👉 বৃষ্টিতে ভেজা সেই রাত 👈
লেখকঃ হাসান
পর্বঃ ২
তামান্না এই সেই ছেলেটা না যে তোকে জোর করে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলো...
।
তামান্নাঃ হ্যা বাবা এ তো সেই ছেলেটা কিন্তু এই এখানে এই ছেলেটা কী করছে....
।
।
তামান্নার বাবাঃ কে এই ছেলেটা...
।
মাঃ কেনো আমার ছেলে.....
।
।
কথা শুনতেই তামান্নার বুকটা ধড়ফড় করতে লাগলো....
।
।
তামান্নার মাঃ ছেলেটাকে তো সে দিন ভিক্ষারীর দেখাচ্ছি আর সেই ছেলেটা এই বিশাল বাড়ির মালিক 😱
।
।
তামান্নার বাবাঃ আমরা একটু আড়ালে দাড়িয়ে পড়লাম যাতে আমাদের দেখতে না পায়
।
।
সাঈদঃ গাড়ি থেকে নামতেই মনে হলো কেউ আড়াল থেকে দেখছে আমায় ধুর এই সব আমি কী ভাবছি আমি আর মা ছাড়া কে আছে এই বাসায় যে আমায় আড়াল থেকে দেখবে...
।
।
আম্মু কই গেলা খুব খিদে পেয়েছে কিছু খেতে দাও...
।
।
মাঃ হ্যা দিচ্ছি তুই হাত মুখ ধুয়ে টেবিলে বস আমি খাবার নিয়ে যাচ্ছি..
।
।
মাঃ আপনারা বসেন না এভাবে দাড়িয়ে থাকবেন না..
।
।
তামান্নার বাবাঃ হুম...
।
।
তামান্নাঃ মার কথায় তো ওই দিন বাবার সামনে মিথ্যা অভিনয় করেছিলাম যে এই ছেলেটা আমায় রেপ করতে চেয়েছিলো কিন্তু আজ আমি তো মনে হয় ধরা পড়ে যাবো...
।
।
।
সাঈদঃ আম্মু আমাকে খাবার টা দিয়েই চলে গেলো...
।
।
ইসস একটা যদি বউ থাকতো তাহলে কত আদর করে খাইয়ে দিতো মা তো ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ করে হারিয়ে যাচ্ছে..
।
।
।
তামান্নার মাঃ ভাবি একটা কথা বলার ছিলো.।
।
।
মাঃ হুম বলেন..
।
।
তামান্নার মাঃ তামান্না আর সাঈদ এর বিয়ে দিলে কেমন হয় এতে আমাদের সম্পকটা আরো সুন্দর হবে..
।
।
মাঃ এই বিষয়ে একটু ভাবতে হবে তবে এমন একটা লক্ষি মেয়ের যে ঘরে বিয়ে হবে তার স্বামীটা খুব ভাগ্য বান হবে...
।
।
তামান্নার বাবাঃ আচ্ছা সত্যি কী সেদিন সাঈদ তামান্নার সাথে জোর জোবস্তি করে ছিলো.... না সব কিছু জানি রহস্য মনে হচ্ছে ছেলেটাকে দেখে তো এমন মনে হচ্ছে না ( মনে মনে)
।
।
মাঃ আপনারা বসেন আমি সাঈদকে নিয়ে আসতেছি...
।
।
সাঈদঃ খাওয়া শেষ করে রুমে বসে ফ্রী ফাইয়ার খেলতে ছিলাম ততখনি মা আসলো ....
।
।
।
মাঃ সব সময় দেখি ফোনটা নিয়ে পড়ে থাকিস অল্প দিনে চোখ গুলো নষ্ট করে ফেলবি..
চল তোর ফুপুরা এসেছে ওদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়
।
।
।
আর হ্যা রে তোর ফুপুর মেয়ে তামান্নার কিন্তু তোকে খুব পছন্দ ওরা তোর সাথে তার বিয়ে দিতে চায়
।
।
সাঈদঃ তামান্না নামটা শুনার পর সেই বৃষ্টিতে ভেজা রাতের কথা মনে পড়ে গেলো..
।
।
মাঃ কী হলো চল নাকি এভাবে বসে থাকবি ..
।
।
সাঈদঃ হুম যাচ্ছি...
।
।
এর পর আম্মুর যেতেই
মেজাজটা বিগড়ে গেলো এরা এখানে কী করছি এরা তো মানুষ রুপে অমানুষ...
।
।
তবুও নিজের রাগকে কন্ট্রোল করলাম কথায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না আর...
।
।
তামান্নাঃ হাই আমি তামান্না তুমি..
।
।
সাঈদঃ মানুষ রুপী রক্ষস..
।
।
মাঃ তুই এভাবে কেন মেয়েটার সাথে কথা বলতেছিস..
।
।
তামান্নাঃ আন্টি সাঈদ মনে মজা করতেছে...
।
।
সাঈদঃ একটা বার সুযোগ পাই হারে হারে টের পাবেন আমি কী জিনিস...
।
।
তামান্নার বাবাঃ তামান্না আমার সাথে এদিকে আয় তো...
তামান্নাকে বাইরে নিয়ে এসে
।
তামান্না সত্যি করে বল ওই রাতে কী হয়েছিলো একটুও মিথ্যা বলার চেষ্টা করবি না..
।
।
তামান্নাঃ আমি বাবাকে খুব ভয় পাই তাই বলে দিলাম...
বাবা ওই রাতে সাঈদ কে যেনো তুমি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দাও তার জন্য মা আমাকে বলেছিলো আমি যেনো তোমায় বলি যে সে আমাকে রেপ করতে চেয়েছিলো ..
।
।
তামান্নার বাবাঃ সমস্ত শক্তি দিয়ে দিলাম গালে একটা ঠাসসস করে থাপড়...
।
ছি তোর লজ্জা করলো না এমন একটা ভদ্র ছেলেকে ধর্ষকের উপাধি দিতে আমি বড় ভুল করে ফেলেছি না জেনে মাথায় আঘাত করে ফেলেছি ...
।
।
সাঈদঃ মা আমি তামান্নার সাথে একটু আলাদা ভাবে কথা বলতে চাই...
।
।
তামান্নার মাঃ বাবা তুমি বসো আমি তামান্নাকে নিয়ে আসছি বলেই বাইরে এসে তামান্নাকে বললাম দেখ তামান্না এই ছেলেকে যেভাবে হোক ছলে বলে কৌশলে যদি তুই একবার বিয়ে করতে পারিস তাহলে এই সমস্ত সম্পতি তোর তার পর খাবারের সাথে বিষ মিশয়ে মেরে ফেলবি তার পর থেকে এই বিশাল বাড়িটা শুধুই তোর...
।
।
তামান্নাঃ আচ্ছা মা চেষ্টা করবো যদি মিথ্যা মায়াই ভাসাতে পারি...
।
।
তামান্নার মাঃ নিয়ে আসছি তামান্নাকে কী কথা বলার আছে বলো আমরা বাইরে যাচ্ছি...
।
।
তামান্নাঃ সবাই বাইরে যাওয়ার পর...
দেখো আমি যখন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম ততখনি ভালো বেসে ফেলেছিলাম বিশ্বাস করো তার জন্য আমি বাবাকে সে কথা বলেছিলাম যাতে বাবা মান সম্মান রক্ষাথে আমাদের বিয়েটা দিয়ে দিতো..
।
।
সাঈদঃ হা হা হা তোমাদের আবার মান সম্মান একটা কথা ভালো মতো কান খুলে শুনে নাও এই বাড়ি থেকে এখনি যদি বেড়িয়ে না যাও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দিবো..
।
।
।
আর হ্যা তোমার মতো চরিত্র হীন মেয়েকে আমি বিয়ে করবো এটা কল্পনাতেও ভাবিস না...
।
।
।
তামান্নাঃ উপমান করছো আমায়
।
।
সাঈদঃ হ্যা করছি এখনি বেড়িয়ে যাও এই বাড়ি থেকে আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি আর তাকেই বিয়ে করবো বলে চলে আসলাম...
।
।
।
তামান্নাঃ যাকেই ভালোবাসো না কেনো বিয়ে আমাকেই করতে হবে তার ব্যবস্থা করে রেখেছি ( মনে মনে)
।
।
।
এর পর জানি না কী হলো রাতে বাসায় এসে দেখি তারা আর নেই যাক শান্তি পেলাম...
।
।
।
সাঈদঃ আম্মু তুমি যদি আর কখনো তাদের এই বাসায় নিয়ে এসেছো তাহলে ওই দিনে হবে আমার এই বাড়িতে শেষ দিন
।
।
মাঃ সাঈদ কী হয়েছে তোর তাদের দেখার পর এমন কেন করছিস...
।
।
সাঈদঃ আম্মু সব কথা বলা যায় কিছু কথা বুঝে নিতে হয়...
।
।
বলেই দরজাটা লাগিয়ে শুয়ে পড়লাম..
।
।
এভাবে রাত ঘনিয়ে এলো স্বপ্নে শুধু সেই মেয়েটার মুখটা ভেসে আসছে আমি মনে তাকে ভালোবেসে ফেলেছি...
.
.
সারাটা রাত তার কথা ভেবে পার করে দিলাম সকাল বেলা তাদের বাসার উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লাম সেখানেই যেতেই যা দেখলাম তা দেখার অবস্থায় ছিলাম না মেয়েটার বাসা কে জানি ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে তাদের কোথাও দেখতে পাচ্ছি না
।
।
পাশ দিয়ে একটা বৃদ্ধ মহিলা যাচ্ছিলো
।
আমিঃ এই যে শুনুন এই বাড়িতে যারা থাকতে তারা কোথায়
।
।
মহিলটাঃ এই বাড়ির মালিক তাড়িয়ে দিয়েছে তার এই বাড়িটা কিনতে চেয়েছিলো কিন্তু সময় মতো টাকা দেয়নি বলে তাড়িয়ে দিয়েছে...
।
।
সাঈদঃ তারা কোথায় গেছে বলতে পারবেন
।
।
মহিলাটাঃ না আমি কীভাবে বলবো
.।
।
।
সাঈদঃ আমি কী করবো এখন কোথায় খুজবো তাদের কোথায় গেলো তারা
।
।
সারাটা দিন সারা শহরটা তাদের খুজলাম এমন কোথাও বাদ দিনি যেখানে তাদের খুজি নি হঠাৎ রাস্তার মাঝে প্রচুর জেম লেগে গেলো সবাই দাড়িয়ে কী জানি দেখছে গাড়ি থেকে নেমে আমিও দেখতে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম সেই ভদ্র মহিলাটা রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আর পাশে মেয়েটা বসে কাদছে আমি দৌড়ে গিয়ে মহিলাটার পাশে বসলাম..
।
।
সাঈদঃ কী হয়েছে আপনার কীভাবে হলো এসব....
।
।
মহিলাটাঃ বাবা তুমি এসেছো যাক এখন নিশচিন্তে মরতে পারবো বেচে থাকতে কখনো মেয়েটাকে সুখের রাখতে পারি নি
।
।
কথা দাও আমার মেয়েটার দেখবে তুমি
।
।
সাঈদঃ কথা দিলাম সব সময় যত্নে রাখবো
।
কথাটা বলার সাথে সাথে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন তিনি খুব কষ্ট হচ্ছে এনার জন্য আমি এখানে থেকেও কিছু করতে পারলাম
।
।
।
চলবে...
Nice story