বর্তমানে বালবিবাহ(Premature Marriage) প্রত্যেক সমাজে একটা সাধারণ দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণত বয়ঃসন্ধির পূর্বে তরুণ তরুণীদের মধ্যকার বিয়েকে বাল্যবিবাহ বলা হয়।(WHO) এর মতে, ছেলেদের ২১ এবং মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে বিবাহকে বাল্যবিবাহ বলা হয়।
সাধারণত, গ্রামের অশিক্ষিত ও দারিদ্র্য পরিবারে এ ধরনের বিবাহ ঘটে থাকে।
বাল্যবিবাহের কয়েকটি কারণ হচ্ছে, অজ্ঞতা, কুসংস্কার, অসচেতনতা ও দারিদ্র্যতা।
অজ্ঞতা: মা-বাবার বিবাহ ও সংসার জীবনের সঠিক জ্ঞানের অভাবে বাল্যবিবাহ দিয়ে থাকে।
কুসংস্কার: গ্রামে অশিক্ষিত মানুষের নিকট প্রাচীন কিছু ভ্রান্ত ধারণা থেকেও এধরনের অপকর্ম চালু আছে এখনো,তারা মনে করে তারাতাড়ি মেয়ের বিবাহ দিলেই ঝামেলা মুক্ত হওয়া যাবে।
দারিদ্র্যতা: বাল্যবিবাহের মূল কারণ হচ্ছে দারিদ্র্যতা। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ছেলে মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয়।এতে মেয়েদের ভরোণপোষন থেকে বেঁচে যায় পরিবার এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে তারাতাড়ি যৌতুক পেয়ে থাকে।
বাল্যবিবাহর কূফল: বাল্যবিবাহে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই ব্যাপক ক্ষতি হয়,, শারীরিক ও মানসিক ভাবে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সংসার জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে।
তারাতাড়ি বিয়ে হওয়ার ফলে বাল্যকালেই মেয়েরা গর্ভধারণ করে এতে মা ও শিশুর উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয় । বাচ্চা বুকের দুধ পায়না ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
স্বামী স্ত্রীর মাঝে মিল থাকে না ফলে অতি তাড়াতাড়ি বিচ্ছেদ ঘটে।
বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং সবাইকে এর কুফল সম্পর্কে জানাতে হবে। ধর্মীয় অনুভূতি জাগাতে হবে, সর্বোপরি দেশে আইন ও আইনের প্রয়োগ করতে হবে তবেই সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ নির্মূল হবে।
Thanks for reading
Yeah you are right vaiya. Asole ballobibaho amader dese ekta boro problem hisebe dekha diyece. Manus to akhon sikkhito hocce but tara sob kicu somporke dharona rakhte parcena. Sei jonno deser ajke ei obostha. Jodi sobai ballobibaho somporke sob information jante pare tahole hoito ei problem ta onk ta solve kora jete pare.