মজার ২টি গল্প
রতনের ছেলেগুলোর নামও ছিল আজব। পঁচা, বাসি, গন্ধ আর ময়লা। একবার রতনের বন্ধু বেড়াতে এলো বাড়িতে। গ্রামে আসতে তার বন্ধুকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তাই বন্ধুর অনেক ক্ষুধা লাগলো এবং তাড়াতাড়ি খাবার চাইল। রতন : একটু সময় দে, পোলাও কোরমা রান্না করি। বন্ধু : আরে ওসব লাগবে না, যা আছে তাই দে। রতন : পঁচা, ভাত আন। বাসি, তরকারী আন।
ভাব ভালো না দেখে বন্ধু বললো- বন্ধু : থাক দোস্ত, আমি খাব না। রতন : এতো কষ্ট করে এসেছো। তোমাকে কি না খাইয়ে ছাড়বো? গন্ধ, ডাল আন। আর ময়লা, পানি আন।
বন্ধু পা ধরে মাফ চেয়ে দিল এক দৌড়।
টাকমাথার মেয়ের সাথে প্রেম
ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখে এক মহিলার ধারণা হলো যে, তার স্বামী নিশ্চয়ই পরকীয়া করেন। তাই ১ম দিন স্বামী বাড়ি ফিরলে তার শার্টে একটা লম্বা চুল খুঁজে পেয়ে বললেন- স্ত্রী : তুমি কোনো মেয়ের সাথে প্রেম করছ? স্বামী : কি উল্টাপাল্টা বলছ এইসব? স্ত্রী : কেন, এই লম্বা চুলটাই তো তার প্রমাণ। স্বামী : শোনো- এটা তো তোমারও চুল হতে পারে তাই না?
মহিলা আপাতত সেদিন অফ গেলেন। ২য় দিন স্বামী বাড়ি ফেরার সময় জামা ভালোভাবে ঝেড়ে ঘরে ঢুকলেন তবুও তার স্ত্রী একটা চুল খুঁজে পেলেন। চুলের সাইজ দেখে স্ত্রী কেঁদে বললেন- স্ত্রী : তুমি বব-কাট মেয়েদের সাথে প্রেম করছ? স্বামী : আরে! এটা তো আমার চুলও হতে পারে নাকি?
মহিলা সেদিনও অফ গেলেন। ৩য়দিন স্বামী খুব সর্তক তাই স্ত্রী অনেক খুঁজেও কোনো চুল পেল না। কিন্তু শুরু করল কান্নাকাটি। স্বামী : আজকে আবার কি হলো? কাঁদছ কেন? স্ত্রী : ছি ছি, তুমি শেষপর্যন্ত টাকমাথার মেয়ের সাথে প্রেম শুরু করছ?
আমি মেকাপ করিনি তো তাই
এক মেয়ে চাকরি করবে বলে একটি অফিসে গেলো- ম্যানেজার : আপনার ওজন ৪২ কেজি। আমরা ৪০ কেজির উপরে কাউকে চাকরি দেই না। আপনার চাকরি হবে না। মেয়ে : আচ্ছা, আমি কাল আবার আসবো।
পরদিন সকালে মেয়েটা আবার ওই অফিসে এলো- ম্যানেজার : একি আজ আবার এসেছেন? বলেছি না আপনার চাকরি হবে না! মেয়ে : আজ ওজনটা আরেকবার মাপুন না! ম্যানেজার : ঠিক আছে। মেশিনের ওপর দাঁড়ান দেখি। মেয়ে : জ্বি, দাঁড়ালাম। ম্যানেজার : একি আজ আপনার ওজন ২ কেজি কম। আজব ব্যাপার! মেয়ে : ইয়ে মানে স্যার, আজ আমি মেকাপ করিনি তো তাই!
গল্পটা আপনি আগে শোনেননি তো
বিখ্যাত মঞ্চাভিনেতা হেনরি আরভিং একবার মার্ক টোয়েনকে একটা গল্প বলছিলেন। গল্পের ভূমিকাটা বলেই আরভিং মার্ক টোয়েনের কাছে জানতে চাইলেন, ‘গল্পটা আপনি আগে শোনেননি তো?’ টোয়েন : না, শুনিনি।
গল্পের মাঝামাঝি গিয়ে আরভিং আবার বললেন, ‘গল্পটা আপনি আগে শোনেননি তো?’ মার্ক টোয়েন এবারও জানালেন, তিনি শোনেননি।
গল্পের শেষ দিকে গিয়ে আরভিং আবার একই প্রশ্ন করলে মার্ক টোয়েন রেগে গিয়ে বললেন, ‘দেখুন, আমি একবার মিথ্যে বলতে পারি, ভদ্রতা করে দু’বারও বলতে পারি, কিন্তু তিনবার পারি না। গল্পটা আমারই।
টমাস এডিসন হিসাবি মানুষ
টমাস এডিসন ছিলেন খুবই হিসাবি মানুষ। সব কাজেই তিনি কিছু না কিছু প্রাপ্তির চিন্তা করতেন। তাঁর একটি গ্রীষ্মকালীন অবকাশ যাপনের বাড়ি ছিল, যেটাতে তিনি অদ্ভুত সব প্রযুক্তির খেলা দেখিয়েছিলেন।
একদিন এক দর্শনার্থীকে তিনি বাড়িটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। আধুনিক সব যন্ত্রপাতিতে ভরা বাড়ির এক জায়গায় দেখা গেল একটি পুরনো আমলের ভারি দরজা। ওটা ঘুরিয়ে পাশের ঘরে যেতে হয়।
ওটা দেখে দর্শনার্থী খুবই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সবকিছু এত আধুনিক হওয়া সত্ত্বেও এই দরজাটি এত পুরনো আর ভারি কেন?’ এডিসন তখন হেসে জবাব দিলেন, ‘এটা রাখা হয়েছে দু’টো কারণে। পুরোনো বলে সবাই এর প্রতি কৌতূহলী হয়ে ওঠে। তখন সে কষ্ট করে হলেও ভারি দরজাটি ঘোরায়। আর ওটা একবার ঘোরালে আমার বাড়ির ছাদের ট্যাংকিতে আট গ্যালনের মতো পানি ওঠে। এটি বানানোর পর থেকে ছাদে পানি ওঠানো নিয়ে আমাকে আর ভাবতে হয় না।’
নারীর ইচ্ছা পূরণ
একদিন এক বিবাহিত নারী হাঁটতে হাঁটতে ফাঁদে আটকানো এক ব্যাঙকে দেখে উদ্ধার করল। ব্যাঙ খুশী হয়ে নারীকে তিনটা ইচ্ছা প্রকাশ করতে বলল, যা সে পূরণ করবে। কিন্তু শর্ত হলো নারীর পূরণকৃত ইচ্ছার চেয়ে ৫ গুণ স্বামীকে প্রদান করা হবে।
নারী তার ১ম ইচ্ছার কথা বলল- নারী : আমি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হতে চাই। ব্যাঙ : চিন্তা করে দেখ, তোমার স্বামী কিন্তু তোমার ৫ গুণ সুন্দর হবে। নারী : সে আমার স্বামী, আমি তাকে সুন্দর দেখতে চাই। ব্যাঙ নারীর স্বামীর প্রতি প্রেম দেখে খুশী হয়ে ১ম ইচ্ছা পূরণ করলো।
নারী তার ২য় ইচ্ছার কথা বলল- নারী : আমি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মহিলা হতে চাই। ব্যাঙ : চিন্তা করে দেখ, তোমার স্বামী কিন্তু তোমার ৫ গুণ ধনী হবে। নারী : সে আমার স্বামী, তার সম্পদ আমার, আমার সম্পদ তার। ব্যাঙ খুশী হয়ে তার ২য় ইচ্ছা পূরণ করলো।
নারী তার ৩য় ইচ্ছার কথা বলল- নারী : আমি চাই আমার মাঝারী ধরনের হার্ট অ্যাটাক হোক। ব্যাঙ : চিন্তা করে দেখ, তোমার স্বামী কিন্তু মারা যাবে। নারী : তা নিয়ে চিন্তা নাই, আরেকটা পাবো।
তোমার চুলাটা নিশ্চয়ই খুবই দামি
একজন বিখ্যাত বাবুর্চির বাসায় দাওয়াতে এসেছেন তাঁর বেশ কিছু বন্ধু-বান্ধব। যাদের মধ্যে একজন আলোকচিত্রীও আছেন। অতিথি আপ্যায়নের ফাঁকে বাবুর্চির দেখা হয়ে গেল তার আলোকচিত্রী বন্ধুর সঙ্গে- বাবুর্চি : আরে, বন্ধু! কতদিন পর দেখা হলো তোমার সঙ্গে! তোমার তোলা ছবি আমি দেখেছি। সব ক’টি ছবিই চমৎকার। তোমার ক্যামেরাটা নিশ্চয়ই খুব ভালো আর দামি?
উত্তরে কিছুই বললেন না আলোকচিত্রী। তবে বিদায়ের সময় আলোকচিত্রী বলছেন- আলোকচিত্রী : বাহ! দারুণ খাওয়া-দাওয়া হলো বন্ধু! রান্না বেশ ভালো ছিল! তোমার চুলাটা নিশ্চয়ই খুবই ভালো আর দামি!
Nice story dear friend.