অচীনপুরের রাজা রানীর একমাত্র সন্তান রাজ্যের ভবিষ্যত কর্ণধার ডালিম কুমারের মন ভালো নেই। কারণ সে প্রায় রাতেই এক মেয়েকে স্বপ্নে দেখে। স্বপ্নে দেখা মেয়েকেই সে বিয়ে করবে। কিন্তু এই মেয়েকে সে পাবে কোথায়? কোনো ঠিকানা জানে না। আবার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় এই মেয়ে বাস্তবে আছে কিনা, নাকি শুধু স্বপ্ন!

ডালিম কুমার এক স্বপ্ন বিশারদের সাথে কথা বলল। স্বপ্ন বিশারদ জানালেন মেয়েটির নাম ঘুম কুমারী। রাক্ষসদের রাজ্যে তাকে বন্দী করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। রাজ্যের শেষ সীমানায় একটা জঙ্গল। এই জঙ্গলের উপর দিয়ে পংখিরাজ উড়িয়ে ৩ দিন গেলে ঘুমকুমারীর বন্দীশালার দেখা পাওয়া যাবে।

তবে সেখানে যাওয়া খুবই কঠিন। কারন বন্দীশালাকে ঘিরে অনেকগুলো শক্তিশালী রাক্ষস পাহারা দিচ্ছে।

ডালিম কুমারের এত ভাবা ভাবির সময় নেই। ডালিম কুমার দলবল নিয়ে পঙ্খীরাজ উড়িয়ে ঘুম কুমারীর সন্ধ্যানে বেরিয়ে গেল। যাত্রার দুইদিন পরে ডালিম কুমার পেছনে ঘুরে দেখে তার সাথীরা সব ভেগেছে। ডালিম কুমার শুধু একা।

রাতের বেলায় ক্লান্তি চলে আসায় ডালিম কুমার জঙ্গলে নেমে এসে একটা গাছের নিচে শুয়ে পড়ল।

সেই গাছের ডালে ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী গল্প করছিল।

ব্যাঙ্গমা- শুনেছি অচীনপুরের রাজকুমার ঘুমকুমারীকে উদ্ধার করতে একা একা রাক্ষসদের রাজত্বে যাচ্ছে। সেখানে গেলে রাক্ষসরা তাকে প্যাদানি দিবে।

ব্যাঙ্গমী- তাহলে কী উপায়? ডালিম কুমার কি রাক্ষসের হাতে বন্দী থাকা ঘুমকুমারীকে উদ্ধার করতে পারবে না?

ব্যাঙ্গমা-একটা উপায় আছে।

ব্যাঙ্গমী-কী সে উপায়?

ব্যাঙ্গমা-রাক্ষসপুরীর পাশে একটা পাহাড় আছে, সেই পাহাড়ের অপরদিকে একটা দীঘি আছে, সেই দীঘিতে একটা সিন্দুক আছে, সেই সিন্দুকের ভেতরে একটা ভ্রমর আছে। সেই ভ্রমরকে মারতে পারলে রাক্ষসপুরীর সব রাক্ষস মারা যাবে। ডালিম কুমার তখন ঘুমকুমারীকে উদ্ধার করতে পারবে।

ডালিম কুমার সব শুনে ভোরে সেই দীঘি খুজে বের করল। দীঘিতে ডুব দিয়ে সেই সিন্দুক খুজে পেল। সিন্দুক পাহারা দিচ্ছিল বয়স্ক এক দৈত্য। সেই দৈত্যকে সামান কিছু টাকা পয়সা অফার করতেই দৈত্যটি এলাকা ছেড়ে চলে গেল। সিন্দুকের পাসওয়ার্ড লাগবে। এত সময় নাই সিন্দুক ভেঙ্গে ভ্রমর বের করার। আছাড় মেরে সিন্দুক ভাংতেই সেই ভ্রমর বের হলো। ডালিম কুমার সেই ভ্রমরকে মেরে ফেলতেই রাক্ষসপুরীর সব রাক্ষস মরে গেল।

ডালিম কুমার এবার সেই রাক্ষস পুরীতে গেল। এ কামরা ও কামরা খুজে অবশেষে ঘুমকুমারীর কামরা খুজে পেল। ঘুমকুমারী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। ডালিম কুমার ঘুম কুমারীকে ডাকল কিন্তু তার ঘুম ভাংছে না। এরপরে ঘুম কুমারীর হাত পা ধরে টানল, তাও ঘুমকুমারীর ঘুম ভাংছে না।

হঠাত দেখল ঘুমকুমারীর পায়ের কাছে দুইটা কাঠি-সোনার কাঠি ও রূপার কাঠি। ব্যাঙ্গমার কাছ থেকে শুনেছিল এই কাঠিগুলোর কথা। সোনার কাঠি রাজকন্যার মাথায় ছোয়াতেই রাজকন্যার ঘুম ভেঙ্গে গেল।

অবশেষে ডালিম কুমারের অপেক্ষার পালা শেষ হলো। সে ঘুমকুমারীকে পেয়েছে।

ডালিম কুমার হাটু গেড়ে ঘুমকুমারীকে অফার করল- আমি অচীনপুরের রাজকুমার। আমি তোমাকে এই রাক্ষসদের হাত থেকে রক্ষা করেছি। সেই অধিকার নিয়ে আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। চলো, আমার দেশে, আমরা পালিয়ে যাই...

মুখ বাঁকা করে ঘুমকুমারী উত্তর দিল- সরি, তোমার দেশে ডাক্তাররা গ্রামে যায় না, আমি তোমার দেশে যাবো না...

1
$
User's avatar
@R_P_Emon posted 3 years ago

Comments

ঘুম কুমারি না আসলেই সমস্যা নেই। সোনার কাঠি আর রুপার কাঠি গুলো নিয়ে এসে বেচে দিলেও ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।

$ 0.00
3 years ago

তবে সেখানে যাওয়া খুবই কঠিন। কারন বন্দীশালাকে ঘিরে অনেকগুলো শক্তিশালী রাক্ষস পাহারা দিচ্ছে।

ডালিম কুমারের এত ভাবা ভাবির সময় নেই। ডালিম কুমার দলবল নিয়ে পঙ্খীরাজ উড়িয়ে ঘুম কুমারীর সন্ধ্যানে বেরিয়ে গেল। যাত্রার দুইদিন পরে ডালিম কুমার পেছনে ঘুরে দেখে তার সাথীরা সব ভেগেছে। ডালিম কুমার শুধু একা।

রাতের বেলায় ক্লান্তি চলে আসায় ডালিম কুমার জঙ্গলে নেমে এসে

$ 0.00
3 years ago

কুমিরের হুংকার নিয়ে আসছি আজ রাত ৯টায়। ততক্ষণে কমেন্ট বক্সে নিজ নিজ জেলার নাম লিখুন এবং আপনার জেলার কোন অশ্লীলতার বিরুদ্ধে হুংকার দেওয়া যায় তার জানান দিন,

এনাম আসিবে ফিরে, এই বাংলার তীরে। হয়তো বা টিউবে, নয়তো ফেসবুকের লাইভে। এনাম সাহসী, এনাম সিংহ, কোটি বাঙালির আশা। এনামকে দমিয়ে রাখে কে? এনাম হুংকার দিবেই দিবে, এনাম সবার ভালোবাসা

ইতি - কবিনেতা এনামংহ

$ 0.00
3 years ago

ডালিম কুমার এবার সেই রাক্ষস পুরীতে গেল। এ কামরা ও কামরা খুজে অবশেষে ঘুমকুমারীর কামরা খুজে পেল। ঘুমকুমারী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। ডালিম কুমার ঘুম কুমারীকে ডাকল কিন্তু তার ঘুম ভাংছে না। এরপরে ঘুম কুমারীর হাত পা ধরে টানল, তাও ঘুমকুমারীর ঘুম ভাংছে না।

হঠাত দেখল ঘুমকুমারীর পায়ের কাছে

$ 0.00
3 years ago