শুনতে কি পাচ্ছো তুমি?
আমি তোমার মতো হতে চাই কঠিন, নিরব,নীথর।
সামনে বিশাল পাহাড়ের গায়ে, আকাশে, বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এলো কথা গুলো।
আর আমি হাঁটু গেড়ে বসে সামনের পাহাড়কে চিৎকার করে বললাম আমি তোমার মতো হবো।
আস্তে আস্তে আমার চিৎকারের শব্দটা আর্তনাদে পরিনত হয়ে গলা বুজে আসতে লাগলো।
তবুও আমি বিড়বিড় করে বলতে লাগলাম আমি তোমাকে কিনতে চাই আমার সমুদ্রটাকে বিক্রি করে দিয়ে।
আমি যখন অনেক ছোট তখন একটা দ্বীপ ছিল আমার । প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়াতাম দ্বীপের এমাথা ওমাথা।
বেশ কেটে যেত দিন। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলাম আর দ্বীপটিকে ছোট মনে হতে থাকলো।
তখন দ্বীপটাকে বিক্রি করে দিয়ে নদী কিনে নিলাম আর ভাবলাম গাঙচিল হয়ে উড়ে বেড়াবো দু'কূল আর নদীর ধারে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করবো।
আর বড় হতে থাকার সাথে তৈরি হওয়া কষ্ট গুলো জোয়ারের সাথে সমুদ্রে বিলিয়ে দিবো।
কিন্তু তা আর হলো না।
এখন নদী তার নাব্যতা হারিয়েছে। কষ্ট গুলো জমাট বেঁধে থাকে নদীর বুকেই।
তাই নদীটাকেই বিক্রি করে দিয়ে সমুদ্র কিনে নিলাম।
ভাবলাম সমুদ্রের গর্জন হয়ে নিজের ভেতরের আর্তনাদকে দমিয়ে রাখবো।আর কষ্ট গুলোকে বাস্পায়িত করে আকাশের মেঘ বানিয়ে দেবো।
কিন্তু তাও হলোনা, আকাশের মেঘ আক্রোশে বৃষ্টি হয়ে দ্বিগুণ বেগে সমুদ্রের বুকেই নেমে আসলো।
তাই আমি সমুদ্র বিক্রি করে পাহাড় কিনব,যার পাশেই থাকবে গভীর অরন্য।পৃথিবীর কোনো কিছু ই আমাকে আর কষ্ট দিতে পারবেনা।
পাহাড়ের বুক কেটে তৈরি করে দেব ঝর্না ধারা যা পূর্বের কষ্ট গুলো ঝর্নার জলধারা হয়ে আছড়ে পরবে সাগরের বুকে।
আর আমি?
বাস্পায়িত মেঘমালা আর সূর্যের কিরণের আলিঙ্গনে তৈরি হওয়া রঙধনুর মুকুট পরে,
অরণ্যের সাথে সখ্যতা করে সগৌরবে দাঁড়িয়ে দেখবো পৃথিবী।
শুনতে কি পাচ্ছো তুমি? আমি তোমার মতো হতে চাই কঠিন, নিরব,নীথর। সামনে বিশাল পাহাড়ের গায়ে, আকাশে, বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়ে ফিরে এলো কথা গুলো।
আর আমি হাঁটু গেড়ে বসে সামনের পাহাড়কে চিৎকার করে বললাম আমি তোমার মতো হবো। আস্তে আস্তে আমার চিৎকারের শব্দটা আর্তনাদে পরিনত হয়ে গলা বুজে আসতে লাগলো।
তবুও আমি বিড়বিড় করে বলতে লাগলাম আমি তোমাকে কিনতে চাই আমার সমুদ্রটাকে বিক্রি করে দিয়ে।
আমি যখন অনেক ছোট তখন একটা দ্বীপ ছিল আমার । প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়াতাম দ্বীপের এমাথা ওমাথা। বেশ কেটে যেত দিন। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলাম আর দ্বীপটিকে ছোট মনে হতে থাকলো।
তখন দ্বীপটাকে বিক্রি করে দিয়ে নদী কিনে নিলাম আর ভাবলাম গাঙচিল হয়ে উড়ে বেড়াবো দু'কূল আর নদীর ধারে কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করবো। আর বড় হতে থাকার সাথে তৈরি হওয়া কষ্ট গুলো জোয়ারের সাথে সমুদ্রে বিলিয়ে দিবো।
কিন্তু তা আর হলো না। এখন নদী তার নাব্যতা হারিয়েছে। কষ্ট গুলো জমাট বেঁধে থাকে নদীর বুকেই।
তাই নদীটাকেই বিক্রি করে দিয়ে সমুদ্র কিনে নিলাম। ভাবলাম সমুদ্রের গর্জন হয়ে নিজের ভেতরের আর্তনাদকে দমিয়ে রাখবো।আর কষ্ট গুলোকে বাস্পায়িত করে আকাশের মেঘ বানিয়ে দেবো।
কিন্তু তাও হলোনা, আকাশের মেঘ আক্রোশে বৃষ্টি হয়ে দ্বিগুণ বেগে সমুদ্রের বুকেই নেমে আসলো।
তাই আমি সমুদ্র বিক্রি করে পাহাড় কিনব,যার পাশেই থাকবে গভীর অরন্য।পৃথিবীর কোনো কিছু ই আমাকে আর কষ্ট দিতে পারবেনা।
পাহাড়ের বুক কেটে তৈরি করে দেব ঝর্না ধারা যা পূর্বের কষ্ট গুলো ঝর্নার জলধারা হয়ে আছড়ে পরবে সাগরের বুকে।
আর আমি? বাস্পায়িত মেঘমালা আর সূর্যের কিরণের আলিঙ্গনে তৈরি হওয়া রঙধনুর মুকুট পরে, অরণ্যের সাথে সখ্যতা করে সগৌরবে দাঁড়িয়ে দেখবো পৃথিবী।