অদ্ভুত-তিনি2
Part:11
বেখেয়ালি_হিমু
vampire দের রাজ্যে,
চাঁদনি হাত দুটো এক সাথ করে কচুমুচু হয়ে বসে আসে। হয়তো কিছু ভাবছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে বয়স তার কম। এমনি তার বয়স বুঝা যায় না।
এরি মধ্যে আরিফ খান ধরফরিয়ে চাঁদনির রুমে আসে, তাকে দেখে চাঁদনি চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়,
--আরিফ তুমি এখানে বাবা দেখলে কেলেংকারী হয়ে যাবে তেমাকে মেরে ফেলবে।
--ভালেবাসা মরা বাঁচা বুঝে না চাঁদনি চলো পালাবো আমরা।
--কি বলছো তুমি আমার বাবা কে রেখে।
--দেখ চাঁদনি আমি তেমাকে তুমি আমাকে ভালেবাসি আমার ভালেবাসায় কোন ফাক নেই না আছে তোমার ভালেবাসায়। তোমার বাবা আমাকে তোমাকে দিবে না কারন আমি মানুষ। তার পর আমার এব্যেলিটি ওতো নয়। তুমি vampire দের এক মাত্র রাজকন্যা। বাবার পর দায়িত্ব তোমার। আমি সব জানি৷ কিন্তু এই মূহুর্তে এর থেকে ব্যেতিক্রম কোন উপায় নেই৷ তুমি আমার সাথে না গেলে আজ এখানে হবে আমাদের শেষ দেখা। তোমার উপর জোর নাই যেটা মনে হয় সেটা করো৷
তোমার ডিসিশন আমি মেনে নিব।
শেষের কথাটা শুনে চাঁদনি আর কিছু বলে না। বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে।
হাত ধরে বেরিয়ে আসে আরিফ খানের।
বাবার কাছে আর কখনো ফেরে নি সে। ।
--জানিস বাবা সেই দিন চলে এসেছিলাম আজ পুরো ৩০ বছর পর আসা। তুই আমার গর্ভে কিছুটা নিয়ম ভেঙে এসেছিলি৷ কারন তোর বাবা মানুষ সেই হিসাবে তোর মানুষ হবার কথা ছিলো কিন্তু তুই আমার মতো vampire হলি কি করে খোদা জানে৷ তার উপর তোর মধ্যে আছে প্রতিটা আলাদা আলাদা vampire এর থেকে নেওয়া আলাদা আলাদা শক্তি। মেঘের মুখটা দেখে হয়তো বাবা আর কিছু বললেন না কিন্তু আমি জানি ওনার মনে জমে আছে হাজার অভিমান অভিযোগ। শেষ বার বাবার সামনে যাবার সাহস ছিলো না একটা চিঠিতে কথা হয়েছিলো৷ বাবা চাইলে আরিফকে মেরে আমাকে নিয়ে আসতে পারতো কিন্তু করে নি ভালেবাসতো যে অনেক৷
--আম্মু vampire রা কাঁদে না৷
ছেলের কথা শুনে ছেলেকে জরিয়ে ধরেন চাঁদনি খান।
--মেঘের খেয়াল রাখ আমি গেলাম।
(আমান মায়ের কাছে সবটা জানতে চায় তাই সবটা বলেন। চাঁদনি আর আরিফ খানের ভালেবাসার শুরু টা হয় কলেজ থেকে দুজন একি কলেজে পরতো সেই শুবাদের ওদের দেখা আস্তে আস্তে প্রেম৷ কিন্তু বাবাকে বললে তিনি মেনে নেন নি৷ তার পর তারা পালিয়ে জাবার সিদ্ধান্ত নেয়)
.
এই রাজ্যে রাত নামলো বেশ থমথমে পরিবেশ চারি দিকে vampire এর মধ্যে একটা মাত্র মানুষ মেঘ৷ আলামিন সাহেব নাতিবৌ এর ঘরে সুরক্ষা কবজ দিয়ে গেছেন জাতে করে কোন vampire চাইলেও এই রুমে প্রবেশ না কীতে পারে,
মেঘের চোখ খুলছে একটু একটু করে,
আমার চোখ খুলতে পাশে দেখতে পায় আমানকে আমার দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
কিছু সময় পর মনে পরে যায় রক্তের ব্যাপার টা
আমি এক লাফে উঠে বসি৷ আমান আমার কাছে আসতে চাইলে,
--কাছে আসবেন না আপনি দুরে থাকুন৷ আমার থেকে।
--মেঘ কি বলছিস এগুলা৷ । --
--আপনি মানুষের রক্ত খান৷ আজ আমি নিজে দেখেছি। আপনি মানুষ নন অন্য কিছু। আমার কাছে আসবেন না আপনি দুরে থাকুন।
আমার ভয় ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আমানকে দেখে হাত পা কাপছে আমার।
--মেঘ৷
--আমি জানি আপনি আমাকেও খেয়ে ফেলবেন এক দিন৷ আজ বুঝতে পারছি কেন আপনি আমাকে কামড়ে কামড়ে আমার রক্ত বার করতেন আমি থাকবো না এখানে আম্মুকে নিয়ে চলে যাবো৷ থাকতে চায় না আপনার সাথে। ।
আমার মুখে থাকবো না কথা শুনে আমানের ভয় মিস্রিত মুখটা রাগে পরিনত হলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার কাছে এসে আমার চুল ধরে বসে।
--কি ভেবেছিস তোকে কিছু বলছি না বলে যা খুশি তাই বলে যাবি। হ্যা আমি মানুষ না vampire আমি। শুনেছিস তুই। কিন্তু আমার প্রান তুই তোকে ছাড়া আমি বাঁচবো না তুই শুধু আমার। i say তুই শুধু আমার। কথাটা যতো জালদি সম্ভব মাথায় ঢুকিয়ে নে। আর হ্যা আমরা এখন আমাদের বাসায় নেই সো এক দম সিনক্রিয়েট করবি না চুপ চাপ শুয়ে থাক৷
কথা গুলে বলেই আমাকে ছেড়ে দিলো৷ ভয়ে আমি এক কোনে কুচুমুচু হয়ে বসে রইলাম হাত পা ঘুটিয়ে৷
নিঃশব্দে কেঁদে চলেছি। আমানের সত্যি এটা ছিলে ভেবে আমার আত্মা কেপে উঠছে৷ এই জন্য তার স্পর্শ এতো ভয়ানক। আমি ভেবেছিলাম সময়ের সাথে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু এ যে ঠিক হবার নয়। আচ্ছা মা জানতেন আমান vampire তাই আমার সাথে বিয়ে দিতে চান নি৷ এটা কেথায় কেমন অদ্ভুত যায়গা কিছুই কখনো দেখিনি আমি এখানের৷ ভয়ে কলিজার পানি শুকিয়ে আসছে৷
আমি আড় চোখে আমানের দিকে তাকালম। হাত দুটো এক বার মুষ্টি বদ্ধ করছে এক বার ছেড়ে দিচ্ছে চোখ বন্ধ করে বসে বসে এই কাজ করছে৷ হয়তো রাগ কমাতে চাইছে।
অন্য দিনের তুলনায় চলে যাবার কথা শুনে আজ তিনি একটু বেশি ভয়ঙ্কর ছিলো৷
আচ্ছা উনিকি সত্যি আমাকে অনেক ভালোবাসে৷ তাহলে এতো দিন কষ্ট দিছে কেন৷ সব তাল গোল পাকিয়ে যাচ্ছে। এটা কই এখানে কেন এসেছি৷ ওহ আমি তো ভুলেই গেছিলাম আমাকে কে যেন চাকু মেরেছিলো পেটে কিন্তু কই আমার পেট তো ঠিক আছে কিছু তো দেখা যাচ্ছে না। উফ আর ভাবতে পারছি না এই রহস্য ময় জীবন থেকে আমাকে উদ্ধার করো খোদা।
এসব ভাবতে ভাবতে দেখি আমান আমার পাশে এসে বসে আমি কেপে উঠি সাথে এক রাস ভয় গ্রাস করেছে,
--জানপাখি দেখ সত্যি বলছি তোকে অনেক ভালোবাসি আমি৷ দেখ তোর জন্য আমি কি না করেছি।
আমি ভয়ে ভয়ে একটা কথা শুনলাম
--এটা কেথায়৷
--vampire রাজ্য
এবার আমার ভয় আরো ১০০× বৃদ্ধি পেয়েছে।
--ভয় নেই আম্মুও এসেছে, তোকে বাঁচাতে এসেছি এখানে।
তার মানে মাও vampire। না না কি ভাবছি কিছু ভাবতে পারছি না অতিরিক্ত মাথায় চাপ দেওয়ার কারনে হটাৎ চোখ দুটো বুজে এসলো,
মেঘ সেন্স হারিয়ে আমানের বুকে কাত হয়ে পরে,
--মেঘ কি রে।
আমান মেঘকে শুইয়ে দেয়।
--জান পাখি কেন আমাকে এতো ভয় পাচ্ছিস৷ কেন তোকে যে আমি এতেটা ভালোবাসি তাকি তোর চোখে পরছে না৷
আমান কিছুই ভাবতে পারছে না ভালেবাসার মানুষের থেকে পাওয়া এই আঘাত তার মনে দাগ কাটছে।
.
কিছু সময় পর চাঁদনি খান তার বাবাকে নিয়ে মেঘের রুমে আসে।
--আমান মেঘের কি অবস্থা।
--আম্মু ও যেনে গেছে আমি vampire. ও থাকতে চায় না আমার সাথে ও বলেছে চলে যাবে।
--আমান তুমি এভাবে ভেঙে পরছো। ও কি করে জানলো।
--জানি না মা কিন্তু এক না এক দিন তো জানতোই।
--নানাভাই তুমি চিন্তা করো না ভালেবাসা দিয়ে বুঝাবা সব মেনে নিবে৷
নানার কথা শুনে নানার দিকে তাকায় আমান অবাক দৃষ্টিতে,
--এভাবে কেন তাকাচ্ছ। আমি মানুষ নই কিন্তু মানুষের মতো ফিলিংস আমার আছে।
আচ্ছা এবার সরো আমাকে ওর মাইন্ড পরতে দেও৷
আমান একটু সরে আসে,
চাঁদনির বাবা মেঘের কপালে হাত রাখে আর কিছু সময় চোখ বন্ধ করে খুলে ফেলে,
--চাঁদনি।
--বাবা৷
--পরতে পারছি না মেয়েটার মধ্যে অন্য কিছু আছে যা আমাকে বাধা দিচ্ছে।
--মানে বাবা ও তো।
--না চাঁদনি ও সাধারন নয় সাধারন হলে তোমার ছেলের সাথে সময় কাটাতে পারতো না।
--বাবা তাহলে উপায়।
--ওকে নিয়ে বাসায় যাও আস্তে আস্তে ওর কাছে শুন সবটা।
কোন সাহায্য লাগলে বাবাকে ডেকো৷
চাঁদনি খান আর আমান সবাইকে বিদায় জানিয়ে মেঘকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।
.
আমান মেঘকে তাদের খাটে শুইয়ে দেয়।
কিছু সময় পর মেঘ চোখ খুলে,
চলবে,
🖤
অদ্ভুত-তিনি2 Part:11
বেখেয়ালি_হিমু
vampire দের রাজ্যে, চাঁদনি হাত দুটো এক সাথ করে কচুমুচু হয়ে বসে আসে। হয়তো কিছু ভাবছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে বয়স তার কম। এমনি তার বয়স বুঝা যায় না।
এরি মধ্যে আরিফ খান ধরফরিয়ে চাঁদনির রুমে আসে, তাকে দেখে চাঁদনি চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়, --আরিফ তুমি এখানে বাবা দেখলে কেলেংকারী হয়ে যাবে তেমাকে মেরে ফেলবে।
--ভালেবাসা মরা বাঁচা বুঝে না চাঁদনি চলো পালাবো আমরা।
--কি বলছো তুমি আমার বাবা কে রেখে।
--দেখ চাঁদনি আমি তেমাকে তুমি আমাকে ভালেবাসি আমার ভালেবাসায় কোন ফাক নেই না আছে তোমার ভালেবাসায়। তোমার বাবা আমাকে তোমাকে দিবে না কারন আমি মানুষ। তার পর আমার এব্যেলিটি ওতো নয়। তুমি vampire দের এক মাত্র রাজকন্যা। বাবার পর দায়িত্ব তোমার। আমি সব জানি৷ কিন্তু এই মূহুর্তে এর থেকে ব্যেতিক্রম কোন উপায় নেই৷ তুমি আমার সাথে না গেলে আজ এখানে হবে আমাদের শেষ দেখা। তোমার উপর জোর নাই যেটা মনে হয় সেটা করো৷
তোমার ডিসিশন আমি মেনে নিব। শেষের কথাটা শুনে চাঁদনি আর কিছু বলে না। বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠে।
হাত ধরে বেরিয়ে আসে আরিফ খানের।
বাবার কাছে আর কখনো ফেরে নি সে। ।
--জানিস বাবা সেই দিন চলে এসেছিলাম আজ পুরো ৩০ বছর পর আসা। তুই আমার গর্ভে কিছুটা নিয়ম ভেঙে এসেছিলি৷ কারন তোর বাবা মানুষ সেই হিসাবে তোর মানুষ হবার কথা ছিলো কিন্তু তুই আমার মতো vampire হলি কি করে খোদা জানে৷ তার উপর তোর মধ্যে আছে প্রতিটা আলাদা আলাদা vampire এর থেকে নেওয়া আলাদা আলাদা শক্তি। মেঘের মুখটা দেখে হয়তো বাবা আর কিছু বললেন না কিন্তু আমি জানি ওনার মনে জমে আছে হাজার অভিমান অভিযোগ। শেষ বার বাবার সামনে যাবার সাহস ছিলো না একটা চিঠিতে কথা হয়েছিলো৷ বাবা চাইলে আরিফকে মেরে আমাকে নিয়ে আসতে পারতো কিন্তু করে নি ভালেবাসতো যে অনেক৷
--আম্মু vampire রা কাঁদে না৷
ছেলের কথা শুনে ছেলেকে জরিয়ে ধরেন চাঁদনি খান।
--মেঘের খেয়াল রাখ আমি গেলাম।
(আমান মায়ের কাছে সবটা জানতে চায় তাই সবটা বলেন। চাঁদনি আর আরিফ খানের ভালেবাসার শুরু টা হয় কলেজ থেকে দুজন একি কলেজে পরতো সেই শুবাদের ওদের দেখা আস্তে আস্তে প্রেম৷ কিন্তু বাবাকে বললে তিনি মেনে নেন নি৷ তার পর তারা পালিয়ে জাবার সিদ্ধান্ত নেয়) . এই রাজ্যে রাত নামলো বেশ থমথমে পরিবেশ চারি দিকে vampire এর মধ্যে একটা মাত্র মানুষ মেঘ৷ আলামিন সাহেব নাতিবৌ এর ঘরে সুরক্ষা কবজ দিয়ে গেছেন জাতে করে কোন vampire চাইলেও এই রুমে প্রবেশ না কীতে পারে, মেঘের চোখ খুলছে একটু একটু করে,
আমার চোখ খুলতে পাশে দেখতে পায় আমানকে আমার দিকে শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
কিছু সময় পর মনে পরে যায় রক্তের ব্যাপার টা আমি এক লাফে উঠে বসি৷ আমান আমার কাছে আসতে চাইলে, --কাছে আসবেন না আপনি দুরে থাকুন৷ আমার থেকে।
--মেঘ কি বলছিস এগুলা৷ । -- --আপনি মানুষের রক্ত খান৷ আজ আমি নিজে দেখেছি। আপনি মানুষ নন অন্য কিছু। আমার কাছে আসবেন না আপনি দুরে থাকুন।
আমার ভয় ক্রমশ বেড়ে চলেছে। আমানকে দেখে হাত পা কাপছে আমার।
--মেঘ৷
--আমি জানি আপনি আমাকেও খেয়ে ফেলবেন এক দিন৷ আজ বুঝতে পারছি কেন আপনি আমাকে কামড়ে কামড়ে আমার রক্ত বার করতেন আমি থাকবো না এখানে আম্মুকে নিয়ে চলে যাবো৷ থাকতে চায় না আপনার সাথে। । আমার মুখে থাকবো না কথা শুনে আমানের ভয় মিস্রিত মুখটা রাগে পরিনত হলো। সঙ্গে সঙ্গে আমার কাছে এসে আমার চুল ধরে বসে। --কি ভেবেছিস তোকে কিছু বলছি না বলে যা খুশি তাই বলে যাবি। হ্যা আমি মানুষ না vampire আমি। শুনেছিস তুই। কিন্তু আমার প্রান তুই তোকে ছাড়া আমি বাঁচবো না তুই শুধু আমার। i say তুই শুধু আমার। কথাটা যতো জালদি সম্ভব মাথায় ঢুকিয়ে নে। আর হ্যা আমরা এখন আমাদের বাসায় নেই সো এক দম সিনক্রিয়েট করবি না চুপ চাপ শুয়ে থাক৷
কথা গুলে বলেই আমাকে ছেড়ে দিলো৷ ভয়ে আমি এক কোনে কুচুমুচু হয়ে বসে রইলাম হাত পা ঘুটিয়ে৷
নিঃশব্দে কেঁদে চলেছি। আমানের সত্যি এটা ছিলে ভেবে আমার আত্মা কেপে উঠছে৷ এই জন্য তার স্পর্শ এতো ভয়ানক। আমি ভেবেছিলাম সময়ের সাথে ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু এ যে ঠিক হবার নয়। আচ্ছা মা জানতেন আমান vampire তাই আমার সাথে বিয়ে দিতে চান নি৷ এটা কেথায় কেমন অদ্ভুত যায়গা কিছুই কখনো দেখিনি আমি এখানের৷ ভয়ে কলিজার পানি শুকিয়ে আসছে৷
আমি আড় চোখে আমানের দিকে তাকালম। হাত দুটো এক বার মুষ্টি বদ্ধ করছে এক বার ছেড়ে দিচ্ছে চোখ বন্ধ করে বসে বসে এই কাজ করছে৷ হয়তো রাগ কমাতে চাইছে।
অন্য দিনের তুলনায় চলে যাবার কথা শুনে আজ তিনি একটু বেশি ভয়ঙ্কর ছিলো৷
আচ্ছা উনিকি সত্যি আমাকে অনেক ভালোবাসে৷ তাহলে এতো দিন কষ্ট দিছে কেন৷ সব তাল গোল পাকিয়ে যাচ্ছে। এটা কই এখানে কেন এসেছি৷ ওহ আমি তো ভুলেই গেছিলাম আমাকে কে যেন চাকু মেরেছিলো পেটে কিন্তু কই আমার পেট তো ঠিক আছে কিছু তো দেখা যাচ্ছে না। উফ আর ভাবতে পারছি না এই রহস্য ময় জীবন থেকে আমাকে উদ্ধার করো খোদা।
এসব ভাবতে ভাবতে দেখি আমান আমার পাশে এসে বসে আমি কেপে উঠি সাথে এক রাস ভয় গ্রাস করেছে, --জানপাখি দেখ সত্যি বলছি তোকে অনেক ভালোবাসি আমি৷ দেখ তোর জন্য আমি কি না করেছি।
আমি ভয়ে ভয়ে একটা কথা শুনলাম --এটা কেথায়৷
--vampire রাজ্য এবার আমার ভয় আরো ১০০× বৃদ্ধি পেয়েছে।
--ভয় নেই আম্মুও এসেছে, তোকে বাঁচাতে এসেছি এখানে।
তার মানে মাও vampire। না না কি ভাবছি কিছু ভাবতে পারছি না অতিরিক্ত মাথায় চাপ দেওয়ার কারনে হটাৎ চোখ দুটো বুজে এসলো, মেঘ সেন্স হারিয়ে আমানের বুকে কাত হয়ে পরে, --মেঘ কি রে।
আমান মেঘকে শুইয়ে দেয়।
--জান পাখি কেন আমাকে এতো ভয় পাচ্ছিস৷ কেন তোকে যে আমি এতেটা ভালোবাসি তাকি তোর চোখে পরছে না৷
আমান কিছুই ভাবতে পারছে না ভালেবাসার মানুষের থেকে পাওয়া এই আঘাত তার মনে দাগ কাটছে। . কিছু সময় পর চাঁদনি খান তার বাবাকে নিয়ে মেঘের রুমে আসে। --আমান মেঘের কি অবস্থা।
--আম্মু ও যেনে গেছে আমি vampire. ও থাকতে চায় না আমার সাথে ও বলেছে চলে যাবে।
--আমান তুমি এভাবে ভেঙে পরছো। ও কি করে জানলো।
--জানি না মা কিন্তু এক না এক দিন তো জানতোই।
--নানাভাই তুমি চিন্তা করো না ভালেবাসা দিয়ে বুঝাবা সব মেনে নিবে৷
নানার কথা শুনে নানার দিকে তাকায় আমান অবাক দৃষ্টিতে, --এভাবে কেন তাকাচ্ছ। আমি মানুষ নই কিন্তু মানুষের মতো ফিলিংস আমার আছে।
আচ্ছা এবার সরো আমাকে ওর মাইন্ড পরতে দেও৷
আমান একটু সরে আসে, চাঁদনির বাবা মেঘের কপালে হাত রাখে আর কিছু সময় চোখ বন্ধ করে খুলে ফেলে, --চাঁদনি।
--বাবা৷
--পরতে পারছি না মেয়েটার মধ্যে অন্য কিছু আছে যা আমাকে বাধা দিচ্ছে।
--মানে বাবা ও তো।
--না চাঁদনি ও সাধারন নয় সাধারন হলে তোমার ছেলের সাথে সময় কাটাতে পারতো না।
--বাবা তাহলে উপায়।
--ওকে নিয়ে বাসায় যাও আস্তে আস্তে ওর কাছে শুন সবটা।
কোন সাহায্য লাগলে বাবাকে ডেকো৷
চাঁদনি খান আর আমান সবাইকে বিদায় জানিয়ে মেঘকে নিয়ে বাসায় চলে আসে। . আমান মেঘকে তাদের খাটে শুইয়ে দেয়।
কিছু সময় পর মেঘ চোখ খুলে, চলবে, 🖤