গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্পপ্রতিযোগিতা_সেপ্টেম্বর_২০২০
তুমি_ও_কী_ফুল_হয়ে_ঝড়ে_যাবে_পর্ব_১
লেখিকা_অন্তরা_ইসলাম
সন্ধ্যার পড়ে কফির মগ হাতে বেলকনিতে বসে আছি।বর্ষার মৌসুম তাই হালকা বৃষ্টি ও হচ্ছে।বৃষ্টি দেখতে দেখতে কফি খাওয়ার মজাটাই আলাদা।বলতে বলতে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়তে শুরু করল,আমার তো খুব ভিজতে ইচ্ছে করছে। শুধু শ্রাবণের কথা ভেবে ইচ্ছেটাকে কফির মগ দিয়ে চাপা দিয়ে কফি খেতে লাগলাম।কারণ শ্রাবণ যদি আমকে ভিজতে দেখে তাহলে আমার খবর আছে। এর মধ্যেই,
শ্রাবণ-কীরে এখনো বেলকনিতে বসে আসিছ?? দেখিস না বৃষ্টি হচ্ছে? রুমে আয়।(পেছন থেকে বলে ওঠে)
নিঝুম-হ্যা, আসছি।(আমি বললাম)
আরে আপনাদের তো আমার পরিচয় টাই দেওয়া হলো না, আমি অনিতা জাহান নিঝুম। বাবা-মা সেপারেট হওয়ার পর আমি আম্মুর সাথেই থাকতাম। কখনো বাবাকে দেখিনি, শুনেছি আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত সনামধন্য একজন ব্যবসায়ি।দেশে আসেন না বললেও চলে।বাবা-মা'য়ের সেপারেশনের সময় আমি নাকি ছিলাম না।কিন্তু যখন মা নানা বাড়িতে থাকতে শুরু করে তার কিছু দিন পড়েই জানতে পারে সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যার কারণে মাকে আবার বিয়ে করতে হয় আমার বাবার বন্ধু অর্জুনকে।যার জন্য আম্মু আর আমার সম্পর্কটা অতটা ভালো না।আর অর্জুন খান যার কারণে বাবা-মা'য়ের ডির্বোস হয় অবশেষে উপায় না পেয়ে আম্মুকে তাকেই বিয়ে করতে হয়। তাই বাবা নামক ব্যক্তিটার সাথে ও আমার সম্পর্ক ভালো না।কিন্তু সে আমাকে ছোট বেলায় ভালো না বাসলেও এখন খুব ভালোবাসে।কিন্তু আমার কাছে যা মূল্যহীন।আমি ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী।আর শ্রাবণ আমার বান্ধবী। আসলে ওর নাম ইশরাত জাহান শ্রাবণী।কিন্তু আমি আদর করে শ্রাবণ ডাকি।আমরা ঢাকায় একটা ফ্ল্যাটে থাকি।এই ফ্ল্যাটটা আমার ষোড়শতম জন্মদিন এ নানাভাই গিফট করেছে। এখানে আমরা দুজন থাকি।আমাদের ফ্যামিলি চিটাগাং এ থাকে। এখানে আসার প্রথম উদ্দেশ্য বাবাকে খোঁজে বের করা, আর অর্জুন খানের নজরের বাইরে থাকা। শুনেছি বাবা-মা নাকি ঢাকায় থাকতেন।
শ্রাবণ-কীরে এখনো বসে আসিছ?
নিঝুম - এইতো চলে এসেছি।
শ্রাবণ-শোন কালতো কলেজের প্রথম দিন, তুই কী পরবি।আমি কিন্তু নতুন ড্রেসটাই পরবো যেটা আংকেল আমাদের গিফট করেছে। দেখ আংকেল আমাদের কত সুন্দর দুইটা ড্রেস দিয়েছে। এটা পরলে তোকে খুব ভালো লাগবে,বলতে হবে আংকেল এর চয়েস আছে।
নিঝুম - তুই থামবি, সব সময় শুধু আংকেল - আংকেল করিছ কেন?অন্য কিছু বলতে পারিস না।
শ্রাবণ- তুই রেগে যাচ্ছিছ কেন? কি হয়েছে? বলবি তো নাকি,কিছু দিন ধরেই দেখছি তুই আংকেল এর নাম শুনলেই রেগে যাচ্ছিছ।আংকেল কত ভালো একটা কলেজে আমাদের এডমিশন করিয়ে দিল,কিন্তু তুই ঢাকায় চলে এলি।কি হয়েছে তোর?
নিঝুম - বলছি তো কিছু হয়নি।তুই শুধু আংকেল আংকেল করাটা বন্ধ কর বুঝলি।
শ্রাবণ- আংকেল কিন্তু তোর বাবা হয় ঝুম, তুই তার সাথে এমন বিহেভ কেন করিছ,ওনিতো কত ভালো মানুষ।
নিঝুম -বাবা মাই ফুট......... (বলেই সেখান থেকে চলে গেল)
শ্রাবণ-ঝুম,ঝুম,এই নিঝুম শোন বলছি।যা চলে গেল,ভালো লাগে না। এখন কি করব, আবার রেগে গেল যে,এই মেয়েটা এত রাগ কই পায়?কথায় কথায় রেগে যায়।
এর মধ্যেই শ্রাবণের ফোন বেজে ওঠে।
শ্রাবণ-হ্যালো,মনি কেমন আছো?
নিঝুমের মা- ভালো আছি রে মা। তুই কেমন আছিছ?
আর নিঝুম কোথায় সেই কখন থেকে কল করছি ধরছেই না।
শ্রাবণ-ঝুম তো অন্য রুমে আছে, তুমি একটু ওয়েট কর আমি ডেকে দিচ্ছি।
নিঝুমের মা-আচ্ছা ঠিকআছে।
শ্রাবণ-ঝুম,ঝুম,ও তুই এখানে। তুই আবার সি......(কথাটা বলার আগেই ফোনের দিকে চোখ পড়ল, তাই ফোনটা কেটে দিয়ে,ঝুমের হাত থেকে সিগারেটটা ফেলে দিয়ে বললাম)
তোকে না সিগারেট খেতে নিষেধ করছি।তুই আবারও খাচ্ছিস।আমার কথার কী কোন মূল্য নেই?
নিঝুম - না...আসলে....আ...
শ্রাবণ- হয়েছে তোকে আর আমাকে বোঝাতে হবে না। মনি কল দিছিল,তোর সাথে কথা বলবে তুই কথা বলেনে।(বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম)
নিঝুম -শ্রাবণ, শ্রাবণ, শোন যা চলে গেল।( বলতে বলতেই ফোন বেজে উঠল)
নিঝুমের মা- হ্যালো,নিঝুম।
নিঝুম- হ্যা আম্মু বলো।কেমন আছো?
নিঝুমের মা-ভালো আছি।তুই কেমন আছিস? খেয়েছিস?
নিঝুম - ভালো আছি।না খাইনি, তুমি খাইছো?রাএি,রোদ কেমন আছে?
নিঝুমের মা- হ্যা খেয়েছি। সবাই ভালো আছে। তোর কলেজ শুরু হয়েছে?
নিঝুম -কাল থেকে শুরু হবে। আমি তোমাকে পরে কল দিচ্ছি আম্মু। (বলেই কলটা কেটে দেই)
অর্জুন- মেয়েটাকে সত্যিটা বললেই পারতে।
নিঝুমের মা - শুধু শুধু চিন্তা করতো।
এইদিকে...
নিঝুম -কীরে তুই কান্না করছিছ কেন? ( চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে)
শ্রাবণ-তোকে না করার পরে ও কেন আবার সিগারেট খাচ্ছিলি বল,কী হলো বল?
নিঝুম -সরি,শ্রাবণ।
শ্রাবণ-না সরি তে হবে না আমার মাথায় হাত রেখে বল আর কখনো খাবি না।( ঝুমের হাতটা আমার মাথায় রেখে বললাম)
নিঝুম-.............
চলবে.....
( বন্ধুরা ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। আর কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না যেন,আর বন্ধুদের জন্য পরের পর্বের চমক হলো নিঝুম কী শ্রাবণকে ছুয়ে ওয়াদা করবে,আর তা রাগের পিছনে লুকিয়ে থাকা কারণটা বলবে)
গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্পপ্রতিযোগিতা_সেপ্টেম্বর_২০২০
তুমি_ও_কী_ফুল_হয়ে_ঝড়ে_যাবে_পর্ব_১
লেখিকা_অন্তরা_ইসলাম
সন্ধ্যার পড়ে কফির মগ হাতে বেলকনিতে বসে আছি।বর্ষার মৌসুম তাই হালকা বৃষ্টি ও হচ্ছে।বৃষ্টি দেখতে দেখতে কফি খাওয়ার মজাটাই আলাদা।বলতে বলতে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়তে শুরু করল,আমার তো খুব ভিজতে ইচ্ছে করছে। শুধু শ্রাবণের কথা ভেবে ইচ্ছেটাকে কফির মগ দিয়ে চাপা দিয়ে কফি খেতে লাগলাম।কারণ শ্রাবণ যদি আমকে ভিজতে দেখে তাহলে আমার খবর আছে। এর মধ্যেই,
শ্রাবণ-কীরে এখনো বেলকনিতে বসে আসিছ?? দেখিস না বৃষ্টি হচ্ছে? রুমে আয়।(পেছন থেকে বলে ওঠে)
নিঝুম-হ্যা, আসছি।(আমি বললাম)
আরে আপনাদের তো আমার পরিচয় টাই দেওয়া হলো না, আমি অনিতা জাহান নিঝুম। বাবা-মা সেপারেট হওয়ার পর আমি আম্মুর সাথেই থাকতাম। কখনো বাবাকে দেখিনি, শুনেছি আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত সনামধন্য একজন ব্যবসায়ি।দেশে আসেন না বললেও চলে।বাবা-মা'য়ের সেপারেশনের সময় আমি নাকি ছিলাম না।কিন্তু যখন মা নানা বাড়িতে থাকতে শুরু করে তার কিছু দিন পড়েই জানতে পারে সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। যার কারণে মাকে আবার বিয়ে করতে হয় আমার বাবার বন্ধু অর্জুনকে।যার জন্য আম্মু আর আমার সম্পর্কটা অতটা ভালো না।আর অর্জুন খান যার কারণে বাবা-মা'য়ের ডির্বোস হয় অবশেষে উপায় না পেয়ে আম্মুকে তাকেই বিয়ে করতে হয়। তাই বাবা নামক ব্যক্তিটার সাথে ও আমার সম্পর্ক ভালো না।কিন্তু সে আমাকে ছোট বেলায় ভালো না বাসলেও এখন খুব ভালোবাসে।কিন্তু আমার কাছে যা মূল্যহীন।আমি ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী।আর শ্রাবণ আমার বান্ধবী। আসলে ওর নাম ইশরাত জাহান শ্রাবণী।কিন্তু আমি আদর করে শ্রাবণ ডাকি।আমরা ঢাকায় একটা ফ্ল্যাটে থাকি।এই ফ্ল্যাটটা আমার ষোড়শতম জন্মদিন এ নানাভাই গিফট করেছে। এখানে আমরা দুজন থাকি।আমাদের ফ্যামিলি চিটাগাং এ থাকে। এখানে আসার প্রথম উদ্দেশ্য বাবাকে খোঁজে বের করা, আর অর্জুন খানের নজরের বাইরে থাকা। শুনেছি বাবা-মা নাকি ঢাকায় থাকতেন।
শ্রাবণ-কীরে এখনো বসে আসিছ?
নিঝুম - এইতো চলে এসেছি।
শ্রাবণ-শোন কালতো কলেজের প্রথম দিন, তুই কী পরবি।আমি কিন্তু নতুন ড্রেসটাই পরবো যেটা আংকেল আমাদের গিফট করেছে। দেখ আংকেল আমাদের কত সুন্দর দুইটা ড্রেস দিয়েছে। এটা পরলে তোকে খুব ভালো লাগবে,বলতে হবে আংকেল এর চয়েস আছে।
নিঝুম - তুই থামবি, সব সময় শুধু আংকেল - আংকেল করিছ কেন?অন্য কিছু বলতে পারিস না।
শ্রাবণ- তুই রেগে যাচ্ছিছ কেন? কি হয়েছে? বলবি তো নাকি,কিছু দিন ধরেই দেখছি তুই আংকেল এর নাম শুনলেই রেগে যাচ্ছিছ।আংকেল কত ভালো একটা কলেজে আমাদের এডমিশন করিয়ে দিল,কিন্তু তুই ঢাকায় চলে এলি।কি হয়েছে তোর?
নিঝুম - বলছি তো কিছু হয়নি।তুই শুধু আংকেল আংকেল করাটা বন্ধ কর বুঝলি।
শ্রাবণ- আংকেল কিন্তু তোর বাবা হয় ঝুম, তুই তার সাথে এমন বিহেভ কেন করিছ,ওনিতো কত ভালো মানুষ।
নিঝুম -বাবা মাই ফুট......... (বলেই সেখান থেকে চলে গেল)
শ্রাবণ-ঝুম,ঝুম,এই নিঝুম শোন বলছি।যা চলে গেল,ভালো লাগে না। এখন কি করব, আবার রেগে গেল যে,এই মেয়েটা এত রাগ কই পায়?কথায় কথায় রেগে যায়।
এর মধ্যেই শ্রাবণের ফোন বেজে ওঠে।
শ্রাবণ-হ্যালো,মনি কেমন আছো?
নিঝুমের মা- ভালো আছি রে মা। তুই কেমন আছিছ? আর নিঝুম কোথায় সেই কখন থেকে কল করছি ধরছেই না।
শ্রাবণ-ঝুম তো অন্য রুমে আছে, তুমি একটু ওয়েট কর আমি ডেকে দিচ্ছি।
নিঝুমের মা-আচ্ছা ঠিকআছে।
শ্রাবণ-ঝুম,ঝুম,ও তুই এখানে। তুই আবার সি......(কথাটা বলার আগেই ফোনের দিকে চোখ পড়ল, তাই ফোনটা কেটে দিয়ে,ঝুমের হাত থেকে সিগারেটটা ফেলে দিয়ে বললাম) তোকে না সিগারেট খেতে নিষেধ করছি।তুই আবারও খাচ্ছিস।আমার কথার কী কোন মূল্য নেই?
নিঝুম - না...আসলে....আ...
শ্রাবণ- হয়েছে তোকে আর আমাকে বোঝাতে হবে না। মনি কল দিছিল,তোর সাথে কথা বলবে তুই কথা বলেনে।(বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম)
নিঝুম -শ্রাবণ, শ্রাবণ, শোন যা চলে গেল।( বলতে বলতেই ফোন বেজে উঠল)
নিঝুমের মা- হ্যালো,নিঝুম।
নিঝুম- হ্যা আম্মু বলো।কেমন আছো?
নিঝুমের মা-ভালো আছি।তুই কেমন আছিস? খেয়েছিস?
নিঝুম - ভালো আছি।না খাইনি, তুমি খাইছো?রাএি,রোদ কেমন আছে?
নিঝুমের মা- হ্যা খেয়েছি। সবাই ভালো আছে। তোর কলেজ শুরু হয়েছে?
নিঝুম -কাল থেকে শুরু হবে। আমি তোমাকে পরে কল দিচ্ছি আম্মু। (বলেই কলটা কেটে দেই)
অর্জুন- মেয়েটাকে সত্যিটা বললেই পারতে।
নিঝুমের মা - শুধু শুধু চিন্তা করতো।
এইদিকে...
নিঝুম -কীরে তুই কান্না করছিছ কেন? ( চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে)
শ্রাবণ-তোকে না করার পরে ও কেন আবার সিগারেট খাচ্ছিলি বল,কী হলো বল?
নিঝুম -সরি,শ্রাবণ।
শ্রাবণ-না সরি তে হবে না আমার মাথায় হাত রেখে বল আর কখনো খাবি না।( ঝুমের হাতটা আমার মাথায় রেখে বললাম)
নিঝুম-.............
চলবে.....
( বন্ধুরা ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন। আর কেমন হয়েছে জানাতে ভুলবেন না যেন,আর বন্ধুদের জন্য পরের পর্বের চমক হলো নিঝুম কী শ্রাবণকে ছুয়ে ওয়াদা করবে,আর তা রাগের পিছনে লুকিয়ে থাকা কারণটা বলবে)