গল্প : বোনের বান্ধবী যখন বউ

লেখক : Ahmed_Iqbal_Sardar

পর্ব : ০৮

আব্বু বললো এদিকে আয়। আমি গিয়ে বসলাম তখন বললো।

আগামি মাসের শেষে তুমার আর নীলার বিয়ে ঠিক করেছি। এতে তুমার কোনো আপত্তি নেই তো। (আমার তো শুনেই খুশিতে লুঙ্গিড্যান্স দিতে ইচ্ছা করছে। প্যান্ট পড়ে থাকার কারনে দিলাম না।)

না আসলে আব্বু আমার তো বিয়ের সময় হয়নি

আব্বু: সমস্যা কি এটাই নাকি আরো কিছু

না না আর কোনো সমস্যা নাই

আব্বু : তাহলে বেয়াই সাহেব এই কথাই রইলো। আগামী মাসের শেষে আমার মেয়েটা নিয়ে যাবো

নীলার আব্বু: জি বেয়াই সাহেব তাই হবে

আব্বু : আজ তাহলে আমরা উঠি বলেই সবাই বিদায় জানিয়ে বের হলাম নীলার দিকে তাকাতেই দেখলাম লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে

তারপর বাসায় এলাম খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়লাম তখন নীলার ফোন

হ্যালো, কি করো গো

তুমার কথাই ভাবতেছি গো

কি ভাবো গো

তুমাকে কিভাবে আদর করবো তাই ভাব

যাহ, তুমার মুখে কিছু আটকায় না

কেন আটকাবে, তুমি কি আমার পর নাকি

নাগো আমি তো তুমার বউ

হুম একটু আদর দাওনা বউ

দিবো কাছে গিয়ে মন ভরে আদর দিবো

আচ্ছা তাহলে এখন ঘুমাই কাল সকালে চলে যেতে হবে

আচ্ছা গুড নাইট

গুড নাইট

সকালে উঠে ফ্রেশ হলাম, তারপর নাস্তা করে রওনা হলাম কিছুদিন অফিস কাজ এসব নিয়ে কেটে গেলো হঠাত আব্বুর ফোন

আকাশ কালকে বাড়িতে আয় নীলাকে দেখতে আসবে কালকে

জি আব্বু আজ সন্ধায় রওনা হবো তারপর ফোন কেটে দিয়েই বসের কাছ থেকে ছুটি নিলাম তারপর বাড়িতে এলাম পরেরদিন কয়েকজন আত্মীয় আসছে আর নীলা রা আসছে

পাত্রপক্ষ ও চলে আসছে। রুহিকে ওদের ওনেক পছন্দ হয়ছে। ওর বরটা ও খুব ভালো। ওরা নাকি ১ সপ্তাহ পরেই বিয়ে তুলে নিবে

তাই বাবা ও অমত করলেন না

আমি তিনদিনের ছুটি নিয়ে আসছি তাই বসকে ফোন দিয়ে ছুটিটা বারিয়ে নিলাম আপুর বিয়ে ঠিক ৫ দিন পরেই আমার বিয়ে তাই একবারে বড় ছুটি নিলাম কালকে আপুর গায়ে হলুদ

ওনেক আত্মীয়স্বজন আসা শুরু করেছে আমার বন্ধুরা ও চলে আসছে

আজ গায়ে হলুদ আপুকে সাজানো হচ্ছে নীলার কথা মতো আমি একটা নীল পান্জাবী পড়েছি। নীলারা ও সবাই চলে আসছে

আপুর হলুদ সন্ধায় একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ছে তাতে লটারি দেওয়া হবে যার যা বাধবে তার তাই করতে হবে সবাই বসেছি আমরা প্রথমে ইমার পালা ওর নৃত্য বাধছে ও নৃত্য দেখালো।এরপর ইভানের জোকস্ বাধছে ও জোকস্ শোনালো।তারপরই আমার পালা।আমার কপালে বাধলো গান কি আর করা যাবে গাইতেই হবে তাই শুরু করলাম

কত যে তুমাকে বেসেছি ভালো

সেকথা তুমি যদি জানতে

এই হৃদয় ছিরে যদি দেখানো যেত

আমি যে তুমার তুমি মানতে

সে কথা তুমি যদি জানতে

ঐ দুটি চোখ যেন জলে ফোটা পদ্ম

যত দেখি তৃষ্ণা মেটেনা

ভিরু দুটি বাকা ঠোটে পূর্নীমা চাদ উঠে

হাসলেই ঝড়ে পরে জোসনা

হাসলেই ঝড়ে পরে জোসনা

আমি এই রুপ দেখে দেখে মরতে পারি

এমনি পারি ওগো বাচতে

সে কথা তুমি যদি জানতে

কত যে তুমাকে বেসেছি ভালো

সে কথাথা তুমি যদি জানতে

ঐ কালো কেশ তুমি ছড়ালে যখন

মেঘেরা ও পেলো যেন লজ্জা

মেঘেরাও পেলো যেন লজ্জা

আকাশের তারাগুলো বাসরও সাজিয়ে দিলো

মধুময় হলো ফুলসজ্জা

মধুময় হলো ফুলসজ্জা

ওগো এই রাত কভু যদি শেষ না হতো

জীবনো বেলার শেষ প্রন্তে

সেকথা তুমি যদি জানতে

কত যে তুমাকে বেসেছি ভালোলো

সে কথা তুমি যদি জানতে

গান শেষ করার সাথেই সবাই অভিবাদন জানালো । তারপর সবাই খেতে গেলো খাওয়া শেষ করে নীলা,আপু,ইমা এরা এক জায়গায় থাকবে তখন নীলা আমার রুমে এসেই দরজাটা আটকিয়ে দিয়ে আমাকে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো তারপর আমার ওপর উঠে গেলো তারপর আমার দুহাতে নীলার দুহাত দিয়ে চেপে ধরে পাগলের মত কিস করলো

আমি বললাম এই কি কররছো কি কেউ দেখে ফেললে কি হবে ভেবে দেকছো

যা হবার হবে আমি আমার বরকে আদর করতেছি তাতে আর কার কি বলেই নীলা আবার কিস করা শুরু করলোরলো

তারপর আমি নীলার হাত ধরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলাম আমার নীচে তারপর ওকে কিস করলাম

তারপর ওকে আপুর রুমে পাঠিয়ে দিলাম

সবাই ঘুমিয়ে গেলাম

সকালে উঠে ওনেক কাজ করলাম রেডি হতে গেলাম নীলা রেডি হয়েয়ে এসে আমাকে রেডি করে দিতেছে তারপর আমি রেডি হয়ে বাহিরে গেলাম ওখানে মেয়েরা আমাকে দেকছে তাইই দেখে নীলা রাগে জলছে

তারপর নীলার কাছে গেলাম বললাম কি যেন একটা পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছি

নীলা বললো কই আমি তো পাচ্ছিনা

তুমি তো পাবেনা ওটা তো মন পোড়া

ওরে পাজি দারাও বলেই দৌড় দিয়ে ভিতরে গেলাম নীলাও পিছে পিছে গেলো

কিছু মেয়েরা আমাদের পিছু নিছে আমি ওদের দেখে নীলাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ওদের দেখিয়ে নীলার গলায় একটা কিস করলাম নীলাতো খুশিতে পাগল

তারপর চলে এলাম ভালভাবেই বিয়ে শেষ হয়ে গেলো তারপর আপুকে নিয়ে বর চলে গেলো তারপর...........

চলবে............

(কেমন হলো জানাবেন। এক বন্ধু বলছিলো আরো রোমান্টিক করতে সেই বন্ধুকে ধন্যবাদ।সবাইকে ধন্যবাদ)[আগের পর্বগুলো আমার আইডিতে আছে পড়ে নিবেন]