ধুলিজাল
Writter: Mamtaj akter
আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা,এই বুঝি গগন ছিদ্র হয়ে মেঘরাশি দলবেঁধে বৃষ্টিরূপে ভূ-পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। "ধুম্র, আকাশের অবস্থা দেখেছো? শীঘ্রই বাসার উদ্দেশ্যে আমাদের রওনা দেওয়া উচিত।"
"এই বৃষ্টিতে ভেজার জন্য কত কপোত-কপোতীরা অপেক্ষারত থাকে,সেটা কি তুমি জানো মেঘা? আর তুমি কি না বৃষ্টি দেখলেই পালানোর অযুহাত খোঁজো।"-বেশ অভিমানি স্বরে বলল ধূম্র।
"ধূম্র, আমাকে জোর করো না প্লিজ।" "আচ্ছা ঠিক আছে। জোর করলাম না। তবে বৃষ্টিকে অপছন্দের তালিকায় রাখার কারণটা জানার জন্যতো জোর করতেই পারি,তাই না?"
মেঘা একটু রাশভারী গলায় বলতে শুরু করলো, " আমি বৃষ্টি মোটেও পছন্দ করি না। তবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে পুঞ্জীভূত মেঘ দেখতে ভালো লাগে। আর বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর চারপাশের স্নিগ্ধ পরিবেশটাকে ভীষণ ভালো লাগে।"
"তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো,বৃষ্টির জন্যই আকাশে মেঘকুন্ডলী দেখা যায় আর বৃষ্টিস্নানের শেষে পরিবেশটা সতেজ হয়ে উঠে।"
'প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে ঢের তফাৎ,ধুম্র।তাই প্রকৃতির সাথে মানুষের তুলনা করা নিরর্থক।'
ধূম্র প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,"মানে?"
" আকাশ যখন কালো মেঘে ঘনীভূত হয়ে যায়,তখন একদল বৃষ্টিপ্রেমীরা উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়।কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে? সদ্য জন্ম নেওয়া একটা কৃষ্ণকায় মেয়ের আগমন তার পরিবারের জন্য ঘোর সংকটের বার্তা"_ এতটুকু বলেই মেঘার গলা ধরে আসছিলো,নিজের প্রতি তার নিজের প্রচন্ড আক্ষেপ।কেন সে শ্যামাবর্ণের অধিকারী হলো?
ধূম্র মেঘার পানে একবার শীতল চাহনি দিয়ে বলল," আমার কিন্তু কোন আক্ষেপ নেই। আমি অনেক সৌভাগ্যবান কারণ _ ধূম্রর বাক্যের অন্তিম দশা টানার পূর্বেই মেঘা কিঞ্চিৎ ভ্রু কুচঁকে বলল, " আমি আক্ষেপ করছিলাম সেটা তুমি জানলে কি করে?" "আচ্ছা ধূম্ররানি তোমার মনটা কাকে দিয়েছো?"
-"তোমাকে দিয়েছি।"
ধূম্র মেঘার দু'হাতের আঙ্গুলগুলো নিজের আঙ্গুলের মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ করে ঠোঁটের ক্ষীণ হাসিটা প্রসারিত করে বলল,"তাহলে তোমার মনের আক্ষেপগুলো জানার দায়িত্বটাও আমার।"
ধূম্র তার ধূম্ররানীর হাতযুগল ধরে বলল, "আমি তোমার এই শ্যামা বর্ণেই মুগ্ধ। আমি সন্তুষ্ট সৃষ্টিকর্তার প্রতি কারণ তিনি আমাকে একটা হীরের টুকরো দান করেছে। মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য টাই আসল না ধূম্ররানী।মনের সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য। আমি যখন তোমাকে পেয়ে কোন আফসোস করি না,তখন তোমারও অনুচিত; তোমার সৌন্দর্য নিয়ে আফসোস করা।
অত:পর দুটো প্রশান্তিময় হাসির দ্বারা শেষ হলো ধুলিজালের আবেগঘন মুহূর্তের একটি প্রহর।
ধুলিজাল Writter: Mamtaj akter
আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা,এই বুঝি গগন ছিদ্র হয়ে মেঘরাশি দলবেঁধে বৃষ্টিরূপে ভূ-পৃষ্ঠে অবতরণ করবে। "ধুম্র, আকাশের অবস্থা দেখেছো? শীঘ্রই বাসার উদ্দেশ্যে আমাদের রওনা দেওয়া উচিত।"
"এই বৃষ্টিতে ভেজার জন্য কত কপোত-কপোতীরা অপেক্ষারত থাকে,সেটা কি তুমি জানো মেঘা? আর তুমি কি না বৃষ্টি দেখলেই পালানোর অযুহাত খোঁজো।"-বেশ অভিমানি স্বরে বলল ধূম্র।
"ধূম্র, আমাকে জোর করো না প্লিজ।" "আচ্ছা ঠিক আছে। জোর করলাম না। তবে বৃষ্টিকে অপছন্দের তালিকায় রাখার কারণটা জানার জন্যতো জোর করতেই পারি,তাই না?"
মেঘা একটু রাশভারী গলায় বলতে শুরু করলো, " আমি বৃষ্টি মোটেও পছন্দ করি না। তবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে পুঞ্জীভূত মেঘ দেখতে ভালো লাগে। আর বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর চারপাশের স্নিগ্ধ পরিবেশটাকে ভীষণ ভালো লাগে।"
"তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো,বৃষ্টির জন্যই আকাশে মেঘকুন্ডলী দেখা যায় আর বৃষ্টিস্নানের শেষে পরিবেশটা সতেজ হয়ে উঠে।"
'প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে ঢের তফাৎ,ধুম্র।তাই প্রকৃতির সাথে মানুষের তুলনা করা নিরর্থক।'
ধূম্র প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,"মানে?"
" আকাশ যখন কালো মেঘে ঘনীভূত হয়ে যায়,তখন একদল বৃষ্টিপ্রেমীরা উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়।কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে? সদ্য জন্ম নেওয়া একটা কৃষ্ণকায় মেয়ের আগমন তার পরিবারের জন্য ঘোর সংকটের বার্তা"_ এতটুকু বলেই মেঘার গলা ধরে আসছিলো,নিজের প্রতি তার নিজের প্রচন্ড আক্ষেপ।কেন সে শ্যামাবর্ণের অধিকারী হলো?
ধূম্র মেঘার পানে একবার শীতল চাহনি দিয়ে বলল," আমার কিন্তু কোন আক্ষেপ নেই। আমি অনেক সৌভাগ্যবান কারণ _ ধূম্রর বাক্যের অন্তিম দশা টানার পূর্বেই মেঘা কিঞ্চিৎ ভ্রু কুচঁকে বলল, " আমি আক্ষেপ করছিলাম সেটা তুমি জানলে কি করে?" "আচ্ছা ধূম্ররানি তোমার মনটা কাকে দিয়েছো?"
-"তোমাকে দিয়েছি।"
ধূম্র মেঘার দু'হাতের আঙ্গুলগুলো নিজের আঙ্গুলের মধ্যে মুষ্টিবদ্ধ করে ঠোঁটের ক্ষীণ হাসিটা প্রসারিত করে বলল,"তাহলে তোমার মনের আক্ষেপগুলো জানার দায়িত্বটাও আমার।"
ধূম্র তার ধূম্ররানীর হাতযুগল ধরে বলল, "আমি তোমার এই শ্যামা বর্ণেই মুগ্ধ। আমি সন্তুষ্ট সৃষ্টিকর্তার প্রতি কারণ তিনি আমাকে একটা হীরের টুকরো দান করেছে। মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য টাই আসল না ধূম্ররানী।মনের সৌন্দর্যই প্রকৃত সৌন্দর্য। আমি যখন তোমাকে পেয়ে কোন আফসোস করি না,তখন তোমারও অনুচিত; তোমার সৌন্দর্য নিয়ে আফসোস করা।
অত:পর দুটো প্রশান্তিময় হাসির দ্বারা শেষ হলো ধুলিজালের আবেগঘন মুহূর্তের একটি প্রহর।