আজ থেকে কয়েক বছর আগে যার স্ত্রী হবার স্বপ্ন আমি দেখেছি।পাগলের মত ভালবেসেছি,সে আজ আমারই ছোট বোনের স্বামী হয়ে গেলো।আমার বোনটাও স্বামী হিসেবে আজ তাকে মেনে নিলো।আমারি চোখের সামনে সকলের উপস্থিতিতে ওদের বিয়ে হয়ে গেলো।আর আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি,ওদের বিয়ের কেনাকাটা সব আমিই করেছি।কনের বড় বোন হিসেবে আমাকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
নীলাদ্রীস,আমার কাজিন।
ছোট বেলা থেকে ও শহরে বড় হয়েছে।ওর পুরো পরিবার শহরে থাকে।
আংকেলের অফিস শহরে থাকায় তাদের শহরেই স্থায়ী ভাবে থাকতে হয়েছে চাকুরীর সুবাদে।
আমি গ্রামে বড় হয়েছি আর নীলাদ্রীস শহরে।
মাঝে মাঝে শহরে আব্বু আম্মুর সাথে বেড়াতে গেলে ওদের সাথে দেখা হতো।
ওরা গ্রামে আসতো যখন,তখন আবার দেখা হতো।
আব্বু দেশের বাইরে চলে যাবার পর তেমন আর যাওয়া হয়নি শহরে।
নীলাদ্রীসের পরিবারও ব্যস্ত হয়ে পড়লো।তাদেরও গ্রামে আসা ধীরেধীরে বন্ধ হয়ে গেলো।
এরপর থেকে আম্মুর সাথে তাদের ফোনে কথা হলেও আমার সাথে কারোও কোন কথা হয়নি।
আস্তে আস্তে আমি আর নীলাদ্রীস বড় হতে লাগলাম।
ছোট বেলা থেকেই ওর আমার প্রতি আর আমার ওর প্রতি এক ভালো লাগা কাজ করতো।
কিন্তু ছোট ছিলাম তাই বুঝিনি ওটাই যে ছিলো ভালবাসার পূর্ব ধাপ।
মাঝে কয়েক বছর কেটে যায়,আমাদের আর দেখা হয়না।
আমিও পড়াশোনাও ব্যস্ত।আর নীলাদ্রীসও তাই।
বছর কয়েক পর একদিন নীলাদ্রীস গ্রামে আসে।
অনেক দিন হয় গ্রাম দেখেনা।
সেই জন্য আসা আরকি।
ঘুমিয়ে আছি আমি।
আর কে যেন আমার মুখে জল ছেটাচ্ছে।
বার বার জল গুলো মুছছি আর বলছি,
দেখ তিয়ারা এমন করিস না।
ঘুমাতে দে।
তিয়ারা আমার ছোট বোনের নাম।
ঘুরে ফিরে আবার ঘুমে মনোযোগ দিচ্ছি চোখ না খুলেই।
আর তখনই এত্ত গুলা পানি আমার মুখের উপর কে যেন ঢেলে দেয়।
আমি দ্রুত উঠে বসে পড়ি,আর চিল্লিয়ে বলে উঠি,
অসভ্য।দিন দিন অসভ্য হচ্ছিস।
বললাম একটু ঘুমাতে দে।
আর ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে তিয়ারা নেই।
আমার চোখ দুটো যেন কপালে উঠে গেলো।
আমি ভূত দেখার মত তাকিয়ে রইলাম।
নীলাদ্রীস!
-কি হলো?থামলে কেন?আরো গালি দাও।অসভ্য,বেয়াদব,ফাজিল।আর কি কি আছে?
আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বললাম,সরি!
-এত বেলা পর্যন্ত কেউ ঘুমায়?কখন থেকে এসে বসে আছি।আর তুমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছো।দেখেছো কয়টা বাজে?
-না মানে আসলে আজ শুক্রবার তো।তাই আরকি।
-আচ্ছা আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।
-আপনি একাই এসেছেন?আর কেউ আসেনি?
-না,আর কেউ আসেনি।
-বাসার সবাই ভালো আছেন?
-হ্যাঁ ভালো আছেন।
-আচ্ছা আপনি বসুন,আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
-আচ্ছা যাও।
আমি ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
আম্মু আমাকে আর নীলাদ্রীসকে নাস্তা খেতে দিলেন।
তিয়ারা আগেই খেয়ে নিয়েছে তাই আমি আর নীলাদ্রীসই খাচ্ছি।
-শোন তিয়াসা,
-হ্যাঁ আম্মু বলো
-খাওয়া দাওয়া শেষ করে নীলাদ্রীসকে নিয়ে ঘুরতে যাস।
এলাকাটা ঘুরিয়ে দেখাস।
আমি দুপুরের রান্না করতে গেলাম।
তারপর এসে দুপুরের খাবার খাবি।
-আচ্ছা আম্মু।
আমি নীলাদ্রীসকে নিয়ে বের হলাম।
এলাকার ছেলেপেলে রা আমার দিকে চোখ বড় বড় করে চেয়ে আছে।
এমন অচেনা এক ছেলেকে নিয়ে আমি এলাকায় ঘুরছি।
তাদের চোখে এটা ভালো ঠেকছে না।
চলে এলো কয়েক জন চুনোপুঁটি।
-তিয়াসা,কে এই ছেলে?
এভাবে এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রেম করিস?
দাঁড়া আজই তোর পরিবারে জানাবো।
-আরে আজব তো,কি সব বলছেন এগুলো?
-ধুর মিয়া,তুমি কেন এত কথা কও?
আমাগো এলাকায় আইসা আমাগো মুখে মুখে কথা?
-আজব,
আপনারা এমন করছেন কেন?
ও তো আমার প্রেমিক নয়।
ও আমার কাজিন।
আজই শহর থেকে এসেছে।
বাসায় বসে বোর হবে তাই আম্মু বললেন ওকে এলাকা ঘুরে দেখাতে।
ভালোই হলো,এলাকার সাথে সাথে এলাকার মানুষ গুলো সম্পর্কেও ধারণা হলো ওর।
-ওহ আগে বলবিনা বলদি,
ও যে তোর কাজিন হয়।
সরি ভাই সরি।ভুল হয়ে গেছে।
ঘুরেন আপনারা ঘুরেন।
-ইটস ওকে ভাই।সমস্যা নেই।
চলো তিয়াসা।
নীলাদ্রীস আর কোন কথা না বাড়িয়ে আমাকে নিয়ে অন্যত্র চলে আসলো।
-সরি!
-সরি কেন?
-আমার জন্য আজ আপনাকে অপমানিত হতে হলো।
-ধুর,অপমানিত আমি হবো কেন?
অপমানিত হয়েছে তো ওরা।
আচ্ছা মন খারাপ করোনা।চলো বাসায় চলো।
-এলাকা দেখবেন না?
-বিকেলে দেখা যাবে।
নীলাদ্রীসকে নিয়ে আমি বাসায় চলে আসি।
কয়েক দিন কেটে যায়।
নীলাদ্রীস এখানে খুবই ইঞ্জয় করছে।
গ্রাম এত শান্তির জায়গা,ও নাকি আগে বুঝেনি।
বুঝবেই বা কি করে,
গ্রামে থাকলে তো বুঝবে এখানকার আলো, বাতাস, পানি কত নির্মল বিশুদ্ধ।
আগামীকাল নীলাদ্রীসের জন্মদিন।
আমি আর তিয়ারা মিলে ওকে সারপ্রাইজ দিবো বলে সব কিছু আয়োজন করি।
ওর জন্য গিফট ও কিনে রাখি।
রাত ১২ টা বাজতেই আমি আর তিয়ারা দুজন মিলে ওকে উইশ করি।
আর ও সারপ্রাইজড হয়ে যায়।
আমি ওর চোখে আনন্দ অশ্রু দেখতে পাই।
আম্মু দুপুরে বিরিয়ানি রান্না করেন।
আর হঠাৎ দেখি নীলাদ্রীসের ভাই বোন মা বাবা সবাই এসে হাজির।
এবার আমরা সবাই অবাক হয়ে যাই।
তারা হঠাৎ এসে আমাদের সারপ্রাইজ দেন।
সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় ছোট খাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।নীলাদ্রীসের জন্য কেক আনা হয়।
সন্ধ্যায় হঠাৎ করে কারেন্ট চলে যায়।
আমি চার্জার লাইট আনতে অন্য রুমে যেতেই,
হুট করে কে যেন আমাকে হেঁচকা টানে এক হাতে জড়িয়ে ধরে।আর অন্য হাতে আমার মুখ চেপে ধরে।
আর আমি চার্জার লাইটের আলোতে নীলাদ্রীসের মুখটা দেখতে পাই।
নীলাদ্রীস আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
আর আমি....
চলবে...
জীবনের_গল্প
তিতিশ্মা_মুসাররাত_কুহু
প্রথম_পর্ব
(গল্পটার প্রথম দিকের পর্ব গুলো বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে)
আজ থেকে কয়েক বছর আগে যার স্ত্রী হবার স্বপ্ন আমি দেখেছি।পাগলের মত ভালবেসেছি,সে আজ আমারই ছোট বোনের স্বামী হয়ে গেলো।আমার বোনটাও স্বামী হিসেবে আজ তাকে মেনে নিলো।আমারি চোখের সামনে সকলের উপস্থিতিতে ওদের বিয়ে হয়ে গেলো।আর আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি,ওদের বিয়ের কেনাকাটা সব আমিই করেছি।কনের বড় বোন হিসেবে আমাকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
নীলাদ্রীস,আমার কাজিন। ছোট বেলা থেকে ও শহরে বড় হয়েছে।ওর পুরো পরিবার শহরে থাকে। আংকেলের অফিস শহরে থাকায় তাদের শহরেই স্থায়ী ভাবে থাকতে হয়েছে চাকুরীর সুবাদে।
আমি গ্রামে বড় হয়েছি আর নীলাদ্রীস শহরে। মাঝে মাঝে শহরে আব্বু আম্মুর সাথে বেড়াতে গেলে ওদের সাথে দেখা হতো।
ওরা গ্রামে আসতো যখন,তখন আবার দেখা হতো।
আব্বু দেশের বাইরে চলে যাবার পর তেমন আর যাওয়া হয়নি শহরে।
নীলাদ্রীসের পরিবারও ব্যস্ত হয়ে পড়লো।তাদেরও গ্রামে আসা ধীরেধীরে বন্ধ হয়ে গেলো।
এরপর থেকে আম্মুর সাথে তাদের ফোনে কথা হলেও আমার সাথে কারোও কোন কথা হয়নি।
আস্তে আস্তে আমি আর নীলাদ্রীস বড় হতে লাগলাম।
ছোট বেলা থেকেই ওর আমার প্রতি আর আমার ওর প্রতি এক ভালো লাগা কাজ করতো।
কিন্তু ছোট ছিলাম তাই বুঝিনি ওটাই যে ছিলো ভালবাসার পূর্ব ধাপ।
মাঝে কয়েক বছর কেটে যায়,আমাদের আর দেখা হয়না। আমিও পড়াশোনাও ব্যস্ত।আর নীলাদ্রীসও তাই।
বছর কয়েক পর একদিন নীলাদ্রীস গ্রামে আসে। অনেক দিন হয় গ্রাম দেখেনা। সেই জন্য আসা আরকি।
ঘুমিয়ে আছি আমি। আর কে যেন আমার মুখে জল ছেটাচ্ছে। বার বার জল গুলো মুছছি আর বলছি, দেখ তিয়ারা এমন করিস না। ঘুমাতে দে।
তিয়ারা আমার ছোট বোনের নাম।
ঘুরে ফিরে আবার ঘুমে মনোযোগ দিচ্ছি চোখ না খুলেই।
আর তখনই এত্ত গুলা পানি আমার মুখের উপর কে যেন ঢেলে দেয়।
আমি দ্রুত উঠে বসে পড়ি,আর চিল্লিয়ে বলে উঠি, অসভ্য।দিন দিন অসভ্য হচ্ছিস। বললাম একটু ঘুমাতে দে।
আর ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে তিয়ারা নেই। আমার চোখ দুটো যেন কপালে উঠে গেলো। আমি ভূত দেখার মত তাকিয়ে রইলাম।
নীলাদ্রীস!
-কি হলো?থামলে কেন?আরো গালি দাও।অসভ্য,বেয়াদব,ফাজিল।আর কি কি আছে?
আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে বললাম,সরি!
-এত বেলা পর্যন্ত কেউ ঘুমায়?কখন থেকে এসে বসে আছি।আর তুমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছো।দেখেছো কয়টা বাজে?
-না মানে আসলে আজ শুক্রবার তো।তাই আরকি।
-আচ্ছা আচ্ছা যাও ফ্রেশ হয়ে নাও।
-আপনি একাই এসেছেন?আর কেউ আসেনি? -না,আর কেউ আসেনি। -বাসার সবাই ভালো আছেন? -হ্যাঁ ভালো আছেন। -আচ্ছা আপনি বসুন,আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। -আচ্ছা যাও।
আমি ফ্রেশ হয়ে আসলাম। আম্মু আমাকে আর নীলাদ্রীসকে নাস্তা খেতে দিলেন।
তিয়ারা আগেই খেয়ে নিয়েছে তাই আমি আর নীলাদ্রীসই খাচ্ছি।
-শোন তিয়াসা, -হ্যাঁ আম্মু বলো -খাওয়া দাওয়া শেষ করে নীলাদ্রীসকে নিয়ে ঘুরতে যাস।
এলাকাটা ঘুরিয়ে দেখাস।
আমি দুপুরের রান্না করতে গেলাম। তারপর এসে দুপুরের খাবার খাবি।
-আচ্ছা আম্মু।
আমি নীলাদ্রীসকে নিয়ে বের হলাম।
এলাকার ছেলেপেলে রা আমার দিকে চোখ বড় বড় করে চেয়ে আছে।
এমন অচেনা এক ছেলেকে নিয়ে আমি এলাকায় ঘুরছি। তাদের চোখে এটা ভালো ঠেকছে না।
চলে এলো কয়েক জন চুনোপুঁটি।
-তিয়াসা,কে এই ছেলে? এভাবে এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রেম করিস? দাঁড়া আজই তোর পরিবারে জানাবো।
-আরে আজব তো,কি সব বলছেন এগুলো?
-ধুর মিয়া,তুমি কেন এত কথা কও? আমাগো এলাকায় আইসা আমাগো মুখে মুখে কথা?
-আজব, আপনারা এমন করছেন কেন? ও তো আমার প্রেমিক নয়। ও আমার কাজিন। আজই শহর থেকে এসেছে। বাসায় বসে বোর হবে তাই আম্মু বললেন ওকে এলাকা ঘুরে দেখাতে। ভালোই হলো,এলাকার সাথে সাথে এলাকার মানুষ গুলো সম্পর্কেও ধারণা হলো ওর।
-ওহ আগে বলবিনা বলদি, ও যে তোর কাজিন হয়।
সরি ভাই সরি।ভুল হয়ে গেছে। ঘুরেন আপনারা ঘুরেন।
-ইটস ওকে ভাই।সমস্যা নেই।
চলো তিয়াসা।
নীলাদ্রীস আর কোন কথা না বাড়িয়ে আমাকে নিয়ে অন্যত্র চলে আসলো।
-সরি! -সরি কেন? -আমার জন্য আজ আপনাকে অপমানিত হতে হলো। -ধুর,অপমানিত আমি হবো কেন? অপমানিত হয়েছে তো ওরা।
আচ্ছা মন খারাপ করোনা।চলো বাসায় চলো।
-এলাকা দেখবেন না?
-বিকেলে দেখা যাবে।
নীলাদ্রীসকে নিয়ে আমি বাসায় চলে আসি।
কয়েক দিন কেটে যায়।
নীলাদ্রীস এখানে খুবই ইঞ্জয় করছে।
গ্রাম এত শান্তির জায়গা,ও নাকি আগে বুঝেনি।
বুঝবেই বা কি করে, গ্রামে থাকলে তো বুঝবে এখানকার আলো, বাতাস, পানি কত নির্মল বিশুদ্ধ।
আগামীকাল নীলাদ্রীসের জন্মদিন। আমি আর তিয়ারা মিলে ওকে সারপ্রাইজ দিবো বলে সব কিছু আয়োজন করি। ওর জন্য গিফট ও কিনে রাখি।
রাত ১২ টা বাজতেই আমি আর তিয়ারা দুজন মিলে ওকে উইশ করি।
আর ও সারপ্রাইজড হয়ে যায়। আমি ওর চোখে আনন্দ অশ্রু দেখতে পাই।
আম্মু দুপুরে বিরিয়ানি রান্না করেন। আর হঠাৎ দেখি নীলাদ্রীসের ভাই বোন মা বাবা সবাই এসে হাজির।
এবার আমরা সবাই অবাক হয়ে যাই। তারা হঠাৎ এসে আমাদের সারপ্রাইজ দেন।
সন্ধ্যায় আমাদের বাসায় ছোট খাটো একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।নীলাদ্রীসের জন্য কেক আনা হয়।
সন্ধ্যায় হঠাৎ করে কারেন্ট চলে যায়। আমি চার্জার লাইট আনতে অন্য রুমে যেতেই,
হুট করে কে যেন আমাকে হেঁচকা টানে এক হাতে জড়িয়ে ধরে।আর অন্য হাতে আমার মুখ চেপে ধরে।
আর আমি চার্জার লাইটের আলোতে নীলাদ্রীসের মুখটা দেখতে পাই।
নীলাদ্রীস আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমি....
চলবে...
জীবনের_গল্প
তিতিশ্মা_মুসাররাত_কুহু
প্রথম_পর্ব
(গল্পটার প্রথম দিকের পর্ব গুলো বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে)