পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জিনিস কোনটি, এ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আকাশের সুন্দরতম জিনিস কোনটি, এ প্রশ্নে ‘মেরুপ্রভা’ ব্যতীত কোনো উত্তর আসা অষ্টমাশ্চর্য। রাতের শেষভাগে উত্তর গোলার্ধ বা দক্ষিণ গোলার্ধের প্রান্ত ছোঁয়া দেশগুলোর আকাশে প্রায়ই দেখা যায় এই স্বর্গীয় হোলি।

সূর্যের অভ্যন্তরে তাপ এতোটাই যে সেখানে পদার্থের চারটি অবস্থা দেখা যায়- কঠিন, তরল, বায়বীয় ও প্লাজমা। প্লাজমার ভেতর চার্জিত ইলেক্ট্রন ও প্রোটন মুক্তভাবে বিচরণ করে। প্লাজমার সেই আয়নে এতোই বেশি পরিমাণ শক্তি থাকে, যে তা সূর্যের প্রবল মহাকর্ষিক ক্ষেত্র অতিক্রম করে বেরিয়ে যেতে পারে এবং ভীষণ বেগে ধাবিত হয় পৃথিবীর দিকে। এটিই সৌরবায়ু। এই সৌরবায়ু আবার স্বয়ং এক চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে, যা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের কাছে এলে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

মোটের তুলনায় সৌরবায়ুর অল্প সংখ্যক চার্জিত ইলেক্ট্রন। যাদের চৌম্বকক্ষেত্র পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের প্রতি সমান্তরাল অবস্থানে আসে, তারাই বাধা অতিক্রম করে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে সব থেকে সুবিধাজনক স্থান হচ্ছে পৃথিবীর দুই মেরু। এ প্রবেশের সময় ইলেক্ট্রনের স্রোত স্প্রিংয়ের মতো পাক খায়। প্রবেশের পর বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের সাথে সংঘর্ষ ঘটে চার্জিত ইলেক্ট্রনের।

নীলস বোরের তত্ত্ব অনুযায়ী, সংঘর্ষের ফলে শক্তির গ্রহণ-নির্গমনে ইলেক্ট্রনের গতিশক্তি আলোকশক্তিতে পরিণত হয়। কোটি কোটি ইলেক্ট্রন দ্বারা এভাবে বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মিই আমরা মেরুপ্রভারূপে দেখতে পাই।

1
$
User's avatar
@suraiyakter posted 3 years ago

Comments