সম্পর্কে জড়ানোর আগেই যদি তুমি ফিউচারে কি হবে তার হিসেব কষতে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে পড়ো, তাহলে তুমি কখনো কাউকে ভালবাসতে পারবেনা।
ভালবাসা হিসেব করে হয়না, ভালবাসা হুট করে হয়ে যায়। ক্যালকুলেটরের হিসাবে ব্যাবসা চলে ঠিকঠাক,কিন্তু ভালবাসা চলে মনের হিসাবে।
তোমার অনেক স্বপ্ন আছে, সেগুলো পূরন হওয়ার আগে তুমি সম্পর্কে জড়াতে চাওনা৷ ভালবাসা কোন মেশিন জাতীয় বস্তু নয় যে তুমি স্টেপ বায় স্টেপ বুঝে শুঝে আগাবে। ভালবাসা মন বুঝে হয়,সময় বুঝে নয়।
তুমি তোমার স্বপ্নগুলো পূরন হওয়ার পরে আমার হাতে হাত রাখতে চেয়েছো। আমি আমাদের স্বপ্নগুলো একসাথে হাতে হাত রেখে বাস্তবে রুপ দিতে চেয়েছি।আমাদের পার্থক্য এখানেই!!
ভালবাসা সবচেয়ে বেশি কই থাকে জানো? ভালবাসা সবচেয়ে বেশি থাকে প্রিয় মানুষটার মুখ গোমড়া করে বসে থাকা অভিমানের কারন জানতে পারাতে। কারন তুমি যাকে ভালবাসো,তার অভিমানের কারন তুমিই জানবে এবং সেটা শুধু তার মুখ দেখেই তার, কন্ঠস্বর শুনেই।
আমাদের সমাজে টাকার মিল দেখে সম্পর্ক হয়, বয়সের মিল দেখে সম্পর্ক হয়,আমাদের সমাজে শুধু মনের মিল দেখে সম্পর্ক হয়না!!
শরীরের বয়স নয়,মনের বয়সের মিল দেখেই সম্পর্কে জড়ানো উচিত।
ক্যালান্ডার দেখে বয়সের হিসেব ঠিকঠাক করা যায় কিন্তু ক্যালান্ডারের বয়স হিসেব করে ভালবাসা যায়না।➖ যে মানুষটার সাথে চব্বিশ ঘন্টার ভিতর ১৬-১৮ ঘন্টা কোন না কোন ভাবে যোগাযোগ হয় বা হতো, সেই মানুষটাকে ভুলে যাওয়া কি সত্যিই সম্ভব?
.
➖ যে মানুষটার কন্ঠ শুনে দিনের শুরু হতো, যে মানুষের কন্ঠ শুনে দিনটা শেষ হতো, সে মানুষটাকে কি ভুলে যাওয়া সত্যিই সম্ভব?
.
➖ হুট করে একদিন বলে দিলেন তোমার সাথে আমার আর আগের মত কথা বলা সম্ভব নয়, যোগাযোগ রাখা সম্ভব নয়। হয়তো কথা হবে মাঝে মাঝে বন্ধুর মত, তখন সে মানুষটার অবস্থা কি হবে তা কি ভেবে দেখেছেন?
.
➖ যোগ্যতা দিয়ে ভালোবাসা হয়না। তবে যোগ্যতার জন্য কেন ভালোবাসাটা হারিয়ে যাবে? ভালোবাসার আগে ভালোবাসি বলার আগেতো ভাবেননি সে আপনার যোগ্য কিনা। তবে শেষে কেন যোগ্যতার জন্য তাকে দূরে সরিয়ে দিবেন?
.
➖ ভালোবাসার মানুষ যোগ্য করে তৈরি করে নেয়া যায়, যদি সত্যিই ভালোবেসে থাকেন।
শত বাঁধায় যদি ভালোবাসার মানুষটার পাশে দাঁড়াতে না পারেন। সারা জীবন যদি ভালোবাসি বলতে বা শোনতে না পারেন। তবে ক্ষনিকের জন্য কাউকে ভালোবাসার স্বপ্ন দেখিয়ে তার জীবনটা ধ্বংস করে দিবেন না।
.
➖ মনে রাখবেন সে হয়তো আপনাকে অভিশাপ দিবে না। তবে সে যতটা কষ্ট করে নিঃশ্বাস নিয়ে তা দীর্ঘশ্বাস হিসেবে ছাড়বে তাই আপনাকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট্য।
আপনি হয়তো জানেন না আপনার সাথে যখন কথা হয় তখন যদি প্রশ্ন করেন কেমন আছো?
.
➖ সে মানুষটা ভালো আছি নামক মিথ্যা কথাটা বলার জন্য কতবড় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে তার ওজন কতটা বেশী আজ অথবা কাল তা আপনি ঠিকই বুঝতে পারবেন।
ভালোবাসাটা যোগ্যতা দিয়ে পাবেন না, ভালোবাসার জন্য প্রয়োজন আস্থা আর বিশ্বাস। যে মানুষটা আপনাকে দিনের পর দিন বিশ্বাস করে যাবে আপনি এক সময় তাকে ঠকিয়ে কোন দিনও সুখে থাকতে পারবেন না।
.
➖ দিন যাবে, মাস যাবে, হয়তো বছর ও যাবে একদিন কাউকে ভালো আছি বলতে আপনাকেও মিথ্যার আশ্রয় নিতেই হবে।
.
➖ সেই মানুষটা ১৬-১৮ ঘন্টা আপনার সাথে যোগাযোগ করার পর ৬-৮ ঘন্টা সময় রিলাক্সে ঘুমাতো। সেই মানুষ এখন সেই ৬-৮ ঘন্টা সময় নিজের সাথে পুরো পৃথিবীর সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার জন্য। একটু ঘুমানোর জন্য একটু নিঃশ্বাস নেবার জন্য। সেই মানুষটার আপনাকে অভিশাপ দিতে হবে না। তার প্রতিফোটা চোখের পানিই আপনার জীবনে অভিশাপ হয়ে আসবে আজ হোক আর কাল হোক।
.
➖ ভালোবাসাটা খেলনা বানিয়ে খেলে যেতে পারবেন, মনটাকে ভেঙে চূরমার করে দিতে পারবেন, আর তার অভিশাপটা নিবেন না তা তো হতে পারে না।
মনে রাখবেন যেমন কর্ম করবেন ঠিক তেমনই ফল পাবেন।
.
➖ তাই কাউকে ভালোবাসি বলার আগে হাজার বার ভাবুন জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ভালোবাসি বলতে পারবেন কিনা। যদি না পারেন ক্ষণিকের মোহে তার জীবনটা ধ্বংস করে দিবেন না। তার সাজানো সুখের স্বপ্ন গুলো ভেঙে দিবেন না। সে হয়তো আজ সবাইকে লুকিয়ে কাঁদবে।
.
➖ কিন্তু আপনি সবার সামনে প্রকাশ্য চিৎকার করে কাঁদবেন তবুও আপনার প্রায়চিৎ হবে না। কেউ আসবে না আপনার চোখের পানি মুছে দেবার জন্য সে সময়।
ভালোবাসলে ভালোবাসার মত বাসুন ছেড়ে যাবার জন্য নয়!ফেসবুকে মেয়েদের বর্তমান অবস্থা<
.
-আইডি খুলেই প্রথমে পুতুলের
ছবি দিবে! সাদা আর লাল পুতুল
এই ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার শীর্ষে!
এসব ছবিতেও কেউ কেউ কমেন্ট
করবে "Eta ki tumi? very
nice!'', 'Awesome!' Cute!
- পুতুল এর ছবি অনেকদিন
ঝোলার পর তাদের মনে হবে
'পুতুল এর চেয়ে তো মানুষ সুন্দর!'
.
এরপর তারা নায়িকাদের
ছবি দিবে বা অন্যের আইডি থেকে
ছবি ডাউনলোড করে নিজের
আইডিতে অন্যের ছবি দিবে ।
সেখানেও একদল লোক হুমড়ি
খেয়ে কমেন্ট করবে "Nice,Cute!"
মেয়েটা রিপ্লাই দিবে "Tnx all!"
-অন্যের ছবি দেওয়ার পালা শেষ!
এবার নিজের ছবি দেওয়ার পালা!
.
মেয়েটা এরপর নিজের দুই
চোখের ছবি, চুলের ছবি, কানের
দুল পড়া ছবি, অন্য দিকে তাকিয়ে
থাকা ছবি আপলোড করবে!
-এরপর আবার তাদের ইচ্ছার
পরিবর্তন ঘটবে! এবার 'স্যাড'
টাইপের ছবি আপলোড করে
স্যাড ক্যাপশন দিবে, সেখানে
সহমর্মিতা দেখানো লোকের
অভাব পড়বে না!
.
-হুট করে মেয়েটার শখ হবে
নিজের ছবি আপলোড করার!
এরপর সে 'কাহিনী' করবে!
বান্ধুবীদের সাথে গ্রুপ ছবি
আপলোড করবে! কমেন্টবক্সের
সবচেয়ে কমন কমেন্ট হবে "Tumi
konta?" "Nice All!"
- বহু কাহিনী, ছবি,নাটক,
শর্টফিল্ম! এরপর মেয়েটা
ফাইনালি নিজের ছবি আপলোড
করবে উইথ ফুল চেহেরা! সে ছবিটা
হবে কারো বিয়েতে তোলা ছবি বা
কোন অনুষ্ঠানে তোলা! কমেন্ট
বক্সে প্রশংসার বৃষ্টি, প্রশংসার বৃষ্টি,
প্রশংসার বৃষ্টি...... ঠাডা
পড়তে থাকবে! মেয়েটা রিপ্লাই
দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে যাবে!
.
-মেয়েটা নিয়মিত ছবি আপলোড
করতে থাকবে, এরপর সে
নায়িকার পাট নিবে, নায়কদের
সাথে কথা ঘুরাফেরা শুরু করবে,
পার্কে বসে বাদাম চাবাবে, ফুচকা খাবে,
অতঃপর অপু বিশ্বাসের মত🔥
অবস্থা হবে বাচ্চা পাবে, কিন্তু বাচ্চার👍
বাবা বুবলির সাথে লাইন মারবে 🔪ব্রেকআপের দীর্ঘ ৩ বছর পর তাদের দেখা।😥😥😥
এক মিনিট সময় নিয়ে পড়বেন 😋😋😋😋
ছেলে:কেমন আছ?🙂
মেয়ে:আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। তুমি?😍
ছেলে:এইত আছি,ভালোই।🥰
মেয়ে:তোমার গার্ল ফ্রেন্ডের কি খবর?🥰
ছেলে:মুচকি হেসে,ভালো।তোমার বয়ফ্রেন্ডের কি খবর?🥰🥰
মেয়ে:আমার মত গার্ল ফ্রেন্ড যার আছে সে কি খারাপ থাকতে পারে?? আমি তো খারাপ থাকতে দিবই না।🙂🙂
ছেলে:আমাকে আগে যেরকম কেয়ার করতে সেরকম কেয়ার কর?😊
মেয়ে:হুম।তার থেকেও অনেক বেশী।🙂🙂
ছেলে:আগে তো ওষুধ খেতে ভুলে যেতে রোজ।এখন খাও ঠিকমত??😥😥
মেয়ে:হুম।ঐ প্রতিদিন নিয়ম করে মনে করিয়ে দেয়।😊
ছেলে:ও!ভালোই আছ তাহলে😞😞
মেয়ে:হুম....অনেক ভালো আছি।কেন??তোমার গার্লফ্রেন্ড তোমার কেয়ার করে না???তুমি তো খাওয়া দাওয়ার খুব অনিয়ম করতে।এখন করো ঠিকমত?🙃🙃
ছেলে:হুম ও আমার খুব কেয়ার করে।একটিবার ফোন রিসিভ করতে দেরী হলে কান্নাকাটি শুরু করে।আর খাওয়া দাওয়া???ও তো রোজ নিজে হাতে আমার পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে এসে আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়।😍😍
মেয়ে:ও আচ্ছা।তুমিও তো অনেক ভালো আছ তাইলে....😊
ছেলে:হুম.....অনেক ভালো আছি।🥰🥰
মনে মনে দুইজনই বললো, "বিশ্বাস করো আমি সত্যি ভালো নেই।😥😥
আজও তোমাকে খুব ভালোবাসি।তোমার সাথে কাটানো মূহুর্তগুলো এখনো খুব মিস করি।😥
তুমি ভাবলে কিভাবে তোমার জায়গায় আমি অন্য কাউকে এত সহজে বসাব?😥😥
তোমার সাথে ব্রেকআপের পর রাগ করে বলেছিলাম নতুন কাউকে খুঁজে পেয়েছি।😥
।
সেদিনও আমায় ভুল বুঝেছিলে আর আজও।যাকগে তুমি ভালো আছ এটাই আমার অনের বড় পাওয়া।"🥰🥰
কিন্তু তাদের এই কথাগুলো কেউই জানতে পারলো না।দুইজনেই ভাবলো আমাকে ছাড়া তো ও বেশ আছে।😊থাকুক না।🙂🙂
আমি আর ওর সুখের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়াই।দুইজনে আবারো বুকের মধ্যে ঝড় তুলে নিয়েই দুটি পথে পা বাড়ালো।😥😥
আবারো অভিমানের আড়ালে চাপা পড়ে গেলো প্রকৃত ভালোবাসা।🥰🥰
আচ্ছা ভালোবাসার চাইতে কি অভিমানটাই বেশী বড়??😞
আমরা কি পারি না ইগোটাকে বড় করে না দেখে ভালোবাসার মানুষটিকে কাছে টেনে নিতে??🥰
তাই আমি আর দেরি না করে ওদের সামনে চলে গেলাম...
তারপর হঠাৎ করেই বিথি যে কাজটি করলো, তা দেখে আমি একদম আবুল হয়ে গেলাম..
হঠাৎ করেই ও দৌরে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো...
তারপর আমি ওকে ছারাতে চেষ্টা করলাম...
কিন্তু ও আমাকে আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরলো...
হঠাৎ করেই কেউ কেউ একজন বলে উঠলো..
কি হিরো আমাদের কেও একটু দাও, তুমিতো আর এই রকম একটা কচি মাল একা খেতে পারবে না..(এই বলেই সবাই হেসে উঠলো)
তাই আমি আর আমার রাগটাকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না..
বিথিকে আমার থেকে সরিয়ে সোজা তাদের সামনে চলে এলাম..
তাদেরকে কোনো কথা বলার সুজক না দিয়েই আমি তাদের মুখে খুব জোরে জোরে আঘাত করা সুরু করলান...
তারপর যখন হাত দিয়ে তাদের সাথে পেরে উঠছিলাম না, তখন আমার প্যান্ট এর বেল্ট খুলে তাদের মারা শুরু করলাম...
এক পর্যায়ে তারা তিনজন মেজেতে লুটিয়ে পরলো...
তারপর আমি তাদের মারা বাত দিলাম..( আসলে তারা ড্রিংস করেছিল, যার কারণে আমার সাথে পেরে উঠে নি)
তারপর বিথির দিকে তাকিয়ে দেখি সে ভয়ের কারণে কাঁপতেছে...
আর যে ভাবে ওদের মেরেছি তাতে কাপারি কথা...
তারপর আমি ওর কাছে গেয়ি আমার কোট টা ওর দিকে এগিয়ে দিলাম...
কিন্তু ও তখন যা বলল তা শুনে আমাট মাথায় আরও রাগ চরে বসলো...
বিথিঃ লাগবে না, তুমি পড়ে নাও..
তখন....
আমিঃ লাগবে না মানে...
তারাতারি পরে নাও..( অনেকটা জোরে এবং ধমকের শুরে বললাম)
তারপর বিথি আমার হাত থেকে কোর্ট টা নিয়ে গায়ে দিলো...( আমার ধমকে ভয় পেয়েছে বধহয়)
অতপরঃ আমি ওকে ওর হাত ধরে যখনি নিয়ে আসতে যাবো, ও দেখি তখন আমার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে...
আমি সে দিকে কোনো কর্ণপাত না করে, ওর হাত ধরে হাটতে লাগলাম...
তারপর ও হঠাৎই বলে উঠলো..
বিথিঃ একি, তোমার হাত দিয়ে তো রক্ত ঝোরছে..
তারপর লক্ষ করে দেখি হাতের অনেকটা অংশ কেটে গেছে...( তবে আমি একটা বিষয় নিয়ে খুব অবাক হচ্ছি, কারণ ও আমাকে সেই প্রথম থেকেই তুমি বলে যাচ্ছে)
তারপর আমি একটু ভাব নিয়ে বললাম..
ওটায় কিছু হবে না..
বিথিঃ কিছু হবে না মানে, হাত দিয়ে অঝোর ধারায় রক্ত পরছে আর বলছো কিছু হবে না?..(অনেকটা রাগি গলায়)
তখন...
আমিঃ আচ্ছা আমার কি হয় হক তাতে আপনার কি হু??
বিথিঃ কি বললি তুই, আমার কি মানে? তুই তো আমার জন্যই আঘাত পেলি.?
আমিঃ এটা তো সামান্য, ভিতরে যে আঘাতটা পেয়েছি, সেটা কি মুছে দিতে পারবে?..(বির বির করে বলে যাচ্ছি)
বিথিঃ কিছু বললে??
আমিঃ কই না তো..
এভাবেই কথা বলতে বলতে হাঠতে ছিলাম...
কিন্তু হঠাৎ করেই আমার হাতের দিকে চোখ গেলো..
তাকিয়ে দেখি বিথি আমার ক্ষও স্থানে ওর হাত চেপে ধরে আছে...
তখন আমি শুধু ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি...
ঠিক তখনই ও আমার দিকে জিজ্ঞাসুর দৃষ্টিততে তাকিয়ে বলল..
বিথিঃ কি হুম? এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
আমিঃ নাহ, কিছু না এমনি..
এভাবেই আমাদের মধ্যে টুকি টাকি কথা হচ্ছিলো...
এর মধ্যে আমরা কথা বলতে বলতে বাসায় চলে আসলাম...(আসলে প্রিয়ো মানুষ এর সাথে থাকলে কোন দিক দিয়ে সময় চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না)
তারপর আাসায় আসার পর আঙ্কেল, আন্টির একের পর এক প্রশ্ন শুরু করে দিলো..
কোথায় ছিলি, কি করছিলি, এতো রাত হলো কেনো ইত্যাদি ইত্যাদি...
তারপর সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সব কিছু খুলে বললাম আঙ্কেল আর আন্টিকে...
অতপরঃ সব কিছু শুনে তারা আমাদের রুমে গিয়ে রেষ্ট নিতে বলল...
তারপর আমি সোজা আমার রুমে চলে আসলাম...
আর বিথি ওর রুমে চলে গেলো...
তাই আমিও আর এই ড্রেস পরে না থেকে তারাতারি করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম, তারপর ড্রেস পরিবর্তন করে বিছানায় গাটা এলিয়ে দিলাম.....
তার একটু পরেই....
কে যেনো আমার রুম এর সামনে এসে বললো, আসতে পারি?
তাকিয়ে দেখি বিথি দারিয়ে আছে..
আমিঃ আরে, আসুন আসুন..
আপনাদের বারি, আপনাদের ঘর যখন ইচ্ছা হবে আসবেন..
এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে?
বিথিঃ হুহ..(মুখ ভেসকি কেটে)
দেখি তোমার হাতটা দাও তো..
আমিঃ কেনো??(অবাক হয়ে)
তারপর ওর দিকে লক্ষ করে দেখি ওর হাতে ফাস্ট এইড+...
বিথিঃ দিতে বলছি দাও, হাতে মলম লাগিয়ে দি, আর তুমি এতো কথা বলো কেনো হুম??...(চোখ রাঙ্গিয়ে বলল)
আমিঃ না না লাগবে না..
এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে..
বিথিঃ ওই তুই হাতটা দিবি কি না??..(অনেকটা রাগি কন্ঠে)
আমিঃ আচ্ছা দিচ্ছি দিচ্ছি... (অনেকটা ভয় পেয়ে)
তারপর বিথি আমার হাতে অনেক ভালো ভাবে আস্তে আস্তে ড্রেসিং করে মলম লাগিয়ে দিলো...(আর এই সমায় টুকু আমি শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম)
তারপর ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার পর বিথি বলল...
বিথিঃ আই অ্যাম সরি রাজ...
এতো দিন তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য আমি অনেক দুঃখিত, প্লিজ আমাকে মাপ করে দিয়ো...(অনেকটা করুন স্বরে বলল)
আমি তো ওর কথা শুনে মনে হয় আকাশ থেকে পরলাম, কেনানা যার ভিতরে শুধু অহংকার দিয়ে ভরা, আর সে আমার কাছেই ক্ষমা চাচ্ছে..(এই সব কথা ভাবছিলাম আর ওর দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে ছিলাম)
বিথিঃ কি হলো কোনো কথা বলছো না যে?
আমিঃ না না এমনি, ও কিছু না..
বিথিঃ ও আচ্ছা, এবার বলো আমাকে ক্ষমা করেছো তো?
আমিঃ কি যে বলেন না!!
আমি আসলে আগের কোনো কথাই মনে রাখি নি...
আর আপনি যা কিছু বলেছেন তা তো সবিই সত্যি...
এতে আবার আমি কি মনে করবো??
বিথিঃ এই যে এবার কিন্তু ভালো হচ্ছেনা বলে দিলাম...
আমি তো বললাম আমি আগের করা ব্যবহার এর জন্য সত্যি সরি..
প্লিজ আমাকে মাপ করে দাও...(ঢং করে আল্লাদির স্বরে বলল)
আমিঃ আচ্ছা আচ্ছা মাপ করে দিয়েছি..
আর ঢং করতে হবে না...
বিথিঃ আচ্ছা তাহলে আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড..(ওর হাতটা বারিয়ে দিয়ে)
আমিঃ কিহহ??(অবাক হয়ে)
বিথিঃ হ্যা, এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে?
আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড (আমার হাত চেপে ধরে বলল)
তাই আমিও আর কিছু বললাম না..
এরপর বিথি আমার রুম থেকে চলে গেলো...
তাই আমি একটু বিছানায় শুয়ে পরলাম...
তার একটু পরেই আন্টি ডিনার করার জন্য ডাকা ডাকি শুরু করলো...
তাই বাদ্য হয়েই নিচে চলে এলাম....
তারপর আন্টি খাবার বেরে দিলো...
ঠিক তখনি ঘটলো বিপত্তি..
আমার হাত কেটে যাওয়ার জন্য খেতে পারছিলাম না..
তা দেখে আন্টি বলল..
কিরে খেতে কষ্ট হচ্ছে..
আমিঃ হুম...(অবুজ শিশুর মতো করে )
আন্টিঃ থাক তোকে আর কষ্ট করে খেতে হবে না...
বিথি ফারহান কে খায়িয়ে দে তো...
তখন....
বিথিঃ কিহহ??? আমি খায়িয়ে দিবো?...(অবাক হয়ে
.....
Love ti read this Artical