মনে করুন আপনি পৃথিবীর কক্ষপথে ভাসছেন। যেমনটা ঘটে থাকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) নভোচারীদের জীবনে।
আর আপনার হাতে আছে একটি রেমিংটন ৭০০ রাইফেল। তাতে ভরা আছে একটা ৩০০ উইনচেস্টার ম্যাগনাম গুলি।
গুলি করলেন আপনি। কোনো শব্দ হলো না। কারণ মহাকাশে শব্দ তরঙ্গ ছড়াবার মতো কোনো মাধ্যম নেই।
আপনার কপাল ভালো থাকলে গুলি চলে যাবে বহুদূর। পৃথিবীতে এই বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়লে বাতাসের ঘষা আর মধ্যাকর্ষণের ফলে গুলিটা ১৩০০ মিটারের চাইতে দূরে যাবে না। মহাকাশে ঘষা খাবার জন্য তেমন কিছু নেই, স্পেস ম্যাটার বা মহাকাশ পদার্থের ঘনত্ব দশ বর্গমিটারে একটি হাইড্রোজেন অনুর চেয়ে বেশি নয়।
কপাল যদি আরো ভালো হয় তবে গুলিটি নিউটনের প্রথম সূত্র মতে চলতেই থাকবে, কোনো গ্রহ উপগ্রহের মধ্যাকর্ষণের টান এড়িয়ে। যেহেতু আপনার গুলিটি সেকেন্ডে ১০০০ মিটার গতিতে ছুটছে আর বিশ্বজগৎ মেগাপার্সেকে প্রায় ৭৩ কিলোমিটার গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে (হাবলস ধ্রুবক) তাই পরের ৪০ হাজার বছর গুলিটি ছুটতে পারবে নিশ্চিন্তে।
কপাল খারাপ থাকলে গুলিটা পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের আওতায় চলে আসবে এবং সাময়িকভাবে পরিণত হবে দ্রুতগতির একটি উপগ্রহে। কপাল যদি জেনুইনভাবে ফাটা হয় তবে সেই ছোট্ট উপগ্রহটি সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আপনার পিঠেই আঘাত হানতে পারে।
আর আপনার কি হবে? নিউটনের তৃতীয় সূত্র মতে সমান ভরবেগে বিপরীত দিকে ছুটতে থাকবেন আপনি। কপাল ভালো থাকলে আপনি ছুটে যাবেন মহাকাশের দিকে। অক্সজেন ফুরনো পর্যন্ত বেঁচেই থাকবেন। নাসার এখনকার স্পেস সুট পরা থাকলে সাড়ে আট ঘন্টা অব্দি ভাসতে পারবেন শুন্যলোকে। চাঁদের পথের সর্বোচ্চ ১০% পাড়ি দিতে পারবেন মরার আগে।
কপাল খারাপ হলে আপনি পড়বেন পৃথিবীর দিকে। সেকেন্ডে ৭.৮ কিলোমিটার গতিতে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবেন আপনি। আপনার সাথে ঘষায় আপনার আশেপাশের বাতাস পরিণত হবে ১৬৫০° সেলসিয়াস উত্তাপের প্লাজমায়। দু'সেকেন্ড বাদে আপনার ছাইও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মনে করুন আপনি পৃথিবীর কক্ষপথে ভাসছেন। যেমনটা ঘটে থাকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) নভোচারীদের জীবনে।
আর আপনার হাতে আছে একটি রেমিংটন ৭০০ রাইফেল। তাতে ভরা আছে একটা ৩০০ উইনচেস্টার ম্যাগনাম গুলি।
গুলি করলেন আপনি। কোনো শব্দ হলো না। কারণ মহাকাশে শব্দ তরঙ্গ ছড়াবার মতো কোনো মাধ্যম নেই।
আপনার কপাল ভালো থাকলে গুলি চলে যাবে বহুদূর। পৃথিবীতে এই বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়লে বাতাসের ঘষা আর মধ্যাকর্ষণের ফলে গুলিটা ১৩০০ মিটারের চাইতে দূরে যাবে না। মহাকাশে ঘষা খাবার জন্য তেমন কিছু নেই, স্পেস ম্যাটার বা মহাকাশ পদার্থের ঘনত্ব দশ বর্গমিটারে একটি হাইড্রোজেন অনুর চেয়ে বেশি নয়।
কপাল যদি আরো ভালো হয় তবে গুলিটি নিউটনের প্রথম সূত্র মতে চলতেই থাকবে, কোনো গ্রহ উপগ্রহের মধ্যাকর্ষণের টান এড়িয়ে। যেহেতু আপনার গুলিটি সেকেন্ডে ১০০০ মিটার গতিতে ছুটছে আর বিশ্বজগৎ মেগাপার্সেকে প্রায় ৭৩ কিলোমিটার গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে (হাবলস ধ্রুবক) তাই পরের ৪০ হাজার বছর গুলিটি ছুটতে পারবে নিশ্চিন্তে।
কপাল খারাপ থাকলে গুলিটা পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের আওতায় চলে আসবে এবং সাময়িকভাবে পরিণত হবে দ্রুতগতির একটি উপগ্রহে। কপাল যদি জেনুইনভাবে ফাটা হয় তবে সেই ছোট্ট উপগ্রহটি সারা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আপনার পিঠেই আঘাত হানতে পারে।
আর আপনার কি হবে? নিউটনের তৃতীয় সূত্র মতে সমান ভরবেগে বিপরীত দিকে ছুটতে থাকবেন আপনি। কপাল ভালো থাকলে আপনি ছুটে যাবেন মহাকাশের দিকে। অক্সজেন ফুরনো পর্যন্ত বেঁচেই থাকবেন। নাসার এখনকার স্পেস সুট পরা থাকলে সাড়ে আট ঘন্টা অব্দি ভাসতে পারবেন শুন্যলোকে। চাঁদের পথের সর্বোচ্চ ১০% পাড়ি দিতে পারবেন মরার আগে।
কপাল খারাপ হলে আপনি পড়বেন পৃথিবীর দিকে। সেকেন্ডে ৭.৮ কিলোমিটার গতিতে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবেন আপনি। আপনার সাথে ঘষায় আপনার আশেপাশের বাতাস পরিণত হবে ১৬৫০° সেলসিয়াস উত্তাপের প্লাজমায়। দু'সেকেন্ড বাদে আপনার ছাইও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।