পিচ্চি_বউ

লেখকঃ- Tamim

পর্বঃ- ১৩

,, ,, ,, ,, আর কিছু বলতে যাব তার আগেই মায়া বিছানা থেকে উঠে এসে আমার হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিল।।

মায়াঃ ওই মেয়ে তোর সাহস তো কম না আমার স্বামীর সাথে ফোনে লুতুর পুতুর করিস।। বেহায়া শাঁকচুন্নি কোথাকার, ফোন রাখ।। আর ভুলেও কখনো আমার স্বামিকে ফোন দিবি না।। দিলে তোর খবর আছে😤 (বলেই কল কেটে দিয়ে মোবাইলটা বিছানায় ছুড়ে মারল)।।

আমিঃ মায়ার এমন কাজে তো আমি আবুলের মতো ওর দিকে তাকিয়ে আছি😦।।

মায়াঃ আর তোর খুব শক না পাপ্পি খাওয়ার..? দ্বারা তোর পাপ্পি খাওয়া আজ বের করছি😡।।

কথাটা বলেই মায়া আমার শার্টের কলার চেপে ধরে ওর ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিল💏।।

মায়ার এমন রাগি ফেস দেখে অনেকটাই ভয় পেয়ে গেলাম।। তবুও ওর থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলাম।।

যেই আমি নিজেকে ওর থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি ওমনি মায়া আমার ঠোঁটে কাপড় মেরে বসে😣।।

ব্যাথা + মায়ার এমন অবস্থা দেখে ভয়ে আর নড়াচড়া করলাম না।। জানি এখন নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেই কামড় মেরে বসবে।।

অনেক্ষণ ধরে কিস করার পর মায়া নিক থেকেই আমায় ছেড়ে দিল।। ছাড়া পেয়ে দুজনেই একসাথে হাপাচ্ছি।।

ওয়াল্লাহ আরেকটু হলেই তো আমি শেষ😷।।

মায়াঃ পাপ্পিটা কেমন লেগেছে বাবু..? (আদুরে গলায়)

আমিঃ ওর এমন কথা শুনে শুধু হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।।

মায়াঃ কি হলো বল ভালো লাগে নি নাকি..? নাহলে কিন্তু আবার দিব (একটু এগিয়ে এসে)।।

আমিঃ এই না না আর না প্লিজ আরেকটু হলেই তো তখন দম বন্ধ হয়ে যেত।।

মায়াঃ তার মানে আপনার ভালো লাগে নি তাইনা..?

আমিঃ লজ্জায় কিছু বলতে পারছি না।।

মায়াঃ না বললে কিন্তু আবার দিব।।

আমিঃ এই না ভালো লেগেছে অনেক ভালো লেগেছে এখন হয়েছে..?

মায়াঃ আপনার যখন ভালো লেগেছে তাহলে তো আবার দিতে হবে দেখছি (এগিয়ে এসে)।।

আমিঃ আমি আর কিছু না বলে মায়া সামনে থেকে সরিয়ে সোজা ছাদে চলে আসলাম।।

জানি ওইখানে আরও বেশিক্ষণ থাকলে মায়ার প্রতি দুর্বল হয়ে যেতে পারি।। কিন্তু এখন আমার ওর প্রতি দুর্বল হলে হবে না।।

তারপর আরও অনেক্ষণ ধরে ছাদে থাকার পর রুমে চলে এলাম।। রুমে এসে মায়াকে কোথায় দেখতে পেলাম না।। হয়তো নিচে আম্মুর সাথে আছে।।

রুমে একা একা বসে আছি এমন সময় মায়া রুমে এসে আমায় খেতে ডাকলো।।

আমিও আর দেড়ি না করে সোজা নিচে চলে আসলাম।। আমার পিছনে পিছনে মায়াও চলে আসলো।।

এরপর একটা চেয়ার টেনে টেবিলে গিয়ে বসে পরলাম।। আমার বিপরীত দিকের একটা চেয়ার টেনে মায়াও বসে পরলো।।

খাবার খাচ্ছি এমন সময় অনুভব করলাম কে যেন আমার পায়ে সুরসুরি দিচ্ছে।। নিচে তাকালাম দেখলাম পায়ের কাছে কিছুই নেই।।

তারপর আবার খাবার খেতে মন দিলাম।। এমন সময় আবার কে যেন পায়ে একটা চিমটি কাটলো।।

কিছু বুঝতে না পেরে মায়ার দিকে তাকাতেই সে আমায় চোখ টিপা মেরে বসলো।।

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা মায়ার কাজ।।

তারপর কোনোরকমে খাবারটা শেষ করে আবার রুমে চলে আসলাম।।

রুমে এসে কিছুক্ষণ মোবাইল নিয়ে ফেসবুকিং করার পর আর ভালো লাগছিলো না তাই বিছানায় ঘা এলিয়ে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।।

চোখ প্রায় লেগেই গেছিলো তখনই হঠাৎ অনুভব করলাম কে যেন আমায় জড়িয়ে ধরছে।।

চোখ খুলে দেখি এ আর কেউ না মায়া😲।।

আমিঃ আরে কি করছ এইসব তুমি এইখানে কেন..?

মায়াঃ দেখছেন না ঘুমাচ্ছি (আমার বুকে মাথা রেখে)।।

আমিঃ ঘুমাচ্ছ ভালো কথা তাই বলে আমার উপর কেন শুয়ে আছ..? পাশে তো একটা বালিশ পরে আছে ওইটায় গিয়ে ঘুমাউ না (রাগ দেখিয়ে)।।

মায়াঃ নিজের বর থাকতে আমি কেন অন্য একটা বালিশে ঘুমাব হুম..?

আমিঃ সেটা আমি জানি না তুমি গিয়ে বালিশে ঘুমাউ যাউ।।

মায়াঃ না যাব না আমি আপনার বুকেই ঘুমাব।। কি করবেন করেন।।

আমিঃ বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।।

মায়াঃ কি বেশি হয়ে যাচ্ছে হুম..? (মুখের কাছে মুখ এনে)

আমিঃ তোমাকে আমি বালিশে ঘুমাতে বলেছি তো ওইখানেই ঘুমাউ যাউ।।

মায়াঃ পারব না (আমায় জড়িয়ে ধরে)।।

আমিঃ আমার কিন্তু এখন রাগ উঠছে।।

মায়াঃ কিছুই বলেই দেখেন না আমি কি করি।।

আমিঃ মানে কি করবে তুমি..?

মায়াঃ আমি আম্মুকে ডাক দিব।।

আমিঃ এইখানে আম্মুকে ডাকবা কেন..?

মায়াঃ বলব আপনি আমায় মাটিতে ঘুমাতে বলেছেন।।

আমিঃ কিন্তু আমি এটা কখন বললাম..? আমি তো শুধু বালিশে গিয়ে ঘুমাতে বলেছি।।

মায়াঃ হুম সেটা আমি আর আপনি জানি।। কিন্তু আম্মু তো জানেন না।।

আমিঃ মানে কি বলতে চাচ্ছ তুমি..?

মায়াঃ আমায় আপনার বুকে নিয়ে না ঘুমালে আমি আম্মুকে আপনার নামে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা কথা বলব।। তখন আম্মু আপনার কি অবস্থা করবে ভাবেন তো।।

আমিঃ সত্যিই তো, মায়া যদি আম্মুকে আমার নামে কোনো মিথ্যা কথা বলে তাহলে সেটা আম্মু বিশ্বাস করে ফেলবেন।। বুঝেছি এখন ওর কথা শুনা না ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।।

মায়াঃ আমার নিশ্চুপ থাকা দেখে মায়া আর কিছু না বলে আমায় জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো।।

কি আর করার আমারও বাধ্য হয়ে ওকে বুকে নিয়ে ঘুমাতেই হলো।।

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি মায়া এখনও শুয়ে আছে।।

জানালার ফাঁক থেকে হালকা রোদ এসে মায়ার মুখে পরছে।। এতে ওর মুখটা যেন আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে।।

কি মায়াবী লাগছে ওর চেহারা।। একদম ঘুমন্ত পরীর মতো লাগছে ওকে।।

মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি ৯টা বেজে গেছে।। আর দেড়ি না করে মায়াকে বালিশে শুইয়ে দিয়ে আমি উঠে পরলাম।।

তারপর ওয়াশরুম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে নাস্তা করে নিলাম।। নাস্তা শেষ করে আবার রুমে চলে এলাম।।

রুমে এসে দেখি মায়া রুমে নেই হয়তো উঠে পরেছে আর ফ্রেশ হতে গেছে।।

আমিও আর দেড়ি না করে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগলাম।।

রেডি হওয়ার শেষ এমন সময় মায়া ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো।।

মায়াঃ আপনি একটু দাড়ান আমি রেডি হয়ে নিচ্ছি।। যাওয়ার সময় আমায় কলেজে নামিয়ে দিয়েন।।

আমিঃ পারব না আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।।

মায়াঃ তাহলে কিন্তু আমি আম্মুকে গতকাল রাতের কথা বলে দিব।।

আমিঃ আরে রাতে তো তোমায় বুকে নিয়ে ঘুমালাম ই তাহলে আর কি বলবা..?

মায়াঃ ওই যে ফোনে একটা মেয়ের সাথে কথা বলেছেন।।

আমিঃ মাফ চাই, তারাতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আস আমি গাড়িতে ওয়েট করছি (কথাটা বলেই নিচে চলে আসলাম)।।

জানি ফেসে গেছি আর এখন ওর কথামতো না চললে কপালে দুঃখ আছে।।

অনেক্ষণ ধরে মায়ার জন্য গাড়িতে বসে ওয়েট করছি কিন্তু সে আসছে না।।

কিছুক্ষণ পর মায়া বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে এসে উঠে বসলো।।

মায়াঃ তারাতাড়ি চলেন এমনিতেই অনেক দেড়ি হয়ে গেছে।।

আমিঃ আর কথা না বাড়িয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চালাতে লাগলাম।।

কিছুক্ষণ পর গাড়ি এসে মায়ার কলেজের সামনে থামালাম।। এরপর মায়া গাড়ি থেকে নেমে যেতে গিয়েও আবার ফিরে আসলো।।

মায়াঃ শুনুন আজ অফিস শেষে আমায় নিতে আসবেন।। যদি আপনি না আসেন তাহলে আমি বাসায় যাব না।।

আমিঃ কিছু না বলে আবার গাড়ি স্টার্ট দিয়ে অফিসে চলে এলাম।।

অফিসে এসে নিজের কেবিনে বসে আছি এমন সময় ইরা এসে কেবিনে ঢুকলো।।

ইরাঃ বাবা তোর বউ যে ডেঞ্জারাস আগে তো জানতাম না।।

আমিঃ গতকাল মায়ার এমন রূপ দেখে আমিও অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম।।

ইরাঃ তুই তো ভীতু ভয় পাবিই।।

আমিঃ ভয় পাব না কেন জানিস ও কি করেছে..? ও আমায় (বলতে গিয়েও থেমে গেলাম)

ইরাঃ থামলি কেন বল ও তোকে কি করেছে..?

আমিঃ কিছু না।। আর মায়ার গতকালের আচরণের জন্য ওর হয়ে আমি তোর কাছে মাফ চাচ্ছি প্লিজ কিছু মনে করিস না।।

ইরাঃ আরে না আমি কিছু মনে করি নাই।।

তারপর ইরা আরও কিছুক্ষণ কথা বলে কেবিন থেকে চলে গেল।।

ইরা চলে যাওয়ার পর আমি বসে বসে কয়েকটা ফাইল চেক করতে লাগলাম।।

এইভাবে দিনটা কেটে গেল।।

বিকালবেলা অফিস শেষে গাড়ি নিয়ে বাসায় এসে দেখি মায়া এখনও বাসায় ফিরে নি।। তাই সোজা আম্মুর রুমে চলে এলাম।।

আমিঃ আম্মু মায়া কোথায়..?

আম্মুঃ ও তো এখনও বাসায় ফিরে নি।।

আমিঃ কি বলছ এইসব কলেজ তো অনেক আগে ছুটি হয়ে গেছে।। তাহলে মায়া এখনও বাসায় আসলো না কেন..?

আম্মুঃ আমি কি করে জানব।। তুই গিয়ে দেখনা মেয়েটা কোথায়।।

আমিঃ তখনই আমার মনে পরে যায় মায়ার বলা কথাটা।। আরে সে তো আমায় বলেছিল আজ যাতে কলেজ থেকে নিয়ে আসি।। এটাও বলেছিল আমি না গেলে সে বাসায় আসবে না।।

তার মানে মায়া আমার অপেক্ষায় এখনও কলেজেই আছে..? ওহ শিট

তারপর গাড়ি বের করে সোজা মায়াদের কলেজে চলে এলাম।। এসে দেখি,, . . . . . Loading.......

২দিন খুব ব্যাস্ততায় ছিলাম তাই গল্প দিতে পারি নি এর জন্য সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী🙏।। এখন থেকে আবার নিয়মিত গল্প দিব ইনশাআল্লাহ 😊।।

4
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 3 years ago

Comments