সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশের জনসংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে। বর্ধিঞ্চু জনগোষ্ঠির পুষ্টির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমিষের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের প্রতিদিনের শারিরীক প্রয়োজনে যে পরিমান আমিষ পাই তার ছয় ভাগেরও অধিক আসে মাছ থেকে। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক সুষম পুষ্টি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জনপ্রতি প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ৪৫ গ্রাম মাছ খাওয়া দরকার কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা খেয়ে থাকি মাত্র ২০-৪৫ গ্রাম মাছ। এজন্য জনগণের মাছের চাহিদা মেটানোর প্রয়োজনে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বিভিন্ন বৎসরে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এ ধরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে লাগসই প্রযুক্তিতে মাছ চাষ বৃদ্ধি করা আবশ্যক। আমাদের দেশের পর্যাপ্ত সংখ্যক নদী-নালা, পুকুর-দিঘী এবং অপরাপর অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে বিজ্ঞান-ভিত্তিক প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে কাংখিত মাত্রায় মাছ উৎপাদন করে দেশের বর্ধিঞ্চু জনগোষ্ঠির আমিষের চাহিদা অনেকাংশই পূরণ করা সম্ভব হবে। মাছ চাষের সাথে গ্রাম বাংলার জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস করা সম্ভব হবে এবং রপ্তানি আয় বাড়ানোর মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ ও জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ণ ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও একক এবং সমন্বিত মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মৎস্যচাষী এবং অন্যান্য সুফলভোগীর সম্যক ধারণা প্রদানের প্রয়াসে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এ পর্বে সমন্বিত মাছ চাষের ধারণা, প্রয়োজনীয়তা এবং তার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
11
$
@showmik123
posted
4 years ago
সোনার বাংলাদেশ সোনার ফসল