এসি এভাবে ব্লাস্ট হয় জানা ছিল না। এখন এসি ব্লাস্ট হচ্ছে, এসি রুমে অগ্নিকাণ্ডে মানুষ মারা যাচ্ছে।
গতকালের ঘটনার পর গুগল করে একটা লেখা পেলামঃ অনেকেই এসি কিনছেন খুব একটা চিন্তা না করেই। তবে কষ্ট করে হলেও একটু দেখবেন যে কুল্যান্ট যেইটা ব্যবহার হচ্ছে, সেইটার নাম R22 নাকি R410a।
একটু উদ্ভট শুনালেও, এইটা বেশ ইম্পরট্যান্ট। ২০২০ সালের পর (মানে কয়েক মাস পরেই) মূলত R22 গ্যাসটি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হচ্ছে। কারণ এইটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক এবং ওজোনস্তরের অনেক ক্ষতি করে।
বাজার সয়লাব খারাপ কুল্যান্ট দিয়ে বানানো এসিতে, যেগুলো ফ্লেমেবল (আগুন ধরে)। কমদামী কুল্যান্ট এর মধ্যে আগুন ধরতে পারে। সহজ হিসাব। আজকে না ধরলে কালকে ধরবে। ধরবেই। মাফ নাই। স্টেডিয়াম মার্কেটে ব্রান্ডের সিল মারা এসি গুলোতে মূলত এই ধরনের সস্তা গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
R22-তে আগুন ধরেনা। কিন্তু তবুও আপনি কেন R22 থেকে দূরে থাকবেন? কারণ তিন চার বছর পর এই গ্যাসটির প্রডাকশন অনেক অংশেই কমে যাবে।অলরেডি উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই পাওয়া যায় না। মন্ট্রিল প্রটোকলের কারনে আমেরিকায় এখন আর R22 ব্যবহৃত হয় না। কয়েক বছর পর এসি নষ্ট হলে, ঠিক করতে যেয়ে অসুবিধায় পড়ে যাবেন।
বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন অনেকগুলো এসিতেই কুল্যান্ট হিসেবে R22 ব্যবহার হয়। থাইল্যান্ড এর জেনারেল, গ্রি, মিনিস্টার, ওয়াল্টন, চিগো, মিডিয়া ইত্যাদি ব্র্যান্ডের অনেকগুলোর মধ্যে এখনো R22 ব্যবহার হয়।
তো কি কিনবেন? R410A কিনবেন। এটাতে আগুন ধরেনা। ওজোনস্তর ডিপ্লিট করেনা। যদিও গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্য ইহা ক্ষতিকর, তবুও এইটা খারাপের ভাল (যেহেতু R22 ভাল হইলেও আগুন ধরার সম্ভাবনা থেকেই যায়)।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদে থাকুন
You wrote a very valuable article. This awareness post has been very good. We should all be aware of these issues. Thank you very much