গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্পপ্রতিযোগীতা_সেপ্টেম্বর_২০২০

গল্প_তুমিও_কি_ফুল_হয়ে_ঝড়ে_যাবে?

লেখিকা_অন্তরা_ইসলাম

পর্ব - ৩

  • পরী দেখছি না পেত্নী দেখছি, ঠিক বুঝতে পারছি না।

  • তা বুঝবা কিভাবে?অগ্নি, দ্বীপকে মনে হয় তোর অসুখে ধরছে। বলেই সবাই হাসতে শুরু করলো।আর দ্বীপ রেগে ক্লাস থেকে বেড়িয়ে গেল।তার পিছনে ইশা ও চলে গেল।

বাকিরা ক্লাসের সবার সাথে পরিচয় করলো আর বলে আসলো দুইদিন পরে নবীন বরণ উৎসব, তাই এই দুইদিন তেমন কোন ইমপন্ট্যান্ট ক্লাস হবে না, বলেই সবাই ক্লাস থেকে বেড়িয়ে দ্বীপকে খুজতে লাগলো।

দ্বীপ একটা গাছের নিচে বসে কোল্ড ড্রিংস খাচ্ছে। সবাই গিয়ে ওর পাশে বসলো।

অর্ঘ্য - ইশা কোথায়?

দ্বীপ - চলে গেছে।

অগ্নি - তুই মনে হচ্ছে এখন একটু বেশিই ইশার খবর নিচ্ছিস।

আকাশ - আরে বুঝছিস না কেন? অর্ঘ্য তো ইশাকে লাইক করে বাট ইশা সেই কবে থেকে দ্বীপ, দ্বীপ করে কেঁদে মরছে।

সবাই আড্ডা দিতে লাগলো। ওদের আড্ডা মানেই হচ্ছে একে - অপরকে খোঁচানো। আর মজা করা।

ওইদিকে...

নিঝুম, শ্রাবণকে নিয়ে সোজা বাসায় চলে এলো।এসে কলিং বেল চাপতেই বীণা দরজা খুলে দিল।নিঝুম তো ভিতরে ঢুকেই রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল। আর শ্রাবণ ফ্রিজ থেকে জুস নিয়ে খেতে শুরু করলো।

দুপুরে খেয়ে নিঝুম ঘুমিয়ে পরলো আর শ্রাবণকে বললো বিকেলের আগে ডেকে দিতে যাতে ফুল গাছ কিনতে যেতে পারে।শ্রাবণ টিভি দেখতে লাগলো।

বিকেলে দু'জন ফুল গাছ কিনতে বেরোলো। কিন্তু ফুলের নার্সারি খুঁজে পাচ্ছে না কোথাও।সিগনাল পরতেই গাড়ি থেমে গেল। হঠাৎ করেই নিঝুম খেয়াল করলো একটি ছোট বাচ্চা রাস্তার মাঝখানে চলে আসছে। তাই দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে বাচ্চাটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তা থেকে সড়িয়ে দিল কিন্তু অপর পাশ থেকে আসা গাড়িটি নিঝুমকে ধাক্কা দিয়ে দেয়। আর নিঝুম রাস্তার মাঝখানে অজ্ঞান হয়ে পরে যায়। শ্রাবণ নিঝুমের কাছে আসার আগেই কেউ একজন ওকে কোলে তুলে নেয়। তারপর শ্রাবণ আর সে নিঝুমকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিঝুম অপারেশন থিয়েটারে আর শ্রাবণ বাইরে দাড়িয়ে অঝোর ধারায় কান্না করছে।

ছেলেটি - দেখুন এভাবে কান্না করবেন না তাঁর তেমন কিছু হয়নি।আসলে আমি দ্রুত ব্রেকটা করতে পারিনি তার আগেই সে আমার গাড়ির সামনে চলে আসে।

শ্রাবণ - কান্না করেই যাচ্ছে...

ডাক্তার বেরিয়ে বললেন, নিঝুমের তেমন কিছু হয় নি। পীচ রাস্তায় পরে যাওয়ার জন্য কপাল কেটে রক্ত ঝরেছে, আর হাতে কেটে গেছে। এটা শুনে যেন শ্রাবণ প্রান ফিরে পেল।

শ্রাবণ - ঝুমকে কী বাসায় নিয়ে যেতে পারবো?

ডাক্তার - হ্যাঁ, পারবেন।

শ্রাবণ - ধন্যবাদ, ডাক্তার সাহেব।

ছেলেটি - এবার নিশ্চয়ই আপনি আর কান্না করবেন না।

শ্রাবণ - সরি, আপনাকে অনেক টেনশনে ফেলে দিয়েছিলাম।

ছেলেটি - না, না, ঠিক আছে। বায় দ্যা ওয়ে আমি মেঘ চৌধুরী। আমি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার।

শ্রাবণ - আমি ইশরাত জাহান শ্রাবণী।আমি ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী।

মেঘ - আমি কি তোমার ফোন নাম্বারটা পেতে পারি?

শ্রাবণ - কেন নয়,আমি বলছি আপনি তুলে নিন 014**

মেঘ - ধন্যবাদ,শ্রাবণী।

তারপর মেঘ আর শ্রাবণ, নিঝুমকে বাসায় নিয়ে আসে।আর মেঘ নিঝুমের সাথে কথা বলে চলে যায়। শ্রাবণ আর নিঝুম এক সপ্তাহ কলেজে যায় না।এতোদিনে নিঝুম সুস্থ হয়ে যায়,তারপর ওরা কলেজে যায়। এসেই দেখে কলেজ খুব সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। তাই ওরা ক্যাম্পাসে তমার সাথে বসলো এবং জিজ্ঞেস করল,

নিঝুম - তমা, কলেজে কি কোন অনুষ্ঠান আছে?

তমা - হ্যা, কাল তো নবীন বরণ। তোমরা তো এতদিন আসো নি, তাই জানো না।

শ্রাবণ - নবীন বরণ তো চার দিন আগে ছিল তাই না।

তমা - আসলে কিছু সমস্যার জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আকাশ - তমা, তাহলে তোমার বন্ধুরা এসেছে।

তমা - হুম।

অগ্নি - হাই, শ্রাবণী।

শ্রাবণী - হাই।

নিঝুম - আপনি আবার এসেছেন?

আকাশ - আসলে আমরা তো জুনিয়রদের খুব ভালোবাসি তাই না এসে থাকতে পারলাম না।

শ্রাবণী - এতো ভালোবাসার কারণ?

দ্বীপ - তোমরা আমাদের কলেজের জুনিয়র এটাই।

নিঝুম - তাই বুঝি?

দ্বীপ - জি ম্যাডাম।

তমা - দ্বীপ, আমার কিন্তু অন্য কিছু মনে হচ্ছে।

ইশা - কি মনে হচ্ছে তোমার, তমা।

আকাশ - এসেছে..বলেই মাথায় হাত দিয়েছি।

সবাই আড্ডা দিতে লাগলো। তারপর বাসায় চলে এলো। দ্বীপ তো নিঝুমকে এক্সিডেন্ট এর জন্য বকা দিয়েছে। আর বলেছে সাবধানে থাকতে।

চলবে...

( বন্ধুরা ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন প্লিজ আর কেমন হচ্ছে বলবেন কিন্তু কারণ আপনাদের ভালোবাসা আমার লেখার উৎসাহ বাড়ায়)

2
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 3 years ago

Comments