সিনিয়র_মামাতো_বোন_যখন_বউ😊
লেখক: পিচ্চি পোলা (ওয়াসিম আকরাম)😇
পর্ব:৭
দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখলাম।জারা আপু ফ্লোরে পরে আছে,আর হাত দিয়ে রক্ত পরতেছে।অনেক টা হাত কেটে ফেলেছে।এমন অবস্থা দেখে তো মা চিৎকার দিয়ে উঠলো।আর আমি গিয়ে হাত চেপে ধরলাম। তবুও রক্ত পরছেই।বাবাকে বললাম হাসপাতালে কল করতে যেন এম্বুলেন্স পাঠায়।আমি এরি মধ্যে জারা আপুর হাত কাপর দিয়ে বেঁধে ফেলেছি। রক্ত কিছু টা কম পরছে।তারপর কোলে করে জারা আপুকে বাহিরে নিয়ে আসলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই এম্বুলেন্স চলে আসলো।জারা আপুকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসলাম। ইমারজেন্সি তে নেওয়া হলো,আমরা কেবিনের বাহিরে বসে আছি।মা তো শুধু কেঁদেই চলেছে।মাকে বললাম......
- আরে মা কেঁদো না,দেখো কিছু হবে না। বেশি রক্ত পরে নি।😞
- কেনো যে মেয়েটার সাথে মজা করতে গেলাম।এখন ওর যদি কিছু হয়ে যায়।(মা)😓
- আমি তো তখনি বললাম,যা বলে গেল যদি কিছু করে বসে।(বাবা)
- আমি কি জানতাম ও এমন একটা কাজ করবে।(মা)😓
- যাও মা, ছেলে গিয়ে আরো মজা করো।😠(বাবা)
- আরে তোমরা শুধু শুধু চিন্তা করো না তো, কিছু হবে না।(আমি)
- মেয়েটার যদি কিছু হয় না,তো তোমাদের মা-ছেলে কে দেখে নিব বলে দিলাম।😠(বাবা)
- আরে কিছু হবে না দেখো।(আমি)
- ডাক্তার আসুক আগে।(বাবা)
কিন্তু কিছুতেই মার কান্না থামানো যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বেরিয়ে আসলো।
- আমার মেয়ে ভালো আছে তো ডক্টর।(মা)
- হুম,রোগী বিপদ মুক্ত।তবে..(ডক্টর)
- তবে কি ডক্টর।(বাবা)
- তবে এক ব্যাগ রক্ত লাগবে।(ডক্টর)
- রক্তের গ্রুপ কি ডক্টর।(আমি)
- AB+, আপনাদের মধ্যে যে কেউ দিতে পারবে।(ডক্টর)
- হুম, চলুন আমি দিচ্ছি।(আমি)
- আসুন।(ডক্টর)
তারপর ডাক্তার এর সাথে গিয়ে রক্ত দিলাম।রক্ত দিয়ে এসে বসে আছি,এমন সময় ডাক্তার এসে বললো....
- আজকে আপনারা বাসায় যেতে পারেন।তবে রোগীর কাছে একজন থাকতে হবে।(ডক্টর)
- দেখা করা যাবে কি, ডক্টর।(বাবা)
- সরি,কাল সকালে দেখা করতে পারবেন।(ডক্টর)
এই বলে ডাক্তার চলে গেল।আর মা বললো....
- তাহলে তোমরা চলে যাও আমি থাকি।(মা)
- তুমি কি বলছো মা,আজ অনেক কেঁদেছো।এমনি শরীর দুর্বল,আরো এখানে থাকতে চাচ্ছ।তুমি আর বাবা চলে যাও আমি থাকি।(আমি)
- ও কিন্তু ঠিকই বলেছে।(বাবা)
- থাকতে পারবি তুই।(মা)
- আরে মা কেন থাকতে পারবো না।তোমরা যাও তো।(আমি)
- আচ্ছা,তাহলে থাক।( মা)
তারপর মা বাবা চলে গেল। আমিও বাহিরে কিছুক্ষণ বসে থেকে,জারা আপুর কেবিনে চলে গেলাম।একটা চেয়ার নিয়ে জারা আপুর বেডের পাসে বসে পরলাম।জারা আপু ঘুমিয়ে আছে, ঘুমন্ত অবস্থায় জারা আপুকে একদম বাচ্চা দের মতো লাগে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর খুব ঘুম পেল,তাই বেডের উপর মাথা রেখে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।
যখন ঘুম ভাঙ্গল, দেখলাম সকাল হয়ে গেছে।আর জারা আপু এখনো ঘুমাচ্ছে।তাই আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।রাতে যেহেতু কিছু খাইনি তাই ক্ষুধা ও লাগছিলো, দোকানে গিয়ে কিছু খেয়ে আসলাম।আর জারা আপুর জন্যে কিছু ফল নিয়ে আসলাম।কেবিনে এসে দেখলাম নার্স জারা আপুকে ইনজেকশন পুশ করতেছে। নার্স চলে যাওয়ার পর আমি জারা আপুর কাছে গিয়ে বললাম....
- কেমন লাগছে এখন।
জারা আপু অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো।আমি আবার বললাম...
- কি হলো,কথা বলছেন না কেন।
- আমায় বাঁচাইচো কেন,আর তুমি এখানে কেন।যাও তোমার জুঁই এর কাছে যাও।
- আরে সব কথা পরে বলব।আগে বলেন কেমন লাগছে।
- হুম ভালো লাগছে।আর কিসের সব কথা।
তারপর জারা আপুকে সব বললাম।সব শোনার পর....
- তারমানে তুমি আমায় কষ্ট দেওয়ার জন্য এতো কিছু করছো।
- হুম।😥
- এখন তো কষ্ট পাইছি এখন খুশি হইছো।(আমায় জরিয়ে ধরে কেঁদে দিল 😓)
- আরে পাগল আমি কি জানতাম আপনি এমন করবেন। আপনার কিছু হয়ে গেলে আমার কি হতো।
- এখনো আপনি🤨।
- সরি তুমি।
এমন সময়.......
চলবে......
সিনিয়র_মামাতো_বোন_যখন_বউ😊
লেখক: পিচ্চি পোলা (ওয়াসিম আকরাম)😇 পর্ব:৭ দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখলাম।জারা আপু ফ্লোরে পরে আছে,আর হাত দিয়ে রক্ত পরতেছে।অনেক টা হাত কেটে ফেলেছে।এমন অবস্থা দেখে তো মা চিৎকার দিয়ে উঠলো।আর আমি গিয়ে হাত চেপে ধরলাম। তবুও রক্ত পরছেই।বাবাকে বললাম হাসপাতালে কল করতে যেন এম্বুলেন্স পাঠায়।আমি এরি মধ্যে জারা আপুর হাত কাপর দিয়ে বেঁধে ফেলেছি। রক্ত কিছু টা কম পরছে।তারপর কোলে করে জারা আপুকে বাহিরে নিয়ে আসলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই এম্বুলেন্স চলে আসলো।জারা আপুকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসলাম। ইমারজেন্সি তে নেওয়া হলো,আমরা কেবিনের বাহিরে বসে আছি।মা তো শুধু কেঁদেই চলেছে।মাকে বললাম......