডিভোর্স??? কেনই বা এত ছাড়াছাড়ি??? তাহলে কি ধরে নিতে হবে আমাদের চাওয়াতে ভুল ছিল?? নাকি যাকে চেয়েছি তাকে পাওয়ার পর তার মূল্য দিতে পারিনি?? নাকি বইয়ের ভাষায় শুর মিলিয়ে নিজেকে বুঝাব..
"যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না।"
হয়তো আর কিছু বছর পরেই এমন একটি সময় আসবে আমরা আমাদের ভালবাসার মানুষকে চাইলেই নিজের করে নিতে পারব, চাইলেই হাত ধরতে পারব, চাইলেই বিয়ে করতে পারব।
প্রশ্ন হল, তখন কি এই ডিভোর্স এর হার নিম্নমুখী থাকবে?? নাকি আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে ডিভোর্স এর হার ও আকাশ মুখি হতে থাকবে??? ভালবাসার জন্য যেমন সেক্রিফাইস করলাম, সেই ভালবাসাটি টিকিয়ে রাখার জন্যও না হয় একটু সেক্রিফাইস করলাম। সৃষ্টিকর্তার নিকট সবচাইতে জঘন্যতম কিংবা নিকৃষ্ট হালাল কাজ হলো দুটি ১. ভিক্ষে ২. তালাক কিংবা ডিভোর্স। সারাজীবন যদি একসাথে নাইবা থাকতে পারি তাহলে কেন বিয়ে নামক সিংহাসন কে আমরা আমাদের ভুলের জন্য কুলশীত করি!! যদি আমাদের পূর্বেকার সহজ সরল মানুষগুলো একে অপরের হাত ধরে কাটিয়ে দিতে পারে বছরের পর বছর তাহলে আধুনিকতার লেভাসধারী আমরা কেন পারব না!! হোক না আমাদের সমাজ অনেক বেশি আধুনিক কিংবা পশ্চিমা সভ্যতা আমাদের করে ফেলুক পুরো গ্রাস, কিন্তু ভালোবাসা কিংবা বন্ধন এই একটি বিষয় টিকিয়ে রাখতে আমরা না হয় আমাদের পূর্বেকার প্রজন্মকেই অনুসরণ করি।
আসুন, মাটির দেহ মাটি হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত একজনের মাঝেই সুখ খুঁজি।
তখন হয়তো অন্য কেও এই ভালবাসার গ্রুপটিতে পোস্ট করে বলবে "ঢাকা শহরে ডিভোর্স এর হার প্রায় শূন্য ভাগ
আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না কারন শুরু করলে শেষ করতে পারবো না।এখন মানুষ নষ্ট হচ্ছে একমাএ মাএা অতিরিক্ত আধুনিকতার কারনে।তার সাথে দায়ী আছে ইন্টারনেট।তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যাবহার মানুষকে নষ্ট করছে।একসময় ছেলেদের বয়স ৩০-৩৫ হয়ে গেলেও বাবা মা কে বিয়ের কথা বলেনি,বাট এখন ক্লাস টেন এর ছেলে বিয়ে করে পেলতেছে কারন তারা মোবাইলে আজেবাজে জিনিস দেখে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জা ৯০শতকে ছিলোনা।আগে স্বামী -স্ত্রী জগড়া করে ৫ মিনিট থাকতে পারতো না,বাট এখন মানুষ জগড়া করেই কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনে কারন তারা একা না তাদের সংগ আছে মোবাইল ফোন।আগে পরকিয়া ছিলোনা বাট এখন আছে কারন মোবাইল ফোন আছে।