গল্পঃ রোমান্টিক পিচ্চি মেয়ে যখন বউ।😍 পর্বঃ ১০। লেখকঃ মো: রাশেদ।

আমি সিঁড়ি বেঁয়ে নিচে নামতেছে,,?

তখনি বর পক্ষের একটা অপরুপী সুন্দরী মেয়ের দিকে চোখ পরলো।

আর ওকে দেখে আমি মনে মনে বলতে লাগলামঃ ওটা লিজার মতো দেখা যাচ্ছে,,!

ওইটা লিজা নয় তো,,,??(লিজা হচ্ছে অনার্স লাইফের প্রেমিকা)

মেয়েটা যদি লিজা হয় তাহলে ও কে কি জবাব দিব,,,!!(উত্তর দিব) । । । না এখানে আর থাকা ঠিক হবে না।

বরং আমি ছাদের উপরে যাই।( মনে মনে)

মেয়েটিরও চোখ চমকিয়ে যায় আমাকে আলতো আড়াল থেকে দেখে।।

মেয়েটিরও সন্দেহ জাগে যে আমি ওর অনার্স লাইফের প্রেমিক কি না,,?

দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি মনে নানান প্রশ্ন জাগলো আর মনে মনে বলতে লাগলোঃ ওটা কি রাশেদ,,,?

না আমার চোখে মিথ্যা দেখছে,,?

আমাকে জানতে হবে ছেলেটা কি রাশেদ নাকি অন্য কেও,,,,?

না না রাশেদ এখানে কেন আসবে,,,?

না তবুও একবার আমাকে জানতে হবে যে ওটা রাশেদ কি না,,,? । আর আমি সিঁড়িতে আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে এতক্ষণে ঠিক ধরে নিলাম,,?

যে ওই মেয়েটিই (লিজা) আমার অনার্স লাইফের প্রেমিকা।।।

তারপর আমি তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠতে আরম্ভ করলাম।

কারন আমি পরিষ্কার ভাবে দেখে নিয়েছি।।

যে ওই মেয়েটাই আমার অনার্স লাইফের প্রেমিকা।।

আর আমি উপরে প্রায় উঠে গেলাম।

দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি (লিজা) এক নিশানায় আমার দিকে চেয়ে থেকে,,,??

আমাকে ছাদে উঠতে দেখে সেও ছাদে উঠতে আরম্ভ করলো।

আমি ছাদে উঠে একা একা দাঁড়িয়ে আছি।

তারপর লিজাও ছাদে উঠে গেল।

তারপর আমি পিছনে তাকাতেই দুজনের চোখে চোখ পরে গেলো।

আমাকে দেখে লিজা এক দৌঁড়ে আমার সামনে এসে ধারালো,,,,?

তারপর কিছু না বলেই আমাকে কড়ালভাবে জড়িয়ে ধরলো। । । আমিঃ তুমি এখানে,,,?(চমকিয়ে...)

লিজাঃ তুমি এতদিন কোথায় ছিলা,,,?(কান্নায় ঢলে,,,)

আমিঃ তুমি আমাকে ছেড়ে কেন চলে গিয়েছিলা,,,?

কেন,,,? কেন,,,?(আমি প্রায় কান্না কান্না অবস্থায় বললাম)

লিজাঃ তুমি ভালো আছো তো,,,?( গালে দুই হাত দিয়ে)

এই কথা বলেই আরও শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

আমিঃ আমার সুখ পাখি আমার পাশে নাই,,,!

আমি কি করে ভালো থাকি,,? বল,,,,,। (অবিমান কন্ঠে বললাম)

তারপর লিজা নিজের অজান্তেই নিজের লিপস্টিক রাঙ্গানে ঠোঁট খানি আমার ঠোঁটের সাথে চেপে ধরলো।

অনেকক্ষণ পর লিজা আমার ঠোঁট থেকে ঠোঁট সরালো।।

আমরা দুজনেই হাঁপিয়ে গেলাম।।

এত বছরের ব্যাবধান,,,

এত দূরে থাকা,,,

না কথা বলা,,,

না জড়িয়ে ধরে কথা না বলা।।।

বোধ হয়,,!!

আজকেই সব সোধ নিয়ে নিল চুম্বন দিয়ে।।

কড়াল ভাবে ঠোঁটে ঠোঁট রাখাটা তো স্বাভাবিক,,,

কতদিন পর দেখা।।

মনের কষ্ট যেন একনাগারে প্রায় দশমিনিটের চুম্বনেই (কিস) ভুলে গেলো।।

কেবা জানতে চায় প্রেমিক এখন ম্যারিজ,,,না ম্যারিজ নয়,,,?

মায়ের জাত নারীর মন তো পুষ্পের ন্যায়,,,

তুলোর মত।।

ফুলের মত নিষ্পাপ।

এতদিন পর যখন প্রেমিকের দেখা,,,

তখন তো প্রেমিকা নিজেকে ঠিক রাখা অসম্ভবপর।।

কেউ দেখতেছে বা না দেখতেছে অত ভাবার সময় না পায় তখন।।

জড়িয়ে প্রবল চুম্বনে (কিস)দেওয়াটা তো অতি স্বাভাবিক। । । লিজাঃ তুমি তো আগের মত নেই,,,!

স্বর্ন মুখখানি শুকিয়ে গেছে।(অতি ভালেবাসায়)

তুমি কি আমাকে ভুলে গেছ,,? (অবিমান কন্ঠে)

লিজার এইসব কথা সুনে আমি মনে মনে বললামঃ তোমাকে আমি কিভাবে বোঝাবো লিজা,,!!

আমি তো অন্যের খাঁচায়,বন্দি।।

লিজা গালে হাত বুলিয়ে বললঃ রাশেদ কথা বলতেছ না কেন,,?

আমিঃ হ্যাঁ বল!!(,কালো মুখ করে)

লিজাঃ আমি কখনও ভাবিনি তোমার সাথে এভাবে দেখা হবে।।

তারপর আমি কান্নায় ভেসে বললামঃ তুমি আমাকে ছেড়ে কেন চলে গিয়েছিলা,,,?

আমার কি দোষ(অপরাধ) ছিল,,,?

জান আমি তোমাকে কত খুঁজেছি জানো,,,?

তবুও কেউ তোমার খোঁজ দিতে পারেনি।।

তখন তোমার অভাবে আমি প্রায় পাগল হয়ে গেসিলাম।।।

আমি কি তোমাকে কোন কষ্ট দিয়েছিলাম,,?

যে আমাকে ছেড়ে চলে গেলে,,??

আমার অজান্তে যদি তোমাকে কষ্ট দিয়ে থাকতাম, ,??

তাহলে তো আমাকে আমার ভুলটা ধরিয়ে দিতে পারতে তাই না।।

বল কেন,,!কেন আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলা।(কান্নায় ঢলে পরে বললাম)

লিজাঃ আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি।।

আমি বাধ্য হয়েছিলাম তোমাকে না বলে বিদেশে যেতে।।

আমিঃ বিদেশে,,,? ( কান্না স্বরে)

লিজাঃ তোমাকে বলার মত আমার হাতে সময় ছিল না।।(কান্না শুরে বলল)

আর মনে আছে তোমার সাথে সেদিন শেষ দেখা করে আসার সময় কি বলেছিলাম,,? । । । তারপর আমি অতীতের রাজ্যে চখ দুটি বুজে, চলেগেলাম ওই সেদিনের দিনে.......!!

আমিঃ অহ!!!!

ডিয়ার এত দেরি করে আসলে কি ভালো লাগে????(গাল টিপে)

লিজাঃ সব সময় পাশে রাখতে মন চায়, তাই না,,??

আমিঃ তাতে কি সন্দেহ আছে,,,?

সোনা আমার।

লিজাঃ আজ থেকে তুমি চাইলে সব সময় তোমার পাশেই থাকবো।।

আমিঃ সত্যি!!

লিজাঃ হুম।।

আর এমনা এমনি নয়।

বিয়ে করে।

চল আজকেই বিয়ে করে নিই।

আমিঃ বিয়ে তো একশতে একশই করবো।

তবে আমি কি কোন কাজ করি,,,?

লিজাঃ তাহলে আমি চললাম।।

তারপর আমি হাত ধরে টেনে বললামঃআরেএএএএএ কোথায় যাও,,,??

এমনা এমনিই চলে যাবা,,,?

লিজাঃ না পারবো না।

বিয়ে যখন করবা তখন দিব।(কিস)

আমিঃ আচ্ছা বাবা,! বিয়ে করবো। ( গাল ধরে কপালে ঠেস)

লিজাঃ কখন বিয়ে করবা,,?

আমিঃ Soon(সুন)

জয়ন্তী__ কত soon,,?

অর্নব__ VERY SOON।।

তারপর লিজা মনে মনে বললঃ আমি হয়তো কোনদিন তোমার হতে পারবো না।

আমি যে এক জটিল অসুখে আক্রান্ত।

আমিঃ আমাকে ছেড়ে কখনও যাবে না তো,,??

জান আমার খুব ভয় করে।

যদি তুমি হারিয়ে যাও।(জড়িয়ে ধরে বললাম)

লিজাঃ নিয়তির যা লিখা আছে তাই হবে,,?

এই কথা বলেই বললঃ আচ্ছা আজ তাহলে আমি যাই।। বাই।।

আমিঃ ওকে আর কালকে তাড়াতাড়ি আসবা কিন্তু।।।। । । তারপর হঠ্যাৎ রিয়া ছাদের উপরে আসলো,,,

ছাদের উপরে উঠতেই লিজাকে দেখে চমকিয়ে গেল।।

চমকারি তো কথা এতদিন পর লিজার দেখা।

রিয়াঃ লি,,,জা!! লিজা তুমি এখানেএএএএ?? (অবাক হয়ে)

রিয়ার ডাকের আওয়াজে আমি অতীতের স্মৃতির পাতা থেকে বাস্তব জগতে ফিরে এলাম।

আমিঃ রিয়া,,,? (হকচকিয়ে)

রিয়াঃ লিজা তুমি এতদিন কোথায় ছিলা,,?

লিজাঃ নিয়তির চক্রে না জানি কোথায় গিয়েছিলাম হারিয়ে।(কান্নায় ঢলে পরে)

আর আমাদের দু'জনের চোখেই জল দেখে রিয়া বললঃ আচ্ছা তোমরা তাহলে কথা বল,,,আমি নিচে গেলাম।।

আমিঃ ওকে আর কেউ জেনে না জানে।।।

রিয়াঃ আচ্ছা।

তারপর রিয়া নিচে চলে গেল।

আমিঃ আমি তো সেদিন অতটা বুঝিনি। তবে কেন,,,?

লিজাঃ কারন,,!

আমার জটিল অসুস্থতার কথা তোমাকে বললে তুমি ভিষন কষ্ট পেতা।।।

কিন্তু আমি জানতাম না বাবা আগে থেকে আমার চিকিৎসার জন্য সব ব্যাবস্তা করে রেখেছে।।

তোমাকে বলার সুযোগ টুকুও পাইনি।

আমি জানতাম না সেদিনি বিদেশ যেতে হবে।

আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।(কান্নায় ভেসে)

আমিঃ আরে তুমি কেন ক্ষমা চায়ছো,,,?

ক্ষমা তো আমার চাওয়া,উচিৎ।

আমি তোমার এত কাছে থাকার পরও তোমার মনের কথা জানতে পারিনি।(কান্নার কন্ঠে)

তারপর লিজা বললঃ তোমার পিচ্চি বাবুটাকে আমাকে এক পলক দেখাবে,,?

লিজার এই কথা শুনে আমার পূনরায় অতীতের কথা মনে পড়ে গেলো।।

অতীতের পাতায় চোখ বন্ধ করে,,!

ওই দিনের কথা ও স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো।

            (অতীত)

লিজাঃ আচ্ছা,, আমাদের বিয়ের পর একটা পিচ্চি বাবু হবে,,?

তখন কিন্তু আমিই সব সময় কোলে নিয়ে থাকব।।

তুমি কোলে নিতে পারবে না।

আমিঃ পাগল নাকি!!!!!

আমার পিচ্চি বাবু আর আমি কোলে নিতে পারবো না,,,?

বরং তুমিই কোলে নিতে পাবে না।

লিজাঃ কিইইইইই....?

তোমাকে এমন মার মারবো না।

আমিঃ ঠিক আছে আমি কোলে নিব না।(মন খারাপ করে)

লিজাঃ তুমি রাগ করলা,,?

আমি এমনি তেই বললাম।।

আচ্ছা দু'জনেই আমাদের পিচ্চি বাবুকে কোলে নিব।

এবার তো একটু হাসো।

আর অধিকে লিজা এক নিশানায় আমার দিকে তাকিয়ে রইলো।

তারপর লিজা কাঁধে হাত দিয়ে বললঃ এই রাশেদ,,, রাশেদ,!!

লিজার ডাকে আমি অতীতের পাতা থেকে,,,!

বাস্তব জগতে ফিরে এলাম।।

আমিঃ চোখ খুলে বললামঃ হ্যাঁ, !

লিজাঃ কি তোমার পিচ্চি বাবুটাকে দেখাবে না,,,? (আমার সন্তান এই উদ্দেশ্য বলল)

আমিঃ পিচ্চি বাবু মানে,,,?

লিজাঃ পিচ্চি বাবুটা হওয়ার কথা ছিল আমাদের,,,!

কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস দেখ তা হয় নি।

দেখাও না রাশেদ তোমার পিচ্চি বাবুটাকে। (মিনতি করে)

তারপর আমি মনে মনে বললামঃ আমি তো বিয়ে করেছি নামে মাত্র।

আর আমি আমার বউকে এখনো তে মেনে নিতে পারিনি,,,??

একে অপরের কাছ থেকে দূরে থাকি।।।

লিজাঃ কথা বলতেছ না কেন,,,?

আমিঃ আসলে আমার কোন পিচ্চি বাবু নেই।

আর আমি তা কখনও চায় না যে হোক।

লিজাঃ আচ্ছা রাশেদ!! তুমি কি আমাকে ভুলে গেছো,,,?

আমিঃ অতীতের স্মৃতি গুলো ভুলার নয়।

তোমার সাথে পথ চলা,,,

দুষ্টমু করা ঐগুলো ভুলার নয়।

লিজাঃ আমার একটা কথা রাখবে,,,?

আমিঃ হুম,,বলো।(কাঁদো স্বরে)

লিজাঃ তোমাকে অনেকদিন থেকে দেখিনি,,!

আর দেখিনি তোমার হাসি মুখখানি।

একটু হাসো না প্লিজ।

তারপর আমি একটু আলতো কান্নার চাদরে আবৃত মিথ্যা হাসি দিলাম। (হাসিটা কষ্টের)

লিজা পূনরায় আমার বুকে নিজের মাথা রেখে কান্নায় জড়িয়ে ধরে বললঃ

#__চলবে........??
2
$
User's avatar
@Mdemon456 posted 3 years ago

Comments