কিছুদিন পর আমি খুলনা চলে আসি জুলাই মাসে আর কোচিং ছেড়ে দেয়।প্রথম ধস নামে ১৬ ডিসেম্বরে,অনেক গেঞ্জাম হয়।কারণ আমার কোথাও চান্স হচ্ছিলো না।কিন্তু ইতিমধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেরিট এ চান্স হয়।সম্ভাবত,১৯/২০ ডিসেম্বর আমার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ছিলো।সঠিক মনে নেই।১৮/১৯ তারিখ কপোতাক্ষ ট্রেনে টিকিট করা ছিলো।আমরা ১৫-২০ জন ফ্রেন্ড মিলে যাচ্ছিলাম।আমাদের সেই বগিতে প্রায় সবাই এডমিশন দিতেই যাচ্ছিলো।তাকে ফোন দেয় আমি পায় না।অনেকবার দেওয়ার পর তার মা ফোন ধরে বলে আমি যেনো আর ফোন না দেয়।আমার মনে আছে,তার সাথে কথা বলার জন্য তার মাকে বলেছিলাম আমাকে ১মিনিট শুধু তার সাথে কথা বলতে দেন।আমার মনে আছে,ট্রেনে সারাটা রাস্তা আমি কাদতে কাদতে গেছিলাম।ট্রেনের এমন কোনো মানুষ ছিলো না যারা আমার কান্না দেখে নাই।সারা রাত না ঘুমায় নাই।সকালবেলা পরীক্ষার হলে ঢুকে ১০-১৫ মিনিট পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে গেছিলাম।খুলনার দিকে সেই দুপুর টাইমে কোন ট্রেন ছিলো না।আমি খুলনা এসেছিলাম ৪ বার বাস চেঞ্জ করে।আর বাড়িতে এসেছিলাম ঢাকার বাসে।।মোট ৫টা বাস চেঞ্জ করে।শুধু তাকে দেখবো বলে কারণ সে ভোর বেলায় কোচিং এ যাবে।
২৪-৩১ ডিসেম্বর সে তার বোনের বাসায় চলে যায়।আমি সে কয়দিন তার ভয়েস শুনার জন্য প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত তার বোনের বাড়ির সাইড দিয়ে যেতাম আর আসতাম।কারণ তার বোনের বাড়ি রোড এর সাথে ছিলো।প্রতিদিন ভোরবেলা রাস্তায় দাড়াতাম তাকে দেখার জন্য।আমি বাগেরহাট পিসি কলেজে অনার্স করার জন্য ভর্তি হলাম।আমাকে সাফ জানিয়ে দিলো আমি চান্স না পেলে আমার সাথে সে সম্পর্ক রাখবে না ১৫ জানুয়ারি তে।তখন শুধু হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ এডমিশন বাকি ছিলো।সেই বছর দেরিতেই এডমিশন হয়েছিলো।তাই এই এক জায়গায় বাকি ছিলো।মানে মাত্র একটা সুযোগ।শুরু হয়ে গেলো আবারো চ্যালেঞ্জ আমার জীবনে।কিন্তু কিছুই পড়তে পারতাম না।একটা অভ্যাস কি সহজেই বাদ দেওয়া যায়?
আগের পার্ট কেনো সবগুলো আমার জীবনের সাথে ঘটেছে
Apnar real life ar love story ta khub e chomotkar.