(Block Heart)
৩য় ও শেষ পর্ব
,
-ভাইয়া কালকে আমাকে কতো টাকা দিবা
(অন্তর)
-কিসের টাকা দিবো
-আম্মু,দেখছো ভাইয়া কি বলে?
-ঠিক ই তো বলছি,কিসের টাকা?
-কালকে যে ঈদ উল-আযহা,তোর মনে নেই সে
কথা,মনে থাকবে কি করে সারাদিন তো
এখানে সেখানে আড্ডা মারিস।(আম্মু)
,
-কি বললে আম্মু? আমি সারাদিন আড্ডা দেই।
কালকে সারাদিন তো আমি ঘর থেকে বের ই
হয়নি।
-কালকে বের হবেন কিভাবে? গত পরশু যে রাত
১টার পর বাসায় এসেছিলেন,তারপর থেকেই
তো আপনার প্রচন্ড জ্বর।জ্বর না থাকলে সেই
কখন বাস স্টেশনে চলে যেতেন।
,
-বাস স্টেশনে মানে,আমি বাস স্টেশনে যাবো
কেনো?
-ভাইয়া,আম্মু সব জানে
-কি কি জানে হ্যাঁ
-তুমি কেনো যে বাস স্টেশনে যাও তা আম্মু
জানে
-আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে একটু মৃদু হাসলেন
-আমার মুখে তখন একটু লজ্জার ছায়া
পড়েছিলো,আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে
মাথার চুলগুলো এলোমেলো করতে লাগলাম।
আর বললাম আম্মু ১০০টাকা লাগতো
-আম্মু কোনো কিছু না জিঙ্গাসা করেই
আমাকে টাকা দিলো।হয়তো আম্মু বুঝতে
পেরেছিলো যে,আমি আজও ছোঁয়ার দেখা
নিতে যাবো।
,
হ্যাঁ,আম্মু ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো।আর
বেকার ছেলেদের একটাই সমস্যা বড় হলেও মা
বাবার কাছে হাত পাততে হয়।
আমি আম্মুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধীর
পায়ে এগোতে লাগলাম বাস স্টেশনের দিকে।
আজকে আমি পণ করেছি হেটেই যাবো বাস
স্টেশনে।এই সন্ধ্যাবেলায় ব্যস্ত রাস্তায় একা
একা হাটতে মন্দ নয়,চারিদিকে যদি
লাল,নীল,সবুজ বাতি থাকে তাহলে তো কথাই
নেই।
,
বাসা থেকে বের হতেই হাতের ডান পাশেই
একটা ভ্রাম্যমান টং দেখতে পেলাম।যাক
তাহলে বাঁচা গেলো এই সন্ধ্যা বেলায় আর
একা হাটতে হবে না।সাথে যদি নিকোটিনের
ধোঁয়া থাকে তাহলে একা হাটতে ভালোয়
লাগে।আমি ভ্রাম্যমান টং থেকে একটা
সিগারেট নিয়ে ধরালাম। আর ধীর পায়ে বাস
স্টেশনের দিকে এগোতে লাগলাম।
,
কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ দাঁড়িয়ে
গেলাম,ভাবছি খালি পায়ে হাটলে তো মন্দ
নয়।সেদিন জুতা জুড়া ছেড়ার কারণে খালি
পায়ে হাটার মাঝে এক অদ্ভুদ অনুভূতির সৃষ্টি
হয়েছিলো।মনে হচ্ছে সেই অনুভূতিটাই আমাকে
থামিয়ে দিয়েছে চলার পথে।যেই ভাবা সেই
কাজ আমি জুতা জুড়া গাছের চিপায় রেখে
গেলাম,ফেরার সময় নিয়ে নিবো।
,
আর একটা সিগারেট ধরালাম।কেমন যেনো
শূন্য লাগছে নিজেকে,এই পরিবেশে একটা গান
শুনলে মন্দ নয়।পকেট থেকে হেড ফোনটা বের
করে গান প্লে করলাম আর হাটছি বাস
স্টেশনের দিকে।গানের কথাগুলো আমার
জীবনের সাথে মিলে যাচ্ছিলো।গানটির ১ম
অংশ শুনছিলাম,,
আমার হৃদয় ও পিন্জিরার পোষা পাখি রে
আমারে কান্দাইয়া পাও কি সুখ?
তুমি কার পোষা পাখি
কাজল বরণ আঁখি
রক্ত জবার মত তোমার মুখ
আমারে কান্দাইয়া পাও কি সুখ?
,
গানটির ১ম অংশ শুনতে শুনতে বাস স্টেশনের
নিকটে চলে আসলাম আমি।কবির ভাইয়ের
দোকানে বেঞ্চেটির খুটির সাথেই হেলান
দিয়ে বসে পড়লাম।কবির ভাই আমায় বলল
সিগারেট দিবো।আমি বললাম না,মনটা বেশি
ভালো নেই।
,
কিছুক্ষণ পরে আমি নিজেই বললাম,একটা
সিগারেট দাও তো আর দশটা চকলেট দাও।
কবির ভাই আমায় বলল চকলেট কেনো।আমি
বললাম ও তুমি বুঝবে নাহ।চকলেটগুলো পকেটে
রেখে সিগারেটটা ধরালাম। সিগারেটের
ধোঁয়াগুলো আমার চারিদিকেই ঘুরাফেরা
করছিলো। আবার গানটা প্লে করলাম গানটির
দ্বিতীয় অংশ চলছিলো,,
,
১ম ও যৌবনের কালে যেদিন তোমায় দেখেছি
এ দেহ পিন্জিরার মাঝে আপন করে রেখেছি
আমি জানতাম যদি পাখি দিয়া যাবা ফাঁকি
উড়তাম না আর তোরই আশায় বু বু...
আমারে কান্দাইয়া পাও কি সুখ?
,
গানটি শুনাতেই আমার চোখে জলের দেখা
মিললো।আমি নিরব মনে চোখ বুঝে খুটির
সাথে হেলান দিয়ে বসে আছি।
আমি দেখতে পাচ্ছি ছোঁয়া আসছে আমার
দিকে,আর আমায় ডাকছে কান্না মিশ্রিত
কন্ঠে বলছে হৃদয় আমাকে ক্ষমা করে দিও।
আমি বললাম কি হয়েছে তোমার,তুমি কাঁদছো
কেনো?হৃদয় তুমি ভালো থেকো,যদি পারো
আমায় ক্ষমা করে দিও।
ঐ দিকে ছোঁয়ার মেয়ের রক্তাক্ত অবস্হায়
পড়ে আছে,আমি তার হাতে চকলেট দিতেই
সুবর্ণা অনেক খুশি হলো।আমার দিকে
তাকিয়ে একটু মৃদু হেসে বললো বাই ব্লক
হার্ট,আল্লাহ হাফেজ।এই কথাটা বলেই সুবর্ণা
না ফেরার দেশে চলে গেলো।
,
কবির ভাইয়ের ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গলো
কবির ভাই আমায় বলল তুমি কাঁদছো কেনো?
আমি বললাম একটা ভয়ানকা স্বপ্ন দেখেছি
তো তাই।আরে স্বপ্ন কি কখনো সত্যি হয়
নাকি? আমি বললাম তাই যেনো হয়।নাও
সিগারেটটা ধরাও সব ঠিক হয়ে যাবে।
সিগারেটটা ধরালাম,সিগারেট টানছিলাম
আমি।
,
আমার অজান্তেই পকেটে হাত চলে গেলো
,আমি টের পেলাম আমার রাখা চকলেট গুলো
নেই।আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম।আমার স্বপ্নে
তো আমি সবর্ণাকে চকলেট দিয়েছিলাম।
একথা ভাবতেই আমার শরীর ঘেমে যাচ্ছে এই
শীতের মধ্যে।
,
কবির ভাই কাকে যেনো বলছে দুটো
দ্রুতগ্রামী বাস মুখোমুখী সংঘর্ষে প্রায় এক
তৃতীয়াংশ যাত্তী নিহত হয়েছে।এই কথাটি
শুনার পর আমি অনেক ভয় পেয়ে গেলাম।আমি
টিভির রিমোট নিয়ে রাত দশটার সংবাদ
দেখা শুরু করলাম।সত্যি!!একটা ভয়ানক দুর্ঘটনা
ঘটেছে।কারও কারও আত্নীয় স্বজনরা এসেছে
লাশগুলো নিতে।সেখানে আমি ছোঁয়ার
বাবাকে দেখতে পেলাম।তাহলে কি ছোঁয়া!!
,
তাহলে কি ছোঁয়া আর নেই? আমার স্বপ্ন কি
সত্যি হলো!!
আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম।অনেক কান্না
করছিলাম আমি,অনেক।
তারপর কি হয়েছে হৃদয়ের মনে নেই? পরদিন
সকালে অর্থাৎ ঈদের দিন সকালে হৃদয় জানতে
পারি কবির ভাই তাকে বাসায় রেখে যায়
অজ্ঞান অবস্হায়।
,
এখন হৃদয় রোজ কবির ভাইয়ের দোকানের সেই
চিরচেনা বেঞ্চটিতে বসে সিগারেট ধরিয়ে
কানে হেড ফোন দিয়ে ফুল স্পীডে গান শুনতে
শুনতে তার স্বপ্নে হারিয়ে যায়।স্বপ্নে ছোঁয়া
আর ছোঁয়ার মেয়ে সুবর্ণার সাথে কথা বলে
রোজ।অনেক কথা বলে,কথা বলার মাঝে একা
একাই হেসে ওঠেন আবার কেঁদেও ওঠেন। হৃদয়
অনেকক্ষন কথা বলে ছোঁয়ার সাথে।হৃদয়
প্রতিদিনই ছোঁয়াকে দেখে,কথা
বলে,হাসে,কাঁদে আবার ঝগড়াও করে। শুধু
থেকে যায় "স্পর্শের বাইরে।
তার জিবন বাড়ি আর বাস স্টেশন পযন্ত।
কিছু গল্প হয়ত শেষ হয় না।
এই গল্প শেষ হয়ে ও হল না।
,
কেমন লেগেছে....? /বন্ধুরা/
(Block Heart) ৩য় ও শেষ পর্ব , -ভাইয়া কালকে আমাকে কতো টাকা দিবা (অন্তর) -কিসের টাকা দিবো -আম্মু,দেখছো ভাইয়া কি বলে? -ঠিক ই তো বলছি,কিসের টাকা? -কালকে যে ঈদ উল-আযহা,তোর মনে নেই সে কথা,মনে থাকবে কি করে সারাদিন তো এখানে সেখানে আড্ডা মারিস।(আম্মু) , -কি বললে আম্মু? আমি সারাদিন আড্ডা দেই। কালকে সারাদিন তো আমি ঘর থেকে বের ই হয়নি। -কালকে বের হবেন কিভাবে? গত পরশু যে রাত ১টার পর বাসায় এসেছিলেন,তারপর থেকেই তো আপনার প্রচন্ড জ্বর।জ্বর না থাকলে সেই কখন বাস স্টেশনে চলে যেতেন। , -বাস স্টেশনে মানে,আমি বাস স্টেশনে যাবো কেনো? -ভাইয়া,আম্মু সব জানে -কি কি জানে হ্যাঁ -তুমি কেনো যে বাস স্টেশনে যাও তা আম্মু জানে -আম্মু আমার দিকে তাকিয়ে একটু মৃদু হাসলেন -আমার মুখে তখন একটু লজ্জার ছায়া পড়েছিলো,আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে মাথার চুলগুলো এলোমেলো করতে লাগলাম। আর বললাম আম্মু ১০০টাকা লাগতো -আম্মু কোনো কিছু না জিঙ্গাসা করেই আমাকে টাকা দিলো।হয়তো আম্মু বুঝতে পেরেছিলো যে,আমি আজও ছোঁয়ার দেখা নিতে যাবো। , হ্যাঁ,আম্মু ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো।আর বেকার ছেলেদের একটাই সমস্যা বড় হলেও মা বাবার কাছে হাত পাততে হয়। আমি আম্মুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে ধীর পায়ে এগোতে লাগলাম বাস স্টেশনের দিকে। আজকে আমি পণ করেছি হেটেই যাবো বাস স্টেশনে।এই সন্ধ্যাবেলায় ব্যস্ত রাস্তায় একা একা হাটতে মন্দ নয়,চারিদিকে যদি লাল,নীল,সবুজ বাতি থাকে তাহলে তো কথাই নেই। , বাসা থেকে বের হতেই হাতের ডান পাশেই একটা ভ্রাম্যমান টং দেখতে পেলাম।যাক তাহলে বাঁচা গেলো এই সন্ধ্যা বেলায় আর একা হাটতে হবে না।সাথে যদি নিকোটিনের ধোঁয়া থাকে তাহলে একা হাটতে ভালোয় লাগে।আমি ভ্রাম্যমান টং থেকে একটা সিগারেট নিয়ে ধরালাম। আর ধীর পায়ে বাস স্টেশনের দিকে এগোতে লাগলাম। , কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলাম,ভাবছি খালি পায়ে হাটলে তো মন্দ নয়।সেদিন জুতা জুড়া ছেড়ার কারণে খালি পায়ে হাটার মাঝে এক অদ্ভুদ অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিলো।মনে হচ্ছে সেই অনুভূতিটাই আমাকে থামিয়ে দিয়েছে চলার পথে।যেই ভাবা সেই কাজ আমি জুতা জুড়া গাছের চিপায় রেখে গেলাম,ফেরার সময় নিয়ে নিবো। , আর একটা সিগারেট ধরালাম।কেমন যেনো শূন্য লাগছে নিজেকে,এই পরিবেশে একটা গান শুনলে মন্দ নয়।পকেট থেকে হেড ফোনটা বের করে গান প্লে করলাম আর হাটছি বাস স্টেশনের দিকে।গানের কথাগুলো আমার জীবনের সাথে মিলে যাচ্ছিলো।গানটির ১ম অংশ শুনছিলাম,, আমার হৃদয় ও পিন্জিরার পোষা পাখি রে আমারে কান্দাইয়া পাও কি সুখ? তুমি কার পোষা পাখি কাজল বরণ আঁখি রক্ত জবার মত তোমার মুখ আমারে কান্দাইয়া পাও কি সুখ? , গানটির ১ম অংশ শুনতে শুনতে বাস স্টেশনের নিকটে চলে আসলাম আমি।কবির ভাইয়ের দোকানে বেঞ্চেটির খুটির সাথেই হেলান দিয়ে বসে পড়লাম।কবির ভাই আমায় বলল সিগারেট দিবো।আমি বললাম না,মনটা বেশি ভালো নেই। , কিছুক্ষণ পরে আমি নিজেই বললাম,একটা সিগারেট দাও তো আর দশটা চকলেট দাও। কবির ভাই আমায় বলল চকলেট কেনো।আমি বললাম ও তুমি বুঝবে নাহ।চকলেটগুলো পকেটে রেখে সিগারেটটা ধরালাম। সিগারেটের ধোঁয়াগুলো আমার চারিদিকেই ঘুরাফেরা করছিলো। আবার গানটা প্লে করলাম গানটির দ্বিতীয় অংশ চলছিলো,, , ১ম ও যৌবনের কালে যেদিন তোমায় দেখেছি এ দেহ পিন্জিরার মাঝে আপন করে রেখেছি আমি জানতাম যদি পাখি দিয়া যাবা ফাঁকি উড়তাম না আর তোরই আশায় বু বু... আমারে কান্দাইয়া পাও কি সুখ? , গানটি শুনাতেই আমার চোখে জলের দেখা মিললো।আমি নিরব মনে চোখ বুঝে খুটির সাথে হেলান দিয়ে বসে আছি। আমি দেখতে পাচ্ছি ছোঁয়া আসছে আমার দিকে,আর আমায় ডাকছে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলছে হৃদয় আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি বললাম কি হয়েছে তোমার,তুমি কাঁদছো কেনো?হৃদয় তুমি ভালো থেকো,যদি পারো আমায় ক্ষমা করে দিও। ঐ দিকে ছোঁয়ার মেয়ের রক্তাক্ত অবস্হায় পড়ে আছে,আমি তার হাতে চকলেট দিতেই সুবর্ণা অনেক খুশি হলো।আমার দিকে তাকিয়ে একটু মৃদু হেসে বললো বাই ব্লক হার্ট,আল্লাহ হাফেজ।এই কথাটা বলেই সুবর্ণা না ফেরার দেশে চলে গেলো। , কবির ভাইয়ের ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গলো কবির ভাই আমায় বলল তুমি কাঁদছো কেনো? আমি বললাম একটা ভয়ানকা স্বপ্ন দেখেছি তো তাই।আরে স্বপ্ন কি কখনো সত্যি হয় নাকি? আমি বললাম তাই যেনো হয়।নাও সিগারেটটা ধরাও সব ঠিক হয়ে যাবে। সিগারেটটা ধরালাম,সিগারেট টানছিলাম আমি। , আমার অজান্তেই পকেটে হাত চলে গেলো ,আমি টের পেলাম আমার রাখা চকলেট গুলো নেই।আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম।আমার স্বপ্নে তো আমি সবর্ণাকে চকলেট দিয়েছিলাম। একথা ভাবতেই আমার শরীর ঘেমে যাচ্ছে এই শীতের মধ্যে। , কবির ভাই কাকে যেনো বলছে দুটো দ্রুতগ্রামী বাস মুখোমুখী সংঘর্ষে প্রায় এক তৃতীয়াংশ যাত্তী নিহত হয়েছে।এই কথাটি শুনার পর আমি অনেক ভয় পেয়ে গেলাম।আমি টিভির রিমোট নিয়ে রাত দশটার সংবাদ দেখা শুরু করলাম।সত্যি!!একটা ভয়ানক দুর্ঘটনা ঘটেছে।কারও কারও আত্নীয় স্বজনরা এসেছে লাশগুলো নিতে।সেখানে আমি ছোঁয়ার বাবাকে দেখতে পেলাম।তাহলে কি ছোঁয়া!! , তাহলে কি ছোঁয়া আর নেই? আমার স্বপ্ন কি সত্যি হলো!! আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম।অনেক কান্না করছিলাম আমি,অনেক। তারপর কি হয়েছে হৃদয়ের মনে নেই? পরদিন সকালে অর্থাৎ ঈদের দিন সকালে হৃদয় জানতে পারি কবির ভাই তাকে বাসায় রেখে যায় অজ্ঞান অবস্হায়। , এখন হৃদয় রোজ কবির ভাইয়ের দোকানের সেই চিরচেনা বেঞ্চটিতে বসে সিগারেট ধরিয়ে কানে হেড ফোন দিয়ে ফুল স্পীডে গান শুনতে শুনতে তার স্বপ্নে হারিয়ে যায়।স্বপ্নে ছোঁয়া আর ছোঁয়ার মেয়ে সুবর্ণার সাথে কথা বলে রোজ।অনেক কথা বলে,কথা বলার মাঝে একা একাই হেসে ওঠেন আবার কেঁদেও ওঠেন। হৃদয় অনেকক্ষন কথা বলে ছোঁয়ার সাথে।হৃদয় প্রতিদিনই ছোঁয়াকে দেখে,কথা বলে,হাসে,কাঁদে আবার ঝগড়াও করে। শুধু থেকে যায় "স্পর্শের বাইরে। তার জিবন বাড়ি আর বাস স্টেশন পযন্ত। কিছু গল্প হয়ত শেষ হয় না। এই গল্প শেষ হয়ে ও হল না।
, কেমন লেগেছে....? /বন্ধুরা/