❤💚,,,,,বেয়াইনের প্রেম,,,,,💚❤
পর্ব_০7
লেখাঃ নিয়ান আহম্মদ নিহান
আর কয়টাদিন কি সবুর করা যায় না??
ভাবীর গলা শুনতেই দুজনে ধড়ফড় করে উঠলাম,,, তিশা দৌড়ে চলে গেলো,, আমি ভাবীকে বললাম
আর একটু পর এলে কি হতো?? আসার আর সময় পেলে না??
আমার সামনে আমার পিচ্চি বোনটাকে চুমু খাবা আমি কি বসে বসে দেখব নাকি
ইশশশ পিচ্চি না ছাই,, আমাকে কিস করে করে নাজেহাল করে দিছে
আহারে এখন আমার বোনকে দোষ দিতেছো তাইনা
আসুক আমার বোনটা ছোট বউ হয়ে তারপর তোমাদের দুই ভাইকে ইচ্ছে মত শায়েস্তা করব
দেখা যাবে হুহহহহহ
এখন ফ্রেশ হয়ে আসো খাবার দেই
তোমার হাতে খাব না, তোমার বোনকে বলো খাবার দিতে
উলে বাবালে এত ভালোবাসা,,, ঢং
হুমমম যাও জলদি বলো
আচ্ছা
আমি ফ্রেশ হয়ে টেবিলে গিয়ে বসলাম,, তিশা খাবার বেড়ে বসে আছে,,
তোমার কি লজ্জা শরমের বালাই নাই,, আপুকে বললে কেন আমাকে খাবার দিতে
তো কি হইছে,, বউ যদি খাবার না দেয় কে দিবে
এই যে এখনো বিয়ে হয়নি
করে নিব তো আজই
জি না,, এত জলদি না,,
সেটা পরে দেখব,, এখন খেতে দাও প্লিজ,, সারাদিন কিছু খাইনি
যাও না বাইরে বাইরে থাকো
বিয়ের পর বুঝবা এভাবে বাইরে থাকার মজা। দরজা বন্ধ করে দিব ঘরেও ঢুকতে পারবা না।
ওরে আল্লাহ কি বলে,, এখন ই এভাবে বলছো বিয়ে করলে তো আমি শেষ। এমন জল্লাদ কেন তুমি
কথামত চললে ভালো নাহলে খবর আছে
ভবিষ্যতের করুন পরিনতির সিগনাল পেয়ে ঢোক গিলতে শুরু করলাম,,, এজন্যই বলে বিয়ের পর সব মেয়ে বদলে যায়।।
বিকেলে ছাদে গেলাম তিশাকে নিয়ে শুনলাম ওর আব্বু আম্মু নাকি সন্ধ্যায় আসবে। একটু লজ্জা লাগছিল যদিও তবুও খুশি ছিলাম।
বিয়ের আগে মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি যেতে নেই আর আমি হবু শ্বশুরবাড়ি এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি কি লজ্জা
চুপ থাকো তো,, কিসের লজ্জা হুমম,, তোমাকে আনার জন্য আম্মু কে আর ভাবীকে কত মেনেজ করছি জানো তুমি??
থাক থাক,, ছেছড়ার মত আমাকে দেখেই ভীরমি খেয়েছিলে
একটা মাইর দিব,, ছেছরামি করেছি বলেই আজ তোমাকে এত কাছে পেয়েছি।
ঢং হুহহহহ
দেখো এখন কিন্তু আশেপাশে কেউ নাই
তো কি হইছে
পাপ্পি দিব কিন্তু
পারোই তো এটা আর কিছু তো পারোনা
সেটা বাসর রাতে বুঝবা
যাহহ দুষ্ট
হিহিহি
সন্ধ্যা হয়ে গেলো,,, তিশার আব্বু আম্মু ও চলে এসেছে। আমি লজ্জায় লাল হয়ে রুম থেকে বের হচ্ছি না। ভাবী এসে বললো
এই যে দেবর জী,, আসেন এখন আপনার হবু শ্বশুর মশাই এসেছেন,, তাকে দর্শন করে আসেন
লজ্জা লাগে তো কেমনে যাব
আহারে,,, বোনটাকে পটিয়ে চুমু খাওয়ার সময় লজ্জা লাগতো না।
তখন তো মজা লাগতো হিহিহি
হইছে শয়তান ছেলে এবার আসো
আচ্ছা চলো চলো
হবু শ্বশুর এর সামনে গিয়ে লম্বা একটা সালাম দিলাম,,
সালামের উত্তর দিয়ে ওনারা আমাকে পাশে বসিয়ে বললো
ইচ্ছে ছিল আরেক ঘর আত্মীয় বাড়াবো কিন্তু মেয়ে যে আমার একবাড়িতেই নৌকা ভিড়াবে জানতাম না। অবশ্য ভালোই হলো একবাড়িতেই এলেই দুই মেয়েকে দেখতে পারব হাহা
আমি তো লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে আছি
আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবী সবাই হাসতেছে।।
তা বাবা এক মেয়েকে তো মাত্র বিয়ে দিলাম হাতে একটু টান পড়েছে। তা তুমি কবে আমার মেয়েকে ঘরে তুলতে চাও
আমার কোন তাড়া নেই,,, পড়াশোনা শেষ করলাম,, একটা চাকরি করি আর তিশারও পরীক্ষা শেষ হোক তারপর বিয়ে। আপনারা মুরুব্বিরা কথা পাকা করে রাখেন তাতেই হবে।
কিসের আবার কথা। আমরা এখন কাবিন কলমা করে রাখব পরে অনুষ্ঠান করব।
আপনারা যা ভালো মনে করেন।
হুমম বাবা,,,
আমি ওখান থেকে উঠে এলাম
বড়রা তখন তাদের সুবিধা মত যা করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করছে। আমি তো ছোট মানুষ তাই আর থাকলাম না। রুমে এসে ভাবছি,, আজ আমার বিয়ের কথা চলছে,,, তারমানে একটা দায়িত্ব বেড়ে গেলো।
কিছু সময় পর ভাবী এলো
দেবরজি ২ মাস পর তোমার বিয়ে রেডি হও
সত্যি?? ইয়াহহহহহু
আরে ফাজিল ছেলে বিয়ের কথা শুনে কেমন নাচছে দেখো
ফাজিলের কি আছে হুমমম
বিয়ের আগে আর আমার বোনের ধারে কাছে ও আসবা না বুঝলে
ইশশ কেন
কোন কথা না,,, মাইর দিব কিন্তু
না না তিশার সাথে কথা না বললে ওর সাথে ঝগড়া না করলে আমি থাকতে পারব না ভাবী প্লিজ
আহারে কত ভালোবাসা
তোমার সামনে বসিয়ে ওর সাথে কথা বলব তবুও না করো না প্লিজ
আচ্ছা হইছে আর ঢং করো না।
আচ্ছা এবার বলো,, তোমার হারামি বোনটা কই কখন থেকে দেখিনা
আছে রুমে আম্মু র কাছে রান্না শিখতেছে
বাবারে কত ঢং দুই বোনের
যাও গিয়ে দেখো কি কি শিখলো
আচ্ছা যাচ্ছি
ভাবীকে দুইটা চিমটি দিয়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে। দেখি
হবু বউটা আমার শাশুড়ির পাশে দাড়িয়ে রান্না করছে
আম্মু যাও তো আব্বু ডাকে তোমাকে জলদি
কেন কি হলো
জানিনা তো যাও জলদি
হুম
আম্মু চলে গেলে আমি তিশাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম
আম্মু থাকলে তো আর তোমাকে এভাবে পেতাম না তাই আব্বু র কথা বলে সরালাম হিহিহি
ওরে হারামি আসুক আম্মু তারপর বুঝাবো
এখন আমাকে পাপ্পি দাও জলদি
ইশশশ,, পারব না যাও সরো তো,, বাড়ি ভরা মানুষ আর উনি আসছে ফাজলামি করতে
এতক্ষণ হয়ে যেত কিন্তু দাও না
পারব না,, তুমি যাবা নাকি খুন্তির ছেকা দিব
ওইনা একটা দাও চলে যাচ্ছি
না না না,, নিজে দিয়ে চলে যাও
আমি চোখ বন্ধ করে তিশার দিকে ঠোটটা এগিয়ে যেতেই আম্মু এসে ঠাসসস করে এক চড় বসালো গালে
বেয়াদব ছেলে মিথা কথা কেন বললি তোর আব্বু তো ডাকেনি আমাকে,, আর এটা কি করছিস হুমম
কই কিছু না তো,,, তিশা আমাকে ডাকলো বললো ওর নাকি একা থাকতে ভয় করে তাই আমি ওর পাশে ছিলাম। আর আব্বু তো ডেকেছিল কালকে আমার এখন মনে পড়লো তাই বললাম
ওরে শয়তান ছেলে যা এখান থেকে
আন্টি ও মিথ্যা কথা বলছে আমি ওকে ডাকিনি
আমি জানি মামনি ও বান্দর একটা
তুমি ওকে শায়েস্তা করতে পারো না
তোমার ছেলের ব্যাকা লেজ একদম সোজা করে ফেলব টেনশন করো না
কচু কইরো তুমি
বলেই দিলাম দৌড়,,,…
আজ খুব খুশি লাগছে,, তিশার সাথে বিয়ের কথা পাকা হয়ে গেলো,, আমি আমার ভালোবাসা কে নিজের করে পেতে যাচ্ছি,, এর থেকে ভাল খবর আর কি হতে পারে??
পরদিন সকালে উঠে তিশাকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছি। গাড়ীতে ও আর আমি। দুপুর নাগাদ একটা মোটামুটি ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম,, দুর থেকে নজরে এলো খুব বৃদ্ধ একটা রিকশাওয়ালাকে। দেখে খুব মায়া লাগল,, এতো বয়সেও তাকে এভাবে কষ্ট করতে হবে কেন?? তার সন্তান রা কেন তাকে এমন অবস্থায় বাইরে আসতে দিবে। যাদেরকে এত কষ্ট করে বড় করলো আজ তারাই তাকে ছেড়ে নিজের মত করে আছে?? এরা কি মানুষ না অন্য কিছু,,
তিশা বললো
চলো ওনাকে নিয়ে পাশে কোথাও বসি
হুমম চলো
ওনার কাছে গিয়ে ওনাকে ডেকে গাড়ী টা সাইডে রেখে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম তার এমন অবস্থায় কেন আসতে হলো। তিনি জানালেন,, তার দুই ছেলে তাকে ছেড়ে আলাদা থাকে বিয়ের পর,,, খোজও নেয়না,, ঘরে অসুস্থ স্ত্রী তার জন্য ওষুধ কিনতে হবে আর যদি কিছু খাবার কিনতে পারে তবে হয়তো খাওয়া হবে।
কিন্তু ওনার নিজের শরীরও ভালো না।
তিশা আমাকে বললো ওনার সাথে যেতে যা ওষুধ লাগে কিনে দিতে আর কিছু টাকা দিয়ে আসতে। আমার কাছে যা ছিল তার সবটাই ওনার হাতে দিয়ে দিলাম,, আর ওনার স্ত্রী র জন্য ওষুধ কিনার টাকাটা আব্বু কে ফোন করে মেনেজ করলাম।
ওনারা দুজন খুব কাদলেন নিজের সন্তানের জন্য। আবার থেমে গেলেন বললেন আমরা কাদলে নাকি ওদের অভিশাপ লাগবে। একেই বলে মা বাবা,,, কিন্তু সেসব সন্তানের জন্য এটাই ধ্বংসের কারন। দুপুরে খাবার এনে ওনাদের সাথে খেলাম। ভালো লাগলো মন থেকে। তিশাকে অনেক দোয়া করলো ওনারা।
ঘুরতে ঘুরতে বিকেল হয়ে গেলো। একটা গিফট কর্নারে গেলাম তিশাকে কিছু কিনে দিব বলে। দুজনে দুদিকে দেখছি। হটাত একটা মেয়ে এসে আমার পাশে দাড়িয়ে কিছু দেখছে,, আমি আমার মত করে দেখছি,,, মেয়েটা হাই হিল পরা ছিল আর ফ্লোরের শেষ টায় কিছু টা খাদ টাইলসের।
হটাতই সেখানে পা দিতে ব্যালেন্স করতে পারেনি আর তাই হাত পা ছুড়ে পড়তে গেলো আমি কোনরকম কোমরে হাত দিয়ে আয়ত্ত করলাম। ওর চিতকার শুনে পুরো দোকানের মানুষ তাকিয়ে আছে। ভাবছে বফ গফ,,, একজন বলে উঠলো
ইশশ কেমন মানিয়েছে ওদের দেখো,, খুব সুন্দর লাগছে,, কত কেয়ার করে,
আমি তিশার ভয়ে জলদি ওকে ছেড়ে দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম হয়তো তিশা এটা দেখেনি যাক বাচলাম।। সামনে তাকাতেই দেখি তিশা শকুনের মতো চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে চুপ করে, সে কি রাগ চোখে।
আমি কয়েকবার ঢোক গিললাম। এর মধ্যে ওই মেয়েটা বললো
থ্যাংকস,,, আমাকে সেভ করার জন্য। আসলে দেখতে পাইনি ওখানটা তাই…..
its ok,, বেপার না।।
আমি রুবি,, বিবিএ পড়ছি,, আপনি
আমি আবির,, গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি
পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো,, একটা ট্রীট দিতে চাই,,
আমার গফ সাথে আছে হয়তো ওর এটা ভালো লাগবে না। এমনিতেই রেগে আছে ওই দেখেন পেছনে
তাই নাকি,,, কই
তিশার কাছে গিয়ে
হায় আপি,,, আমি রুবি
হ্যালো আমি তিশা,,
রাগ করছো নাকি তোমার বফের কোন দোষ নেই ও শুধু আমাকে সেফ করেছে নাহলে হয়তো বেথা পেতাম আমি।।
হুমম দেখেছি,, সাবধানে চলবেন
ওকে চলো একসাথে বসে কফি খাই তিনজন
উমমমম,, চলো তাহলে
তিশা আমার হাত ধরে তারপর হাটতে শুরু করলো। পাশেই একটা কফি শপে গিয়ে বসলাম তিনজন।
রুবি জিজ্ঞেস করলো কোন ভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করলাম। ভার্সিটির নাম বলতেই চোখ বড় বড় করে বললো ওর আপু নাকি ওখানেই পড়তো। নাম জিজ্ঞেস করলাম বললো তানিশা। নাম শুনেই আমার পিলে চমকে গেলো। তানিশা আমার সাথেই পড়তো। খুব ডেঞ্জারাস মেয়ে। আমাকে জ্বালিয়ে মারতো। ওর ভয়ে পালিয়ে বেড়াতাম। খুব পছন্দ করতো আমাকে।।
রুবিকে তানিশার কথা বলতেই খুশিতে ফোন দিল। লাউডে দিয়ে কথা বলা শুরু করলো
আপু একটা সারপ্রাইজ আছে
কি রে
আবির নামে কাওকে চিনো
আবির?? কোন আবির
যে তোমার সাথে পড়তো
ওহহ তুই আবিরকে কিভাবে চিনিস
আমি আবির এর সাথে বসে আছি সাথে ওর গফও আছে
what?? কি বলছিস তুই এসব?? ওকে কোথায় পেলি
শপিং করতে গিয়ে পরিচয় হলো
ওর গফ আছে মানে?? আবিরকে আমি ভালোবাসি আর ও গফ নিয়ে ঘুরতেছে?? তুই কোথায় আছিস বলতো আমি এখনই আসব
এইতো মিরপুরে আছি শপিং মলের পাশে
২০ মিনিটে আসতেছি
ওকে
ওদের কথা শুনে তিশা তো রেগে আগুন হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে আর আমার সবার ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে।
রুবি এটা কি করলে ওকে কেন বললে এসব তুমি জানো ওকে কত ভয় পাই আমি
কেন কিসের ভয় কিছু হবে না
তুমি কেন বুঝতেছোনা
তিশা অনবরত আমাকে চিমটি দিচ্ছে। আমি বুঝলাম আজ আমার কপালে খুব শনি আছে। একদিকে তানিশা আরেকদিকে তিশা। তানিশা এলেই শুরু করবে এক ঝড়। এটা সামলাবো কি করে। তারপর আসবে তিশার ঝড়। হায় আল্লাহ কোন পরীক্ষায় ফেললে আমাকে??
তানিশা আসার আগেই আমি কয়েক গ্লাস পানি খেলাম। গলাটা বারবার শুকিয়ে যাচ্ছে। বারবার আল্লাহ কে ডাকছি যেন কোন ঝামেলা না হয়।
কিছু সময় পর তানিশা এলো রেস্টুরেন্টে,,, আমি দেখেই মেনু কার্ড দিয়ে মুখ ঢেকে বসেছি। তানিশা এসেই মেনু কার্ড কেড়ে নিয়ে আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে।। আমি মাথা নিচু করে আছি।
৪ টা বছর ধরে আমি তোমাকে পাগলের মত ভালোবাসছি তুমি একবার ফিরেও তাকাও নি।। আর আজ গফ কোত্থেকে পেলে শুনি
পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করছে
what?? বিয়ে মানে?? আমি তানিশা ছাড়া কেউ তোমার বউ হবে না মনে রেখো
এবার তিশার মাথা গরম হয়ে গেছে
এই যে আপু কি বলছেন এসব হুমম?? মগের মুল্লুক নাকি?? আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সামনে মাসে আমাদের বিয়ে আর আবির আমাকে ভালোবাসে এটাই বড় কথা। আর প্লিজ যেহেতু আবির আপনাকে ভালোবাসে না সেহেতু এতকথার কিছু নাই।
আমি ওকে ৪ বছর ধরে ভালোবাসি আর তুমি এসেই ওকে সরাসরি বিয়ে করবে আমি কি বসে থাকবো,,
চলবে,,,
যারা নিউ রিকোয়েস্ট দিয়ে সাথে থাকো,,,পরে বলতে পারবা না ভাই আমি এইপার্ট টা পাই নাই,,,পুরো গল্পটা এবং আরো অনেক রোমান্টিক গল্প পরতে চাইলে আমাকে রিকোয়েস্ট দিয়ে সাথে থাকো,,,,ধন্যবাদ
❤💚,,,,,বেয়াইনের প্রেম,,,,,💚❤
পর্ব_০7
লেখাঃ নিয়ান আহম্মদ নিহান
আর কয়টাদিন কি সবুর করা যায় না??
ভাবীর গলা শুনতেই দুজনে ধড়ফড় করে উঠলাম,,, তিশা দৌড়ে চলে গেলো,, আমি ভাবীকে বললাম
আর একটু পর এলে কি হতো?? আসার আর সময় পেলে না??
আমার সামনে আমার পিচ্চি বোনটাকে চুমু খাবা আমি কি বসে বসে দেখব নাকি
ইশশশ পিচ্চি না ছাই,, আমাকে কিস করে করে নাজেহাল করে দিছে
আহারে এখন আমার বোনকে দোষ দিতেছো তাইনা আসুক আমার বোনটা ছোট বউ হয়ে তারপর তোমাদের দুই ভাইকে ইচ্ছে মত শায়েস্তা করব
দেখা যাবে হুহহহহহ
এখন ফ্রেশ হয়ে আসো খাবার দেই
তোমার হাতে খাব না, তোমার বোনকে বলো খাবার দিতে
উলে বাবালে এত ভালোবাসা,,, ঢং
হুমমম যাও জলদি বলো
আচ্ছা
আমি ফ্রেশ হয়ে টেবিলে গিয়ে বসলাম,, তিশা খাবার বেড়ে বসে আছে,,
তোমার কি লজ্জা শরমের বালাই নাই,, আপুকে বললে কেন আমাকে খাবার দিতে
তো কি হইছে,, বউ যদি খাবার না দেয় কে দিবে
এই যে এখনো বিয়ে হয়নি
করে নিব তো আজই
জি না,, এত জলদি না,,
সেটা পরে দেখব,, এখন খেতে দাও প্লিজ,, সারাদিন কিছু খাইনি
যাও না বাইরে বাইরে থাকো বিয়ের পর বুঝবা এভাবে বাইরে থাকার মজা। দরজা বন্ধ করে দিব ঘরেও ঢুকতে পারবা না।
ওরে আল্লাহ কি বলে,, এখন ই এভাবে বলছো বিয়ে করলে তো আমি শেষ। এমন জল্লাদ কেন তুমি
কথামত চললে ভালো নাহলে খবর আছে
ভবিষ্যতের করুন পরিনতির সিগনাল পেয়ে ঢোক গিলতে শুরু করলাম,,, এজন্যই বলে বিয়ের পর সব মেয়ে বদলে যায়।।
বিকেলে ছাদে গেলাম তিশাকে নিয়ে শুনলাম ওর আব্বু আম্মু নাকি সন্ধ্যায় আসবে। একটু লজ্জা লাগছিল যদিও তবুও খুশি ছিলাম।
বিয়ের আগে মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি যেতে নেই আর আমি হবু শ্বশুরবাড়ি এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি কি লজ্জা
চুপ থাকো তো,, কিসের লজ্জা হুমম,, তোমাকে আনার জন্য আম্মু কে আর ভাবীকে কত মেনেজ করছি জানো তুমি??
থাক থাক,, ছেছড়ার মত আমাকে দেখেই ভীরমি খেয়েছিলে
একটা মাইর দিব,, ছেছরামি করেছি বলেই আজ তোমাকে এত কাছে পেয়েছি।
ঢং হুহহহহ
দেখো এখন কিন্তু আশেপাশে কেউ নাই
তো কি হইছে
পাপ্পি দিব কিন্তু
পারোই তো এটা আর কিছু তো পারোনা
সেটা বাসর রাতে বুঝবা
যাহহ দুষ্ট
হিহিহি
সন্ধ্যা হয়ে গেলো,,, তিশার আব্বু আম্মু ও চলে এসেছে। আমি লজ্জায় লাল হয়ে রুম থেকে বের হচ্ছি না। ভাবী এসে বললো
এই যে দেবর জী,, আসেন এখন আপনার হবু শ্বশুর মশাই এসেছেন,, তাকে দর্শন করে আসেন
লজ্জা লাগে তো কেমনে যাব
আহারে,,, বোনটাকে পটিয়ে চুমু খাওয়ার সময় লজ্জা লাগতো না।
তখন তো মজা লাগতো হিহিহি
হইছে শয়তান ছেলে এবার আসো
আচ্ছা চলো চলো
হবু শ্বশুর এর সামনে গিয়ে লম্বা একটা সালাম দিলাম,,
সালামের উত্তর দিয়ে ওনারা আমাকে পাশে বসিয়ে বললো
ইচ্ছে ছিল আরেক ঘর আত্মীয় বাড়াবো কিন্তু মেয়ে যে আমার একবাড়িতেই নৌকা ভিড়াবে জানতাম না। অবশ্য ভালোই হলো একবাড়িতেই এলেই দুই মেয়েকে দেখতে পারব হাহা
আমি তো লজ্জিত হয়ে মাথা নিচু করে আছি
আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবী সবাই হাসতেছে।।
তা বাবা এক মেয়েকে তো মাত্র বিয়ে দিলাম হাতে একটু টান পড়েছে। তা তুমি কবে আমার মেয়েকে ঘরে তুলতে চাও
আমার কোন তাড়া নেই,,, পড়াশোনা শেষ করলাম,, একটা চাকরি করি আর তিশারও পরীক্ষা শেষ হোক তারপর বিয়ে। আপনারা মুরুব্বিরা কথা পাকা করে রাখেন তাতেই হবে।
কিসের আবার কথা। আমরা এখন কাবিন কলমা করে রাখব পরে অনুষ্ঠান করব।
আপনারা যা ভালো মনে করেন।
হুমম বাবা,,,
আমি ওখান থেকে উঠে এলাম
বড়রা তখন তাদের সুবিধা মত যা করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করছে। আমি তো ছোট মানুষ তাই আর থাকলাম না। রুমে এসে ভাবছি,, আজ আমার বিয়ের কথা চলছে,,, তারমানে একটা দায়িত্ব বেড়ে গেলো।
কিছু সময় পর ভাবী এলো
দেবরজি ২ মাস পর তোমার বিয়ে রেডি হও
সত্যি?? ইয়াহহহহহু
আরে ফাজিল ছেলে বিয়ের কথা শুনে কেমন নাচছে দেখো
ফাজিলের কি আছে হুমমম
বিয়ের আগে আর আমার বোনের ধারে কাছে ও আসবা না বুঝলে
ইশশ কেন
কোন কথা না,,, মাইর দিব কিন্তু
না না তিশার সাথে কথা না বললে ওর সাথে ঝগড়া না করলে আমি থাকতে পারব না ভাবী প্লিজ
আহারে কত ভালোবাসা
তোমার সামনে বসিয়ে ওর সাথে কথা বলব তবুও না করো না প্লিজ
আচ্ছা হইছে আর ঢং করো না।
আচ্ছা এবার বলো,, তোমার হারামি বোনটা কই কখন থেকে দেখিনা
আছে রুমে আম্মু র কাছে রান্না শিখতেছে
বাবারে কত ঢং দুই বোনের
যাও গিয়ে দেখো কি কি শিখলো
আচ্ছা যাচ্ছি
ভাবীকে দুইটা চিমটি দিয়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে। দেখি হবু বউটা আমার শাশুড়ির পাশে দাড়িয়ে রান্না করছে
আম্মু যাও তো আব্বু ডাকে তোমাকে জলদি
কেন কি হলো
জানিনা তো যাও জলদি
হুম
আম্মু চলে গেলে আমি তিশাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম
আম্মু থাকলে তো আর তোমাকে এভাবে পেতাম না তাই আব্বু র কথা বলে সরালাম হিহিহি
ওরে হারামি আসুক আম্মু তারপর বুঝাবো
এখন আমাকে পাপ্পি দাও জলদি
ইশশশ,, পারব না যাও সরো তো,, বাড়ি ভরা মানুষ আর উনি আসছে ফাজলামি করতে
এতক্ষণ হয়ে যেত কিন্তু দাও না
পারব না,, তুমি যাবা নাকি খুন্তির ছেকা দিব
ওইনা একটা দাও চলে যাচ্ছি
না না না,, নিজে দিয়ে চলে যাও
আমি চোখ বন্ধ করে তিশার দিকে ঠোটটা এগিয়ে যেতেই আম্মু এসে ঠাসসস করে এক চড় বসালো গালে
বেয়াদব ছেলে মিথা কথা কেন বললি তোর আব্বু তো ডাকেনি আমাকে,, আর এটা কি করছিস হুমম
কই কিছু না তো,,, তিশা আমাকে ডাকলো বললো ওর নাকি একা থাকতে ভয় করে তাই আমি ওর পাশে ছিলাম। আর আব্বু তো ডেকেছিল কালকে আমার এখন মনে পড়লো তাই বললাম
ওরে শয়তান ছেলে যা এখান থেকে
আন্টি ও মিথ্যা কথা বলছে আমি ওকে ডাকিনি
আমি জানি মামনি ও বান্দর একটা তুমি ওকে শায়েস্তা করতে পারো না
তোমার ছেলের ব্যাকা লেজ একদম সোজা করে ফেলব টেনশন করো না
কচু কইরো তুমি
বলেই দিলাম দৌড়,,,…
আজ খুব খুশি লাগছে,, তিশার সাথে বিয়ের কথা পাকা হয়ে গেলো,, আমি আমার ভালোবাসা কে নিজের করে পেতে যাচ্ছি,, এর থেকে ভাল খবর আর কি হতে পারে??
পরদিন সকালে উঠে তিশাকে নিয়ে ঘুরতে যাচ্ছি। গাড়ীতে ও আর আমি। দুপুর নাগাদ একটা মোটামুটি ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম,, দুর থেকে নজরে এলো খুব বৃদ্ধ একটা রিকশাওয়ালাকে। দেখে খুব মায়া লাগল,, এতো বয়সেও তাকে এভাবে কষ্ট করতে হবে কেন?? তার সন্তান রা কেন তাকে এমন অবস্থায় বাইরে আসতে দিবে। যাদেরকে এত কষ্ট করে বড় করলো আজ তারাই তাকে ছেড়ে নিজের মত করে আছে?? এরা কি মানুষ না অন্য কিছু,,
তিশা বললো
চলো ওনাকে নিয়ে পাশে কোথাও বসি
হুমম চলো
ওনার কাছে গিয়ে ওনাকে ডেকে গাড়ী টা সাইডে রেখে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম তার এমন অবস্থায় কেন আসতে হলো। তিনি জানালেন,, তার দুই ছেলে তাকে ছেড়ে আলাদা থাকে বিয়ের পর,,, খোজও নেয়না,, ঘরে অসুস্থ স্ত্রী তার জন্য ওষুধ কিনতে হবে আর যদি কিছু খাবার কিনতে পারে তবে হয়তো খাওয়া হবে। কিন্তু ওনার নিজের শরীরও ভালো না।
তিশা আমাকে বললো ওনার সাথে যেতে যা ওষুধ লাগে কিনে দিতে আর কিছু টাকা দিয়ে আসতে। আমার কাছে যা ছিল তার সবটাই ওনার হাতে দিয়ে দিলাম,, আর ওনার স্ত্রী র জন্য ওষুধ কিনার টাকাটা আব্বু কে ফোন করে মেনেজ করলাম।
ওনারা দুজন খুব কাদলেন নিজের সন্তানের জন্য। আবার থেমে গেলেন বললেন আমরা কাদলে নাকি ওদের অভিশাপ লাগবে। একেই বলে মা বাবা,,, কিন্তু সেসব সন্তানের জন্য এটাই ধ্বংসের কারন। দুপুরে খাবার এনে ওনাদের সাথে খেলাম। ভালো লাগলো মন থেকে। তিশাকে অনেক দোয়া করলো ওনারা।
ঘুরতে ঘুরতে বিকেল হয়ে গেলো। একটা গিফট কর্নারে গেলাম তিশাকে কিছু কিনে দিব বলে। দুজনে দুদিকে দেখছি। হটাত একটা মেয়ে এসে আমার পাশে দাড়িয়ে কিছু দেখছে,, আমি আমার মত করে দেখছি,,, মেয়েটা হাই হিল পরা ছিল আর ফ্লোরের শেষ টায় কিছু টা খাদ টাইলসের।
হটাতই সেখানে পা দিতে ব্যালেন্স করতে পারেনি আর তাই হাত পা ছুড়ে পড়তে গেলো আমি কোনরকম কোমরে হাত দিয়ে আয়ত্ত করলাম। ওর চিতকার শুনে পুরো দোকানের মানুষ তাকিয়ে আছে। ভাবছে বফ গফ,,, একজন বলে উঠলো
ইশশ কেমন মানিয়েছে ওদের দেখো,, খুব সুন্দর লাগছে,, কত কেয়ার করে,
আমি তিশার ভয়ে জলদি ওকে ছেড়ে দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম হয়তো তিশা এটা দেখেনি যাক বাচলাম।। সামনে তাকাতেই দেখি তিশা শকুনের মতো চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে চুপ করে, সে কি রাগ চোখে।
আমি কয়েকবার ঢোক গিললাম। এর মধ্যে ওই মেয়েটা বললো
থ্যাংকস,,, আমাকে সেভ করার জন্য। আসলে দেখতে পাইনি ওখানটা তাই…..
its ok,, বেপার না।।
আমি রুবি,, বিবিএ পড়ছি,, আপনি
আমি আবির,, গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি
পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো,, একটা ট্রীট দিতে চাই,,
আমার গফ সাথে আছে হয়তো ওর এটা ভালো লাগবে না। এমনিতেই রেগে আছে ওই দেখেন পেছনে
তাই নাকি,,, কই
তিশার কাছে গিয়ে
হায় আপি,,, আমি রুবি
হ্যালো আমি তিশা,,
রাগ করছো নাকি তোমার বফের কোন দোষ নেই ও শুধু আমাকে সেফ করেছে নাহলে হয়তো বেথা পেতাম আমি।।
হুমম দেখেছি,, সাবধানে চলবেন
ওকে চলো একসাথে বসে কফি খাই তিনজন
উমমমম,, চলো তাহলে
তিশা আমার হাত ধরে তারপর হাটতে শুরু করলো। পাশেই একটা কফি শপে গিয়ে বসলাম তিনজন।
রুবি জিজ্ঞেস করলো কোন ভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করলাম। ভার্সিটির নাম বলতেই চোখ বড় বড় করে বললো ওর আপু নাকি ওখানেই পড়তো। নাম জিজ্ঞেস করলাম বললো তানিশা। নাম শুনেই আমার পিলে চমকে গেলো। তানিশা আমার সাথেই পড়তো। খুব ডেঞ্জারাস মেয়ে। আমাকে জ্বালিয়ে মারতো। ওর ভয়ে পালিয়ে বেড়াতাম। খুব পছন্দ করতো আমাকে।।
রুবিকে তানিশার কথা বলতেই খুশিতে ফোন দিল। লাউডে দিয়ে কথা বলা শুরু করলো
আপু একটা সারপ্রাইজ আছে
কি রে
আবির নামে কাওকে চিনো
আবির?? কোন আবির
যে তোমার সাথে পড়তো
ওহহ তুই আবিরকে কিভাবে চিনিস
আমি আবির এর সাথে বসে আছি সাথে ওর গফও আছে
what?? কি বলছিস তুই এসব?? ওকে কোথায় পেলি
শপিং করতে গিয়ে পরিচয় হলো
ওর গফ আছে মানে?? আবিরকে আমি ভালোবাসি আর ও গফ নিয়ে ঘুরতেছে?? তুই কোথায় আছিস বলতো আমি এখনই আসব
এইতো মিরপুরে আছি শপিং মলের পাশে
২০ মিনিটে আসতেছি
ওকে
ওদের কথা শুনে তিশা তো রেগে আগুন হয়ে আমার দিকে তাকাচ্ছে আর আমার সবার ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে।
রুবি এটা কি করলে ওকে কেন বললে এসব তুমি জানো ওকে কত ভয় পাই আমি
কেন কিসের ভয় কিছু হবে না
তুমি কেন বুঝতেছোনা
তিশা অনবরত আমাকে চিমটি দিচ্ছে। আমি বুঝলাম আজ আমার কপালে খুব শনি আছে। একদিকে তানিশা আরেকদিকে তিশা। তানিশা এলেই শুরু করবে এক ঝড়। এটা সামলাবো কি করে। তারপর আসবে তিশার ঝড়। হায় আল্লাহ কোন পরীক্ষায় ফেললে আমাকে??
তানিশা আসার আগেই আমি কয়েক গ্লাস পানি খেলাম। গলাটা বারবার শুকিয়ে যাচ্ছে। বারবার আল্লাহ কে ডাকছি যেন কোন ঝামেলা না হয়।
কিছু সময় পর তানিশা এলো রেস্টুরেন্টে,,, আমি দেখেই মেনু কার্ড দিয়ে মুখ ঢেকে বসেছি। তানিশা এসেই মেনু কার্ড কেড়ে নিয়ে আমার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে আছে।। আমি মাথা নিচু করে আছি।
৪ টা বছর ধরে আমি তোমাকে পাগলের মত ভালোবাসছি তুমি একবার ফিরেও তাকাও নি।। আর আজ গফ কোত্থেকে পেলে শুনি
পরিবার থেকে বিয়ে ঠিক করছে
what?? বিয়ে মানে?? আমি তানিশা ছাড়া কেউ তোমার বউ হবে না মনে রেখো
এবার তিশার মাথা গরম হয়ে গেছে
এই যে আপু কি বলছেন এসব হুমম?? মগের মুল্লুক নাকি?? আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে সামনে মাসে আমাদের বিয়ে আর আবির আমাকে ভালোবাসে এটাই বড় কথা। আর প্লিজ যেহেতু আবির আপনাকে ভালোবাসে না সেহেতু এতকথার কিছু নাই।
আমি ওকে ৪ বছর ধরে ভালোবাসি আর তুমি এসেই ওকে সরাসরি বিয়ে করবে আমি কি বসে থাকবো,,
চলবে,,,
যারা নিউ রিকোয়েস্ট দিয়ে সাথে থাকো,,,পরে বলতে পারবা না ভাই আমি এইপার্ট টা পাই নাই,,,পুরো গল্পটা এবং আরো অনেক রোমান্টিক গল্প পরতে চাইলে আমাকে রিকোয়েস্ট দিয়ে সাথে থাকো,,,,ধন্যবাদ