নারীর স্বাধীনতা।

ইসলাম নারী পুরুষ কাউকে স্বাধীনতা দেয়নি, ইসলাম শব্দের অর্থই আত্মসমর্পণ। স্বাধীন ভাবে নিজের ইচ্ছাপুরন ইসলাম নয়, সেটা নফসের গোলামি।

নারীর স্বাধীনতা ও ইসলাম

. মুসলিম পুরুষরা তো নিজেদের স্বাধীনতা দাবি করে না তাহলে নারীরা কেন নারীদের স্বাধীনতা চাচ্ছে? . ইসলাম নারী পুরুষ কাউকে স্বাধীনতা দেয়নি। কাউকেই না। যে মানুষ স্বাধীন সে মুসলিম না আর যে মুসলিম সে স্বাধীন নয়।

ইসলাম শব্দের অর্থই আত্মসমর্পণ।

আর মুসলিম মানে আত্মসমর্পণকারী, আনুগত্যকারী।

আল্লাহ আমাদের ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন আরো সহজ ভাবে বললে আল্লাহ আমাদের তার গোলামি বা দাসত্ব করার জন্য সৃষ্টি করেছেন।

একজন মুসলিম সে আল্লাহর দাস - আল্লাহর গোলাম। আল্লাহর হুকুমের কাছে সে দায়বদ্ধ। তার হাত পা শরিয়তের শিকলে বাধা।

যে এই এই শিকল ছিড়তে চাবে - যে স্বাধীনতার দাবি করবে সে মুসলিম থাকবে না। শরিয়তের শিকল থেকে বের হয়ে গিয়ে নিজের নফসের গোলামে পরিনত হবে সে।

.

এই পৃথিবীতে তিন শ্রেনীর লোক রয়েছে।

-এক শ্রেনীর লোক মহান রবের গোলাম।আল্লাহর গোলাম। -আরেকশ্রেনীর লোক মানুষের গোলাম। -তৃতীয় শ্রেনীর লোক নিজের গোলাম - নিজের নফসের গোলাম।শয়তানের কুমন্ত্রনায় পরিচালিত।

. যে ব্যক্তি রবের গোলাম সে তো মর্যাদার অধিকারী। তার অভিভাবক স্বয়ং আল্লাহ। তার জন্য রয়েছে ইহকাল ও পরকালে কল্যান। . আর যে ব্যক্তি মানুষের গোলাম বা নিজের গোলাম এরা তো লাঞ্চনার জিন্দেগী যাপনকারী। এরা ইহকাল ও পরকালে ধ্বংসে নিপাতিত মানুষ।

. এতটুকু যদি বুঝে থাকেন- তাহলে নারী স্বাধীনতার জন্য আর শ্লোগান তুলবেন না।কারন আপনার রব যে বিধান দিয়েছেন এই বিধানকে মেনে নিয়ে জীবন যাপন করাই মর্যাদার কাজ। ব্যক্তিস্বাধীনতা পাওয়াটা নয়। . -আমাদের রব মুসলিম নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তাই মুসলিম নারী ঘরেই থাকবে।

-আমাদের রব মুসলিম নারীদের পর্দা করা ফরজ করে দিয়েছেন তাই সে পর্দা করবে

-আমাদের রব পুরুষকে বানিয়েছেন নারীর অভিভাবক। তাই নারী তার অভিভাবক এর আনুগত্য করবে। বৈধ কাজে আমিরের আনুগত্য করাই হলো রবের আদেশ।

-নারী তার অভিভাবক ছাড়া ঘর থেকে বের হবে না। চাকরি ব্যবসা যাই করতে চাক না কেন এটা তার অভিভাবক এর অনুমতি সাপেক্ষ। .

আল্লাহ পুরুষদেরও একটা শিকলে বেধে দিয়েছেন।পুরুষরাও তাদের আমিরদের আনুগত্য করবে।জিহাদের ডাক আসলে নিজের মাথা তরবারির নিচে দিয়ে দিবে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই।

. আমাদের ইমান কেমন হওয়া উচিত?? হযরত হাজেরা আ. এর মতো।যখন তাকে ইব্রাহীম আ. এক বিরান মরুভুমিতে রেখে আসলে অল্প একটু পানিসহ। যখন চারপাশে কোনো খাবার কিংবা পানি ছিলো না।যখন আশেপাশে কোনো জনবসতি ছিলো না।মৃত্যু ছিলো নিশ্চিত। . হাজেরা আ. ইব্রাহীম আ. কে শুধু এতটুকুই জিজ্ঞাসা করেছিলেন - এই কাজ কি তিনি রবের নির্দেশে করেছেন কি না? ইব্রাহীম আ. জবাব দিলেন হ্যা। আর হাজেরা আ. বলে উঠলেন তাহলে আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। . কোনো প্রশ্ন ছিলো না! কোনো অভিযোগ ছিলো না! কোনো অনুযোগ ছিলো না। কোন যুক্তি বিজ্ঞান ব্লা ব্লা খুজে নাই। এটাই ইমান। সন্তানকে নিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর এই পরিস্থিতিতেও আল্লাহর আদেশ সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নিয়েছিলেন। . আমাদের ইমান হওয়া উচিত ইসমাইল আ. এর মতো। যাকে যখন ইব্রাহীম আ. বললেন হে পুত্র তোমাকে আল্লাহ কোরবানি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন - বলতে দেরি ছিলো কিন্তু ইসমাইল আ. এর মাথা দিতে দেরি ছিলো না। তিনি সন্তুষ্ট চিত্তে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কোরবানি হওয়ার জন্য প্রস্তুত্ব হয়ে গেলেন। . আমাদের ইমান তো ইব্রাহীম আ. এর মতো হওয়া উচিত। যাকে বারবার পরিক্ষা দিতে হয়েছে আর প্রতিবার তিনি বিজয়ী হয়েছেন।

প্রথমবার তাওহীদ ও একাত্ববাদের সাক্ষি দেয়ার জন্য তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হলো।তিনি পুড়তে রাজি ছিলেন কিন্তু ইমান ত্যাগ করতে না।আগুন তো শিতল হয়েছে পরে।

চিন্তা করুন- আপনার সামনে আগুন আর ইমানের কারনে আপনাকে আগুনে পোড়ানো হবে? তখন আপনার অবস্থা কেমন হতো?? . ইব্রাহীম আ. কে যখন তার সন্তান আর স্ত্রীকে মরুভুমিতে একাকী ছেড়ে আসতে বলা হলো- তিনি তাই করলেন।মৃত্যু মুখে তার প্রিয়সন্তান আর স্ত্রীকে রেখে আসলেন।যখন প্রিয় সন্তানকে কোরবানি দিতে বলা হলো তিনি সন্তানের গলায় ছুড়ি চালালেন। . কোনো প্রশ্ন ছিলো না।কোনো কিন্তু ছিলো না।ছিলো আনুগত্য আর দাস্তত্বের প্রমান। . আর এটাই মুসলিমদের অনুসরনীয় আদর্শ।

-.........

আমার কিছু কথা ( ভুল হলে সরি)

( আবার পুরুষের ইচ্ছা হলো কোন নারীর দিকে তাকিয়ে থেকে মজা নিতে , ইসলাম সেখানেও পুরুষকে আল্লাহ্‌র হুকুমে বেধে রাখে। যে এই বাধা মানে সেই মুসলিম তথা আত্মসমর্পণকারী, আনুগত্যকারী।)

জাস্ট চিন্তা করে দেখুন, ধরা টাচ করা মজা করা তো বাদ, তাকানোর অনুমতি পর্যন্ত দেয়নি ইসলাম।

অনেক বোন বলে নারীর জন্য কঠিন পুরুষের জন্য সহজ ব্লা ব্লা ব্লা।

অথচ ইসলাম কোন ক্ষেত্রে নারির জন্য কঠিন আবার কোন ক্ষেত্রে পুরুষের জন্য কঠিন।

আল্লাহ্‌ আমাদের দুনিয়াতে সহজ ভাবে নফসের গোলামি করে আরামে বাচতে দুনিয়াতে পাথাইনি, পরিক্ষা করতে পাঠাইছেন। আর পরিক্ষা সহজ হয় না, কঠিন ই হয়। )

একজনের জন্য একটা প্রশ্ন সহজ হয় আরেকটা কঠিন। আরেকজনের কাছেও সেম, কিছু সহজ কিছু কঠিন।

নারীর স্বাধীনতা যদি হয় তার ইচ্ছামত পোশাক পড়ে ঘুরে বেড়ানো তাহলে পুরুষের ইচ্ছামত ধর্ষণ "পুরুষ স্বাধীনতা" হবে না কেন?

নিজের মুখে যা আসে তাই বলে অন্যদের আঘাত করা যদি "বাক স্বাধীনতা" হয় তাইলে আমার হাত দিয়ে যারে ইচ্ছা তারে কোপ দেওয়া কেনো "হাত স্বাধীনতা" হবে না?

তোমার সুবিধা অনুযায়ী সীমানা দিয়ে নিজের ইচ্ছামত আকাম করবা আর একইভাবে আমরা তোমাদের নিয়মেই আমাদের সুবিধা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে আক্রমণ করলেই আমরা উগ্র আর জঙ্গি ?

আজকে যারা সমকামিতার, নারিবাদিতা, তথা কথিত স্বাধীনতা চাই তারাই কালকে পরিবারে অজাচার এর অনুমতি দিবে।

এই মানুষ শয়তান গুলোর দ্বারা সব সম্ভব।

2
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 3 years ago

Comments