দিন-তারিখ মনে নেই। প্রাইমারি স্কুলে পড়ি, ক্লাস টু কিংবা থ্রিতে। স্যার ক্লাসে এসে আমাদের সবাইকে একটি করে গরুর রচনা লিখতে বললেন। আমরা যে যা পারি লিখলাম। ইদানীং গরুর রচনা লেখার জন্য কেউ বলে না। তার পরও সামনে আসছে কোরবানির ঈদ। তাই আবারও গরুর রচনা লিখলাম। ভূমিকা : গরু মানুষের দ্বারা পরিচালিত একটি নিরীহ প্রজাতির প্রাণী। গরু একা বসবাস করতে পারে না। গরু মানুষের সঙ্গে বসবাস করে, তাই গরু সামাজিক প্রাণীও বটে। গরুর গলায় দড়ি থাকলেও তারা অতি চালাক নয়। সাধারণত কোরবানির পশুর হাটে এদের লেজ ধরে মানুষ বেশি টানাটানি করে। পরিচিতি : গরু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও সমাজে গরুর বিরাট একটা পরিচিতি রয়েছে। মানুষ গরু নিয়ে রাজনীতি করে। গরুর গাড়ি প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। তাই সমাজে গরুর অনেক অবদান রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামের মানুষের গরু ছাড়া চলেই না। গরু থেকে আমরা দুধ-দই, চামড়া-জুতা, গোবর ইত্যাদি পাই। গরুর দুটি হাত ও দুটি পা আছে। গরু সাধারণত লাল, কালো, সাদা প্রভৃতি রঙের হয়ে থাকে। তবে ইদানীং একটি চায়না কোম্পানি হলুদ রঙের গরু বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ গরুর প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি খাবার হলো পাকা কলার খোসা। পাকা কলার খোসা হলুদ রঙের।

ভাষা : গরুর একটি নিজস্ব ভাষা রয়েছে। পৃথিবীর সকল গরু সাধারণত হাম্বা ভাষায় কথা বলে। খাদ্য : গরুর প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাস এবং খড়। ঘাসকে গরু চিকেন ফ্রাই এবং খড়কে সেমাই হিসেবে মনে করে। উপকারিতা : গরু খুব ভালো গাড়ি চালাতে পারে। কারণ গরুর গাড়িতে কোনো ব্রেক না থাকলেও এখন পর্যন্ত গরুর গাড়ি দ্বারা কোনো সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অপকারিতা : গরুর তেমন কোনো অপকারিতা নেই। তবে একটাই প্রবলেম, যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে পরিবেশ দূষিত করে এরা। উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, গুরু গৃহপালিত পশু হলেও এর আচরণ পশুর মতো নয়। কারণ কোনো গরুকে এখন পর্যন্ত ইভটিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত হতে দেখা যায়নি। সুতরাং গরু একটি নম্র-ভদ্র স্বভাবের প্রাণী।

6
$
User's avatar
@ruhulamin posted 4 years ago

Comments