সম্পর্কটা ভালোই চলতেছিলো।১৭ আগষ্ট সারাদিন ক্যারেন্ট ছিলো না।কারণ, ঝড় হয়েছিলো।১৮ আগষ্ট তার বার্থডে ছিলো।কেক পাওয়া যায় না আমাদের গ্রামে।তো ছোট একটা কেক কিনলাম ছোট একটা বক্সে ভরলাম।তার আগের দিন খুলনা থেকে অভিজিৎ দাদার ব্যাচ থেকে আসার সময় নিউ মার্কেট থেকে একটা রিং কিনে এনেছিলাম। পড়াতে গিয়ে তাকে বললাম পেয়ারা খাবো।আমি পেয়ারা খেতে অনেক পছন্দ করি।তাই বললাম তুমি পেয়ারা কেটে ঝাল দিয়ে নিয়ে আসো।সে বের হয়ে গেলো।আমি সাথে সাথে তার টেবিলের নিচে টেপ দিয়ে এক পাশে কেক এর বক্স আর অন্য পাশে রিংটা টেপ দিয়ে আটকিয়ে রেখেছিলাম।তার বই এর ভেতরে কয়েক জায়গায় লিখলাম কিছু কথা।পরানো শেষ হলে বের হলাম।টিপ টিপ বৃষ্টি এর ভেতরে বাইক নিয়ে চলে গেলাম উপজেলাতে। Happy Birth day er short word HBD একটু বড় করে লিখে কালার পেজে কপি বের করে লেমিনেটিং করলাম ৮ কপি।সন্ধ্যার পর অনেক বৃষ্টি।রাত ঠিক ১২ঃ০০ টায় তাকে ফোন দিয়ে বললাম তুমি তোমার ইংলিশ বইয়ের ২৫৬ নং পেজে যাও।সেখানে লিখা ছিলো।৫৩৬ নং পেজে যাও।৫৩৬ নং পেজে লিখা ছিলো many many happy returns of the day.
তারপর তাকে বললাম তুমি তোমার টেবিলের নিচে বাম পাশে হাত দাও।সেখানে ছিলো কেক।তারপর তাকে ডান পাশে হাত দিতে বললাম।সেখানে ছিলো রিং।যাই হোক সে অনেক খুশি হলো।এবার সে ঘুমাতে গেলে।আমি রাত ১ঃ৩০ এর দিক বের হয়ে গেলাম প্লাকার্ড এর পিন নিয়ে।সে বাড়ি থেকে বের হয়ে কোচিং এ আসা পর্যন্ত প্রায় গাছে পিন দিয়ে কার্ডগুলো লাগিয়ে আসলাম।যাতে সবার চোখে পড়ে।কিন্তু সমস্যা হলো এই বৃষ্টির ভেতরে আমার এই গুলো লাগাতে গাছে উঠা লেগেছিলো,ক্যারেন্টের পিলারে উঠা লেগেছিলো।একবার কাদায় ডেবে গেছিলাম আর একবার খালের(ছোট নদী) ভিতরে পড়ে গেছিলাম।যায় হোক তাকে বলেছিলাম যে সকাল বেলা বের হলে যেনো সবদিক নজর দিয়ে হেটে যায়।
bah vaia...part ta onek darun clo...valo lglo...taratari next part diwen