অটিজম : শিশুদের চাই ভালোবাসা ইনফেনটাইল অটিজম

এই ধরনের শিশুদের সামাজিক আচরণ, পারস্পরিক যোগাযোগ ও ক্রিয়াকলাপের সমস্যা এবং পুনর্বৃত্তিমূলক আচরণ সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।

রেটস সিনড্রম

এই রোগ শুধু মেয়েদের হয়ে থাকে। এক বছর পর্যন্ত শিশুর বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকে। তারপর তার সামাজিক ও মানসিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।

এ্যাজপার্গার সিনড্রোম

এ রোগ সাধারণত ছেলেদের হয়। এরা কিছু কিছু কাজ বা আচরণ বারবার করতে থাকে। তবে কথা ঠিকমতো বলতে পারে। এরা একাকি এবং আলাদা থাকে। তবে কিছু কিছু ছোট ব্যাপারে এদের মধ্যে অধিক আগ্রহ দেখা যায়।

চাইল্ডহুড ডিসইনটেগ্রেটিভ ডিসঅর্ডার

এর আরেক নাম হেলারস ডিজিস। এদের সাধারণত দুই বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটে । পরবর্তী সময়ে এদের সামাজিক আচরণে সমস্যা দেখা যায়। এদের সাধারণত স্নায়বিক সমস্যা বেশি থাকে। এ ছাড়া রয়েছে আটিপিক্যাল ও অন্যান্য সমস্যাজনিত অটিজম।

যেভাবে বুঝবেন শিশু অটিস্টিক

অন্য সব শিশুর মতোই প্রতিটি অটিজম আক্রান্ত শিশু আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তবে যে প্রধান চারটি সমস্যা সব অটিস্টিক শিশুর মধ্যে দেখা যায় সেগুলো হলো :

স্বাভাবিক সামজিক আচরণগত সমস্যা। পারস্পরিক যোগাযোগ সমস্যা। পুনরাবৃত্তিমূলক আচরণ এবং ক্রিয়াকলাপ সমস্যা। স্বাভাবিক ও সামাজিক আচরণগত সমস্যা। এ ছাড়া অটিস্টিক শিশুর আরো কিছু বৈশিষ্ট্য

• এরা সাধারণত একা একা থাকে।

• অন্যদের সাথে মিশতে, খেলতে এবং কথা বলতে চায় না।

• কথা বললেও অটিস্টিক শিশুরা অন্যের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে চায় না।

• মানুষের প্রতি আগ্রহ কম প্রদর্শন করে।

• কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক আচার-আচরণের উন্নতি হলেও সামাজিক দায়িত্ব, ভাববিনিময় ও অপরের প্রতি সহানুভূতির সমস্যা রয়ে যায়।

• অটিস্টিক শিশুদের আদর-ভালোবাসার প্রতি আকর্ষণ কম । যেমন : তাকে কোলে নেওয়া বা আদর করা সে পছন্দ করে না। তবে অনেক অটিস্টিক শিশু তার প্রতি বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতা বোঝে।

• বন্ধুবান্ধবের সাথে খুব কম মেশে।

• অকারণে হাসে, কাঁদে বা ভয় পায়।

• প্রথাগত শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কম কিন্তু ছোট ছোট বস্তুর প্রতি আগ্রহ বেশি।

• বিপদ সম্পর্কে অসচেতন।

• যে কোনো বিষয় কেউ কেউ অতিমাত্রায় সতর্ক আবার কেউ কেউ মোটেই সতর্ক নয়।

2
$
User's avatar
@Sabbir2020 posted 4 years ago

Comments