ভাল্লাগেনা আগেও ছিলো, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। গুটিকয়েক বিশেষ মুহূর্ত এই বিষাদ অনুভূতি থেকে কিছুদিনের ছুটি দেবে, বাকি দিনগুলো সেই ভাল্লাগেনা নিয়েই কাটাতে হবে। আমরা অন্যের টুকরো টুকরো স্বর্গীয় মুহুর্তের গল্প শুনে অযথা নিজেদের ভাল্লাগেনার তীব্রতা বাড়িয়ে তুলি। অন্যের চাকচিক্য অংশটুকু দেখে চট করে আবিষ্কার করে ফেলি আমি বোধহয় একদম ভালো নেই! অথচ অন্যের সুখের গল্প গুলো সাজানো থাকে ঠিক তাদের প্রোফাইল ছবির মতন! ঘষামাজা পালিশ করা, যেমনটা কালো দাগ ঢাকা পড়ে থাকে ফিল্টারের অন্তরালে। চোখ যেমন স্থির চিত্রে অন্যের কালো দাগ দেখতে পায় না, কান তেমনি খণ্ড খণ্ড সুখের গল্পে ভাল্লাগেনা আর্তনাদ শুনতে পায় না। গল্পের আগে পরে খোঁজ নিয়ে দেখুন সে-ও বেশিরভাগ সময় ভালো নেই, কারণে অকারণে ভালো নেই! আসলে ভালো না লাগাকে সঙ্গী করে ভালো থাকাটাই জীবন। কি কি পেলে ভালো থাকা যাবে এসব মরীচিকার পিছে না ছুটে কিভাবে ভাল্লাগেনা সাথে নিয়ে ভালো থাকা যায় এসব আয়ত্ত করা ভীষণ প্রয়োজন; দেখবেন একদিন অতৃপ্তির মাঝেও তৃপ্তি নিয়ে বলতে পেরেছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমি আসলেই অনেক ভালো আছি!
Comments
আপনার কথাগুলো ঠিক৷ বাস্তবে আমরা অনেক চেষ্টা করেও পারি না ভালো লাগে না রোগ থেকে বাচতে৷
হুম প্রিয় তুমি সত্যিই বলেছো আসলেই আমরা ছোট্ট খাট্ট বিষয় নিয়ে এত চিন্তা ভাবনা করি যে আমরা বড় বিভিন্ন দিক এর কথা ভুলেই যাই। আমাদের উচিত ছোট্ট বিষাদ গ্রস্ত জিনিস গুলি নিয়ে মাথা না নাহ ভাবা। বরং কিভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায় টা নিয়ে পরিকল্পনা করা। কারণ আমরা যদি ভবিষত নিয়া নাহ ভাবী তাহলে আমরা কোনো দিন ই সফল হতে পারব না। আসলেই আমাদের মরীচিকার পিছনে ছুটে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। ধন্যবাদ প্রিয় আপনাকে এত সুন্দর একটি উক্তি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে গভীর ভালোবাসা। ভালো থাকবেন এই বলে শেষ করলাম আল্লাহাফেজ।
আপনাকে স্বাগতম ভাইয়া আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
অসম্ভব অসম্ভব অসম্ভব সুন্দর একটি ব্যাখ্যা ছিল।আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ভাললাগেনা রোগে ভুক্তভোগী।আমার পাশে যা কিছু ঘটে তা আমার মস্তিষ্কে ঢুকে যাই। যা থেকে আমার ভাললাগেনা সৃষ্টি হয়।আমি যদি এমন হতে পারতাম,আমার এমন হতো আমি এমন থাকতে পারতাম।আমি ওর মত হতাম কিন্তু আমরা তো এটা বুঝিনা তাদের ভালো লাগার পিছনে কত আত্মত্যাগ কত পরিশ্রম কত কষ্ট এর পিছনে রয়েছে।আমরা অন্য একটা দেখে ভালো লাগে না বলে সময় নষ্ট না করে নিজের যা ভালো লাগে সেটা করার চেষ্টা করো আর না হয় ভাল লাগেনা রোগের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানো।ধন্যবাদ পোষ্টি ভাগা ভাগি করার জন্য।