ছোট সাহেবের অত্যাচার
Part:26
.
আবির একটু পর পর ছোঁয়ার দিকে তাকাচ্ছে।ছোঁয়া একদম নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছে।আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।বারবার প্রান্তিকের কথা মনে করছে।কতই না আনন্দে ছিল ওরা।
আবির কিছু একটা বলতে চাচ্ছে ছোঁয়াকে কিন্তু কিছুতেই বলতে পারছে না।নিরবতা বাদ দিয়ে আবির বলেই উঠল,,,
আবিরঃ- আচ্ছা আপনার পুরো নাম কি??
ছোঁয়াঃ- বুশরাতুজ্জামান ছোঁয়া।আর আপনার নাম কি সেটাই তো আমি জানি না।
আবিরঃ- আবির হাসান জয়।
ছোঁয়াঃ- আচ্ছা জয় বাবু আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হলেন কেন??সব কিছু জেনে যে আমি একজন বিধবা।
আবিরঃ- (নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছে।আর ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।)
ছোঁয়াঃ- কি হল কিছু বলছেন না যে??
আবিরঃ- আসলে কেউ কোনদিন জয় বলে ডাকেনি।সবাই আবির বলেই ডেকেছে।আপনি জয় বলে ডাকলেন।
ছোঁয়াঃ- ও আচ্ছা সরি।বুঝতে পারি না।
আবিরঃ- আপনার মুখে জয় নামটাই বেশি সুন্দর লাগে।আপনি আমাকে জয় বাবু বলেই ডাকবেন।তাহলে খুশি হব।
ছোঁয়াঃ- আচ্ছা।কিন্তু আপনি যে আমার কথার উত্তর দিলেন না যে??
জয়ঃ- কারন আপনারও যে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটা অধিকার আছে।আর বিধবাদের বিয়ে করা কোন খারাপ কাজ না আমি মনে করি।আর আপনার বয়সই বা কত হয়েছে।সবে মাত্র আঠার।
ছোঁয়াঃ- ও।
ছোঁয়া আর জয় সারা রাস্তায় আর কোন কথা বলল না।চুপ করে বসে রইল।জয় গাড়ি ড্রাইভ করাতে মনযোগ দিল।
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
••••••••••••••••••••••••••••••,
ওরা সবাই শপিং মলে পৌছে গেল।জয় প্রথমে গাড়ি থেকে নামল।তারপর ছোঁয়ার দরজাটা খুলে দিল।ছোঁয়া গাড়ি থেকে নামতে যেয়ে পা পিছলিয়ে পড়ে যাচ্ছিল।জয় সাথে সাথে ছোঁয়াকে ধরে ফেলল।ছোঁয়া ভয় পেয়ে আগ্রেপৃষ্ঠে ধরে রাখল।
সবাইও গাড়ি থেকে নামল।ওদের দুইজনকে এইভাবে দেখে সবাই বুঝে গেছে জয়ই একদম ছোঁয়ার খেয়াল রাখতে পারবে।ছোট খাট এক্সিডেন্ট থেকে বাঁচাচ্ছে।জয় ছোঁয়াকে ছেড়ে দিল।আর বলতে লাগল,,,
জয়ঃ- আপনি ঠিক আছেন??
ছোঁয়াঃ- হুম।ছোট সাহেবও ঠিক এইভাবে আমাকে প্রোটেকশন করত।
জয়ঃ- ও আচ্ছা।
ছোঁয়াঃ- হুম।
সবাই ওদের দুইজনের কাছে আসল।আমেনা বলে উঠল,,,
আমেনাঃ- কি হয়েছে ছোঁয়ার??
জয়ঃ- পা পিছলিয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন উনি।
আমেনাঃ- কি??ঠিক আছিস তো তুই মা।
ছোঁয়াঃ- হ্যা মা আমি ঠিক আছি।
রাবেয়াঃ- আর বেশিখন বাইরে দাঁড়িয়ে না থেকে সবাই ভিতরে যাই।আকাশ অনেক মেঘলা হয়ে রয়েছে।অনেক জোরে বৃষ্টি নামতে পারে।তাড়াতাড়ি শপিং করা উচিত আমাদের।
ফাহাদঃ- জ্বি সবাই ভিতরে চল।
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
•••••••••••••••••••••••••••••••,
সবাই ভিতরে চলে গেল।জয় আর ছোঁয়া পিছন পিছন আসছে।জয় ছোঁয়াকে সব কিছু থেকে প্রোটেকশন করছে।আর ছোঁয়ার বারবার শুধু প্রান্তিকের কথা মনে পড়ছে।
সবাই একটা শাড়ির দোকানের সামনে যেয়ে বসল।ছোঁয়ার বিয়ের জন্য শাড়ি পছন্দ করতে লাগল।কোন শাড়িই কারোর পছন্দ হচ্ছে না।
সবাই শুধু ভাবছে কোন কালারের শাড়িটা পড়লে ছোঁয়াকে বেশি ভালো দেখাবে।আমেনা হঠাৎ করেই বলে উঠল,,,
আমেনাঃ- কি গো বাবা।তোমার সাথে বিয়ে হচ্ছে মেয়েটার।তোমার কোন কালার বেশি পছন্দ হচ্ছে।
জয়ঃ- আমার তো পিংক কালারের শাড়িটা অনেক পছন্দ হয়েছে।পিংক কালার পড়লে উনাকে অনেক সুন্দর দেখাবে।
ছোঁয়া একটু অবাক হল।প্রান্তিকও ঠিক একই কথা বলত ছোঁয়াকে।আমেনা আবার বলল,,
আমেনাঃ- তাহলে পিংক কালারের শাড়িটা দিয়ে দিন।
দোকানদারঃ- জ্বি ম্যাডাম।
আরও অনেক কিছু কিনার জন্য ওরা আরও দোকানে গেল।ছোঁয়া জয়ের কাছেই রয়েই গেল।জয় ছোঁয়াকে বলছে,,,
জয়ঃ- আপনি উনাদের সাথে গেলেন না কেন??
ছোঁয়াঃ- আমার এত শপিং করতে ভালো লাগে না।আর এত কোলাহল।
জয়ঃ- ও আচ্ছা।
ছোঁয়াঃ- পিংক কালারের কোন কিছু পড়লে আমাকে নাকি অনেক সুন্দর দেখায় এই কথাটা আমার ছোট সাহেবও আমাকে বলত।
জয়ঃ- ও আচ্ছা।
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
•••••••••••••••••••••••••,
সবার শপিং করা শেষ।যে যার মত করে গাড়িতে উঠে বসল।আগের বারের মত ছোঁয়া এইবারও জয়ের সাথে।গাড়িতে উঠার সাথে সাথে অনেক জোরে বৃষ্টি নামা শুরু করল।
জয়ের ড্রাইভ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে তবুও ড্রাইভ করছে।বাকি সবার গাড়ি আগে চলে গেছে।জয়ের গাড়িটা পিছনে পড়ে গেছে।
ছোঁয়া শুধু বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।আর শুধু বৃষ্টিতে ভিজতে মন চাচ্ছে।প্রান্তি
কের সাথে।এই বৃষ্টি প্রান্তিকের কথা আরও বেশি করে মনে করিয়ে দিল।ছোঁয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
জয় সেইটা লক্ষ্য করছে।জয় ছোঁয়ার দিকে টিস্যু পেপার এগিয়ে দিল।ছোঁয়া জয়ের দিকে তাকাল।প্রান্তিকও কোনদিন ছোঁয়ার চোখের জল হাত দিয়ে মুছে দিত না।
টিস্যু পেপার এগিয়ে দিত।প্রান্তিকের সব কাজ জয়ের সাথে কেন মিলছে??ছোঁয়া ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করছে,,,
ছোঁয়াঃ- আপনি কে বলুনতো??আপনার সব কাজ আমার ছোট সাহেবের সাথে কেন মিলে যাচ্ছে।
জয়ঃ- সময় হলে জানতে পারবে আমি কে??এখনও সময় হয়নি।
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••••
•••••••••••••••••••••••,
চলবে।
4
10
গল্পটা এমনিতেই অনেক সুন্দর। আর গল্পের নামটা তো আরো অনেক রোমান্টিক। নামের মধ্যে গল্পের মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে। এ ধরনের গল্প গুলো কিছু কিছু মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।। ধন্যবাদ এই ধরনের গল্প লেখার জন্য।