গল্পঃ_মেয়েটি_ছিলো_কালো
পর্বঃ ১২
লেখকঃ_SA_ARMAN_HOSSAIN (Rohan)
(লেখাতে ভুল থাকতে পারে,কষ্ট করে পড়ে নিয়েন)
চোখ খুলে দেখি আমার সামনে জান্নাতুল, আপু, শশুর, শাশুরি,পাশের বাসার আংকেল আন্টি।।কি হলো এরা সবাই আমার সামনে দাড়ায়ে আছে কেনও,,নিশ্চয় কোনো ঝামেলা হয়ছে,ভালো করে চারিদিকে তাকালাম,,ওমা এটা তো শশুর বাড়ি না,আমি আসলাম এখানে কি করে,,,
জান্নাতুলঃ ভাবা হয়ছে কি,,
আমিঃ Sorry,,
জান্নাতুলঃ হয়ছে,,আন্টি আংকেলের কাছে বলো,,আর আপু আপনের গাধা ভাইটাকে সাথে নিয়ে আসেন,আমার মানসম্মান সব খেলো,,
বলেই চলে গেলো,,
আসলে আমি শশুর বাড়ি মনে করে চা শশুর বাড়ি ডুকে গেছি,,কি লজ্জা কি লজ্জা, আন্টি আংকেলের কাছে গিয়ে Sorry বলেই আপুর সাথে চলে আসলাম,সাথে শশুর শাশুরিও আসলো,,কিন্তু কেউ কথা বলছে না আমার সাথে,,
বাসায় যাবার পর,,
আমিঃ মানুষ মাত্রই ভুল,,তাই আমারও হয়ছে,,
আপুঃ কুত্তা তুই কাজ পাইলিনা, আর এতো রাতে কে আসতে বলছে তোকে হা,,
আমিঃ দেখ আপু এটা আমাদের বাসা নই,এটা শশুর বাড়ি,বাজে কথা বলিস না,,,
আপুঃ দুর ছাই,,
শাশুরিঃ আচ্ছা বাবা বুঝছি,এখন রুমে যাও,,
আমিঃ Sorry আব্বু,Sorry আম্মু।।।
বলেই রুমে চলে আসি,এসে দেখি জান্নাতুল কাঁন্না করছে,কাছে যেতেই মাইর শুরু,,,
আমিঃ থামলে কেনও মারে,,
জান্নাতুলঃ কেনও এমন করলে,
আমিঃ বিশ্বাস করো আমি বুঝিনি ওটা আংকেলের বাসা,বাসা দুটি একি দেখতে,
জান্নাতুলঃ তা বুঝলাম,তাই বলে এতো রাতে আসবে তুমি,,
আমিঃ কয়টা বাজছে তাই,,
জান্নাতুলঃ ৪ টা,,
আমিঃ ওমা....তার মানে আমি ৪ ঘন্টা ছিলাম ওই বাসায়,,
জান্নাতুলঃ এখন চুপচাপ ফ্রেস হয়ে এসো,,
আমিঃ আচ্ছা।।।
বাথরুমে ঢুকে সেই হাসি,জীবনেও এমন পরিস্থিতিতে পরিনি,কি না লজ্জা,,
ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে দেখি জান্নাতুল তাহাজ্জত এর নামাজ পড়তেছে,তাই আমিও অযু করে নামাজ পড়ে নিলাম,,,
আমিঃ আচ্ছা তুমি রাগ করে আছো কি,,
জান্নাতুলঃ না।।
আমিঃ একটু কাছে আসবে,,
জান্নাতুলঃ এখন না Please,,,,
আমিঃ কাছে আসতে বলছি,আদর করতে না পাগলি,,
জান্নাতুলঃ হা বলো
আমিঃ চোখ দুটি বন্ধ করো তো,,,
জান্নাতুলঃ কেনও,,
আমিঃ আগে করো,,,
জান্নাতুল চোখ বন্ধ করতেই আমি তার পায়ে নুপুর পড়ায়ে দেই,পরাতেই দেখি সে চোখ খুলে ফেলছে,,
আমিঃ চোখ খুললে কেনও,,
জান্নাতুলঃ আর কিছু আছে নাকি,,
আমিঃ হা আছে তো,,
জান্নাতুলঃ দেও তাহলে,,
তারপর তাকে একটি ফোন দেই,কয়েকটা ড্রেস দেই,
জান্নাতুলঃ আর কিছু নেই কি,,
আমিঃ আছে,তবে আমার কিছু কথা বলার পরই দিবো
জান্নাতুলঃ আচ্ছা বলো,,
আমিঃ আমি আগে খুব খারাপ ছিলাম,মেয়েদের Disturb করা,মারামারি,ভার্সিটিতে গুন্ডামি,তবে কি ভালো কাজের জন্য যে আল্লাহ্ আমাকে তোমার মতো জীবনসঙ্গী দিলো যানিনা,হয়তো কিছু ভালো কাজ করছি,আজ থেকে আমাদের সংসারের সব দায়িত্ব তোমার,আর হা এই দুটি পাকেট সাবধানে রেখো,,
জান্নাতুলঃ কি আছে এর ভিতর,,
আমিঃ তুমি খুলে দেখো,আমি নামাজ পরতে গেলাম আযান দিছে,
জান্নাতুলঃ আচ্ছা,,,
পাকেট এর ভিতর কোরআন শরীফ, আর জান্নাতী নারীর বৈশিষ্ট নামে একটি হাদিসি বই আছে,যানি মেয়েটি এসব পেয়ে খুব খুশি হবে,,
(অনেক আপুরা আমার গল্প পড়েন,আপনেরা চাইলে জান্নাতী নারীর বৈশিষ্ট্য বইটা পড়তে পারনে)
শশুর এর সাথে নামাজ পরে মাঠের দিকে গেলাম,
শশুরঃ বাবা এই জুমি গুলো আমার,
আমিঃ আব্বু কি কি আবাদ করেন আপনে,,
শশুরঃ সবই করি,
আমিঃ আব্বু এখানে কয়েকদিন থেকে যা বুঝলাম,এখানে অনেক গরীব মানুষ আছে,তারা দিন মজুরি কাজ করে, একদিন কাজ করে কত টাকা পাই,,
শশুরঃ ৩০০ টাকা,,
আমিঃ আব্বু আমি এখানে একটি মার্কেট করতে চাই,,
শশুরঃ এতোদূরে,,,
আমিঃ হা আব্বু,আমি এই গরীব মানুষের পাশে থাকতে চাই,,আপনে দেখেন জুমি,
শশুরঃ আমারই তো জুমি আছে,
আমিঃ না আব্বু,এক জায়গাই প্রাই ২০ বিঘা জুমি লাগবে,,
শশুরঃ আচ্ছা বাবা,,তবে এখানে মার্কেট করলে তোমার লচ হবে না তো,,
আমিঃ সেটা আমি দেখবো...
বাসায় এসে আব্বু জান্নাতুলকে এসব বলে,জান্নাতুল শুনে খুব খুশি হয়,তবে আপুকে এখনও যানানো জয়নি,আমার বিশ্বাস আপুও কিছু বলবে না,,
শশুর বাড়ি আরো কিছুদিন থেকে বাসায় চলে আসি,
আমিঃ আপু কিছু কথা বলার ছিলো,,
আপুঃ হা বল,,
আমিঃ আমি জান্নাতুল এর বাসার কাছে একটি মার্কেট করতে চাচ্ছি,,
আপুঃ এতোদির,,
আমিঃ হা,,তবে আমার বিশ্বাস তুমি কিছু বলবে না,,
আপুঃ আমাদের তো টাকার অভাব নেই,দেখ যদি গরীব মানুষের পাশে দাড়াতে পারিস,,
আমিঃ Thanks আপু,,
এখন দিন ভালোই যাচ্ছে,জান্নাতুল এর দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা,আপুর মাঝে মাঝে অভিমান,আর দিন শেষে ৩ জন মিলে আড্ডা দেওয়া,,
অফিসে বসে কাজ করছি,হঠাৎ আপু ফোন দিয়ে বাসায় যেতে বলে,তাই বাসায় যায়,,গিয়ে দেখি জান্নাতুল শুয়ে আছে,,
আমিঃ কি হয়ছে আপু,,
আপুঃ তুই বাবা হতে যাচ্ছিস,,
আমিঃ কি😳😳😳😳😳
আপুঃ হা,,তবে এখনও শিউর না,,
আমিঃ কেনও,,
আপুঃ জান্নাতুল মাথা ঘুরে পরে যায়,আমি ধরে শুয়ে দেই,তারপর শুনি তার নাকি সকাল থেকে বুমি হচ্ছে,
আমিঃ আচ্ছা চল ডাক্তার এর কাছে যায়,,
আপুঃ ঘুম থেকে আগে উঠুক,,
আমিঃ আচ্ছা,আমি ফ্রেস হয় তাহলে....
আমরা ৩ জন বসে আছি,এখনও রিপোর্ট আসেনি,আমি তো মনে মনে আল্লাহ্কে ডাকছি,আর জান্নাতুল আমার হাত শক্ত করে ধরে আছে,মনে হয় মেয়েটা খুব ভয়ে আছে,,
আমিঃ ভয় পেওনা,,যা হয় হবে,
জান্নাতুলঃ আমার বেবি চাই,,,
আমিঃ এই আপু আছে পাশে,,
জান্নাতুলঃ Sorry,,,
আপুঃ দেখিস আমাদের ঘড়ে একটি মেয়ে আসবে,,
আমিঃ দোয়া কর আপু,,
হঠাৎ নার্স বললো ডাক্তার ডেকেছে,তাই আমরা ভিতরে গেলাম।।
আপুঃ জ্বি বলেন।।
ডাক্তারঃ মিষ্টি মুখ করান,
আমিঃ তার মানে সে প্রেগনেন্ট।।
ডাক্তারঃ হা,তবে সাবধানে থাকতে হবে,
আমিঃ কোন সমস্যা কি,,
ডাক্তারঃ হা, ভারি কাজ করা যাবে না,আর কিছু ঔষুধ লেখে দিবো ৩ মাস খাওয়ার পর দেখা করবেন,দেখা না করলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে
আমিঃ আচ্ছা,,
বাইরে এসে শশুরকে ফোন দিয়ে বললাম সব কিছু,তারাও খুব খুশি,আমরাও খুব খুশি,কিন্তু জান্নাতুলকে দেখে মনে হচ্ছে সে খুশি না,,
আমিঃ কি হয়ছে তোমার,,মন খারাপ কেনও,,
জান্নাতুলঃ ডাক্তার কি বললো শুনো নি,,
আমিঃ আল্লাহ্ সব ঠিক করে দিবে,,
আপুঃ এখন মন খারাপ করো না, তুমি মন খারাপ করলে বেবিও মন খারাপ করবে,
জান্নাতুলঃ না না,,আমার বেবিকে আমি কখনও মন খারাপ করে থাকতে দিবো না,,
আপুঃ তাহলে এখন থেকে সব সময় হাঁসি খুশি থাকবে,,
জান্নাতুলঃ আপনের ভাইকে বলেন যেনো সে আমার মন খারাপ না করে দেই,,
আমিঃ হা সব দোষ তো আমার,,
আপুঃ চুপ থাক কুত্তা,,যা এখন মিষ্টি এসে সব ডাক্তার, নার্স,রোগীদের খাওয়াবি,,
আমিঃ এতো মিষ্টি আমি কোথাই পাবো,,
জান্নাতুলঃ আপুর আদেশ,কি করবে এখন হা,,যাও যাও,,
আমিঃ আচ্ছা.....
বলেই মিষ্টি কিনতে গেলাম,,মিষ্টি কিনার পর যা ঘটলো আমার সাথে,তা যেনো কারো সাথে না হয়😭😭😭😭😭😭
Wait Please..
(পরের পর্বে শেষ করবো)
গল্পঃ_মেয়েটি_ছিলো_কালো
পর্বঃ ১২
লেখকঃ_SA_ARMAN_HOSSAIN (Rohan)
(লেখাতে ভুল থাকতে পারে,কষ্ট করে পড়ে নিয়েন)
চোখ খুলে দেখি আমার সামনে জান্নাতুল, আপু, শশুর, শাশুরি,পাশের বাসার আংকেল আন্টি।।কি হলো এরা সবাই আমার সামনে দাড়ায়ে আছে কেনও,,নিশ্চয় কোনো ঝামেলা হয়ছে,ভালো করে চারিদিকে তাকালাম,,ওমা এটা তো শশুর বাড়ি না,আমি আসলাম এখানে কি করে,,,
জান্নাতুলঃ ভাবা হয়ছে কি,, আমিঃ Sorry,, জান্নাতুলঃ হয়ছে,,আন্টি আংকেলের কাছে বলো,,আর আপু আপনের গাধা ভাইটাকে সাথে নিয়ে আসেন,আমার মানসম্মান সব খেলো,, বলেই চলে গেলো,,
আসলে আমি শশুর বাড়ি মনে করে চা শশুর বাড়ি ডুকে গেছি,,কি লজ্জা কি লজ্জা, আন্টি আংকেলের কাছে গিয়ে Sorry বলেই আপুর সাথে চলে আসলাম,সাথে শশুর শাশুরিও আসলো,,কিন্তু কেউ কথা বলছে না আমার সাথে,, বাসায় যাবার পর,,
আমিঃ মানুষ মাত্রই ভুল,,তাই আমারও হয়ছে,, আপুঃ কুত্তা তুই কাজ পাইলিনা, আর এতো রাতে কে আসতে বলছে তোকে হা,, আমিঃ দেখ আপু এটা আমাদের বাসা নই,এটা শশুর বাড়ি,বাজে কথা বলিস না,,, আপুঃ দুর ছাই,, শাশুরিঃ আচ্ছা বাবা বুঝছি,এখন রুমে যাও,, আমিঃ Sorry আব্বু,Sorry আম্মু।।।
বলেই রুমে চলে আসি,এসে দেখি জান্নাতুল কাঁন্না করছে,কাছে যেতেই মাইর শুরু,,, আমিঃ থামলে কেনও মারে,, জান্নাতুলঃ কেনও এমন করলে, আমিঃ বিশ্বাস করো আমি বুঝিনি ওটা আংকেলের বাসা,বাসা দুটি একি দেখতে, জান্নাতুলঃ তা বুঝলাম,তাই বলে এতো রাতে আসবে তুমি,, আমিঃ কয়টা বাজছে তাই,, জান্নাতুলঃ ৪ টা,, আমিঃ ওমা....তার মানে আমি ৪ ঘন্টা ছিলাম ওই বাসায়,, জান্নাতুলঃ এখন চুপচাপ ফ্রেস হয়ে এসো,, আমিঃ আচ্ছা।।।
বাথরুমে ঢুকে সেই হাসি,জীবনেও এমন পরিস্থিতিতে পরিনি,কি না লজ্জা,, ফ্রেস হয়ে বাইরে এসে দেখি জান্নাতুল তাহাজ্জত এর নামাজ পড়তেছে,তাই আমিও অযু করে নামাজ পড়ে নিলাম,,,
আমিঃ আচ্ছা তুমি রাগ করে আছো কি,, জান্নাতুলঃ না।। আমিঃ একটু কাছে আসবে,, জান্নাতুলঃ এখন না Please,,,, আমিঃ কাছে আসতে বলছি,আদর করতে না পাগলি,, জান্নাতুলঃ হা বলো
আমিঃ চোখ দুটি বন্ধ করো তো,,, জান্নাতুলঃ কেনও,, আমিঃ আগে করো,,,
জান্নাতুল চোখ বন্ধ করতেই আমি তার পায়ে নুপুর পড়ায়ে দেই,পরাতেই দেখি সে চোখ খুলে ফেলছে,,
আমিঃ চোখ খুললে কেনও,, জান্নাতুলঃ আর কিছু আছে নাকি,, আমিঃ হা আছে তো,, জান্নাতুলঃ দেও তাহলে,, তারপর তাকে একটি ফোন দেই,কয়েকটা ড্রেস দেই, জান্নাতুলঃ আর কিছু নেই কি,, আমিঃ আছে,তবে আমার কিছু কথা বলার পরই দিবো জান্নাতুলঃ আচ্ছা বলো,, আমিঃ আমি আগে খুব খারাপ ছিলাম,মেয়েদের Disturb করা,মারামারি,ভার্সিটিতে গুন্ডামি,তবে কি ভালো কাজের জন্য যে আল্লাহ্ আমাকে তোমার মতো জীবনসঙ্গী দিলো যানিনা,হয়তো কিছু ভালো কাজ করছি,আজ থেকে আমাদের সংসারের সব দায়িত্ব তোমার,আর হা এই দুটি পাকেট সাবধানে রেখো,, জান্নাতুলঃ কি আছে এর ভিতর,, আমিঃ তুমি খুলে দেখো,আমি নামাজ পরতে গেলাম আযান দিছে, জান্নাতুলঃ আচ্ছা,,,
পাকেট এর ভিতর কোরআন শরীফ, আর জান্নাতী নারীর বৈশিষ্ট নামে একটি হাদিসি বই আছে,যানি মেয়েটি এসব পেয়ে খুব খুশি হবে,, (অনেক আপুরা আমার গল্প পড়েন,আপনেরা চাইলে জান্নাতী নারীর বৈশিষ্ট্য বইটা পড়তে পারনে) শশুর এর সাথে নামাজ পরে মাঠের দিকে গেলাম,
শশুরঃ বাবা এই জুমি গুলো আমার, আমিঃ আব্বু কি কি আবাদ করেন আপনে,, শশুরঃ সবই করি, আমিঃ আব্বু এখানে কয়েকদিন থেকে যা বুঝলাম,এখানে অনেক গরীব মানুষ আছে,তারা দিন মজুরি কাজ করে, একদিন কাজ করে কত টাকা পাই,, শশুরঃ ৩০০ টাকা,, আমিঃ আব্বু আমি এখানে একটি মার্কেট করতে চাই,, শশুরঃ এতোদূরে,,, আমিঃ হা আব্বু,আমি এই গরীব মানুষের পাশে থাকতে চাই,,আপনে দেখেন জুমি, শশুরঃ আমারই তো জুমি আছে, আমিঃ না আব্বু,এক জায়গাই প্রাই ২০ বিঘা জুমি লাগবে,, শশুরঃ আচ্ছা বাবা,,তবে এখানে মার্কেট করলে তোমার লচ হবে না তো,, আমিঃ সেটা আমি দেখবো...
বাসায় এসে আব্বু জান্নাতুলকে এসব বলে,জান্নাতুল শুনে খুব খুশি হয়,তবে আপুকে এখনও যানানো জয়নি,আমার বিশ্বাস আপুও কিছু বলবে না,, শশুর বাড়ি আরো কিছুদিন থেকে বাসায় চলে আসি,
আমিঃ আপু কিছু কথা বলার ছিলো,, আপুঃ হা বল,, আমিঃ আমি জান্নাতুল এর বাসার কাছে একটি মার্কেট করতে চাচ্ছি,, আপুঃ এতোদির,, আমিঃ হা,,তবে আমার বিশ্বাস তুমি কিছু বলবে না,, আপুঃ আমাদের তো টাকার অভাব নেই,দেখ যদি গরীব মানুষের পাশে দাড়াতে পারিস,, আমিঃ Thanks আপু,,
এখন দিন ভালোই যাচ্ছে,জান্নাতুল এর দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসা,আপুর মাঝে মাঝে অভিমান,আর দিন শেষে ৩ জন মিলে আড্ডা দেওয়া,,
অফিসে বসে কাজ করছি,হঠাৎ আপু ফোন দিয়ে বাসায় যেতে বলে,তাই বাসায় যায়,,গিয়ে দেখি জান্নাতুল শুয়ে আছে,,
আমিঃ কি হয়ছে আপু,, আপুঃ তুই বাবা হতে যাচ্ছিস,, আমিঃ কি😳😳😳😳😳 আপুঃ হা,,তবে এখনও শিউর না,, আমিঃ কেনও,, আপুঃ জান্নাতুল মাথা ঘুরে পরে যায়,আমি ধরে শুয়ে দেই,তারপর শুনি তার নাকি সকাল থেকে বুমি হচ্ছে, আমিঃ আচ্ছা চল ডাক্তার এর কাছে যায়,, আপুঃ ঘুম থেকে আগে উঠুক,, আমিঃ আচ্ছা,আমি ফ্রেস হয় তাহলে....
আমরা ৩ জন বসে আছি,এখনও রিপোর্ট আসেনি,আমি তো মনে মনে আল্লাহ্কে ডাকছি,আর জান্নাতুল আমার হাত শক্ত করে ধরে আছে,মনে হয় মেয়েটা খুব ভয়ে আছে,, আমিঃ ভয় পেওনা,,যা হয় হবে, জান্নাতুলঃ আমার বেবি চাই,,, আমিঃ এই আপু আছে পাশে,, জান্নাতুলঃ Sorry,,, আপুঃ দেখিস আমাদের ঘড়ে একটি মেয়ে আসবে,, আমিঃ দোয়া কর আপু,, হঠাৎ নার্স বললো ডাক্তার ডেকেছে,তাই আমরা ভিতরে গেলাম।।
আপুঃ জ্বি বলেন।। ডাক্তারঃ মিষ্টি মুখ করান, আমিঃ তার মানে সে প্রেগনেন্ট।। ডাক্তারঃ হা,তবে সাবধানে থাকতে হবে, আমিঃ কোন সমস্যা কি,, ডাক্তারঃ হা, ভারি কাজ করা যাবে না,আর কিছু ঔষুধ লেখে দিবো ৩ মাস খাওয়ার পর দেখা করবেন,দেখা না করলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে
আমিঃ আচ্ছা,,
বাইরে এসে শশুরকে ফোন দিয়ে বললাম সব কিছু,তারাও খুব খুশি,আমরাও খুব খুশি,কিন্তু জান্নাতুলকে দেখে মনে হচ্ছে সে খুশি না,,
আমিঃ কি হয়ছে তোমার,,মন খারাপ কেনও,, জান্নাতুলঃ ডাক্তার কি বললো শুনো নি,, আমিঃ আল্লাহ্ সব ঠিক করে দিবে,, আপুঃ এখন মন খারাপ করো না, তুমি মন খারাপ করলে বেবিও মন খারাপ করবে, জান্নাতুলঃ না না,,আমার বেবিকে আমি কখনও মন খারাপ করে থাকতে দিবো না,, আপুঃ তাহলে এখন থেকে সব সময় হাঁসি খুশি থাকবে,, জান্নাতুলঃ আপনের ভাইকে বলেন যেনো সে আমার মন খারাপ না করে দেই,, আমিঃ হা সব দোষ তো আমার,, আপুঃ চুপ থাক কুত্তা,,যা এখন মিষ্টি এসে সব ডাক্তার, নার্স,রোগীদের খাওয়াবি,, আমিঃ এতো মিষ্টি আমি কোথাই পাবো,, জান্নাতুলঃ আপুর আদেশ,কি করবে এখন হা,,যাও যাও,, আমিঃ আচ্ছা.....
বলেই মিষ্টি কিনতে গেলাম,,মিষ্টি কিনার পর যা ঘটলো আমার সাথে,তা যেনো কারো সাথে না হয়😭😭😭😭😭😭
Wait Please.. (পরের পর্বে শেষ করবো)