কেন মিয়েদের এত কষ্ট
।
-
এখন আমার একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গলে শুনতে হয় না আমার বাবা মা আমাকে কিছু শেখায় নি ।
-
এখন আমার জ্বর আসলে কেউ বলে না রুগী মেয়েকে বউ করে ঘরে এনেছি ।
-
এখন আমি ভাত রান্না করতে গিয়ে বেশী ভাত করে ফেললে কেউ এসে বলে না চাল কি আমার বাবার বাড়ি থেকে এনেছি কি না ।
-
এখন আমি বারান্দায় একটু মন খারাপ করে দাঁড়ালে কেউ বলে না আমি বাইরের পুরুষ দেখার জন্য দাঁড়িয়েছি ।
-
এখন আমার মায়ের ফোন আসলেই কেউ বলে না এত বারবার মেয়ের খোঁজ নেওয়ার কি আছে ?
-
এখন আমি না খেয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করার পর কেউ বলে না এ সব ঢং ।
-
এখন আমি কাঁদতে গেলে কেউ বলে না আমি নাটক করি ।
-
এখন আমি আমার পছন্দের একটা জামা কিনতে গেলে আমাকে ভাবতে হয় না এই রং টা আমার নিষিদ্ধ ।
-
এখন আমি চুলটা খুলে আয়নার সামনে দাঁড়ালে আমাকে কেউ বলে না আমি বেহায়া ।
-
এখন আমি রান্না করতে গিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে ফেললে আমাকে শুনতে হয় না আমি কোন কাজই পারি না ।
-
এখন আমার মা আমাকে একটা শাড়ী দিলে কেউ বলে না এত দেওয়ার কি আছে ?
-
এখন আমাকে আমার আশেপাশের মানুষ কেমন আছি জিঞ্জেস করলে আমাকে মিথ্যা বলতে হয় না আমি ভালো আছি ।
-
এখন আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে আমার স্বামীর হাতের মার খেতে হয় না ।
-
এখন আমি আমার অধিকার চাইলে গালাগালি শুনতে হয় না ।
-
এখন আমি ক্লান্ত থাকলেও আমাকে কারো যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য শরীর দিতে হয় না ।
-
এখন আমি চাকরি করতে গেলে আমাকে কেউ বলে না তার পরিবারের কোন মেয়ে বাইরে গিয়ে নিজের ট্যালেন্ট দেখায় না ।
-
এখন কেউ আমাকে বলে না আমার ডিগ্রী গুলো সুধু মানুষ কে বলার জন্য যে আমি শিক্ষিত ।
-
এখন আমাকে শুনতে হয় না কারো ঘরের অশান্তির কারণটা আমি ।
-
এখন আমাকে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কেউ অন্য বউ কে উদ্দেশ্য করে দেখায় না আমার বাপের বাড়ি থেকে আমাকে ভরি ভরি গয়না দেয় নি কেন ?
-
এখন আমার মা অসুস্থ হলেও আমাকে দুদিন যাবত কাউকে বুঝিয়ে কাকুতি মিনতি করে আমার মা কে দেখতে আসতে হয় না ।
-
এখন আমায় শুনতে হয় না 'ঐ মেয়েটার সাথে বিয়ে করলেই সুখী হতাম, তোমার সাথে আমি সুখী নই ।
-
এখন আমাকে রাতের পর রাত জেগে একটা ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতে হয় না এই মানুষটাকেই কি ভালোবেছিলাম যে আজ আমাকে মেরেছে ?
-
এখন আমি শ্বাস নেওয়ার সময় কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না...!!!
:
:
আমাকে এখন শুনতে হয় অন্যকিছু...
এক, আমি ভাল না তাই সংসার করতে পারিনি, দোষটা আমারই ।
দুই, আরো কিছু দিন নাকি আমার সহ্য করার দরকার ছিল ।
তিন, আমার নাকি চুপ করে সহ্য করা উচিত ছিল ।
চার, আমি এখন দুশ্চরিত্রা একটা মেয়ে ।
পাঁচ, অনেক সিঙ্গেল ছেলে আমাকে দেখে বলে “ ডিভোসী মাল, একটু পটালেই পাওয়া যাবে ”।
ছয়, আমার আত্মীয় স্বজন আমার বাবা মাকে বলে “তোমার মেয়ে খারাপ হয়েছে ”।
সাত, বন্ধুবান্দব বলে “মা তোর সাথে মিশতে মানা করেছে, তুই ডিভোসী ”।
হাহাহাহাহাহা হা হা হা হা
আমার প্রশ্ন :-----
a. কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমি রাত জেগে কাঁদতাম ?
b. কোথায় ছিল আমাকে নিয়ে এত সমালোচনা যখন আমার চোখের নিচে এত কালি পরেছিল যে আমার চোখ গুলোই দেখা যেত না ?
c. কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমার স্বামী আমাকে নোংরা ভাষায় গালাগালি করত আর মারত ?
d. কোথায় ছিল আপনাদের সম্মান যখন আমাকে আমার বাবা মা কে প্রতি মুহুত্বে করা হত ?
e. কোথায় ছিল আমার বন্ধু বান্ধবদের চিন্তা যখন আমার বিয়ের পিড়িতে আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি আমার বাবা মা কে অপমান করেছিল আর তারা ঐ মুহুত্বে সেলফি তুলায় ছিল ব্যস্ত ?
f. কোথায় ছিল সবার এই বিবেক যখন আমি শরীরের ব্যথায় কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরতাম ?
সত্যি করে বলুন তো কেউ কি ছিলেন ?
সংসার ছেড়েছি অন্যয় করেছি আর যে গুলো আমার সাথে হচ্ছিল সে গুলো কি ন্যায় হচ্ছিল ?
তখন তো কেউ এভাবে আমাকে নিয়ে একটু সচেতনা দেখান নি....
এখন কেন আপনাদের গল্পের আসরের মূল বিষয় টা আমি ?
এই দুনিয়ার কোন মেয়েই চায় না তার সংসার ভাঙ্গুক ।
সবাই সুখের আশাতেই আরেকটা মানুষের হাত ধরে ।
আমি ও তো তাই চাইছিলাম ।
ভুল কয়েকটা মানুষের মাঝে পরে গেছিলাম ।
আপনার মেয়ে অথবা বোনের সাথে যদি এমনটা হত তাহলে ভাবে দেখেছেন আপনি কি করতেন !
সে জায়গায় আমার এই অবস্থায় আমার বাবা মা আমাকে আশ্রয় দেওয়াতে আপনারা তাকে খারাপ বলছেন ?
কোনটা ভাল হত বলুন তো ? আমি আত্মহত্যা করলে ?
তখন তো সবার টনক নড়ত । বলতে “আহারে মেয়েটা ভাল ছিল ”।
অনেক সহ্য করেছে ঈশ্বর ওর আত্নাকে শান্তি দিক ”।
ফেসবুকে আমাকে নিয়ে তোলপাড় গড়ত “ নিড জস্টিস ফর অমুক /তমুক ”।
কিন্ত যারা জন্ম দিয়েছে তারা কি করত ?
আমি অন্তত বেঁচে আছি এতেই তারা খুশি ।
আপনারা কিছু হলেই কেন মেয়েটার দোষ বের করেন ?
সম্পূর্ণ ঘটনাটা জেনেই কি সমালোচনা টা করছেন ?
আমি বেঁচে আছি ।
ভাল না থাকি অন্তত খারাপ নেই । কাঁদছি না ।
আমি মনে করি এটা আমার ব্যর্থতা না যে আমি সংসার ছেড়ে এসেছি...
এটা তার ব্যর্থতা যে এটা বুঝতে পারেনি যে একটা মেয়ে তার জন্য একটা পৃথিবী ছেড়ে শুধু মাত্র তার হাত ধরে সম্পূর্ণ জীবন পারি দেওয়ার আশা করেছিল ।
সম্মান, ভালবাসা, অধিকার ছিল আমার প্রাপ্য । যেটা সে দিতে পারে নি ।
সে পেরেছে আমাকে ভিতর থেকে শেষ করে দিতে ।
দয়া করে একটা মেয়ের সম্পর্কে আঙ্গুল তোলার আগে অন্তত সম্পূর্ণ ঘটনা টুকু জানুন ।
তার পর বিচার করুন.....!!!!
এক জন বোনের জীবন কাহানী ।।
কেন মিয়েদের এত কষ্ট
।
এখন আমার একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গলে শুনতে হয় না আমার বাবা মা আমাকে কিছু শেখায় নি ।
এখন আমার জ্বর আসলে কেউ বলে না রুগী মেয়েকে বউ করে ঘরে এনেছি ।
এখন আমি ভাত রান্না করতে গিয়ে বেশী ভাত করে ফেললে কেউ এসে বলে না চাল কি আমার বাবার বাড়ি থেকে এনেছি কি না ।
এখন আমি বারান্দায় একটু মন খারাপ করে দাঁড়ালে কেউ বলে না আমি বাইরের পুরুষ দেখার জন্য দাঁড়িয়েছি ।
এখন আমার মায়ের ফোন আসলেই কেউ বলে না এত বারবার মেয়ের খোঁজ নেওয়ার কি আছে ?
এখন আমি না খেয়ে কারো জন্য অপেক্ষা করার পর কেউ বলে না এ সব ঢং ।
এখন আমি কাঁদতে গেলে কেউ বলে না আমি নাটক করি ।
এখন আমি আমার পছন্দের একটা জামা কিনতে গেলে আমাকে ভাবতে হয় না এই রং টা আমার নিষিদ্ধ ।
এখন আমি চুলটা খুলে আয়নার সামনে দাঁড়ালে আমাকে কেউ বলে না আমি বেহায়া ।
এখন আমি রান্না করতে গিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে ফেললে আমাকে শুনতে হয় না আমি কোন কাজই পারি না ।
এখন আমার মা আমাকে একটা শাড়ী দিলে কেউ বলে না এত দেওয়ার কি আছে ?
এখন আমাকে আমার আশেপাশের মানুষ কেমন আছি জিঞ্জেস করলে আমাকে মিথ্যা বলতে হয় না আমি ভালো আছি ।
এখন আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে আমার স্বামীর হাতের মার খেতে হয় না ।
এখন আমি আমার অধিকার চাইলে গালাগালি শুনতে হয় না ।
এখন আমি ক্লান্ত থাকলেও আমাকে কারো যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য শরীর দিতে হয় না ।
এখন আমি চাকরি করতে গেলে আমাকে কেউ বলে না তার পরিবারের কোন মেয়ে বাইরে গিয়ে নিজের ট্যালেন্ট দেখায় না ।
এখন কেউ আমাকে বলে না আমার ডিগ্রী গুলো সুধু মানুষ কে বলার জন্য যে আমি শিক্ষিত ।
এখন আমাকে শুনতে হয় না কারো ঘরের অশান্তির কারণটা আমি ।
এখন আমাকে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কেউ অন্য বউ কে উদ্দেশ্য করে দেখায় না আমার বাপের বাড়ি থেকে আমাকে ভরি ভরি গয়না দেয় নি কেন ?
এখন আমার মা অসুস্থ হলেও আমাকে দুদিন যাবত কাউকে বুঝিয়ে কাকুতি মিনতি করে আমার মা কে দেখতে আসতে হয় না ।
এখন আমায় শুনতে হয় না 'ঐ মেয়েটার সাথে বিয়ে করলেই সুখী হতাম, তোমার সাথে আমি সুখী নই ।
এখন আমাকে রাতের পর রাত জেগে একটা ঘুমিয়ে থাকা মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতে হয় না এই মানুষটাকেই কি ভালোবেছিলাম যে আজ আমাকে মেরেছে ?
এখন আমি শ্বাস নেওয়ার সময় কারও অনুমতির প্রয়োজন হয় না...!!! : : আমাকে এখন শুনতে হয় অন্যকিছু...
এক, আমি ভাল না তাই সংসার করতে পারিনি, দোষটা আমারই ।
দুই, আরো কিছু দিন নাকি আমার সহ্য করার দরকার ছিল ।
তিন, আমার নাকি চুপ করে সহ্য করা উচিত ছিল ।
চার, আমি এখন দুশ্চরিত্রা একটা মেয়ে ।
পাঁচ, অনেক সিঙ্গেল ছেলে আমাকে দেখে বলে “ ডিভোসী মাল, একটু পটালেই পাওয়া যাবে ”।
ছয়, আমার আত্মীয় স্বজন আমার বাবা মাকে বলে “তোমার মেয়ে খারাপ হয়েছে ”।
সাত, বন্ধুবান্দব বলে “মা তোর সাথে মিশতে মানা করেছে, তুই ডিভোসী ”।
হাহাহাহাহাহা হা হা হা হা
আমার প্রশ্ন :-----
a. কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমি রাত জেগে কাঁদতাম ?
b. কোথায় ছিল আমাকে নিয়ে এত সমালোচনা যখন আমার চোখের নিচে এত কালি পরেছিল যে আমার চোখ গুলোই দেখা যেত না ?
c. কোথায় ছিলেন আপনারা যখন আমার স্বামী আমাকে নোংরা ভাষায় গালাগালি করত আর মারত ?
d. কোথায় ছিল আপনাদের সম্মান যখন আমাকে আমার বাবা মা কে প্রতি মুহুত্বে করা হত ?
e. কোথায় ছিল আমার বন্ধু বান্ধবদের চিন্তা যখন আমার বিয়ের পিড়িতে আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি আমার বাবা মা কে অপমান করেছিল আর তারা ঐ মুহুত্বে সেলফি তুলায় ছিল ব্যস্ত ?
f. কোথায় ছিল সবার এই বিবেক যখন আমি শরীরের ব্যথায় কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরতাম ?
সত্যি করে বলুন তো কেউ কি ছিলেন ?
সংসার ছেড়েছি অন্যয় করেছি আর যে গুলো আমার সাথে হচ্ছিল সে গুলো কি ন্যায় হচ্ছিল ?
তখন তো কেউ এভাবে আমাকে নিয়ে একটু সচেতনা দেখান নি....
এখন কেন আপনাদের গল্পের আসরের মূল বিষয় টা আমি ?
এই দুনিয়ার কোন মেয়েই চায় না তার সংসার ভাঙ্গুক ।
সবাই সুখের আশাতেই আরেকটা মানুষের হাত ধরে ।
আমি ও তো তাই চাইছিলাম ।
ভুল কয়েকটা মানুষের মাঝে পরে গেছিলাম ।
আপনার মেয়ে অথবা বোনের সাথে যদি এমনটা হত তাহলে ভাবে দেখেছেন আপনি কি করতেন !
সে জায়গায় আমার এই অবস্থায় আমার বাবা মা আমাকে আশ্রয় দেওয়াতে আপনারা তাকে খারাপ বলছেন ?
কোনটা ভাল হত বলুন তো ? আমি আত্মহত্যা করলে ?
তখন তো সবার টনক নড়ত । বলতে “আহারে মেয়েটা ভাল ছিল ”।
অনেক সহ্য করেছে ঈশ্বর ওর আত্নাকে শান্তি দিক ”।
ফেসবুকে আমাকে নিয়ে তোলপাড় গড়ত “ নিড জস্টিস ফর অমুক /তমুক ”।
কিন্ত যারা জন্ম দিয়েছে তারা কি করত ?
আমি অন্তত বেঁচে আছি এতেই তারা খুশি ।
আপনারা কিছু হলেই কেন মেয়েটার দোষ বের করেন ?
সম্পূর্ণ ঘটনাটা জেনেই কি সমালোচনা টা করছেন ?
আমি বেঁচে আছি ।
ভাল না থাকি অন্তত খারাপ নেই । কাঁদছি না ।
আমি মনে করি এটা আমার ব্যর্থতা না যে আমি সংসার ছেড়ে এসেছি...
এটা তার ব্যর্থতা যে এটা বুঝতে পারেনি যে একটা মেয়ে তার জন্য একটা পৃথিবী ছেড়ে শুধু মাত্র তার হাত ধরে সম্পূর্ণ জীবন পারি দেওয়ার আশা করেছিল ।
সম্মান, ভালবাসা, অধিকার ছিল আমার প্রাপ্য । যেটা সে দিতে পারে নি ।
সে পেরেছে আমাকে ভিতর থেকে শেষ করে দিতে ।
দয়া করে একটা মেয়ের সম্পর্কে আঙ্গুল তোলার আগে অন্তত সম্পূর্ণ ঘটনা টুকু জানুন ।
তার পর বিচার করুন.....!!!!
এক জন বোনের জীবন কাহানী ।।