#ক্ষেত_যখন_বড়লোকের_ছেলে
#পর্ব_৭
তারপর তার বান্ধবীরা এসে তাকে বলল যে,,,,,,,,,,
আজকে তার জন্মদিনে ফাহিম গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন এমডি ওমর ফারুক ফাহিম আসবে।।আর তিনি নাকি আমাদের ভার্সিটি থেকে আমাদের সাথেই পড়ালেখা করেছেন।।।
তারপর নিধি চিন্তায় পড়ে গেল।।কারণ –ভার্সিটি তে এতো বড়লোকের ছেলে কেউ ছিল না।
তাহলে সে আমাদের সাথে এবং একই ভার্সিটি থেকে।কিভাবে পাশ করল।।।তাও আমরা তাকে দেখি নি।।।
ও আপনাদের আরেকটা কথা বলা হয় নি।।
আমার ক্রাশের সাথেই আমার আমার বাবা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন।মানে নিধির সাথে।।।
কিন্তু নিধি তা জানে না।।আর তার বাবাও আমাকে দেখে নি কোনোদিন।।। তাহলে কিভাব নিধির সাথে আমার বিয়ে ঠিক হল বুঝতেছেন না তো।।
বুঝত্তে হলে সাথেই থাকুন।।।।
নিধি আমাকে তার বার্থডে পার্টিতে ইনভাইট করে নি।।আর সবাইকে করেছে।।আমিও দাওয়াত ছাড়া যাচ্ছি না।।কারণ -তার বাবা আমাদের সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে।।।তারপর বিকেলে বাবা আর সবাই চলে গেল আমি সন্ধ্যায় যাব।। আমার কিছু কাজ আছে তা শেষ করে।।তারপর আমি বাসা থেকে বের হয়ে বন্ধুদের কল দিলাম।।১৫ মিনিটের ভিতর সবাই ভার্সিটির সামনে হাজির হল।।তারপর সবাইকে সব কাজ বুঝিয়ে দিলাম।আর বললাম বাড়ির সবাইকে যেন বলে।যা হচ্ছে দেখে যেতে কোনো কথা যেন না বলে।(আমার বাড়ির সবাইকে।)
তারপর বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম নিধির বাসায় যাওয়ার জন্য।।আমার পড়নে নরমাল একটা পাঞ্জাবী আর পায়জামা আর কমদামী একজোড়া জুতা।।
তারপর নিধির বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়।।
গাড়ি নেই নি রিক্সা দিয়েই ওদের বাসায় পৌছালাম।।
গেটের দারোয়ান প্রথমে ডুকতে দেয় নি।।
কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়ার পর ভিতরে যেতে দিল।।(আসলে এখনকার মানুষ টাকার জন্য সব করতে পারে।নিজের পরিবারের ক্ষতি করতেও দুইবার ভাবে না)
তারপর ভিতরে প্রবেশ করলাম।।আমার বন্ধুরা তা দেখে আমার কাছে চলে এলো।।তারপর তাদের বললাম -বাবা-মাকে সব বুঝিয়ে বলেছিস নাকি।।
সিয়াম- হ্যা।।
ওদের সাথে কথা বলা শেষ করার সাথে সাথে কে যেন আমার হাত ধরে টান দেয় পিছনে ঘুরতেই ঠাস।(সবাই থমকে যায়।আপু কিছু বলতে চেয়েছিল,আমি ইশারায় তাকে বলতে মানা করি)নিধি আমার গালে চড় মারে আর বলতে থাকে।
ছোটলোক কোথাকার তকেএখানে কে ইনভাইট করেছে।।
আমি বললাম- কেউ না আজ তোমার জন্মদিন তাই তোমাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি। আর এটা তোমার জন্য। (একটা ঘড়ি এগিয়ে দিয়ে।।ঘরিটা দামি কিন্তু পেকিং সেভাবে করেছি যাতে দামি মনে না হয়)
তারপর নিধি বলল-ভিখারির মতো যখন এসেই পড়েছিস খাবার খেয়ে যাস।।।
আমি- সরি।। আমি এখানে খাবার খেতে আসি নি।।এসেছিলাম তোমাকে তোমার জন্মদিনের গিফট দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে।। জানানো হয়ে গেছে এখন আমার ফিরে যাওয়ার পালা।।
তারপর আমি সেখান থেকে চলে আসি।।
আমার সাথে আমার বন্ধুরাও চলে আসে।।
সেখান থেকে বের হয়ে আমি বাবাকে কল করে বললাম- যে নিধির বাবাকে বলতে যে এংগেজমেন্ট কালকে কমিওনিটি সেন্টারে হবে।বলে আমি কল কেটে দেই।।
তারপর আমি বন্ধুদের বললাম- তোরা চলে এসেছিস কেন।তোরা ইনজয় করতি।
তখন সিয়াম- বলল যেখানে তকে অপমান করে দিয়েছে সেখানে আমরা কি করে থাকি।।
আর এইসব করে তুই কি পাইতাছিস।।অপমান ছাড়া ত আর কিছু পাচ্ছিস না।
আমি বললাম- তোরা কি খাবি। আমার খুব খিধে লেগেছে।
তারপর সবাই মিলে একটা রেস্টুরেন্টে ডুকলাম।।সবাই মিলে অনেক কিছু খেলাম।।
এদিকে বাবা নিধির বাবাকে বললেন যে আমার কিছু গুরুত্বপুর্ণ কাজ থাকায় আমি যেতে পারব না।।
কাল কমিওনিটি সেন্টারে চলে আসতে।।
আপনাদের সাড়া পেলে নেক্সট পর্ব দিব নয়তো দিব না।।
সবাই নিয়মিত নামায আদায় করুন।।।
(বিঃদ্রঃ ভুলট্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন)
0
4
Written by
Hasan16
Hasan16
4 years ago
Written by
Hasan16
Hasan16
4 years ago
Nice story. But where is the previous part of this story? Where can I get those?