দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া
writer--Mohammad Rasel
Part-- 1
বিয়ে বিয়ে করে মাথাটা একদম খেয়ে ফেলছে।মাত্র পড়ালেখা শেষ করলাম।এখন একটু বিন্দাস লাইফ কাটাবে তা আর করতে দিবে না।
((আগে আমাদের পরিচয় টা দিয়ে দেই আমি রাসেল।মা বাবা আর ছোট বোনকে নিয়ে আমাদের সংসার।ছোট বোনের নাম মিমি))
মা-- তুই এখন বিয়ে করবি কি না বল??
রাসেল--মা সবে মাত্র পড়াশোনা শেষ করলাম।কোনো চাকরিও করি না তাই এখনি বিয়ে করতে পারবো না???( আসল কথা হইলো আমি মাইয়া দেইখা ভয় পাই)
বোন--চাকরি করিস না তো কি হইছে কাল থেকে বাবার অফিসে জয়েন কর।
রাসেল--ওই শয়তান তোরে বক বক করতে কইছি নাকি।
বোন--আমি শয়তান না। তুই শয়তান।
রাসেল--শয়তানদের কাজ হলো কথার মধ্যে বাম হাত হাত ঠেলে দেওয়া। এখানে মা আর আমার কথার মাঝে তুই কথা বলছিস।তার মানে তুই একটা শয়তান।
বোন-- দেখ তুই যদি আরেকবার আমারে শয়তান ডাকিস তাহলে ভুলে যাবো তুই আমার ভাই।
মা-- তোরা কি থামবি।আর রাসেল তুই সাফ সাফ বলে দে তুই এখন বিয়ে করবি কি না।
রাসেল--মা আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না।
মা--বাবা তাহলে তুমি আজকেই এ বাড়ি থেকে চলে যাও।বিয়েতে রাজি না হলে তোমার এবাড়ি কোনো জায়গা নেই।
রাসেল--থাকলাম না এ বাড়িতে তবু্ও বিয়ে করতে পারবো না।
(( চলে আসলাম বাসা থেকে। এসে পকেটে হাত দিয়ে দোখি মানিব্যাগ,মোবাইল কিছুই নেই।কি যে করি এখন।যাই আবার বাসায়))
মা--কি ব্যপার নবাবজাদা তুমি বাসায় কেনো??
বোন--ভাইয়া এগুলো নিতে আইসো।(( মোবাইল আর মানিব্যাগ দেখিয়ে বললো))
রাসেল--ওই শয়তান আমার মোবাইল আর মানিব্যাগ দে??
মা-- দিবো তো যদি বিয়েতে রাজি হস??
((কি আর করবো মোবাইল হলো মোর সব যেটা ছাড়া ১০ মিনিটও থাকতে পারি না))
রাসেল--তোমরা এ পোলাড়ারে সহজ সরল পেয়ে নিরজাতন করতাছো যাও আমি রাজি।
(আজকে এই মোবাইলটার জন্যই বিয়েতে রাজি হতে হলো।মোবাইলটা যদি আমার হাতে থাকতো তাহলে কোনভাবেই রাজি হতাম না??)
বোন--ভাইয়া তারমানে তুই রাজি??
রাসেল--হ রাজি।এখন মোবাইল দে
মা-- তোর বিশ্বাস নেই।আজকে আমার বান্ধবির মেয়ে দেখতে যাবো।তোকেও আমাদের সাতে যেতে হবে??
রাসেল-- আমি না গেলে হয় না।
মা-- হবে তো। তবে মোবাইলটা এক সাপ্তাহের জন্য আমার কাছে থাকে।
রাসেল--কি যে বলো না।এক সাপ্তা মোবাইল না চালালে তো আমি পাগল হয়ে যাবো।
বোন-- ভাইয়া আমরা তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো।বিয়ে করবি তুই। তুই মেয়ে দেখতে যাবি না এটা কি হয়।।
রাসেল--হবে না কেনো তোদের দেখা মানে আমার দেখা।
মা-- আমার বান্ধবি তোকে দেখবে চল।
((কি আর করার মা আর বোনের সাতে কথা বলে আজ পযন্ত জিততে পারলাম না।এখন রেড়ি হচ্ছি যাওয়ার জন্য))
রাসেল--মিমি দেখ তো কোন পান্জাবি টা পরলে আমাকে বেশি খারাপ লাগবে।
বোন-- কেনো ভাই??অন্যরা দেখি মেয়ে দেখতে যাওয়ার সময় সালমান খান সেজে যেতে চায়।বর তুই কিনা যে পোশাক পড়লে খারাপ লাগবে সেই পোশাক পড়তে চাস।
রাসেল--কেনো পড়তে চায় জানিস??
বোন--কেনো??
রাসেল--যেনো মেয়েটি আমাকে পছন্দ না করে।
বোন-- তাইলে তুই কালো পাঞ্জাবিটা পড়ে নে।
রাসেল--কালো পাঞ্জাবি পরলে আমাকে খারাপ লাগবে তো।
বোন-- হুম অনেক খারাপ লাগবে।
((বোনের কথা মতে কালো পাঞ্জাবি পড়ে মেয়ে দেখতে চললাম আম্মুর বান্ধবির বাড়ি।বাড়তে এসে))
আম্মু-- কিরে কেমন আছিস??( আম্মুর বান্ধবিকে উদেশ্য করে))
আন্টি--আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই কেমন আছিস??
আম্মু -- আমিও ভালো।পরিচয় করিয়ে দেই এ আমার ছেলে রাসেল যার কথা তোকে বলছিলাম।
আন্টি-- রাসেল বাবা কেমন আছো??
রাসেল--জি আন্টি আমি ভালো আছি।
আন্টি-- তা বাবা বিতরে এসো??
(( ভেতরে চলে গেলাম।মেয়ে দেখতে গেলে যা হয় আরকি সেমাই, লুডুস,খির খেতে দেওয়া হলো। খাওয়া শেষ এখন মেয়ে দেখার পালা।))
রাসেল--এই মিমি মেয়ে কখন দেখবো রে।
বোন-- তুমি তো মেয়ে দেখতে আসতেই চাইছিলে না।আর এখন দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেছো।
রাসেল--আরে না এখানে বসে থাকতে ভালো লাগতাছে না।
বোন-- দেখ ভাই ভাবি আসতাছে।
রাসেল--এতো লম্বা ঘুমটা কেনো দিছে রে।মুখ তো দেখাই যায় না।
বোন-- মেয়েদের লজ্জা বেশি। তাই ঘুমটা দিছে।
রাসেল--ওহ।
(( বলতে ভুলেই গেছি আম্মুর বান্ধবির মেয়ের নাম লুবনা।))
((লুবনাকে এনে একটা চেয়ারে বসানো হলো।মা লুবনাকে জিজ্ঞেস করছে))
মা-- তা মা তোমার নাম কি।
লুবনা--তাসফিয়া আক্তার লুবনা।
মা-- খুব সুন্দর নাম।তোর মেয়ে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে।যা মিষ্টি চেহারা।আমার ছেলে পছন্দ হয়েছে তো??
আন্টি--হুম। রাসেলের মতো সোনার টুকরা ছেলেকে কি পছন্দ না করে পারা যায়।
মা-- তাহলে দেখাদেখি শেষ।আমি চাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব লুবনা মা কে আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।
আন্টি--তাহলে আগামী মাসের ২৯ তারিখ।
(আমার লজ্জা করছে তাই নিচের দিকে চেয়ে চয়েছি। একটু পর লুবনা যা বললো আমি শুনে অভাক হয়ে যাই।))
লুবনা--আমি ওনার সাতে আলাদা ভাবে কথা বলতে চাই??
(( আমার তো প্রায় বেহুশ হওয়ার অবস্থা।কি যে করি এখন))
মা-- তা তো দেখা করবেই। রাসেল যা লুবনার সাতে কথা বলে আসোই??
(( আমি যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না।বোনকে কানে কানে বললাম))
রাসেল--তুইও আমার সাতে চল না।
বোন-- ভাবি তোর সাতে কথা বলবে আমার সাতে না।তুই যা।
রাসেল--আমার ভয় করতাছে।
বোন-- ভয় পাইস না যা।
(( মার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ গুলো বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আর লুবনার সাতে যাওয়ার জন্য ইশারা দিলো))
(ভয় কে জয় করে লুবনার পিছন পিছন চললাম।দেখি ওর ঘরে নিয়ে গেলো।ওর ঘরটা খুব সুন্দর করে ঘুছানো।ঘুরে ঘুরে লুবনার ঘরটা দেখছিলাম।তখনি লুবনার কথা শুনে অভাক হয়ে যাই...........….
চলবে--
বিদ্র-- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।লেখকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে inbox এ করতে পারেন।
আর গল্পটি পড়ে আপনার কেমন অনুভূতি হয়েছে সেই অনুভূতির কথা কমেন্টে জানাবেন
দুষ্ট মিষ্টি ঝগড়া
writer--Mohammad Rasel Part-- 1
বিয়ে বিয়ে করে মাথাটা একদম খেয়ে ফেলছে।মাত্র পড়ালেখা শেষ করলাম।এখন একটু বিন্দাস লাইফ কাটাবে তা আর করতে দিবে না।
((আগে আমাদের পরিচয় টা দিয়ে দেই আমি রাসেল।মা বাবা আর ছোট বোনকে নিয়ে আমাদের সংসার।ছোট বোনের নাম মিমি)) মা-- তুই এখন বিয়ে করবি কি না বল?? রাসেল--মা সবে মাত্র পড়াশোনা শেষ করলাম।কোনো চাকরিও করি না তাই এখনি বিয়ে করতে পারবো না???( আসল কথা হইলো আমি মাইয়া দেইখা ভয় পাই) বোন--চাকরি করিস না তো কি হইছে কাল থেকে বাবার অফিসে জয়েন কর। রাসেল--ওই শয়তান তোরে বক বক করতে কইছি নাকি। বোন--আমি শয়তান না। তুই শয়তান। রাসেল--শয়তানদের কাজ হলো কথার মধ্যে বাম হাত হাত ঠেলে দেওয়া। এখানে মা আর আমার কথার মাঝে তুই কথা বলছিস।তার মানে তুই একটা শয়তান। বোন-- দেখ তুই যদি আরেকবার আমারে শয়তান ডাকিস তাহলে ভুলে যাবো তুই আমার ভাই। মা-- তোরা কি থামবি।আর রাসেল তুই সাফ সাফ বলে দে তুই এখন বিয়ে করবি কি না। রাসেল--মা আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না। মা--বাবা তাহলে তুমি আজকেই এ বাড়ি থেকে চলে যাও।বিয়েতে রাজি না হলে তোমার এবাড়ি কোনো জায়গা নেই। রাসেল--থাকলাম না এ বাড়িতে তবু্ও বিয়ে করতে পারবো না। (( চলে আসলাম বাসা থেকে। এসে পকেটে হাত দিয়ে দোখি মানিব্যাগ,মোবাইল কিছুই নেই।কি যে করি এখন।যাই আবার বাসায়)) মা--কি ব্যপার নবাবজাদা তুমি বাসায় কেনো?? বোন--ভাইয়া এগুলো নিতে আইসো।(( মোবাইল আর মানিব্যাগ দেখিয়ে বললো)) রাসেল--ওই শয়তান আমার মোবাইল আর মানিব্যাগ দে?? মা-- দিবো তো যদি বিয়েতে রাজি হস?? ((কি আর করবো মোবাইল হলো মোর সব যেটা ছাড়া ১০ মিনিটও থাকতে পারি না)) রাসেল--তোমরা এ পোলাড়ারে সহজ সরল পেয়ে নিরজাতন করতাছো যাও আমি রাজি। (আজকে এই মোবাইলটার জন্যই বিয়েতে রাজি হতে হলো।মোবাইলটা যদি আমার হাতে থাকতো তাহলে কোনভাবেই রাজি হতাম না??) বোন--ভাইয়া তারমানে তুই রাজি?? রাসেল--হ রাজি।এখন মোবাইল দে মা-- তোর বিশ্বাস নেই।আজকে আমার বান্ধবির মেয়ে দেখতে যাবো।তোকেও আমাদের সাতে যেতে হবে?? রাসেল-- আমি না গেলে হয় না। মা-- হবে তো। তবে মোবাইলটা এক সাপ্তাহের জন্য আমার কাছে থাকে। রাসেল--কি যে বলো না।এক সাপ্তা মোবাইল না চালালে তো আমি পাগল হয়ে যাবো। বোন-- ভাইয়া আমরা তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাবো।বিয়ে করবি তুই। তুই মেয়ে দেখতে যাবি না এটা কি হয়।। রাসেল--হবে না কেনো তোদের দেখা মানে আমার দেখা। মা-- আমার বান্ধবি তোকে দেখবে চল। ((কি আর করার মা আর বোনের সাতে কথা বলে আজ পযন্ত জিততে পারলাম না।এখন রেড়ি হচ্ছি যাওয়ার জন্য)) রাসেল--মিমি দেখ তো কোন পান্জাবি টা পরলে আমাকে বেশি খারাপ লাগবে। বোন-- কেনো ভাই??অন্যরা দেখি মেয়ে দেখতে যাওয়ার সময় সালমান খান সেজে যেতে চায়।বর তুই কিনা যে পোশাক পড়লে খারাপ লাগবে সেই পোশাক পড়তে চাস। রাসেল--কেনো পড়তে চায় জানিস?? বোন--কেনো?? রাসেল--যেনো মেয়েটি আমাকে পছন্দ না করে। বোন-- তাইলে তুই কালো পাঞ্জাবিটা পড়ে নে। রাসেল--কালো পাঞ্জাবি পরলে আমাকে খারাপ লাগবে তো। বোন-- হুম অনেক খারাপ লাগবে। ((বোনের কথা মতে কালো পাঞ্জাবি পড়ে মেয়ে দেখতে চললাম আম্মুর বান্ধবির বাড়ি।বাড়তে এসে)) আম্মু-- কিরে কেমন আছিস??( আম্মুর বান্ধবিকে উদেশ্য করে)) আন্টি--আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুই কেমন আছিস?? আম্মু -- আমিও ভালো।পরিচয় করিয়ে দেই এ আমার ছেলে রাসেল যার কথা তোকে বলছিলাম। আন্টি-- রাসেল বাবা কেমন আছো?? রাসেল--জি আন্টি আমি ভালো আছি। আন্টি-- তা বাবা বিতরে এসো?? (( ভেতরে চলে গেলাম।মেয়ে দেখতে গেলে যা হয় আরকি সেমাই, লুডুস,খির খেতে দেওয়া হলো। খাওয়া শেষ এখন মেয়ে দেখার পালা।)) রাসেল--এই মিমি মেয়ে কখন দেখবো রে। বোন-- তুমি তো মেয়ে দেখতে আসতেই চাইছিলে না।আর এখন দেখার জন্য অস্থির হয়ে গেছো। রাসেল--আরে না এখানে বসে থাকতে ভালো লাগতাছে না। বোন-- দেখ ভাই ভাবি আসতাছে। রাসেল--এতো লম্বা ঘুমটা কেনো দিছে রে।মুখ তো দেখাই যায় না। বোন-- মেয়েদের লজ্জা বেশি। তাই ঘুমটা দিছে। রাসেল--ওহ। (( বলতে ভুলেই গেছি আম্মুর বান্ধবির মেয়ের নাম লুবনা।)) ((লুবনাকে এনে একটা চেয়ারে বসানো হলো।মা লুবনাকে জিজ্ঞেস করছে)) মা-- তা মা তোমার নাম কি। লুবনা--তাসফিয়া আক্তার লুবনা। মা-- খুব সুন্দর নাম।তোর মেয়ে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে।যা মিষ্টি চেহারা।আমার ছেলে পছন্দ হয়েছে তো?? আন্টি--হুম। রাসেলের মতো সোনার টুকরা ছেলেকে কি পছন্দ না করে পারা যায়। মা-- তাহলে দেখাদেখি শেষ।আমি চাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব লুবনা মা কে আমাদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাই। আন্টি--তাহলে আগামী মাসের ২৯ তারিখ। (আমার লজ্জা করছে তাই নিচের দিকে চেয়ে চয়েছি। একটু পর লুবনা যা বললো আমি শুনে অভাক হয়ে যাই।)) লুবনা--আমি ওনার সাতে আলাদা ভাবে কথা বলতে চাই?? (( আমার তো প্রায় বেহুশ হওয়ার অবস্থা।কি যে করি এখন)) মা-- তা তো দেখা করবেই। রাসেল যা লুবনার সাতে কথা বলে আসোই?? (( আমি যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না।বোনকে কানে কানে বললাম)) রাসেল--তুইও আমার সাতে চল না। বোন-- ভাবি তোর সাতে কথা বলবে আমার সাতে না।তুই যা। রাসেল--আমার ভয় করতাছে। বোন-- ভয় পাইস না যা। (( মার দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ গুলো বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আর লুবনার সাতে যাওয়ার জন্য ইশারা দিলো)) (ভয় কে জয় করে লুবনার পিছন পিছন চললাম।দেখি ওর ঘরে নিয়ে গেলো।ওর ঘরটা খুব সুন্দর করে ঘুছানো।ঘুরে ঘুরে লুবনার ঘরটা দেখছিলাম।তখনি লুবনার কথা শুনে অভাক হয়ে যাই...........….
চলবে--
বিদ্র-- ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।লেখকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে inbox এ করতে পারেন। আর গল্পটি পড়ে আপনার কেমন অনুভূতি হয়েছে সেই অনুভূতির কথা কমেন্টে জানাবেন