মেট্রিওস্কা ব্রেন; এলিয়েনরা কী পোস্ট বায়োলজিক্যাল?
𝚃𝚑𝚎 𝚜𝚎𝚌𝚛𝚎𝚝 𝚘𝚏 𝚝𝚑𝚎 𝚊𝚕𝚒𝚎𝚗 𝙲𝚘𝚗𝚜𝚌𝚒𝚘𝚞𝚜𝚗𝚎𝚜𝚜.
আমরা যদি হিউম্যান সিভিলাইজেশনকে বিশ্লেষণ করি তবে আমরা এটা জানতে পারি যে তারা তিনটি বিশেষ কারণে বুদ্ধিমান।প্রথমত তাদের হাতের আঙুল যার মাধ্যমে তারা এক্সট্রারনাল জগতের বিভিন্ন অবজেক্টটে তাদের নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী নাড়াতে পারে, মানুষের যদি এই প্রতিরোধী আঙুলগুলি না থাকতো তবে রেডিও, টেলিভিশন অথবা কম্পিউটার কোনোকিছুই আবিষ্কার করা সম্ভব হতোনা।এক কথায় বলতে গেলে আমাদের সমগ্র সিভিলাইলাইজেশন স্যাপিয়েনদের বৃদ্ধাঙ্গুলের উপর দাড়িয়ে আছে।দ্বিতীয়ত মানুষের রয়েছে Stereo Eye অথবা 3D Eye of Hunter!তৃতীয়ত আমাদের রয়েছে ভাষা, যার মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে জ্ঞান,সংস্কৃতি এবং আমাদের প্রজ্ঞাকে এক্সপ্রেস করতে পারি, ডলপিন ভাইব্রেশনের মাধ্যমে কথা বলে, শব্দহীন মিউজিক।ডলপিন ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো প্রাণীর মাঝে ইন্টেলেকচুয়াল ভাষার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।ভাষা না থাকলে রেডিও, টেলিভিশন এবং কম্পিউটারে কোনো সাউন্ড থাকতোনা।ফিজিক্স,ম্যাথমেটিক্স অথবা ফিল্ম কোন কিছুই অস্তিত্বশীল হতোনা!আমরা আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের তথ্য একে অপরের সাথে প্রকাশ করতে পারতাম না,আমাদের জেনারেশনের জন্যে আমরা কোনো ইনফরমেশন রেখে যেতে পারতাম না।ভাষা ছাড়া হয়তোবা ফেসবুক,ইউটিউব কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই অস্তিত্বশীল হতোনা।মিচিও কাকু তার Future of the mind গ্রন্থে মানুষের বুদ্ধিমত্তার চিহ্ন হিসেবে এ তিনটি ক্রাইটেরিয়া দেখিছেন।আমরা বেড়াল বা কুকুরের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার চিহ্ন দেখিনা।তারা কমপ্লেক্স ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝতে পারেনা।
এলিয়েনদের মধ্যে এ তিনটি ক্রাইটেরিয়া সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে থাকতে পারে।যেমনঃ তাদের আঙুলের বদৌলে থাবা থাকতে পারে!কীটপতঙ্গদের মতো তাদের অজস্র চোখ থাকতে পারে যে চোখগুলির এক একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সীতে সংবেদনশীল!তারা সাউন্ডের বদৌলে ভাইব্রেশনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে কমিউনিকেশন করতে পারে!তাদের জগতে কোন সাউন্ড থাকবেনা, এমনকি তাদের কম্পিউটার এবং টেলিভিশন হবে নিশ্চুপ ও নিস্তব্দ!কিন্তু প্রশ্ন হলো এমন কোন সিভিলাইজেশন কী আছে যারা Post Biological, তারা শুধুমাত্র দেহহীন এক একটি মন?Arizona State University এর বিজ্ঞানী, যিনি পোস্ট বায়োলজিক্যাল এলিয়েন নিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় গবেষণা করছেন তিনি বলেন, যে সভ্যতা আমাদের চেয়ে হজার হাজার বছর এগিয়ে তাদের মূল্যায়ন করার জন্যে আমাদের চিন্তাকে আরো সম্প্রসারিত করা উচিত।মিসিও কাকু নিজেও বলেন, এক্সট্রা টেরিস্টিয়াল কোনো সম্প্রদায় প্রকৃতিগত ভাবে Post Biological হবে,কারণ আমাদের দেহ আমাদের ইন্টিলিজেন্টের বিবর্তনের নশ্বর একটি দিক, এবং দেহ খুব শীঘ্রই ফুরিয়ে যায়।
এলিয়েনরা যদি আমাদের থেকে উন্নত হয় তবে তারা তাদের বায়োলজিক্যাল বডিকে পরিত্যাগ করেছে এবং অধিক নমনীয় কম্পিউটেশনাল বডি ধারণ করেছে।ড.ডেভিস বলেন, এমন একটি প্লানেটের কথা চিন্তা করা কঠিন নয় যার সম্পূর্ণটাই কম্পিউটারের single integrated processing system.…দ্বারা আবৃত।Ray Bradbury এ অসাধারণ এন্টিটির নাম রেখেছেন মেট্রিওস্কা ব্রেন(‘Matrioshka brains’)।তাদের কনসাসনেস Self of Sense হারিয়েছে এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে তৈরি World Wide Web of Minds এর ভেতর তারা সম্পূর্ণ ডুবে গেছে।ড.ডেভিস বলেন,“A powerful
computer network with no sense of self would have an enormous advantage over human intelligence because it could redesign ‘itself,’ fearlessly make changes, merge with whole systems, and grow. ‘Feeling personal’ about it would be a distinct impediment to progress.”
তার মতে একটি শক্তিশালী কম্পিউটার সিষ্টেম যার কোন Sense of Self নেই সে নিজেই নিজেকে রি-ডিজাইন করতে পারে!
তারা খুবই মসৃন ও নমনীয় জীবন যাপন করে, কম্পিউটারের ভেতর ঐ এলিয়েনদের নিজস্ব কোন আইডেন্টিটি নেই তারা Collective Consciousness হয়ে সার্ভাইব করে!
যদিও এ আইডিয়াটি শুনতে খুবই বিভৎস কিন্তু এটা সত্য যে তারা মৌমাছির মতো তাদের ব্যাক্তিসত্ত্বা হারিয়েছে, এবং সবাই মিলে একটি মৌচাক তৈরি করেছে, গ্লোবাল মাইন্ড।তিনি বলেন যদিও এটা অপরিহার্য নয় কিন্তু তবুও সেই সিভিলাইজেশনের জন্যে এটাই কার্যকরী প্রদক্ষেপ!
এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, কেনো আমাদের থেকে হাজার হাজার বছর এগিয়ে থাকা এলিয়েনরা কম্পিউটারের ভেতর Post Biological State এ সার্ভাইব করবে?কেনো এটা তাদের জন্যে কার্যকরী! এর উত্তর হলো Evolutionary Shortcut! Law of Conservation অনুসারে আমাদের ব্রেন ইভোল্যুশনালি অপেক্ষাকৃত কম সময় ও শক্তি অপচয় করে অধিক কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায়, এটা আমাদের মস্তিষ্কের জেনেটিক্যাল হার্ডওয়্যার!এক্ষেত্রে আমরা আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ডের উদাহরণ দিতে পারি।আমাদের ব্রেন প্রতি সেকেন্ডে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ইনফরমেশন প্রসেস করছে কিন্তু আমাদের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স সেটা আমাদের জানায়না, সে আমাদেরকে মাত্র ৪৬ বিট ইনফরমেশন প্রদান করে, যেটি একটি বিশেষ মুহূর্তে আমাদের জন্যে কার্যকরী।কারণ আমরা যদি ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বিট ইনফরমেশন সম্পর্কে একত্রে সচেতন হতে যাই অথবা আমাদের মস্তিষ্ক যদি তার Whole Network সম্পর্কে সচেতন হয় তবে তার ট্রিলিয়ন ক্যালরি শক্তি প্রয়োজন হবে এবং প্রয়োজন হবে অবারিত সময় যে সময় ও শক্তি মস্তিষ্কের পক্ষে Cover করা কয়েক জেনারেশনেও সম্ভব নয়, আর তাই Law of Conservation আমাদের কাছে আমাদের মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ প্রসেসটাকে Hide করার জন্যে Selection Pressure তৈরি করে, যে Selection Pressure থেকে আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ড তৈরি হয়।এ সিলেকশ প্রেসার আমাদের ব্রেনকে আমাদের মস্তিষ্কের দশ বিলিয়ন সেলের ভেতরের জটিল ইন্টারেকশন সম্পর্কে Unconscious রাখে।আর এভাবেই আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে তিনটি মন তৈরি হয়ঃকনসাস,সাব-কনসাস এবং আনকনসাস!মূলত আনকনসাস মাইন্ড বলতে কোনো মনের অস্তিত্ব নেই।সাব-কনসাস মাইন্ডের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ইনফরমেশনকে এনার্জি ও টাইম সংরক্ষণের সিলেকশন প্রেসার থেকে যখন প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স Reject করে তখন সে তথ্য সম্পর্কে আমাদের Ignorance তৈরি হয় আর এটাকেই Unconscious Mind বলা হয়!(মানব মনের শ্রেণীবিভাগ নিয়ে এটি আমার তৈরি একটি মডেল)
অতএব দেখা যাচ্ছে আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ড কোনো নিউরোলজিকাল ফ্যাক্টর নয়, এর সাথে ফিজিক্স এবং সিলেকশন প্রেসার জড়িত যা আমাদের ব্রেনকে জেনেটিক্যালি বিপুল পরিমাণ অপ্রোয়জনীয় ইনফরমেশন
সম্পর্কে Unconscious বা অজ্ঞান থাকতে ফোর্স করে!যেমন-আমরা আমাদের অতীতের সকল মেমরি মনে রাখিনা আমরা শুধু ততটুকু ইনফরমেশন মনে রাখি যেটা আমাদের ইমোশনালি চার্য করে, আমাদের মেমরির উপরেও আমরা এনার্জি কনজারভেশনের সুত্র প্রয়োগ করতে পারি,আমাদের মেমরির Huge Storage সম্পর্কে আমরা অজ্ঞান, যে তথ্যগুলি আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ডের অনেক গভীরে লুকিয়ে থাকে!
আমরা UV রশ্নি সহ,আলোর মিলিয়ন ফ্রিকোয়েন্সীকে Read করতে পারিনা ইভোল্যুশনাল সিলেকশন প্রাসারের কারণেই, যেনো আমরা একটি বিশেষ মুহূর্তে সঠিক এনভায়রনমেন্টে কার্যকরী প্রদক্ষেপ নিতে পারি।তারমানে আমরা বুঝতে পারছি Evolution জটিলতা পছন্দ করেনা, সে সময় ও শক্তির ব্যাপারে খুব কৃপণ!আমরা কমপ্লেক্সিটির কারণে যেমন আমাদের সাব-কনসাস ইনফরমেশন সম্পর্কে আনকনসাস থাকি ঠিক তেমনি আমরা আমাদের সময় ও শক্তিকে রক্ষা করার জন্যে মহাবিশ্বের ফিজিক্স ও ম্যাথ সম্পর্কেও Unconscious থাকি যেনো আমরা আমাদের প্রজনন ও বংশবিস্তারের মতো ইমার্জেন্সি দিক গুলিতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী প্রদক্ষেপ নিতে পারি।রিচার্ড ডকিন্স তার God Delusion গ্রন্থে লিখেছেন,আমরা মহাবিশ্বের ফিজিক্যাল স্ট্যান্স বুঝতে চাইনা, একটি কম্পিউটার কোন প্রকৃয়ায় তৈরি হয়েছে সেটি আমাদের জন্যে জানা গুরুত্বপূর্ণ নয় আমাদের জন্যে কম্পিউটার গেমটাই গুরুত্বপূর্ণ।ঠিক তেমনি আমাদের ব্রেন কোন প্রকৃয়ায় চিন্তা করে সহযাতভাবে সেটা আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ নয়,গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের ব্রেন কাজ করতে পারছে কী না, নয়তো নষ্ট হয়ে যাওয়া কম্পিউটারের মতোই মস্তিষ্কের ট্রিটমেন্ট করা হয়!পৃথিবীর ৯৯ ভাগ মানুষ তার মস্তিষ্ক ও মহাবিশ্বের ফিজিক্স সম্পর্কে অজ্ঞান থাকতে পছন্দ করে কারণ তাদের টিকে থাকা ও বংশরক্ষার জন্যে মস্তিষ্কের সঠিকভাবে কাজ করাটাই(benefit) জরুরি তার প্রকৃয়া বোঝা জরুরী নয়।ঠিক এ কারণে Evolution আমাদের ব্রেনকে জেনেটিক্যালি ফিজিক্যাল স্টান্সের ভিত্তিতে মহাবিশ্বকে বোঝার জটিলতা থেকে দূরে থাকতে ফোর্স করে আর আমরা মহাবিশ্বের সহয ও সরল একটি ব্যাখ্যা দাড় করাই!আর মহাবিশ্বের উদ্ভবের পেছনে সবচেয়ে সিম্পল এক্সপ্লেইনেশন হলো
এটি ঈশ্বরের তৈরি!এটাই Evolutionary Shortcuts!
হয়তো এলিয়েনরা ভয়ানক কিছু স্পেস ট্রাভেলের পর বুঝতে পেরেছিলো আমাদের বায়োলজিক্যাল বডিটাই আমাদের জন্যে সবচেয়ে বড় জটিলতা, স্পেস ট্রাভেলে এটি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা, মহাজাগতিক কোন ক্ষতিকর রশ্নি বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ এটিকে মুহূর্তে এদিক ওদিক করে দেয়, গ্রেভিটেশনাল ফোর্সের তারতম্যে দেহ ভয়াভহ ক্ষতির সম্মুখীন হয় অতএব সে এডভান্স সোসাইটির জন্যে সে মুহূর্তে কার্যকরী প্রদক্ষেপ হলো অহেতুক সময় ও শক্তি অপচয় না করে নশ্বর ও জটিল এই জৈবিক শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া..!
আমরা যখন শুয়ে থাকি তখন আমাদের এনার্জি কম খরচ হয়, আমরা তখন Lower Energy State এ থাকি, বসলে Higher Energy state তৈরি হয় আর আমরা কষ্ট পাই, আবার উঠে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে আরো বেশি কষ্ট পাই কারণ এটিও Higher Energy State!তার মানে এ সিম্পল এক্সপেরিমেন্ট থেকে আমরা বুঝতে পারি আমাদের ব্রেন জেনেটিক্যালি Lower Energy State পছন্দ করে, যেটাতে এনার্জি ও টাইমের অপচয় কম সেটাতেই আমরা Survive করতে চাই!মনে করুন,সেই এলিয়েন সভ্যতা যেহেতু আমাদের থেকে হাজার হাজার বছর এগিয়ে তারা প্রযুক্তিগতভাবে এতটাই উন্নত ছিলো যে তাদের কাছে ক্ষুদা,তৃষ্ণা,রোগ শোকে পরিপূর্ণ বায়োলনিক্যাল বডিকে জটিল এবং বাইপ্রোডাক্ট মনে হতে শুরু করলো এবং তারা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ভেতর Post Biological State এ একটি ইউনাইটেড কনসাসনেস হয়ে সার্ভাইভ করতে শুরু করে, যেখানে তাদের কোন আইডেন্টিটি নেই, কারো সাথে কারো প্রতিযোগিতা নেই, কারণ সে নেটওয়ার্ক গ্লোবালি একটি ইউনাইটেড সেল্ফ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়!
আমরা দেখছি প্রতিবছর আমাদের প্রযুক্তি আপডেট হচ্ছে, প্রযুক্তি উন্নয়নের মূল কারণ সময় ও শক্তির অপচয় রোধ করা, EEG সেন্সরের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মানব মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সাহায্যে ইন্টারনেটের সাথে Connect করার চেষ্টা করছে, যার মাধ্যমে আমরা যা চিন্তা করবো তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে।ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ইতমধ্যে দুটি বানরের মস্তিষ্ককে টেলিপ্যাথিক্যালি কানেক্ট করতে পেরেছে শুধু তাই নয় তারা এ প্রযুক্তির হিউম্যান ট্রায়ালও করেছে!Power Source এর সাথে কম্পিউটারের মাধ্যমে ব্রেনকে কানেক্ট করে টেলিক্যানিকালি রকেট,বিমান তথা এক্সট্রারনাল জগতকে পরিচালনা করার জন্যে বিজ্ঞানীরা MRI, ন্যানোচিপ এবং ন্যানোবোট ইত্যাদি ডেভেলাপ করার চেষ্টা করছে!বিশেষ করে Environment এর মধ্যে ন্যানোচিপ ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের ব্রেনকে তারা Universe এর সাথে Connect করার চেষ্টা করছে কারণ Whole Universe কে যদি আমরা Mentally Controll করতে পারি তবে আমাদের সময় ও শক্তির অপচয় কম হবে, আমরা Lower Energy state এ যেতে পারবো, যেটা আমাদের জন্যে কার্যকরী!
ড.ডেভিসের মতে, এলিয়েনরাও তাদের বায়োলজিক্যাল বডি ত্যাগ করে নিজেরাই স্বয়ং কম্পিউটার মাইন্ড হয়ে গেছে,তাদের সমস্ত প্লানেটই একটি ইন্টেগ্রেটেট প্রসেসিং সিষ্টেম, যে কম্পিউটারগুলিকে পরিচালনা করে রোবট ও শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট!তার মতে সে সকল এলিয়েন সম্প্রদায় কখনোই আমাদের সাথে কমিউনিকেশন করবেনা,কারণ তারা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ভেতর মিলিয়ন মিলিয়ন লেয়ারের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তৈরি করেছে যেটি বাস্তব জগত থেকে আরো অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং।তার মতে আমাদের বর্তমান ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হয়তোবা তাদের তুলনায় এখনো শিশুকালে রয়েছে!তার মতে, এটি আমাদের নিরুৎসাহিত করে কিন্তু তবুও এটি আমাদের সতর্ক করছে এই বলে যে আমরা মানব সভ্যতাও হয়তোবা Perfect Virtual Reality!
(সম্পূর্ণ গ্রন্থটির অনলাইন ভার্সন অল্পকিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে)
মেট্রিওস্কা ব্রেন; এলিয়েনরা কী পোস্ট বায়োলজিক্যাল? 𝚃𝚑𝚎 𝚜𝚎𝚌𝚛𝚎𝚝 𝚘𝚏 𝚝𝚑𝚎 𝚊𝚕𝚒𝚎𝚗 𝙲𝚘𝚗𝚜𝚌𝚒𝚘𝚞𝚜𝚗𝚎𝚜𝚜.
আমরা যদি হিউম্যান সিভিলাইজেশনকে বিশ্লেষণ করি তবে আমরা এটা জানতে পারি যে তারা তিনটি বিশেষ কারণে বুদ্ধিমান।প্রথমত তাদের হাতের আঙুল যার মাধ্যমে তারা এক্সট্রারনাল জগতের বিভিন্ন অবজেক্টটে তাদের নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী নাড়াতে পারে, মানুষের যদি এই প্রতিরোধী আঙুলগুলি না থাকতো তবে রেডিও, টেলিভিশন অথবা কম্পিউটার কোনোকিছুই আবিষ্কার করা সম্ভব হতোনা।এক কথায় বলতে গেলে আমাদের সমগ্র সিভিলাইলাইজেশন স্যাপিয়েনদের বৃদ্ধাঙ্গুলের উপর দাড়িয়ে আছে।দ্বিতীয়ত মানুষের রয়েছে Stereo Eye অথবা 3D Eye of Hunter!তৃতীয়ত আমাদের রয়েছে ভাষা, যার মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে জ্ঞান,সংস্কৃতি এবং আমাদের প্রজ্ঞাকে এক্সপ্রেস করতে পারি, ডলপিন ভাইব্রেশনের মাধ্যমে কথা বলে, শব্দহীন মিউজিক।ডলপিন ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো প্রাণীর মাঝে ইন্টেলেকচুয়াল ভাষার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।ভাষা না থাকলে রেডিও, টেলিভিশন এবং কম্পিউটারে কোনো সাউন্ড থাকতোনা।ফিজিক্স,ম্যাথমেটিক্স অথবা ফিল্ম কোন কিছুই অস্তিত্বশীল হতোনা!আমরা আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের তথ্য একে অপরের সাথে প্রকাশ করতে পারতাম না,আমাদের জেনারেশনের জন্যে আমরা কোনো ইনফরমেশন রেখে যেতে পারতাম না।ভাষা ছাড়া হয়তোবা ফেসবুক,ইউটিউব কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই অস্তিত্বশীল হতোনা।মিচিও কাকু তার Future of the mind গ্রন্থে মানুষের বুদ্ধিমত্তার চিহ্ন হিসেবে এ তিনটি ক্রাইটেরিয়া দেখিছেন।আমরা বেড়াল বা কুকুরের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার চিহ্ন দেখিনা।তারা কমপ্লেক্স ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝতে পারেনা।
এলিয়েনদের মধ্যে এ তিনটি ক্রাইটেরিয়া সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে থাকতে পারে।যেমনঃ তাদের আঙুলের বদৌলে থাবা থাকতে পারে!কীটপতঙ্গদের মতো তাদের অজস্র চোখ থাকতে পারে যে চোখগুলির এক একটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্রিকোয়েন্সীতে সংবেদনশীল!তারা সাউন্ডের বদৌলে ভাইব্রেশনের মাধ্যমে একে অপরের সাথে কমিউনিকেশন করতে পারে!তাদের জগতে কোন সাউন্ড থাকবেনা, এমনকি তাদের কম্পিউটার এবং টেলিভিশন হবে নিশ্চুপ ও নিস্তব্দ!কিন্তু প্রশ্ন হলো এমন কোন সিভিলাইজেশন কী আছে যারা Post Biological, তারা শুধুমাত্র দেহহীন এক একটি মন?Arizona State University এর বিজ্ঞানী, যিনি পোস্ট বায়োলজিক্যাল এলিয়েন নিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় গবেষণা করছেন তিনি বলেন, যে সভ্যতা আমাদের চেয়ে হজার হাজার বছর এগিয়ে তাদের মূল্যায়ন করার জন্যে আমাদের চিন্তাকে আরো সম্প্রসারিত করা উচিত।মিসিও কাকু নিজেও বলেন, এক্সট্রা টেরিস্টিয়াল কোনো সম্প্রদায় প্রকৃতিগত ভাবে Post Biological হবে,কারণ আমাদের দেহ আমাদের ইন্টিলিজেন্টের বিবর্তনের নশ্বর একটি দিক, এবং দেহ খুব শীঘ্রই ফুরিয়ে যায়।
এলিয়েনরা যদি আমাদের থেকে উন্নত হয় তবে তারা তাদের বায়োলজিক্যাল বডিকে পরিত্যাগ করেছে এবং অধিক নমনীয় কম্পিউটেশনাল বডি ধারণ করেছে।ড.ডেভিস বলেন, এমন একটি প্লানেটের কথা চিন্তা করা কঠিন নয় যার সম্পূর্ণটাই কম্পিউটারের single integrated processing system.…দ্বারা আবৃত।Ray Bradbury এ অসাধারণ এন্টিটির নাম রেখেছেন মেট্রিওস্কা ব্রেন(‘Matrioshka brains’)।তাদের কনসাসনেস Self of Sense হারিয়েছে এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক থেকে তৈরি World Wide Web of Minds এর ভেতর তারা সম্পূর্ণ ডুবে গেছে।ড.ডেভিস বলেন,“A powerful computer network with no sense of self would have an enormous advantage over human intelligence because it could redesign ‘itself,’ fearlessly make changes, merge with whole systems, and grow. ‘Feeling personal’ about it would be a distinct impediment to progress.”
তার মতে একটি শক্তিশালী কম্পিউটার সিষ্টেম যার কোন Sense of Self নেই সে নিজেই নিজেকে রি-ডিজাইন করতে পারে! তারা খুবই মসৃন ও নমনীয় জীবন যাপন করে, কম্পিউটারের ভেতর ঐ এলিয়েনদের নিজস্ব কোন আইডেন্টিটি নেই তারা Collective Consciousness হয়ে সার্ভাইব করে!
যদিও এ আইডিয়াটি শুনতে খুবই বিভৎস কিন্তু এটা সত্য যে তারা মৌমাছির মতো তাদের ব্যাক্তিসত্ত্বা হারিয়েছে, এবং সবাই মিলে একটি মৌচাক তৈরি করেছে, গ্লোবাল মাইন্ড।তিনি বলেন যদিও এটা অপরিহার্য নয় কিন্তু তবুও সেই সিভিলাইজেশনের জন্যে এটাই কার্যকরী প্রদক্ষেপ!
এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, কেনো আমাদের থেকে হাজার হাজার বছর এগিয়ে থাকা এলিয়েনরা কম্পিউটারের ভেতর Post Biological State এ সার্ভাইব করবে?কেনো এটা তাদের জন্যে কার্যকরী! এর উত্তর হলো Evolutionary Shortcut! Law of Conservation অনুসারে আমাদের ব্রেন ইভোল্যুশনালি অপেক্ষাকৃত কম সময় ও শক্তি অপচয় করে অধিক কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায়, এটা আমাদের মস্তিষ্কের জেনেটিক্যাল হার্ডওয়্যার!এক্ষেত্রে আমরা আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ডের উদাহরণ দিতে পারি।আমাদের ব্রেন প্রতি সেকেন্ডে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ইনফরমেশন প্রসেস করছে কিন্তু আমাদের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স সেটা আমাদের জানায়না, সে আমাদেরকে মাত্র ৪৬ বিট ইনফরমেশন প্রদান করে, যেটি একটি বিশেষ মুহূর্তে আমাদের জন্যে কার্যকরী।কারণ আমরা যদি ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বিট ইনফরমেশন সম্পর্কে একত্রে সচেতন হতে যাই অথবা আমাদের মস্তিষ্ক যদি তার Whole Network সম্পর্কে সচেতন হয় তবে তার ট্রিলিয়ন ক্যালরি শক্তি প্রয়োজন হবে এবং প্রয়োজন হবে অবারিত সময় যে সময় ও শক্তি মস্তিষ্কের পক্ষে Cover করা কয়েক জেনারেশনেও সম্ভব নয়, আর তাই Law of Conservation আমাদের কাছে আমাদের মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ প্রসেসটাকে Hide করার জন্যে Selection Pressure তৈরি করে, যে Selection Pressure থেকে আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ড তৈরি হয়।এ সিলেকশ প্রেসার আমাদের ব্রেনকে আমাদের মস্তিষ্কের দশ বিলিয়ন সেলের ভেতরের জটিল ইন্টারেকশন সম্পর্কে Unconscious রাখে।আর এভাবেই আমাদের মস্তিষ্কের মধ্যে তিনটি মন তৈরি হয়ঃকনসাস,সাব-কনসাস এবং আনকনসাস!মূলত আনকনসাস মাইন্ড বলতে কোনো মনের অস্তিত্ব নেই।সাব-কনসাস মাইন্ডের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ইনফরমেশনকে এনার্জি ও টাইম সংরক্ষণের সিলেকশন প্রেসার থেকে যখন প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স Reject করে তখন সে তথ্য সম্পর্কে আমাদের Ignorance তৈরি হয় আর এটাকেই Unconscious Mind বলা হয়!(মানব মনের শ্রেণীবিভাগ নিয়ে এটি আমার তৈরি একটি মডেল)
অতএব দেখা যাচ্ছে আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ড কোনো নিউরোলজিকাল ফ্যাক্টর নয়, এর সাথে ফিজিক্স এবং সিলেকশন প্রেসার জড়িত যা আমাদের ব্রেনকে জেনেটিক্যালি বিপুল পরিমাণ অপ্রোয়জনীয় ইনফরমেশন সম্পর্কে Unconscious বা অজ্ঞান থাকতে ফোর্স করে!যেমন-আমরা আমাদের অতীতের সকল মেমরি মনে রাখিনা আমরা শুধু ততটুকু ইনফরমেশন মনে রাখি যেটা আমাদের ইমোশনালি চার্য করে, আমাদের মেমরির উপরেও আমরা এনার্জি কনজারভেশনের সুত্র প্রয়োগ করতে পারি,আমাদের মেমরির Huge Storage সম্পর্কে আমরা অজ্ঞান, যে তথ্যগুলি আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ডের অনেক গভীরে লুকিয়ে থাকে!
আমরা UV রশ্নি সহ,আলোর মিলিয়ন ফ্রিকোয়েন্সীকে Read করতে পারিনা ইভোল্যুশনাল সিলেকশন প্রাসারের কারণেই, যেনো আমরা একটি বিশেষ মুহূর্তে সঠিক এনভায়রনমেন্টে কার্যকরী প্রদক্ষেপ নিতে পারি।তারমানে আমরা বুঝতে পারছি Evolution জটিলতা পছন্দ করেনা, সে সময় ও শক্তির ব্যাপারে খুব কৃপণ!আমরা কমপ্লেক্সিটির কারণে যেমন আমাদের সাব-কনসাস ইনফরমেশন সম্পর্কে আনকনসাস থাকি ঠিক তেমনি আমরা আমাদের সময় ও শক্তিকে রক্ষা করার জন্যে মহাবিশ্বের ফিজিক্স ও ম্যাথ সম্পর্কেও Unconscious থাকি যেনো আমরা আমাদের প্রজনন ও বংশবিস্তারের মতো ইমার্জেন্সি দিক গুলিতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরী প্রদক্ষেপ নিতে পারি।রিচার্ড ডকিন্স তার God Delusion গ্রন্থে লিখেছেন,আমরা মহাবিশ্বের ফিজিক্যাল স্ট্যান্স বুঝতে চাইনা, একটি কম্পিউটার কোন প্রকৃয়ায় তৈরি হয়েছে সেটি আমাদের জন্যে জানা গুরুত্বপূর্ণ নয় আমাদের জন্যে কম্পিউটার গেমটাই গুরুত্বপূর্ণ।ঠিক তেমনি আমাদের ব্রেন কোন প্রকৃয়ায় চিন্তা করে সহযাতভাবে সেটা আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ নয়,গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের ব্রেন কাজ করতে পারছে কী না, নয়তো নষ্ট হয়ে যাওয়া কম্পিউটারের মতোই মস্তিষ্কের ট্রিটমেন্ট করা হয়!পৃথিবীর ৯৯ ভাগ মানুষ তার মস্তিষ্ক ও মহাবিশ্বের ফিজিক্স সম্পর্কে অজ্ঞান থাকতে পছন্দ করে কারণ তাদের টিকে থাকা ও বংশরক্ষার জন্যে মস্তিষ্কের সঠিকভাবে কাজ করাটাই(benefit) জরুরি তার প্রকৃয়া বোঝা জরুরী নয়।ঠিক এ কারণে Evolution আমাদের ব্রেনকে জেনেটিক্যালি ফিজিক্যাল স্টান্সের ভিত্তিতে মহাবিশ্বকে বোঝার জটিলতা থেকে দূরে থাকতে ফোর্স করে আর আমরা মহাবিশ্বের সহয ও সরল একটি ব্যাখ্যা দাড় করাই!আর মহাবিশ্বের উদ্ভবের পেছনে সবচেয়ে সিম্পল এক্সপ্লেইনেশন হলো এটি ঈশ্বরের তৈরি!এটাই Evolutionary Shortcuts!
হয়তো এলিয়েনরা ভয়ানক কিছু স্পেস ট্রাভেলের পর বুঝতে পেরেছিলো আমাদের বায়োলজিক্যাল বডিটাই আমাদের জন্যে সবচেয়ে বড় জটিলতা, স্পেস ট্রাভেলে এটি সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা, মহাজাগতিক কোন ক্ষতিকর রশ্নি বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ এটিকে মুহূর্তে এদিক ওদিক করে দেয়, গ্রেভিটেশনাল ফোর্সের তারতম্যে দেহ ভয়াভহ ক্ষতির সম্মুখীন হয় অতএব সে এডভান্স সোসাইটির জন্যে সে মুহূর্তে কার্যকরী প্রদক্ষেপ হলো অহেতুক সময় ও শক্তি অপচয় না করে নশ্বর ও জটিল এই জৈবিক শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া..!
আমরা যখন শুয়ে থাকি তখন আমাদের এনার্জি কম খরচ হয়, আমরা তখন Lower Energy State এ থাকি, বসলে Higher Energy state তৈরি হয় আর আমরা কষ্ট পাই, আবার উঠে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে আরো বেশি কষ্ট পাই কারণ এটিও Higher Energy State!তার মানে এ সিম্পল এক্সপেরিমেন্ট থেকে আমরা বুঝতে পারি আমাদের ব্রেন জেনেটিক্যালি Lower Energy State পছন্দ করে, যেটাতে এনার্জি ও টাইমের অপচয় কম সেটাতেই আমরা Survive করতে চাই!মনে করুন,সেই এলিয়েন সভ্যতা যেহেতু আমাদের থেকে হাজার হাজার বছর এগিয়ে তারা প্রযুক্তিগতভাবে এতটাই উন্নত ছিলো যে তাদের কাছে ক্ষুদা,তৃষ্ণা,রোগ শোকে পরিপূর্ণ বায়োলনিক্যাল বডিকে জটিল এবং বাইপ্রোডাক্ট মনে হতে শুরু করলো এবং তারা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ভেতর Post Biological State এ একটি ইউনাইটেড কনসাসনেস হয়ে সার্ভাইভ করতে শুরু করে, যেখানে তাদের কোন আইডেন্টিটি নেই, কারো সাথে কারো প্রতিযোগিতা নেই, কারণ সে নেটওয়ার্ক গ্লোবালি একটি ইউনাইটেড সেল্ফ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়!
আমরা দেখছি প্রতিবছর আমাদের প্রযুক্তি আপডেট হচ্ছে, প্রযুক্তি উন্নয়নের মূল কারণ সময় ও শক্তির অপচয় রোধ করা, EEG সেন্সরের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা মানব মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সাহায্যে ইন্টারনেটের সাথে Connect করার চেষ্টা করছে, যার মাধ্যমে আমরা যা চিন্তা করবো তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে।ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ইতমধ্যে দুটি বানরের মস্তিষ্ককে টেলিপ্যাথিক্যালি কানেক্ট করতে পেরেছে শুধু তাই নয় তারা এ প্রযুক্তির হিউম্যান ট্রায়ালও করেছে!Power Source এর সাথে কম্পিউটারের মাধ্যমে ব্রেনকে কানেক্ট করে টেলিক্যানিকালি রকেট,বিমান তথা এক্সট্রারনাল জগতকে পরিচালনা করার জন্যে বিজ্ঞানীরা MRI, ন্যানোচিপ এবং ন্যানোবোট ইত্যাদি ডেভেলাপ করার চেষ্টা করছে!বিশেষ করে Environment এর মধ্যে ন্যানোচিপ ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের ব্রেনকে তারা Universe এর সাথে Connect করার চেষ্টা করছে কারণ Whole Universe কে যদি আমরা Mentally Controll করতে পারি তবে আমাদের সময় ও শক্তির অপচয় কম হবে, আমরা Lower Energy state এ যেতে পারবো, যেটা আমাদের জন্যে কার্যকরী!
ড.ডেভিসের মতে, এলিয়েনরাও তাদের বায়োলজিক্যাল বডি ত্যাগ করে নিজেরাই স্বয়ং কম্পিউটার মাইন্ড হয়ে গেছে,তাদের সমস্ত প্লানেটই একটি ইন্টেগ্রেটেট প্রসেসিং সিষ্টেম, যে কম্পিউটারগুলিকে পরিচালনা করে রোবট ও শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্ট!তার মতে সে সকল এলিয়েন সম্প্রদায় কখনোই আমাদের সাথে কমিউনিকেশন করবেনা,কারণ তারা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ভেতর মিলিয়ন মিলিয়ন লেয়ারের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তৈরি করেছে যেটি বাস্তব জগত থেকে আরো অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং।তার মতে আমাদের বর্তমান ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হয়তোবা তাদের তুলনায় এখনো শিশুকালে রয়েছে!তার মতে, এটি আমাদের নিরুৎসাহিত করে কিন্তু তবুও এটি আমাদের সতর্ক করছে এই বলে যে আমরা মানব সভ্যতাও হয়তোবা Perfect Virtual Reality!
(সম্পূর্ণ গ্রন্থটির অনলাইন ভার্সন অল্পকিছুদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে)